<<এই রিশাত তুমি আমার কাজিনদের দিকে তাকিয়ে আছো কেনো হু??
এই বিয়ে বাড়িতে এসেও আমাকে সাজতে দিচ্ছেনা।
যদি উনার সুন্দরী ললোনাদেকে একটু কম দেখা হয়।
–আরে কি বলছো এসব আমার পুতুলের মা।
আমি তো সেই আড়াই বছর ছয় মাস পনেরো দিন চার ঘন্টা আগেই তোমাতে হারিয়ে গেছি।
আজ তুমি আমাকে এভাবে বলতে পারলে???(রিশাত মুখ গোমড়া করে বসে আছে)
<<এখন উল্টো আমাকে রাগ দেখানো হচ্ছে? হু
আমি বুঝিনা বুড়ো বউ কে এখন আর ভালোলাগেনা তাই তো সাজতে বারন করছে।
আবার অন্য ললনাতে চোখ ভুলাচ্ছে।
–এই রুকু এই সব কি বলছো তুমি!!!
আমার এতো বছরের নিশ্বার্থ ভালোবাসার এই প্রতিদান দিলে আজ??
তুমি আমায় কখনো বুজতে চেষ্টা করোনি।
এই পিচ্চি গুলারে দেখছি লাল নীল কি সব মুখে দিয়ে মুখ গুলারে কি রকম পেত্নীর মতো করে রাখছে।
আর মনে মনে ভাবছি এরা এতো মেকআপ করার পরও আমর বাবুর মা থেকে সুন্দরী হতে পারলো না রহস্য কি?
রহস্য বের না করতে তোমার বকা শুরু হয়ে গেছে।
<<এই আপনি কি কইলেন আমি শুধু বকাবকি করি? হু
এখন তো আমাকে ভালোলাগবেনা লাল নীল পরি পেত্নী দেখছেন।
লাগবেনা আমার বকা শুনা গেলাম কিন্তু।
–এই রুকু সোনা তুমি আমাকে আপনি বলছো কেনো?
<<তাহলে কি তুই বলবো??(অভিমানী মুখে)
–বলতে পারো আপনি শুনার কষ্ট থেকে তুই শুনা ভালো(গাল দুটো ফুলিয়ে)
<<এই বুইড়া মোটা বেডা আন্নে জানেন না আন্নেরে গাল ফুলিয়ে রাখলে বুইড়া লাগে।
–হ হ আমি তো এখন বুইড়া হয়ে গেছি।
তাই তো এখন রং চং লাগিয়ে বের হতেন।
যেনো কোন জোয়ান পোলা পছন্দ করে তাকিয়ে থাকে।
<< এই তুমি কি বললে??
তুমি জানোনা বিয়ের আগে ছেলেদের দিকে ঠিক করে তাকাইনি কথা বলা তো দূরের কথা।
আর এখন তুমি থাকতে আমি এসব করবো??
–তাহলে সাজতে চাও কেনো??
<<তুমি দেখবে বলে(নিচের দিকে তাকিয়ে নরম স্বরে)
–আমার সাথে তো অনেকেই দেখবে ঐ যে তোমার ছেলে কাজিনগুলা আছে না।
বিয়ের আগে যারা সুজোগ খুজছিলো প্রেম করার।
<< আরে দুর ওদের সময় আছে এখন আমার দিকে তাকানোর।
–এই আমি দেখি না বুঝি।
কিভাবে হেবলার মতো তাকিয়ে থাকে কয়েক জন।
আমার হিংসা হয় খুব।
<<হিংসুটে ছেলে একটা(নাক টেনে)
–এই আমি এখন ছেলে না একটা পরীর বাবা আর একটা পাগলির বাধ্য বর।
তুমিও তো হিংসুটে মেয়ে।
<<হ্যাঁ আমি হিংসুটে খুব হিংসুটে শুধু মাত্র পরীর বাবা জন্য .
–এই সময়ে একটু কাছে চাই,আসবে কি?
<<ঢং দেখাতে আসছে এখন (মুখ বাঁকা করে হাসতে হাসতে চলে গেলাম)
অফুরন্ত ভালোবাসা চলুক না আজীবন এমন দুষ্টমিষ্টি ঝগড়ার সাথে।
গল্পের বিষয়:
ভালবাসা