-“কি ভাবছো”?(নওশিন)
-“ভাবছি আমার মায়াবতীর কথা”।(তুষার)
-“তাই,তা কি ভাবছো আমাকে নিয়ে একটু শুনি”।(নওশিন)
-“ভাবছি আমার মায়াবতি এতো ভালো কেনো।সব সময় আমার খেয়াল রাখে,
কখন কি লাগবে সব বুঝে এই তো এই গুলি ভাবছি।আর একটা কথা ভাবছি,
আমার ভাগ্য আসলে এই দিক দিয়ে ভালো যে তোমাকে আমর জীবন সঙ্গী
পেয়েছি।আমার যে অপূর্ণতা ছিলো তোমাকে পেয়ে আমার জীবন পূর্ণতা পেয়েছে”।(তুষার)
-“আমার ভাগ্য কি খারাপ নাকি,আমারও ভালো যে তোমাকে পেয়েছি।আর তুমি বুঝি আমার খেয়াল রাখো না”।(নওশিন)
-“আচ্ছা বুঝলাম।এখন বলো তুমি কি
উপহার নিবে।সামনে তো আমাদের বিবাহ বার্ষিকী তুমি যা লাগবে তাই পাবে”।(তুষার)
-“আমার শুধু তোমাকে লাগবে।সারা জীবন এভাবে থেকো তাহলেই হবে আমার আর কিছু লাগবে না”।(নওশিন)
-“আমি তো তোমারই আছি কোথাও যাচ্ছি না”।(তুষার)
“এতক্ষন কথা বলছিলাম আমার স্ত্রী নওশিনের সাথে।নওশিন কে আমি মায়াবতী বলে ডাকি কারন হচ্ছে
নওশিনের চোখ অনেক মায়াবি। আমি যখন তাকাই তখন আর অন্য কোন দিকে চোখ ফিরাতে
পারি না।আমার মনে হয় আমি চোখের দিকে তাকিয়ে সারা জীবন কাটিয়ে দিতে পারবো”।
“আমাদের পরিচয় আমার এক আত্মীয়ের বিয়েতে।সেখান থেকেই আমাদের বন্ধুত হয়।তারপর আসতে আসতে আমাদের সম্পর্ক হয়”।
“৪ বছর সম্পর্কের পর দুই পরিবারের মতে আমাদের বিয়ে হয়”।
“আজ আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী।
ভাবছি নওশিন কে কি গিফট দেওয়া যায়।অনেক ভেবে ঠিক করলাম যে নওশিনের কালো রঙ অনেক পছন্দ
তাই কালো শাড়ি,কালো কাঁচের চুরি, কালো টিপ,কাজল আর কিছু ফুল কিনে নিলাম।আর কেক নিতে ভুলিনি আমি”।
“গেট নক করার কিছুক্ষন পর গেট খুলে দিলো।আমি গিফট গুলি দিয়ে দিলাম”।
-“এই নাও এই গুলি তোমার জন্য।আর একটা ছুরি নিয়ে এসো কেমন”।(তুষার)
-“এই গুলি কেনো আনলে আর ছুরি দিয়ে কি করবে তুমি”।(নওশিন)
-“ছুরি দিয়ে মানুষ কি করে তাই করবো। কেক কাটতে তো ছুরি লাগবে তাই না। এখন যাও তারাতারি নিয়ে এসো”।(তুষার)
-“আচ্ছা যাচ্ছি।তোমাকে নিয়ে আর পারলাম না”।(নওশিন)
“তারপর কেক কেটে দুজনে গল্প করলাম। নওশিন কে আমি যে সব সময় সময় দিতে
পারি তা না,মাঝে মাঝে সময় পাই আর তখন সময় দেই।আর এই নিয়ে নওশিনের
কোন রাগ বা অভিমান নেই।কারন বুঝতে পারে অফিসে কাজের চাপ থাকে তখন কিভাবে সময় দিবো”।
“নওশিন আমার অনেক কিছু না বলেতেই বুঝতে পারে।আমিও বুঝতে পারি।তবে নওশিনের একটা আলাদা ক্ষমতা আমার
মন খারাপ থাকলে কিভাবে যেন বুঝে আর নওশিনের সাথে কথা বলতেই আমার মন ভালো হয়ে যায়”।
-“তোমার জন্য গিফট আছে।আর আমার
মনে হয় না তুমি এর থেকে ভালো কোন গিফট পাবে”।(নওশিন)
-“আচ্ছা দেও তাহলে কি গিফট দিবে”। (তুষার)
-“তুমি বাবা হতে যাচ্ছ”।(নওশিন)
-“সত্যি!ঠিক বলেছো এর থেকে ভালো আর গিফট নেই।তুমি আমার জীবনে আসার পর থেকে আমার প্রতিটা দিন
অনেক ভালো কেটেছে।তুমি ছাড়া আমি অর্থহীন”।(তুষার)
“নওশিন আমার জিবনের সাথে পুরোপুরি
মিশে গেছে।নওশিন কে ছাড়া আমি কিছুই ভাবতে পারি না।আমার সব কিছুতেই নওশিন কে লাগবেই”।
“এখন নওশিনের প্রতি আর বেশি খেয়াল রাখতে হবে।আগের থেক আরও বেশি সময় দিতে হবে”।
“আজ হঠাৎ করে নওশিনে ব্যাথা উঠে আমি আর দেরি না করে তারাতারি হাস্পাতালে নিয়ে যাই”।
“অনেকক্ষন হয়ে গেলো এখনো ডাক্তার আসছে না যে।ঐতো ডাক্তার আসছে”।
-“অভিনন্দন!আমি মেয়ের বাবা হয়েছেন। আর দুজনেই সুস্থ আছে”।(ডাক্তার)
-“ধন্যবাদ ডাক্তার”।(তুষার)
-“আপনি চাইলে দেখা করতে পারেন এখন”।(ডাক্তার)
-আচ্ছা।(তুষার)
“রুমে গিয়ে আগে মেয়েকে কোলে নিলাম। দেখতে একদম নওশিনের মতো হয়েছে”।
-“মেয়ে তো একদম তোমার মতো হয়েছে”। (তুষার)
-“দেখেতে হবে না মেয়ে কার।নাম কি রাখবে ঠিক করেছো”।(নওশিন)
-“আরিসা আমাদের মেয়ের নাম।তোমার পছন্দ হয়েছে”।(তুষার)
-“পছন্দ হবে না কেনো আরিসা নামটা অনেক সুন্দর।আমার অনেক পছন্দ হয়েছে”।(নওশিন)
গল্পের বিষয়:
ভালবাসা