ছোট্ট বেলার বিয়ে

ছোট্ট বেলার বিয়ে

-আপনি কি বুঝতে পারছেন আমার কথা ?
আমি অন্য কিছু ভাবছিলাম । নিশির কথা শুনে আবার ওর দিকে ফিরে তাকালাম ! চুপচাপ শান্ত মুখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।
আমার এখনও ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে আসলেই সামনে বসা মেয়েটি আমার ছোট্ট বেলার পরিচিত সেই নিশি । এর সাথে কত খেলা করেছি মারামারি করেছি কত ! সেই ছোট্ট মেয়েটি আজকে এক সুদর্শনা তরুনী হয়ে আমার সামনে বসে আছে !
আগে সম্ভবত আমাকে ও তুই কিংবা তুমি করে বলতো আজকে বলছে তুমি করে ! আসলেই সময় বড় অদ্ভুদ একটা জিনিস । কত দিন ওর সাথে দেখা নেই । তুই বলাটা সহজে আসার কথা না ।
আমি বললাম
-হ্যা !
-কোন আপত্তি নেই তো ?
-নাহ ! আপত্তি কেন থাকবে ?
যদিও আমার কেন জানি নিশি এটা চাচ্ছে না । অন্তত ওর মুখের ভাব টা দেখে মনে হল ও যেন চাইছিলো আমি ব্যাপার টা আরেক টু ভেবে দেখি । যদিও এতো কিছু ভাবাভাবির কিছু নেই । কিন্তু আমার নিজেরও কেন জানি মনে হচ্ছিল যেন ব্যাপার টা না হলেই মনে হয় ভাল ছিল । আমার সামনে আমার সেই ছোট্ট বেলার বউ বসে আছে এটা ভাবতেই মনের ভেতরে কেমন যেন একটা অনুভুতি হচ্ছিলো !
আমি আবার বললাম
-আসলে তুমি যা বলছো তা তো ঠিকই ! আমাদের এখন সেই সব মনে রাখলে চলে নাকি !
-তা তো ঠিকই !
নিশি আমাকে আপনি করে বললেও আমি কেন জানি ওকে তুমি করেই বলে ফেললাম ! খানিকটা অবশ্য ভয় ছিল ও আবার কিছু মনে করে কি না কে জানে ! একে তো সুন্দরী তার উপর কানাডা থাকে সেখানে পড়ালেখা করেছে ! এমন মেয়েদের আত্মসম্মান বোধ অনেক থাকে । হুট হাট করে কেউ আপনি না বলে তুমি করে বললে চোখ কঠিন করে বলল
কি ব্যাপার আপনি আমাকে তুমি করে কেন বলছেন ?
কিন্তু ওর চেহারা দেখে তেমন কিছুই মনে হল না ! কে জানে ছোট্ট বেলার পরিচিত বলেই মনে হয় ও কিছু বলল না !
নিশি একটু সময় চুপ করে থেকে বলল
-তাহলে কাগজ পত্র রেডি করে ফেলি ?
আমি বললাম
-এসেবের কি দরকার আছে ? ছোট্ট বেলায় আমাদের আব্বারা কি ছেলে মানুষী করেছে সেটার জন্য আইনী প্রকিয়ার ভেতরে যাওয়ার কোন দরকার নেই ! আমি যতদুর জানি তখনও কোন আইনি প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাওয়া হয় নি !
-তা অবশ্য ঠিক । কিন্তু আমার কাছে ব্যাপার লিগ্যাল ওয়েতে নিস্পত্তি না হলে শান্তি আসবে না !
গত কয়েকটা দিনে নিশিকে নিয়ে বেশ ভেবেছি আমি । বিশেষ করে ওর ফোন টা আসার পর থেকেই । কেমন কাপা কাপা কন্ঠে যখন ফোনের ওপাশ থেকে বলল
-হ্যালো, নাগিম মাহমুদ বলছেন ?
-জি ! বলছি !
-আমি আরিসা আহমেদ ! ডাক নাম নিশি !
নিশি নাম টা শুনতেই স্মৃতির পাতায় কারো মুখ যেন একটু ভেসে উঠেই চলে গেল আবার । ৫/৬ বছরের একটা মেয়ের মুখ আসতে না আসতে আবার মিলিয়ে গেল । আর এল ভাসা ভাসা কিছু কথা !
আমি বললাম
-জি বলুন !
-আপনার ডাক নাম সম্ভবত অপু !
-জি ! আমি মনে হয় আপনাকে চিনতে পারছি !
-আপনার সাথে আমার দেখা হওয়া দরকার ।
-আচ্ছা !
-সম্ভব ?
-হ্যা ! কোথায় দেখা করবেন বলেন ?
বাসায় এসে খাবার টেবিলে নিশির কথা বলতেই দেখলাম বাবা মা দুজনেই কেমন গম্ভীর হয়ে উঠলেন ! বাবা তো বলেই উঠলো যে দেখা করার কোন দরকার নেই ! আমি কোন মানে বুঝলাম না !
আমার যতদুর মনে পরে এক সময় নিশিরা আমাদের আসেপাশেই থাকতো ! নিত্য দিনের খেলার সঙ্গি ছিল সে আমার । আমাদের পরিবারের ভেতরেও খুব ভাল সম্পর্ক ছিল । তারপর কিছু একটা হল । নিশি কিংবা ওর বাবা আমাদের বাসায় আসা বন্ধ হয়ে গেল । আমাদেরও ওদের বাসায় যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল । কিন্তু কি সেই কারন আজও আমি জানি নি । অবশ্য খুব একটা জানতে চাই ও নি তখন ছোট ছিলাম বেশ । নিশির কথা ভুলে যেতে খুব বেশি দিন সময় লাগে নি !
রাতের বেলা মা আমার ঘরে এসে হাজির হলেন হাতে একটা ছবির এলবাম নিয়ে ! আমাকে দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন
-এই তোর আর নিশির কিছু ছবি আছে এখানে ! তোর বাবা আগেই সব নস্ট করে ফেলতে বলেছিলেন । আমি কটা লুকিয়ে রেখেছিলাম !
-মানে কি ? নষ্ট করে ফেলতে কেন বলবেন ? কি হয়েছিল ?
-লম্বা ইতিহাস ! সেটা জেনে তোর কাজ নেই । আমি গেলাম । তোর বাাব ঘুম থেকে জেগে আমাকে না দেখলে রাগ করবে ! মা আর দাড়ালো না !
আমি এলবাম উল্টে পাল্টে দেখতে লাগলাম ! পুরোনো কিছু কিছু কথা যেন আমার মনে পড়তে লাগলো !
কিন্তু যে কথাটা আমার মনে পড়ে নি সেটা নিশির কাছ থেকে শুনে আমি যেন আকাশ থেকে পরলাম । নিশির দেখার করার প্রধান কারনও সেইটাই ! আমার নিজের কাছেই বিশ্বাস হচ্ছিলো না ! আসলেই কি ব্যাপার টা হয়েছিল এমন করে !
আর কিছু বলছে না দেখে আমি নিশিকে বললাম
-তাহলে তাই হোক ! তোমার যা ইচ্ছে ! কবে আবার আসতে হবে ?
-যতদ্রুত সম্ভব ! আমি আসলে কেবল এই কাজের জন্যই দেশে এসেছি !
-ও আঙ্কেল আন্টি কেউ আসে নি !
এই কথাটা জানতে চাইতেই দেখলাম নিশির মুখ টা কেমন মলিন হয়েগেল ! নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুটা সময় ! আমার তখনই মনে হল উনারা সম্ভবত আর বেঁচে নেই । তা না হলে নিশির এমন আচরন করার কোন কারন নেই !
আমি বললাম
-আই এম সরি ! তাহলে আপনি কিভাবে জানলেন ?
উত্তর দিতে হবে না দেখে নিশি যেন কিছুটা প্রসন্ন হল । অপ্রিয় কথা বলতে অনেকের ই ভাল লাগে না । নিশি বলল
-আম্মুর একটা ডায়েরি পড়ে জেনেছি ! জেনে এতো অবাক হয়েছিলাম ! আমার আপনার ব্যাপারে অনেক কিছুই মনে আছে কিন্তু এটার কিছুই মনে নেই ! আশ্চর্য !
-আমারও মনেই নেই ! তখন এসবের কিছু বুঝতাম নাকি !
-তা ঠিক !
আমার মনে সেই কখন থেকে একটা কথা বারবার ঘুর পাক খাচ্ছিল ! কিন্তু জিজ্ঞেস করতে কেমন যেন সংকোচ হচ্ছিল । শেষে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম !
-ইয়ে মানে ওখানে কাউকে পছন্দের নেই ?
-না ! তেমন কেউ নেই ! আসলে বাবা মা মারা যাওয়ার পরে ওখানে আমি হোমে বড় হয়েছি । নিজের জীবিকার চিন্তায় অস্থির থাকতাম তো তাই এসব আর চিন্তা করি নি কিছু ! আসে নি !
-ও !
আর কি বলবো কিছুই খুজে পেলাম না ! দুজনেই খানিকটা সময় চুপ করে রইলাম ! একটা সময় ওঠার সময় হল । নিশি বলল ও এখানে একটা হোটেলে উঠেছে । দেশে কিংবা বিদেশে ওর কোন আত্মীয় নেই যে সেখানে উঠবে !
নিশি কথাটা বলে কিছু টা সময় চুপ করে রইলো । কি বলবে আর যেন খুজে পাচ্ছে না ! আমি ওকে দেখতে লাগলাম ! আসলেই নিশি অনেক বেশি সুন্দরী হয়ে উঠেছে । সেই ছোট বেলাতেই ও অবশ্য বেশ কিউট ছিল । চেহারা টা একটু চাইনিজ ভাব ছিল তবে সেটাই যেন ওকে আরও বেশি সুন্দরী লাগছো । আমরা আমাদের বাসার উঠানে , বাড়ির পেছনে পুকুর পাড়ে সব জায়গায় খেলা করতাম । ঘরঘর খেলায় নিশি সব সময় আমার বউ হত, কি চমৎকারই না দিন ছিল আমাদের !
বাবা মায়ের কথা মনে আসতেই ওর মনটা একটু যেন খারাপই হয়ে গিয়েছিল ! আমি বলল
-আচ্ছা যদিও কাজ গুলো শেষ করতে এখন তো তুমি আমার বউ নাকি ?
নিশি কিছু টা সময় আমার দিকে তাকিয়ে থেকে তারপর বলল
-হিসেব মত তো তাই ই !
-ভাবতেই কেমন লাগছে । কয়েক ঘন্টা আগেও আমি ব্যাচেলর ছিলাম আর এখন জানতে পারলাম আমি আসলে সেই কবে বিবাহিত ! হাহাহা !
নিশিও হাসলো আমার সাথে ! আমি বললাম
-চল আর মনে হয় সুযোগ নাও পেতে পারি, তোমাকে ফুসকা খাওয়াই ! নিজের বউকে নিয়ে ঘুরতে বেড়ানোর মজাই আলাদা !
নিশি কিছুটা সময় অসস্তি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো ! তবে ওর চেহারা দেখে মনে হল অসস্তি বোধকলেও ও বেশ খুশি হয়েছে ! তারপর ওকে বেশ খানিক্ষন ঘুরাঘুরি করলাম ! এসেবের কোন কারন ছিল না তবুও কিছু হিসেব ছাড়া কাজ করতে খারাপ লাগলো ! ওকে হোটেলে রেখে আসার সময় হঠাৎই আমার মনে হল যে নিশি আসলে যে কাজ টা করতে এসেছে সেটা না করলেই মনে হয় ভাল হত ! কেন এই চিন্তাটা মাথায় এল আমি ঠিক জানি না, তবে মনে এল !
বাসায় এসেই মায়ের মুখোমুখি হলাম । মা আমার চেহারা দেখেি বুঝে গেল যে আমার নিশরি সাথে দেখা হয়েছে ! কিন্তু আশে পাশে বাবা থাকায় তেমন কিছু জানতে চাইলেন না । এমন কি খাওয়ার সময়ও মা চুপ করে করে রইলো । বাবাকেও দেখলাম অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশ খানিকটা গম্ভীর ! এক প্রকার কোন কথা বার্তা ছাড়াই খাওয়া শেষ করলাম !
গত দিনের মত রাতের বেলা মা এসে নিশির কথা জিজ্ঞেস করতে লাগলেন । দেখতে কেমন হয়েছে । ফর্সা হয়েছে নাকি কালো হয়ে গেছে আরও কত রকম প্রশ্ন ! কিন্তু যখন ওর বাবা মার কথা বললাম মা কেন যেন একদম চুপ হয়ে গেল ! একটা কথাও বললেন না ! চুপচাপ ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন !
নিশ্চয়ই মায়ের সাথে তাদের অনেক ভাল সম্পর্ক ছিল । তাই তো খবর টা এতো শক দিলো তাকে । আমি চুপচাপ শুয়ে পড়লাম !
পরদিন টা কাটলো অফিসের বেশ ব্যস্ততায় কাটলো ! নিশির কথা মনে করার সময়ই পেলাম না ! ক্লান্ত হয়ে যখন বাসায় এসেছে তখনই একটা ধাক্কার মত খেলাম !
বাসায় এসে দেখি নিশি আমাদের ঘরের সোফার উপর বসে আছে মাথা নিচু করে । বাবা তাকে কি যেন বলেই চলেছে ! আমি প্রথমে বাবার কোন কথা ঠিক বুঝতে পারলাম না ! যে কয়েকটা শব্দ কানে এল তার কিছুই মাথায় ঘুকলো না !
আমি মায়ের কাছে গিয়ে বলল
-কি ব্যাপার নিশির কিভাবে এল ?
-তোর বাবা নিয়ে এসছে !
-মানে কি ? বাবাই না বলল যে দেখা না করতে তাহলে ?
-নিশির বাবার মারা যাওয়ার কথা শুনে আর স্থির থাকতে পারে নি ! কিভাবে কিভাবে জানি খোজ বের করেছে নিশি কোন হোটেলে আছে । জানিসই তো বাবা পারে না এমন কোন কাজনেই । সেই হোটেলে গিয়ে নিশিকে নিয়ে এসেছে । আমি তোকে কয়েকবার ফোন দিয়ে ছিলাম ! তুই ধরিস নি ।
-ব্যস্ত ছিলাম !
এই কথা বলতে বলতে বাবা ডাক দিলেন ! আমি তার সামনে গিয়ে দালাম !
-তোরা নাকি কি ডিভোর্সের কথা বলছিস ?
-হ্যা ! বাবা ! ও এই জন্যই এসেছে !
-তোদের তখন বিয়েটা কে দিয়েছিল ? আমি আর সাফায়েত মিলে দিয়েছিলাম !
-বাবা, তখন আমরা কত ছোট ছিলাম ! ঐ…..
-চুপ ! থাপড়ায়ে দাঁত খুলবো ! বেশি বুঝিস তুই ?
আমি কোন কথা না বলে চুপ করে গেলাম । দেখলাম নিশিও কোন কথা না বলে চুপ করে রইলো !
আব্বা বললেন
-সাফায়েতের বেশি ইচ্ছে ছিল তোকে ওর জামাই বানাবে ! ও আজ নেই তাই বলে কি ওর ইচ্ছার কোন দাম নেই !
-কিন্তু কোন কিন্তু না ! তোদের বিয়ের কাবিন আছে আমার কাছে ! প্রমান নেই কে বলল ! কোন কথা শুনতে চাই না !
তারপর নিশির দিকে তাকিয়ে বলল
-শুনো আজ থেকে তুমি এখানে থাকবে ! এটা তোমার বাসা আজকে থেকে । তোমার বাবা মায়ের পর আমি তোমার অভিভাবক !
নিশি কোন কথা না বলে কেবল কিছু সময় চুপ করে বাবার চেহারার দিকে তাকিয়ে রইলো । আমিও কম অবাক হই নি ।
বাবা ঘর থেকে বাইরে যাওয়ার পর মা নিশিকে জড়িয়ে ধরে আদর করতে লাগলো !
-মিলির মেয়েটা কত বড় হয়ে গেছে । তুমি কি জানো মিলি আর আমি কত ভাল বন্ধু ছিলাম ?
নিশির চেহারায় কেমন যেন একটু আনন্দের আভা দেখতে পাচ্ছিলাম । কেন জানি মনে হল এতো দিন পর কারো আদর পেয়ে নিশি নিজেও একটু আবেগে সিক্ত হয়ে পরেছে ।
-আমার আসলে সেব কথা কিছু মনে নেই তবে মায়ের ডায়রী আপনার কথা অনেক শুনেছি !
-ও খুব কষ্ট পেয়েছিল তোমার বাবা আর অপুর বাবার ঝগড়া নিয়ে ! আসলে আমিও কম কষ্ট পাই নি ওর কাছ থেকে দুরে থাকাতে । তোমরা চলে যাওয়ার পরেও আমাদের যোগাযোগ হত ! তবে খুব গোপনে ! তোমার বাবারা যে কি শুরু করেছিল । তবে তোমরা বাইরে চলে যাওয়ার পর আর যোগাযোগ রাখাটা সম্ভব হয় নি । তখনও আর এখন কার মত যোগাযোগ ব্যবস্থা এমন ছিল না !
তারপর আরও পুরানো দিনের আরও কত কথা বলতে বলতে চোখ মুছলো !
তারপর ঘটনা খুব দ্রুত ঘটতে লাগলো । রাতের বেলা বাবা কোথা থেকে যেন আবার একটা কাজি নিয়ে ডেকে নিয়ে এল । আবারও আমাদের বিয়ে হল । বাবা বললেন যেন আমাদের মনে কোন রকম অস্বস্তি না থাকে । রাতের বেলা নিশি যখন লাল শাড়ি পরে আমার ঘরে এল আমি তখনও কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না !
নিশিকে হঠাৎ দেখলাম ও যেন ঠিক মানিয়ে নিয়েছে । আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আমি এটা এক্সপেক্ট করি নি ।
-আমিও না ! তবে…..
-তবে…?
-আসলে জোড়া সেই উপর থেকে লেখা থাকে । তবে তুমি যখন প্রথম বার যখন আমাকে বললে না আমার তখন কেন জানি মনে হচ্ছিলো কাজ টা না করলেই মনে হয় ভাল হত !
-তাই ?
-হুম ! পুরানো দিন গুলোর কথা বেশ মনে পড়ছিল । তোমার মনে পরছিল । তোমার মনে আছে আমাদের পাশের বাসায় রিমন রিমু নামের আরেক টা মেয়ে ছিল । বর বউ খেলার সময় তাকে তুমি কোন দিন আমার বউ হতে দিতে না !
নিশি হেসে ফেলল !
-মনে আছে !
ঐ দিন রাতের বেলা বলতে গেলে আমরা কথা বলেই কাটিয়ে দিলাম ! ঠিক আগের মত যখন আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা একসাথে খেলা করে কাটিয়ে দিতাম ! হঠাৎ করেই পুরানো কিছু খুজে পেয়ে আবার যেন আমার নতুন একটা জীবন শুরু হয়ে গেল !

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত