আগামীকাল কলেজে রসায়ন পরীক্ষা । প্রিটেস্ট পরীক্ষা চলছে । খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ছি । এসময় বন্ধু হাসানের কল আসলো।
– তনয় দোস্ত, আমি কালকেই মায়াশীকে সব বলে দিব ।
– তোর কি মাথা খারাপ?
– আমি আর পারছিনা । আমি মায়াশীকে প্রচন্ড ভালবাসি ।
– সেটাতো জানি । প্রিটেস্ট পরীক্ষা চলছে । এখন বলা কি ঠিক হবে?
– ঠিক বেঠিক বুঝিনা । এটাই আমার ফাইনাল ডিসিশন ।
এটুকু বলেই হাসান কলটা হুট করে কেটে দিল ।
মেয়েটির নাম মায়াশী । আমরা কলেজের একই সেকশনে পড়ি । আমি আর হাসান স্কুল লাইফের বন্ধু । তারপর একই কলেজে আমরা চান্স পেলাম ।
কলেজের ওরিয়েন্টেশনে মেয়েটিকে যখন হাসান প্রথম দেখেছিল সেইদিনই নাকি ভাল লেগেছিল । একই সেকশনে পড়ার সুবাদে আমাদের সাথে বন্ধুত্বটাও আস্তে আস্তে হয়ে গেল ।
কিন্তু হাসান মেয়েটির প্রেমে পড়ে গেছে । একদম সিরিয়াস প্রেম । কিন্তু মায়াশীকে সে বলতে পারত না । আমাকেই বলত,
– দোস্ত ওকে তো ভালবেসে ফেলেছি ।
– হেহে । বান্ধবীকে এখন ভাবি ডাকব?
– দোস্ত সিরিয়াস ।
– ওকে সরাসরি ভালবাসার কথা বলে দে ।
অথচ সে বলতে পারছেনা । হঠাত্ ওর মাথায় কি ভুত চাপল কে জানে! দেখা যাক কালকে কি হয় ।
***
পরীক্ষা শেষে হাসান আর মায়াশী একসাথে হাঁটছে । মায়াশী বলল,
– আজকের প্রশ্ন কিন্তু ফাটাফাটি ছিল । তোর কয়টা অবজেকটিভ হয়েছে রে?
– শিওর না । তোর কয়টা হয়েছে?
– হবে ৩০টার উপর ।
পরীক্ষার রুমের গল্প করতে লাগল মায়াশী । হাসান তাকিয়ে আছে ছিপছিপে গড়নের মায়াশীর দিকে । লম্বা চুল, মায়াবী চোখ, টোল পড়া হাসি, সবকিছুই হাসানের ভাল লাগে । টোল পড়া হাসির দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকে হাসান । কোথায় যেন হারিয়ে যেতে ইচ্ছা করে তার ।
– মায়াশী, তোকে কিছু কথা বলব ।
– হুম বল ।
– তোকে ভালবাসি । তুই কি বাসিস?
মায়াশী থমকে দাঁড়ায় । বলে কি হাসান ! হাসান আবার বলতে শুরু করে,
– সমস্যা নেই । তুই সময় নিতে পারিস । আমরা অবশ্য ম্যাচিউর হয়নি এখনো । তবে সত্যি তোকে ভালবাসি ।
– না দোস্ত, আমার পক্ষে প্রেম ভালবাসা সম্ভব না । তুই আমার ভাল বন্ধু । বন্ধুই থাকবি।
***
কলেজ ক্যান্টিনে বসে বসে সমুচা খাচ্ছি । এসময় আমার সামনে এসে বসল হাসান । আমি সমুচা খেতে খেতে বললাম,
– কিরে হাসান, মায়াশীর সাথে কথা হয়েছে ?
– হু ।
– কি বললো?
– সে আমাকে ভালবাসে না । বন্ধুই ভাবে ।
– যাক বাঁচলাম । মায়াশীকে অন্তত ভাবি ডাকা লাগবে না ।
– ধ্যাত সবসময় ফাজলামি! ভাল লাগেনা এসব ।
গটগট করতে করতে চেয়ার থেকে উঠে চলে গেল হাসান । বুঝলাম ছেলেটা আসলেই কষ্ট পেয়েছে । কিছুক্ষণ পর মায়াশীকে ক্যান্টিনে আসতে দেখলাম । ক্যান্টিনে ঢুকে আমার সামনের চেয়ারে বসল ।
– দোস্ত পরীক্ষা কেমন দিলি?
– ঐ তোর কি পরীক্ষা ছাড়া আর কোন কথা নাই? আমি ফাঁকিবাজ স্টুডেন্ট । আমার আবার পরীক্ষা !
– হিহিহি । তুই খুব চঞ্চল ।
– হুম । এখন চায়ের অর্ডার দে । মাথা ধরেছে খুব ।
মায়াশী চায়ের অর্ডার দিল । তারপর বকবক শুরু করে দিল ।
– জানিস আজকে কি হয়েছে ?
– কি হয়েছে?
– হাসান প্রপোজ করেছে আমাকে
– তাই নাকি! ভাল তো ।
– কিসের ভাল? আমি স্রেফ না করে দিয়েছি ।
– কেন?
– ধুর এসব প্রেম ভালবাসা ভাল লাগে না ।
– তুই তো এখনো ছোট থেকে গেলি । বড় হবি কবে?
– মানে?
– না মানে ইয়ে চা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে । তাড়াতাড়ি শেষ কর!
***
এভাবেই দিন কেটে যেতে থাকে । হাসানের মাঝে অনেক চেন্জ এসছে । আগের মত আচরণ থাকলেও কেমন যেন বিষন্নতা দেখা যায় তার মাঝে । আগে আমরা পিছনে বসতাম, এখন সে সামনের বেঞ্চে বসে । আর মায়াশীকে এড়িয়ে চলে ।
আমি হাসানকে বললাম,
– মায়াশী মাইয়াটা ভাল না । তুই ওকে ভুলে যা ।
– ভুলার চেষ্টা করছি ।
– মায়াশীর চেয়ে আরো ভাল মেয়ে পাবি ।
– ওর জায়গায় অন্য কাউকে কল্পনা করা সম্ভব না ।
– ধ্যাত তোকে বোঝানো সম্ভব না ।
***
একদিন ফেসবুকে মায়াশী আমাকে নক দিল ।
– এই শোন, হাসান আমার সাথে আগের মত কথা বলেনা । কেমন জানি রাগী রাগী ভাব !
– কেন?
– বুঝতেসি না ।
– তুই বুঝবি ক্যান? তুই তো কচি খুকি ।
– দ্যাখ আমাকে খোটা দিস না কথায় কথায় । ওর কি হয়েছে বলনা?
– রোগে আক্রান্ত
– কি বলিস? ওর কিসের রোগ?
– প্রেমরোগ
– মানে ?
– যেদিন বড় হবি সেদিন বুঝবি ।
***
একসময় আমরা কলেজ লাইফ পার করে ভার্সিটিতে উঠলাম । ভাগ্যক্রমে এবারও আমি আর হাসান একই ভার্সিটিতে চান্স পেলাম । তবে মায়াশী অন্য ভার্সিটিতে চান্স পেয়েছে । সে কালই চলে যাবে এই শহর থেকে । ভালই হয়েছে । আজকে বিকেলে অবশ্য শেষ দেখা হচ্ছে ।
বিকেলে পার্কে বসে আছি আমরা । একসময় মায়াশী আসলো । সাজুগুজু করে এসছে মেয়েটা ।
– কেমন আছিস তোরা?
– তুই চলে যাবি দেখে খুব আনন্দে আছি?
– আবার ফাজলামি? আমি কিন্তু কেঁদে দেব ।
মেয়েটাকে দেখে মনে হল সত্যি ভ্যা ভ্যা করে দিবে । আমি তাড়াতাড়ি বললাম,
– আরে না না । খুব কষ্টে আছি ।
– তোদেরকে খুব মিস করব রে!
– ব্যাপার না । মোবাইলে কথা হবে তো ।
– হাসান, তুই কিছু বলবি না ।
– আমি আর কি বলব? ওখানে ভাল থাকিস ।
– তোর হাতে কি?
– ওহ এটা বই । সমরেশ মজুমদারের । তোর তো সমরেশের বই খুব পছন্দ । তাই কিনে আনলাম ।
– থ্যাংক ইউ । তুই কত ভাল আর তনয়টা একদম দুষ্টু ফাজিল । আমার জন্য কিছু আনে নি ।
– কে বলেছে আনিনি?
– কি এনছিস?
– তুই বাচ্চা মানুষ তাই তোর জন্য ললিপপ । এই নে . . . পকেট থেকে একটা ললিপপ বের করে দিলাম । এটা দেখে হাসান হেসে দিল ।
– তনয়, তুই আসলেই খারাপ । তাও তো ললিপপ এনেছিস । তাই তোকেও থ্যাংকু ।
বিকেল বেলাটা ভালই কাটল । অনেক গল্প হল । চলে যাওয়ার সময় মেয়েটা কেঁদেই দিল ।
***
ভার্সিটির থার্ড ইয়ারে আমি একজনের প্রেমে পড়ে গেলাম । আমার বোন ইভানা ক্লাস সেভেনে উঠেছে । আম্মা ওর জন্য একটা নতুন টিউটর রাখলেন । নাম লুবনা । ভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে । প্রথম দেখার পর থেকে এক ধরণের ভাল লাগা শুরু করল । বুঝতে পারলাম প্রেমে পড়েছি ।
একদিন ছোট বোনকে নিজের রুমে ডেকে বললাম,
– বইন, ভাল আছিস?
– কি ব্যাপার ভাইয়া কিছু লাগবে?
– না মানে ইয়ে তোর সাথে দেখা সাক্ষাত হয়না । তা তোর পড়াশোনা কেমন চলছে?
– এইতো ভালই ।
– তোর ঐ আপুর থেকে তো আমি ভাল পড়াতে পারতাম!
– কচু পড়াতা! আপু কত সুন্দর করে বুঝিয়ে দেয়!
– তাই নাকি? তোর আপু দেখতেও কিন্তু সুন্দরী ।
– ও আচ্ছা আচ্ছা! এই ব্যাপার । কি লাগবে বল? মোবাইল নম্বর?
– হুম । আম্মাকে বলিস না ।
– বলব না । আগে আমাকে খুশি করে দাও ।
আমার ছোট বোনটাকে কেমনে খুশি করি? মানিব্যাগ থেকে ১১ টাকা বের করে দিলাম ।
– ১১টাকা কেন?
– তুই ১১ ডিজিটের নাম্বার বলবি তাই ১১টাকা দিলাম ।
– এতই সোজা? আরো একশ টাকা বাহির কর নাহলে আম্মাকে ডাক দিলাম । আম্মা. .
– থাম থাম দিতাসি ।
অতঃপর ১১১ টাকা দিয়ে লুবনার ১১ ডিজিটের নাম্বার পেলাম । তারপর লুবনাকে কল দিলাম ।
– হ্যালো লুবনা বলছেন?
– জি । আপনি কে?
– আমি অচেনা এক যুবক ।
– মানে কি? আমি অপরিচিত কারও সাথে কথা বলিনা ।
– আমরা অপরিচিত নাতো । আপনি আমাকে দেখেছেন । এখন কথাও হচ্ছে ।
– নামটা জানতে পারি?
– তনয়
– তনয়? এ নামে কাউকে চিনি নাতো ।
– চিনবেন চিনবেন ।
– এখন আমি রাখছি । কাজ আছে ।
এই ছিল আমাদের প্রথম আলাপ ।
কিছুদিন পরের কথা । লুবনা ছোট বোনকে পড়াচ্ছে । আজ সে হালকা সবুজ রঙের জামা পড়ে এসছে । আমি টুকি দিয়ে একবার দেখে আসলাম । তারপর মোবাইলে মেসেজ দিলাম, “তোমাকে আজ খুব সুন্দর লাগছে । সবুজ রঙের জামাতে ভালই মানিয়েছে ।”
রাতে লুবনা আমাকে কল দেয় ।
– আচ্ছা আপনি কে বলুন তো? আপনি আমাকে কোথায় দেখেছেন?
– আপনার ফেসবুক আইডির নাম বলেন ।
– কেন?
– আমি আপনাকে রিকুয়েস্ট দিচ্ছি । আমার ছবি দেখে চিনে যাবেন আমি কে!
লুবনা আমাকে আইডি দিল । আমি তাকে ফ্রেন্ড রিকু দিলাম । রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করেই আমাকে আবার কল দিল ।
– ও আপনি ইভানার বড় ভাই?
– হুম ।
এইতো এভাবেই শুরু । সারাদিন মোবাইলে কথা ফেসবুকে চ্যাট চলত । মাঝে মাঝে ঘুরতামও । কেটে গেল ছয় মাস । তারপর তাকে জানালাম ভালবাসার কথা ।
– লুবনা একটা কথা বলতাম !
– কি কথা ?
– ভালবাসি ।
লুবনা মনে হয় লজ্জা পেল । আমার দিকে তাকাতে পারছে না । চোখ নামিয়ে বলল,
– দেরি হয়ে যাচ্ছে । আমি এখন বাসায় যাব ।
– কিছু একটা বলে যাও ।
– বলব কিছু একটা । অপেক্ষা করো ।
লুবনা চলে গেল । সেদিন রাতেই কল করে বলে দিল কিছু একটা ।
“ভালবাসি” ! শব্দটা বলেই কল কেটে দিল । আমি স্মিত হাসলাম ।
***
হাসানের অবস্থা আগের মতই আছে । হালায় মায়াশী ছাড়া কিছুই বুঝেই না । ভার্সিটির কোন মেয়েকেই পাত্তা দেয় না । অন্যদিকে মায়াশীর সাথে সে ঝগড়া করে বসে আছে । কেউই কারো সাথে মোবাইলে বা ফেসবুকে কথা বলে না ।
মাঝে মাঝেই মায়াশী আমাকে কল দিয়ে হাসানের কথা বলে !
– জানিস, হাসান আমার সাথেই কথা বলে না । বন্ধুত্ব সে বুঝে না ।
– তাই নাকি ?
– হ্যাঁ । কল দিলে কল ধরে না, ফেসবুকে মেসেজ দিলে রিপ্লাই দেয় না, একবারও খোঁজও নেয় না ।
– কারণ সে তোকে ভালবাসে ।
– উহু ভালবাসে না । সবকিছু ভুয়া ।
– তুই এখনো পিচ্চি আছিস । তাড়াতাড়ি বড় হ । নাহলে দেরি হয়ে যাবে ।
***
আরো কেটে গেল দুই বছর । ভার্সিটির ফাইনাল ইয়ারে আমরা । মায়াশী কিছুদিন ধরে আমার কাছে ঘ্যানঘ্যান করছে । তার মা বাবা নাকি মায়াশীর বিয়ের ব্যাপারে কথা বলছে ।
– দোস্ত বাসায় আমার বিয়ের কথাবার্তা চলছে ।
– তাই নাকি? ছেলে কে? দাওয়াত দিবি তো?
– ফাজলামি রাখ । আমি বিয়ে টিয়ে করতে পারব না ।
– কেন?
– জানি না । মন চাইছে না ।
– হেহে । মন কাকে দিয়েছিস রে?
– উফফ আবার ফাজলামি? আমি রাখলাম ।
পরদিন সকালে আবার কল দেয় মায়াশী । কল ধরেই শুনতে পেলাম মায়াশীর কান্নার শব্দ ।
– কিরে কাঁদিস ক্যান?
– বাসায় জানিয়ে দিয়েছি আমি এখন বিয়ে করতে পারব না । কারণ আমি একজনকে ভালবাসি ।
– কাকে?
– হাসানকে ।
– কি বলছিস এগুলা?
– দোস্ত আমি আর পিচ্চি, কচি খুকি না । আমি এখন বড় হয়েছি ।
– চলে আয় দোস্ত । তাড়াতাড়ি আয় ।
এরপর হাসানকে কল দিয়ে বললাম,
– আজ রাতে আমার বাসায় চলে আয় ।
– কেন?
– এমনি আড্ডা দিব ।
***
রাত এগারটা । আমি আর হাসান ছাদে গল্প করছি । মায়াশী আমার রুমে । হাসান এখনো জানে না মায়াশী এসেছে । আজ ৫ বছর পর তাদের দেখা হচ্ছে ।
– দোস্ত তুই একটু দাঁড়া । আমি পানি খেয়ে আসছি ।
– আচ্ছা ।
পানি খাওয়ার নাম করে আমি নিচে নেমে গেলাম । তারপর মায়াশীকে ছাদে পাঠিয়ে দিলাম ।
***
হাসান রেলিংয়ের কাছে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখছে । তার পাশে এসে দাঁড়ালো মায়াশী । হাসান তাকে দেখে চমকে গেল । বলল,
– তুই এখানে ?
– কেন আমি এখানে থাকতে পারিনা ?
হাসান বুঝতে পারল তনয় এখানে কেন ডেকেছে । মায়াশী আসবে সেজন্য । মায়াশী সেই আগের মতই আছে । হাসান চুপ করে আছে ।
– হাসান, তুই কিন্তু আগের মতই আছিস ! তবে একটু মোটাসোটা লাগছে! হিহিহি ।
– (চুপ)
– তুই যে কেন আমাকে এড়িয়ে চলিস আমি বুঝতে পারি নি আগে । এখন বুঝেছি । আমাকে এড়িয়ে চলে ভুলে থাকার চেষ্টা করেছিস । তোর এসব কাজ দেখে সত্যি খুব রাগ লাগত । একসময় তোকে মিস করতে শুরু করলাম । তনয় ঠিকই বলেছিল, আমি তখন কচি খুকি ছিলাম । কিন্তু আমি এখন বড় হয়েছি । যেদিন আম্মু বিয়ের কথা বলল তখন আমার মাথা এলোমেলো হয়ে গেল । অনেক ভেবেচিন্তে দেখলাম আমি আসলে একজনকে ভালবাসি । কাকে জানিস?
– (হাসান চুপ)
– তোকে ভালবাসি ।
কিছুক্ষণ নীরবতা । কেউ কোন কথা বলছে না । নীরবতা ভেঙে মায়াশী বলল,
– কিরে চুপ থাকবি?
হাসান আড় চোখে দেখল মায়াশী কাঁদছে । চোখের পানিগুলো টপটপ করে রেলিংয়ের উপর পড়ছে । মায়াশী পিছন ফিরে চলে যাচ্ছিল । হাসান তার হাত ধরে নিজের কাছে টেনে নিল । চোখের সামনে থেকে চুলগুলি সরিয়ে দিয়ে হাসান মায়াশীর কান্না মুছে দিতে দিতে বলল,
– আরে পাগলী আমিতো আগেই বলেছি ভালবাসি । তুই নাহলে অনেক দেরি করে বললি । তাতে কি? আমি তবুও খুশি ।
মায়াশী হাসানের গালে আলতো করে একটা চুম্বন দেয় । তারপর হাসানের বুকে মাথা রাখে । চাঁদের আলোয় দুজন দুজনকে জড়িয়ে রেখেছে । শুধু দুজন ।