বারো বছর পর আবারো নার্সিংহোমে অপারেশন থিয়েটারের সামনে, কাছের মানুষের অপেক্ষায় মধুরা। চোখে মুখে চিন্তার রেখা স্পষ্ট । এইরকম একটা ঘটনা স্বপ্নেও কল্পনা করেনি ও। ছকে বাঁধা রুটিন মধুরার।
ঠিক ভোর ছ’টায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে, এক কাপ কফি বানিয়ে নিয়ে গিয়ে বসে ব্যালকনিতে।গল্পের বই পড়তে পড়তে সকালের আমেজটা অনুভব করে। ঘন্টাখানেক পরেই এসে যায় ঝুমা, বয়স এই আঠাশ কি ঊনত্রিশ হবে। মধুরার বাড়ির সাথে সাথে আরো দু-তিন বাড়ি কাজ করে। ঝুমা ঘরের কাজ সারতে থাকাকালীন মধুরা ওর সাথে একটু সুখ দুঃখের গল্প করে নেয়। তারপর ন’টায় স্নান খাওয়া সেরে অফিস, আর সাড়ে পাঁচটায় বাড়ি। বাড়ি ফিরে এই চার দেওয়ালে একা একা বন্দি থাকতে ভালো লাগে না ওর।
কতই বা বয়স মধুরার, বত্রিশটা বসন্ত পার করে এসেছে সে। এই বয়সে কতজনই তো সবে সবে নিজের জীবন শুরু করে। অথচ মধুরার জীবন যেন থমকে গেছে এই চার দেওয়ালে। তাই বছর খানেক হলো, ঝুমা সহ ওর বয়সের কাছাকাছি আরো কিছু মেয়েকে নিয়ে বসে যায় তাদের স্বনির্ভর করতে। কোনো দিন নানা হাতের কাজ, কোনো দিন পড়াশুনা আবার কোনোদিন কারোর জীবনের ঘটনা শুনেই কেটে যায় সন্ধ্যেটা। তারপর খাওয়া দাওয়া করে একটা ডায়েরিতে লিখে রাখে ওর সারাদিনের ঘটনা গুলো। আজ আট বছর ধরে এই যান্ত্রিক জীবন যাপন করে চলেছে সে। না কোনো কাছের মানুষ, না কোনো আত্মীয়। নিজেকে সমস্ত কিছুর থেকে গুটিয়ে নিয়েছে। ঝুমা সহ বাকিদের প্রায়ই বলে – ” আমাকে এভাবে মায়ায় জড়াস না তোরা। যখনই যাকে ভালোবেসেছি সেই চলে গেছে আমায় ছেড়ে। আজকাল ভালোবাসতেও খুব ভয় করে জানিস। হয়ত দেখব তোরাও অনেক দূরে চলে গেলি আমায় ছেড়ে। এত বড় পৃথিবীতে তোরা ছাড়া আমার যে আর কেউ নেই। ”
আর পাঁচটা দিনের মতোই তো শুরু হয়েছিল আজকের দিনটাও। অফিস যাওয়ার পথে লোকের জটলা দেখে দাঁড়িয়ে যায় মধুরা। একটু এগিয়ে গিয়ে যে দৃশ্য দেখেছিল, তাতে অন্তত এক মিনিট চোখের পলক পড়েনি ওর। বছর বাষট্টির এক মহিলা আর এক যুবকের রক্তাক্ত দেহদুটো পড়ে আছে মাটিতে। তাদের চিনে নিতে খুব একটা দেরি হয়নি মধুরার। বারো বছর পর পরিস্থিতি ওকে আরেকবার দাঁড় করিয়েছে অতীতের মুখোমুখি। রক্ত, অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল এগুলো দেখলে যেন ওর মাথার শিরা উপশিরাগুলো যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যায়। মায়ের অ্যাক্সিডেন্ট যখন হয় তখন ওর বয়স আঠারো বছর।
যে মাকে ছাড়া একটা মুহূর্ত কাটত না মধুরার, ওর স্কুল থেকে ফিরতে দেরি হলেও মধুরাকে না খাইয়ে একটা দানা যে দাঁতে কাটত না সেই মা কয়েক মুহূর্তেই ওকে একা করে চলে গেছিল। তারপর চোখের সামনে একটু একটু করে দেখেছিল, মায়ের শোকে বাবাকে শেষ হয়ে যেতে। সেভাবে কোনো আত্মীয়কেই পাশে পায়নি ও সেদিন। ভেতরে ভেতরে শেষ হয়ে গেছিল। পাশে এসে সেদিন হাত ধরেছিল অভীক, আশ্বাস দিয়ে বলেছিল- ” তুই একা নোস মধুরা, আমি আছি তো। আমার মা তো তোরও মা, তোকে কত ভালোবাসে। দেখবি তোকে বেশিদিন একা একা থাকতে হবে না। আমি একটা চাকরি পেয়েই তোকে আমার কাছে নিয়ে চলে আসব। ”
নতুন করে হাসতে শিখেছিল মধুরা। অভীকের ভালোবাসায় স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল নতুন জীবনের। কিন্তু অভীক কথা রাখেনি, একা করে দিয়েছিল মধুরাকে। তারপর সবকিছু থেকে তো সরে এসেছিল মধুরা নিজের ইচ্ছায়। তাহলে আজ কেন এত কষ্ট হচ্ছে ওর? কেন বারবার নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে? কী করে সমস্তটা ভুলে যেতে পারল ও?
সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে মধুরা। ” নাও, একটু গলা ভিজিয়ে নাও। এখনো হয়ত অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।” বলে চায়ের কাপটা বাড়িয়ে দেয় অফিস কলিগ সুব্রত। অফিস যাওয়ার সময় জটলার মধ্যে মধুরাকে দেখতে পেয়ে দাঁড়িয়ে যায় সে। তারপর আহতদের নার্সিংহোমে নিয়ে আসতে মধুরাকে সাহায্য করে। ”তুমি এখনো বাড়ি যাওনি? অনেকটা সময় তো থাকলে।পুলিশি ঝামেলাও মিটে গেছে। বাকিটা আমি ঠিক সামলে নিতাম।” চায়ের কাপটা হাতে নিতে নিতে বলে মধুরা।
” জানি, একাই তো সামলাচ্ছ সব। আমি চাইলেও তো সেই দায়িত্ব ভাগ করে নিতে পারিনা। কারণ তুমি আমায় সে অধিকার দাওনি।” মধুরার পাশে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে বলে সুব্রত। খানিকটা বিব্রত হয়েই মধুরা বলে, ” অভীককে ভোলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি নতুন করে সবটা শুরু করতে পারব না সুব্রত । আমি তোমাকে সে কথা ক্লিয়ারলি জানিয়েছি। আর এই সময় এই বিষয়ে কথা বলতে ভালো লাগছেনা আমার। ”
” আচ্ছা ওনাদের তো ভর্তি করা হয়ে গেছে, তোমার দায়িত্ব তুমি পালন করেছ। তাহলে শুধু শুধু এখানে বসে থাকা কেন? ” বলল সুব্রত।
চিন্তামগ্ন মুখে মধুরা বলে, ” আমি এভাবে চলে যেতে পারব না সুব্রত । এমনিতেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না আমি। কী করে এত বড় ভুলটা করলাম আমি? যতক্ষণ না অপারেশন শেষ হয়, বা ওনাদের খবর পাচ্ছি আমি যাবো না। একটিবার কথা না বলে আমি কোথাও যাবো না। সব ভুল আমায় শুধরে নিতেই হবে। ” খানিকটা অবাক হয়ে সুব্রত বলে , ” তুমি কি ওদের পার্সোনালি চেনো?তুমি আমায় যতটুকু বলেছ তাতে তোমার সাথে কোনো আত্মীয়রই তেমন যোগাযোগ নেই। বাই এনি চান্স উনি কি তোমার কোনো আত্মীয়?”
” ষাটোর্ধ মহিলাটি অভীকের মা সুব্রত। আর অপারেশন থিয়েটারে যে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে সে” কথা শেষ করতে পারেনা মধুরা। উঠে দাঁড়ায় সুব্রত, বলে- ” মানে উনি অভীক? সত্যি মধুরা তোমার দ্বারাই সম্ভব। যতদূর জানি অভীক তার কথা রাখেনি। তোমার হাত ছেড়ে চলে গেছিল। আজ তারজন্য আর তার মায়ের জন্য তুমি যা করলে সেটা অনেক। তারপরেও তাদের জন্য এত চিন্তা তোমার? কিসের জন্য নিজেকে বারবার দায়ী করছিলে তুমি? অভীক তোমায় ছেড়ে গেছে সেটা কি তোমার দোষ? নয় তো! তাহলে কিসের দোটানা তোমার? কেন আজো অভীকের জন্য বসে আছো? কেন নতুন করে সবটা শুরু করতে পারছ না? ”
আর নিজেকে সামলাতে পারেনা মধুরা, শান্ত অথচ দৃঢ় কন্ঠে বলে , ” প্রথমত অভীক আমায় ছেড়ে গেছে ঠিকই সুব্রত, কিন্তু আমায় ঠকায় নি। আমার অভীক কথা রাখতে পারে নি, কিন্তু কথার খেলাপও করে নি। আর দ্বিতীয়ত, সেন্সলেস অবস্থায় যিনি রয়েছেন তিনি শুধু অভীকের মা নন, আমারও মামনি হন। আর অপারেশন থিয়েটারে যে মৃত্যুর সাথে লড়ছে সে অভীক নয়, আমার তুতুল।
আজ থেকে ঠিক বারো বছর আগে, এই রকমই এক নার্সিংহোমে অপারেশন থিয়েটারের সামনে বসে দু রাত কাটিয়েছি সুব্রত। দু চোখের পাতা এক করতে পারিনি। ওই অপারেশন থিয়েটারে সেদিন আমার অভীক ছিল। আমার বাবা মা চলে যাওয়ার পর, আমার একমাত্র সম্বল, ভালোবাসা। আমাদের বিয়ের মাত্র এক সপ্তাহ বাকি তখন। সেই দু দিন মৃত্যুর সাথে অনবরত লড়াই করে গেছে অভীক। কিন্তু না, জিততে পারেনি। হেরে গেছিল, কথা রাখতে পারেনি ও। বহুদিন লেগেছিল আমার উঠে দাঁড়াতে। নিজেকে নানা ভাবে ব্যস্ত রেখেছি আমি, কিন্তু সেদিনের পর থেকে কত রাতে আমি ভয়ে কেঁপে উঠেছি।
চোখের সামনে দৃশ্যগুলো ক্রমাগত আমায় ভয় দেখিয়েছে। কেঁদেছি, চিৎকার করেছি কিন্তু কেউ আসেনি আমার কাছে। কেউ এসে বলেনি ‘ আমি আছি তো। খুব তাড়াতাড়ি তোকে নিয়ে যাবো আমার কাছে। আমি পারব না সুব্রত , জীবনে আর কোনোদিন আমি ওর জায়গা কাউকে দিতে পারব না। যে স্বপ্ন আমি ওকে নিয়ে দেখেছিলাম সেটার বাস্তবায়িত রূপ অন্য কেউ দিতে পারবে না। ” কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সুব্রত। বলার মত কোন ভাষা আজ আর ওর নেই। খুব ধীরে ধীরে বলে ওঠে, ” তুতুল কে মধুরা? ”
পুনরায় একটু চঞ্চল হয়ে ওঠে মধুরা, বলে- ” আমি কী করে এতটা স্বার্থপর হলাম সুব্রত? অভীককে হারিয়ে আমি কী করে সব ভুলে গেলাম! যে মামনি আমায় নিজের সন্তানের থেকে কোনদিন কম ভালোবাসেনি তার খোঁজ নিলাম না একবারও? আমি যখনই অসুস্থ হয়েছি ছুটে এসেছে মামনি আমার কাছে। আমার পরীক্ষার সময় আমায় নিজের কাছে রেখে দিয়েছিল। যখন যা খেতে ইচ্ছে হয়েছে একটা আবদারে সমস্তটা পেয়েছি। সেই মামনির খোঁজ নিলাম না একবারও। আর তুতুল? অভীকের ছোট ভাই। অথচ অভীকের থেকে অনেক বেশি নিজের ছিল আমার। ওর কিছু সমস্যা ছিল । ডাক্তার বলেছিল বয়স অনুযায়ী মানসিক বিকাশ হবে না ওর। কিন্তু সাবলীল ভাবে কথা বলতে পারত। কি সুন্দর কবিতা লিখত তুতুল। আমায় নিজের দিদির মত ভালোবাসত। কবিতা লিখলেই আমায় আর অভীককে শুনতেই হত। সেই ভাইটার খোঁজও নিলাম না আমি। এতটা স্বার্থপর । ”
মধুরার হাত দুটো ধরে সুব্রত বলে- ” চিন্তা করো না মধুরা। দেখবে ওনাদের কিছু হবে না। আর ওনারা সুস্থ হলে নিজের সব ভুল না হয় শুধরে নিও।” ওদের কথার মাঝখানেই আসেন ডাক্তারবাবু। মধুরাকে উদ্দেশ্য করে বলেন- ” অপারেশন সাকসেসফুল। হি ইজ টোটালি আউট অফ ডেঞ্জার। আর ভদ্র মহিলারও জ্ঞান ফিরেছে। মাথায় চোট লেগেছিল, তবে ডিপ ইনজুয়েরি নয়। কিছুক্ষণ পরেই আপনি দেখা করতে পারবেন। ”
মধুরাকে কিছুটা আশ্বস্ত হতে দেখে একটু হেসেই সুব্রত বলে, ” আমরা কেউই একা নই মধুরা। আমরা নিজেরাই নিজেদের একা করে ফেলি। প্রিয়জন তো আমাদের আশেপাশেই থাকে। শুধু আমরাই চিনতে দেরি করে ফেলি আবার কখনো ভুলে যাই। আমি তোমাকে ভালোবাসি, আগেও বাসতাম। তবে তোমার থেকে এই ভালোবাসার পরিপ্রেক্ষিতে আর কিছু পাওয়ার আশা রাখিনা। প্রেমিক, হাজবেন্ড সমস্ত কিছুর ঊর্ধে একটা সম্পর্ক হয় মধুরা, বন্ধুত্বের সম্পর্ক। যার কোনো শর্ত থাকে না। তুমি সবসময় এই বন্ধুকে পাশে পাবে। ”
কথাগুলো বলে চলে যায় সুব্রত। ওর চলে যাওয়ার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে মধুরা। কিছুক্ষণ পর অভীকের মায়ের কাছে যায় ও। প্রথমটা একটু অসুবিধা হলেও কয়েক মুহূর্তেই মধুরাকে চিনতে পারেন মিনতি দেবী। দু চোখ বেয়ে অশ্রু নামে তার। মধুরার হাতদুটো ধরে বলেন, ” অভীকের সাথে সাথে তুইও কি আমাদের ভুলে গেছিলি মা? একটাবারও দেখা করতে আসতে নেই বল? তুতুল কত কেঁদেছে ওর দাদার জন্য আর তোর জন্য। বারবার আমায় জিজ্ঞেস করত যে ‘মা দিদিয়া কবে আসবে? আমার কবিতা কবে শুনবে? ‘ প্রত্যেক বছর রাখি তে অপেক্ষা করত তোর জন্য। কিন্তু তুই আসিস নি।বাড়ি অবধি বদলে ফেলেছিলি। কোথায় আছিস কিছুই জানতে পারিনি। আমি জানি, তোর ওপর দিয়ে কম ঝড় যায়নি কিন্তু কেন এভাবে আমাদের পর করে দিলি?”
নিজেকে কোনমতে সামলে নিয়ে মধুরা বলে, ” ভয় পেয়েছিলাম মামনি। খুব ভয় পেয়েছিলাম। নিজেকে ভীষণ অপয়া মনে হত। বাবা, মা আর তারপর বিয়ের কয়েকদিন আগে অভীক। আমি বুঝতে পারছিলাম না যে কোন মুখে তোমাদের সামনে গিয়ে দাঁড়াব। আজ দেখো আবার নার্সিংহোমে তোমরা, আর অন্যদিকে সেই আমি। ” মধুরার মাথায় হাত বুলিয়ে মিনতি দেবী বলেন, ” অপয়া বলে কিছু হয় না রে, সবটাই পরিস্থিতি। সেদিন আমার অভীকও পরিস্থিতির শিকার ছিল আর আজ আমরাও তাই। শুনলাম তুতুলকে বেডে দিয়েছে। আমায় একটু ওর কাছে নিয়ে চল না রে। ”
ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে মিনতি দেবীকে তুতুলের কাছে নিয়ে যায় মধুরা। বারো বছর পর মধুরাকে কাছে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায় তুতুল। একরাশ অভিমান ঝড়ে পড়ে ওর গলায় -” আমায় ভুলে গেলে দিদিয়া? দাদাভাই কবেই চলে গেছে। তুমিও চলে গেলে? আমি আর কবিতা লিখি না জানো। প্রথম প্রথম লিখতাম, তোমায় শোনাব বলে সব লিখে রাখতাম কিন্তু যখন দেখলাম তুমি এলে না , আর লিখি নি। ” তুতুলের চোখের জলটা মুছিয়ে দিয়ে মধুরা বলে, ” তোর দিদিয়া ভুল করেছে। খুব অন্যায় করেছে। আর করবে না দেখিস। আমরা একসাথে থাকব। তুই আবার লিখবি, আমি শুনব। কখনো আর ছেড়ে যাবো না দেখিস।”
ডাক্তারের নির্দেশ মত মিনতি দেবী কে পুনরায় বেডে দিয়ে এসে বাইরেটায় বসে মধুরা। ফোনের গ্যালারি খুলে বের করে অভীকের ছবিটা। অভীকের অবর্তমানে যে দায়িত্ব মধুরার ছিল, সেটা এতদিন ও পালন করেনি। কিন্তু নিজের সব ভুল এবার ও শুধরে নেবে। সুব্রতর বলা কথাগুলো আরেকবার মনে পড়ে মধুরার , ” প্রিয়জন তো আমাদের আশেপাশেই থাকে। শুধু আমারাই চিনতে দেরি করে ফেলি আবার কখনো ভুলে যাই।”