অনেক ভালোবাসি তোকে

অনেক ভালোবাসি তোকে

বাসর ঘরে ঢুকতেই বউ আমাকে ল্যাং মেরে ফেলে দিল। ভেবেছিলাম হয়তো বউ ঘোমটা দিয়ে বসে থাকবে আমি গিয়ে তার গোমটা সরাইয়া চাঁদ মুখখানা দেখব তা আর হল কোথায় কোমরের ব্যাথা এখন আমার যায় যায় অবস্থা। যেদিন পাত্রী দেখতে গিয়েছিলাম তখন পাত্রীর সাথে আলাদা কথা বলার জন্য তার রুমে পাঠানো হলো। তার রুমে ঢুকার সাথে সাথে সে বলে উঠলো দরজা লক করার জন্য।

আমি দরজা লক করে সামনে আগাতে যাব তখনি সে আমাকে ম্যাং মেরে ফেলেদেই। তখনই বুঝেছিলাম এই মেয়ে হেব্বি ডেঞ্জারাস হবে। বিয়ে ঠিক হবার পর হবু বরকে কি কেউ এভাবে ল্যাং মারে। আমাকে নিচে পড়তে দেখে তার কি হাসি কি আর বলবো। নিচে পরে যে ব্যাথা পেলাম ওর হাসি দেখে কখন যে ব্যাথা ভুলে গেলাম নিজেই জানিনা। সেদিন তার হাসির প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম আমি। সে হাসতে হাসতে বলল আমাকে বিয়ে করলে প্রত্যেক দিন এরকম ল্যাং খেতে হবে আপনার রাজি আছেন তো । তারপর একের পর এক ক্যাসেটের মত কথা বলতে লাগল বলতে লাগলো একটা মেয়ে যে এত জলদি কথা বলতে পারে আমার জানা ছিল না। আমি তখন শুধু একটা হাসি দিয়ে ছিলাম হয়তো এই হাসির মধ্যে ও উত্তর খুঁজে নিয়েছিল।

__ এইজে আর কতক্ষণ নিচে।পড়ে থাকবেন এবার তো ওঠোন।। ছোঁয়ার কথাই বাস্তবে ফিরে আসলাম।
__ বাসর ঘরে জামাই কে সালাম না করে কেউ বুঝি এইভাবে ল্যাং মারবে ।
__ 100 বার মারবো হাজারবার মারবো। বলেছিলাম না আমাকে বিয়ে করলে ল্যাং খেতে হবে।

রাত বাজে একটা সেই কখন আমাকে রুমে বসাইয়া গেল সবাই আমার বুঝি ভয় লাগে না। এটা হচ্ছে আপনার শাস্তি এতক্ষন আমাকে একা এইখানে বসাইয়া রাখার জন্য। তারপর বউ আমাকে দাড়া করাইয়া সালাম করল। মাইরে এইটা কি রকম স্টাইল প্রথমে ল্যাং মারলো পড়ে সালাম করল। তারপর বউ আমার ব্যথা পাওয়া জায়গায় আবার নিজেই মালিশ করে দিল। তখনই বোঝাতে পারলাম রাগী মেয়েরা যতই রাগ দেখাক না কেন তারাই স্বামীকে বেশি ভালবাসতে পারে।

__ চলুন ছাদে যাই চাঁদ দেখবো।। আমি আর কথা বাড়ালাম না জানি। না করে লাভ হবে না যে ডেঞ্জেরাস মেয়ে কথার আগে মাইর দিবে। আপনারা যতটা বোকা মনে করছেন আমাকে আমি কিন্তু ততটা বোকা না আর এতটা চালাক ও না আসলে মেয়েদের সাথে কথা বলতে কি রকম জেন আমি একটা আন ইজি ফিল করি।

__ আকাশের চাঁদটা অনেক সুন্দর আজ তাই না
__হুম সুন্দর কিন্তু তোমার চাইতে বেশি না।
__ পাম দেয়া হচ্ছে তাইনা। লাভ নেই যতই পাম দেন আজ কিন্তু আপনাকে কাছে আসতে দিবো না।

নিস্তব্ধ রাত ভরা পূর্ণিমা হালকা বাতাসে ছোঁয়ার চুল গুলো ওরে আমার নাকে বাড়ি খাচ্ছে কেরকম জেনো এক্টা nesha-nesga কাজ করতেছে ঠিক ওই মুহূর্তে। তখন আমার ঠিক কি হলো নিজেই জানিনা। ছোয়াকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ওর চুলে নাক ডুরিয়ে দিলাম ‌। মেয়েরা কি জানে তাদের চুলের সুবাস ছেলেদের কতটা পছন্দ হয় তো মেয়েরা জানে না। ছোঁয়া কিছুটা কেঁপে উঠল। সে বলল।

__আমার আনরোমান্টিক বর টা হঠাৎ করে রোমান্টিক হয়ে গেল যে।
__ ভালোবাসি।
__ কখন থেকে।
__ তোমার লেং খাওয়ার পর তোমার মুখে হাসি দেখে।
__ তাই বুঝি।
__ হুম।। আসলে আমি এখন নিজের মধ্যে নেই কিরকম যেন একটা অনুভূতি কাজ করতেছে ওকে জড়িয়ে ধরার পর আসলে এই প্রথম কোন মেয়ের স্পর্শ এসেছি তো তাই।

__ শোনেন আমি ওইরকম মেয়ে না যে জানতে চাইব কয়টা প্রেম করেছেন বিয়ের আগে যা ইচ্ছে তাই করেছেন আমার কোনো যায় আসে না। কিন্তু এখন থেকে যদি কোন মেয়ের দিকে নজর দেন তাহলে আপনার চোখ তুলে ফেলবো আমি।চোখ দিয়ে ফুটবল খেলবো। শুধু আমাকে দেখ বেন শুধু আমাকে। বুঝতে পারছেন

__ হুম ঠিক আছে। আমি ওর কোলে শুয়ে আছি ও আমার মাথার় চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে। আর আমি মুগ্ধ হয়ে তাকে দেখছি।
__ কি দেখেন।
__ তোমাকে।
__ যা এমন করে বলতে হয় আমার বুঝি লজ্জা লাগে না।

তখনই খেয়াল করে দেখলাম আমাদের ছাদের কিছুটা দূরে আমাদের পাশের ছাদে। এক ভর ভাই তার বউকে জড়িয়ে ধরে কিস করতেছে। বউ আমার দিকে রাগী চোখে তাকালো।

__ পরে রোমান্স দেখার বোঝি অনেক শখ তাই না নিজের বউ সামনে আছে বউয়ের সাথে রোমান্স করতে পারেন না। আমার যে তখন কি হলো জানি না। কি রকমের নেশা নেশা কাজ করতেছে। আমি যতই ছোঁয়ার ঠোটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি ও ওর চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলতে লাগে। আমি তাকিয়ে দেখতে লাগলাম ওকে। লজ্জায় মুখ খানা একদম লাল টমেটোর মত হয়ে গেছে। মন চাই খেয়ে ফেলি কিন্তু চাইলে তো আর খেতে পারব না বউ আমার একটাই খেয়ে ফেললে পাব কোথায় আর ।

অনেকক্ষণ হয়ে গেল আমি কিছু করি নাই দেখে বউ আমার নিজেই তার ঠোঁটের সাথে আমার ঠোঁট দুটো মিলিয়ে দিল। এই প্রথম কারো ঠোঁটের স্বাদ পেলাম কি যে অনুভুতি যে প্রথম ঠোটের স্বাদ পেয়েছে সেই বলতে পারবে। কিছুক্ষন আমাদের দুজনের মধ্য কম্পিটিশন চলল কে কাকে কতটা কিস করতে পারে। আমি চেয়েও নিজেকে ঠিক রাখতে পারলাম না ওকে কোলে তুলে নিলাম। বউ আমার লজ্জায় আমার দিকে তাকাতে পারে না আমার বুকে মুখ লুকালো। আস্তে আস্তে ওকে নিয়ে রুমে আসতে লাগলাম বুকের ভিতর ধক ধক আওয়াজ এটা কি রকম যেন বেড়ে গেল। বউ আমার আমার বুকে কান পেতে আওয়াজটা শুনতে লাগলো। ওকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে শুধু এতোটুকু বলেছিলাম। তোমাকে নিয়ে এক সুখের । দেশে পারি যমাতে চাই। যাবে আমার সাথে সেই দেশে। সে বলল।

__বাসর রাত পুরো টা কি কথা বলে কাটিয়ে দিবে নাকি। বাসর কি দিনে করবে। গাধা কোথাকার। সব কথা কি মুখে বলতে হয় চোখ দেখে বোঝে নিতে পারোনা। জানো না মেয়েদের বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না। আমি আমার কথার উত্তর পেয়ে গেছিলাম। ওর কপালে একটা ভালবাসার পরশ একে দিলাম। সে আবেশে চোখ বন্ধ করে ফেলল। ওর হাতের আঙুলের ভাজে ভাজে আমার আংগুল দিয়ে আটকে ধরলাম। ছোঁয়ার ঠোঁট দুটো কাঁপছে। আমি ওর ঠোঁট জোড়া নিজের আয়ত্তে নিয়ে নিলাম। এক অন্যরকম আবেশে হারিয়ে গেলাম দুজনে। আমার পিঠের অনেক জায়গায় ছোঁয়া তার নখ দিয়ে আঁচড়ে দিয়েছিল। কিন্তু ওর ভালোবাসার কাছে এই সামান্য আচর এর আগাত যেন কিছুই মনে হল না। পরের দিন সকালে শুয়ে আছি ছোঁয়া আমার বুকের উপর মাথা রেখে শুয়ে আছে সে বললো।

__ আচ্ছা রাইহান আমাদের ছেলে বেবি হবে না মেয়ে বেবি হবে। আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকালাম।
__ একদিনের ভিতর ছেলে মেয়ে নিয়ে টানাটানি তুমি নিজেই তো একটা বাচ্চা আর একটা বাচ্চা তোমার পেটে জায়গা নেবে কি করে।। আমি হাসি আটকে রাখতে পারলাম না হো হো করে হেসে দিলাম। সে রেগে গিয়ে কোমরে শাড়ি পেচিয়ে বলল।

__ তোর সাথে ভালো ব্যবহার করি বলে ভালো লাগে না তাই না।।। ছোঁয়া আমার বুকে কিল ঘুষি দিতে লাগল। এক পর্যায়ে হাতের সামনে যা পেলো তাই আমার ওপরে ছুরতে লাগলো ভালিশ যা আছে। এতকিছুর ফাঁকে কখন যে মোবাইলে এ সে আমার কপালে লেগে কিছুটা কেটে গেল।

আমি ব্যাথা পেয়ে আহ করে উঠলাম। তখন বুঝেছিলাম সে আমাকে কতটা ভালোবাসে। ব্যথা পেয়েছি আমি কিন্তু চোখ দিয়ে পানি এসেছে ওর। মনে হচ্ছে আমার চাইতে ও বেশি ব্যাথা পেয়েছে। সাথে সাথে ও আমার পা জড়িয়ে ধরে বলল মাফ করে দেন আমাকে আর কোনদিন আমি আপনার সাথে এরকম দুষ্টুমি করবো না। এতোটুকু বিষয় নিয়ে যে ও কেঁদে দিবে আমি ভাবতে পারিনি। পাগলি টাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললাম দূর পাগলি এরকম দুষ্টুমি না করলে ভালো লাগে না। দুষ্টুমি ছাড়া ভালোবাসা জমে না। লবন ছাড়া তরকারির মত লাগে। ওর চোখের পানিতে আমার বুক ভেসে গিয়েছিল। দিনগুলো ভালই কাটতে। লাগলো আমাদের তবে অনেক শাসন এর উপরে রাখে ও আমাকে আমার ভালই লাগে ‌। খারাপ লাগে না ওর শাসন। অফিস থেকে যখন বাসায় আসি বউ আমার ওর শাড়ির আঁচল দিয়ে আমার মুখের ঘাম টুকু মুছে দেই। অনেক কেয়ার করে পাগলিটা আমার।

সবচাইতে বেশি ভালো লাগে ওর বকা গুলো আমার।রেগে গেলে যে কতো নামে ডাকে আমাকে হিসেব নেই।জেমন ধরেন। শিয়াল, বিলাই ,কুমির, হাতি ,গন্ডার ,বান্দর ,হনুমান ট,িকটিকি , শয়তান, ভূত,হরগুশ, আরো কত নামে যে ডাকে আমার কাছে ভালই লাগে আমি ইচ্ছে করে ওকে রাগাই ওর বকা গুলো শোনার জন্য। দের বছর পর। আমি অফিসে কাজ করতেছি বাসা় থেকে ছোট বোন ফোন করে বলল যে ছোঁয়া নাকি সিঁড়ি থেকে নামতে গিয়ে পড়ে যায় ওর দুদিন পরে ডেলিভারি টাইম ছিল ওকে নাকি হসপিটালে নিয়ে যাচ্ছে ওরা। আমার দুনিয়াটা যেন উল্টে যায় মাথার উপর তখন আসমান ভেঙে পড়ে তাড়াহুড়া করে কাজ রেখে হসপিটালে যায় ওর কাছে যেতেই ও আমার হাত ধরে বলে

_অনেক অনেক ভালোবাসি তোমাকে আমি।জানো তোমাকে অনেক জালাই তাই না অনেক বকা দেই তোমাকে আমি ভালোবাসি তো তাই এই রকম করি। জানো আমার বকা গুলো শুনার পর তুমি যখন হাসো তখন আমার রাগ সব পানি হয়ে যায়।এত ভালো লাগে বলার মত না কিন্তু আমি ইচ্ছে করে তোমাকে আরো বকা দেই। তোমার মুখের বাকা হাসি টা দেখার জন্য।আমার যদি কিছু হয়ে যায় তুমি কিন্তু বিয়ে করতে পারবে না কারণ তোমার বাগ আমি কাউকে দিতে পারবো না এই জীবনে তুমি আমার মরার পরও তুমি আমারই থাকবে যদি বিয়ে করো তাহলে পেত্নী হয়ে এসে তোমার ঘাড় মটকাবো তারপরে আমার সাথে নিয়ে যাব ওর কথা শুনে আমি আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারলাম না হাউ মাউ করে কেঁদে দিলাম। ছোট বোন বাড়ির সবাই আমাকে সান্ত্বনা দিতে লাগলো। ওইদিকে ডাক্তার তারা দিতে লাগল যে ওকে তাড়াতাড়ি অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু ছোঁয়া আমার হাত ছাড়তে নারাজ আমি ওর হাত ছাড়লেই নাকি ও অনেক দূরে চলে যাবে।

__ এই টিকটিকি, বান্দর, হনুমান ,কাঁদছ কেন। জানো না তুমি কাঁদলে আমার কষ্ট হয়। একবার তোমার বুকে একটু জড়িয়ে নেবে তোমার বুকে মাথা রাখতে অনেক ইচ্ছে করতেছে। আমি এক মুহূর্ত দেরি না করে ওর মাথাটা আমার বুকে চেপে ধরলাম।

__ একবার জান পাখি বলে ডাকবে। আমার না অনেক শুন্তে ইচ্ছে করছে।আর জদি শুনতে না পারি।
__ কিছু হবে না তোমার আমি কিছু হতে দিব না।

ছোঁয়া ব্যথায় জোরে চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারালো। কিন্তু আমার হাতটা শক্ত করে ধরে রাখলো। মনে হয় আমি ছেড়ে দিলে সে দূরে চলে যাবে ডাক্তাররা শত চেষ্টা করেও ছাড়াতে পারল না। অনেক কষ্টে আমার হাত ছাড়ালাম। ও সেনলেস হারানো আগে বারে বারে শুধু একটা কথাই বলেছিল আমি বাঁচতে চাই রায়হান তোমার সাথে বাকিটা জীবন কাটাতে চাই। এখন অপারেশন থিয়েটার এর বাহিরে বসে আছি এতক্ষণ শুধু আমি কল্পনা করেছিলাম ওকে নিয়ে। কিছুক্ষন পর ডাক্তার এ সে বলল । কনগ্রাচুলেশন আপনার ছেলে মেয়ে একসাথে হয়েছে। আপনি দুই সন্তানের বাবা হয়েছেন ‌। কিন্তু?

__আমি দৌড়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে বললাম আমার স্ত্রী কেমন আছে। ও ঠিক আছে তো। কিন্তু কি বলেন ও ঠিক আছে তো।
__সরি।

ডাক্তারের কথাটা শুনে আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেল আমি আর দাড়িয়ে থাকতে পারলাম না ঠাস করে নিচে পড়ে গেলাম। ছোট বোন আমাকে কোনো রকমে দাঁড় করালো আমি এক দৌড়ে কেবিনের ভিতরে চলে গেলাম গিয়ে দেখি । ছোঁয়ার মুখ টা সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছে।পাশেই বাচ্চা দুটো কান্না করছে। আমি আর সামনে এগিয়ে যেতে পারছি না। অনেক কষ্ট হচ্ছে আমার। বুকের ভেতর চিন চিন বেথা করছে।কাপা কাপা হাতে। ছোঁয়ার মুখ থেকে কাপড় টা সরালাম। আমি কাপড় সরাতেই। ছোঁয়া আমাকে চোখ টিপ মারলো। ছোঁয়া বেঁচে আছে।দেখে আমি জেন আমরা জীবন ফিরে পেলাম। আমি বুঝতে পারলাম ও ডাক্তার কে বলিয়ে মঝা করেছে আমার সাথে। আমি সাথে সাথে ওর দুই গালে।ঠাস ঠাস করে চড় বসিয়ে দিলাম।চোখ থেকে দুই ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়লো। সাথে সাথে ওকে জড়িয়ে ধরলাম।

__এই পাগলি এই রকম অবস্থায় কেও মঝা করে আমি তো মরেই যেতাম তোর কিছু হলে কেন বুঝিস না অনেক ভালোবাসি তোকে। ছোঁয়া আমার মুখ চেপে ধরে বললো।

__একদম গলা টিপে মেরে ফেলবো এই রকম কথা আর বললে।তোমাকে অনেক ঝালাবো এতো তাড়াতাড়ি তোমার পিছু আমি ছাড়ছি না।কি ভেবে ছিলে আমি মরলে আরেকটি বিয়ে করবে।তা আমি হতে দিব না।

__অনেক ভালোবাসি তোকে।
__ আমি মনে হয় কম বাসি।

আপনাদের রোমান্স করা কি শেষ হয়েছে। আজকাল যে মানুষ বাসা বাড়ি ছেড়ে হসপিটালে রোমান্স করতে চলে আসে আমার জানা ছিল না পিছন থেকে ছোট বোনের কথা শুনে ছোঁয়া কিছুটা লজ্জা পেয়ে আমাকে ছেড়ে দিলো। কিন্তু আমি ছাড়লাম না।

__ এই ছাড়ো। লজ্জা শরমের মাথা খেয়েছো বুঝি।
__ একটা কিস দাও ছেড়ে দিব। ছোঁয়া আমার দিকে চোখ পাকিয়ে তাকালো।
__মানুষ জন দেখছে তো।
__দেখোক তাতে কি আমি আমার বউ কে জরিয়ে ধরে আছি অন্য কাওকে তো না।

১ বছর পর। মেয়ে আমাকে ছাড়া কিছুই বোঝে না।আর ছেলে তার মাকে ছাড়া কিছুই বোঝে না।।ভুলেও যদি মেয়েকে কুলে নিয়েছে আমার সামনে। তাহলে মনে করেন।নতোন বউ এর মতো কান্না শুরু করে দেই। মেয়ে।মনে হচ্ছে।সে তার বাবার বাড়ি ছেড়ে স্বামীর বাড়ি যাচ্ছে ‌ রাতে শুয়ে আছি।

__ জানো ছোঁয়া আমার কপাল টা খারাপ।
__ কেন তোমার কপাল খারাপ হলো কি করে।
__বেভেছিলাম মেয়ে হলে। আরেকটি ছেলে তোমাকে গিফট করবো। কিন্তু তোমার ছেলে তো। আমার আদর টুকো নিয়ে গেল।
__তাই এখন আদর করতে বুঝি কেও মানা করেছে আপনাকে।
__তাই।
__হুম। মুখে বলব কেন আপনি বুঝতে পারেন না। আমি ছোঁয়ার নাবিতে হাত রাখতেই ছোয়া বিছানার চাদর টেনে দরলো। বাকিটা ইতিহাস।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত