সিয়াম একটু দেরি করে ভার্সিটি তে গিয়েছিল। ভার্সিটি তে গিয়েই ক্লাস করতে গেল কিন্তু তার স্থান হলো ক্যাম্পাসে। কারণ সিমায় ক্লাসে যেহেতু দেরি করে গিয়েছে তাই স্যার তাকে বের করে দিয়েছেন।
সিয়াম মন খারাপ করে ক্যাম্পাসে বসে আছে। কারণ সে কারো প্রিয় না। যেমন মা-বাবার প্রিয় না তেমনি কোনো স্যার এরও প্রিয় ছাত্র না। সিয়াম ক্যাম্পাসে বসে সিগারেট ধরাতে যাবে ঠিক তখনই সিয়াম দেখতে পায় একটা মেয়ে একটা ছেলে কে ঠাস করে চড় মারছে। চড় মারার কারণ হলো ছেলেটি ক্যাম্পাসে বসে সিগারেট খাইতে চেয়েছিলি। এই ভয়ে সিয়াম সিগারেট টা পকেটের মধ্যে রেখে মেয়েটির কাছে যায়। সিয়ামও মেয়েটির কাছে গিয়ে ঠাস করে ছেলেটি কে থাপ্পড় মারে। আর বলে…..
>> আপু ঠিক করছেন। এই এসব ছেলেদের শিক্ষা হবে না। কতবার বলছি ক্যাম্পাসে বসে সিগারেট খাবি না। কিন্তু কে শুনে কার কথা।
>> ভাইয়া তুমিও আমাকে মারলে আর নিজেও যে খাও সে কথা কে বলবে।
>> আরে আমি তো অল্প খাই। তোর মতো কি ক্যাম্পাসে বসে খাই নাকি। আবার কথা বলছ।
আপু আমি সিয়াম। আপনার নাম কি?
>> আমার নাম রুপা। আমি এই ভার্সিটি তে পড়ি। আপনাকে দেখলাম স্যার ক্লাস থেকে বের করে দিলেন।
>> নাতো একটু মায়া করলেন। একটু দেরি করে আসলাম। তাই ছুটি দিয়ে দিলেন সাথে সাথে। যেন আর কোনো দিন দেরি করে না যাই।
>> আবার কথা বলছেন। আপনার তো লজ্জা হওয়ার কথা। শুনেন আর যেন না দেখি ক্লাসে দেরি করে না আসেন। সব সময় ক্লাসে নিয়মিত আসবে।
>> আচ্ছা ঠিক আছে। এখন থেকে ক্লাসে নিয়মিত আসবো। আপনাকে দেখতে।
>> কিছু বলছেন?
>> নাতো। বলছি আপনি খুব সুন্দর।
>> ও এই কথা। এই কথা শুনতে শুনতে আমার আর ভালো লাগে না। আসলে সুন্দর কে মানুষ সুন্দর ওই বলবে। কি বলেন?
>> তা ঠিক আপনার কথা।
>> আচ্ছা এখন আমাকে বাসায় যেতে হবে।
আমি যাই। কাল আসবেন কিন্তু।
.
>> বন্ধু আমি কাল থেকে একটা মেয়ের প্রেমে পড়ে গেলাম। শুধু তাকে কল্পনা করি। বন্ধু কি করে বলব আমি তাকে ভালোবাসি।
(আসলে সিয়ামের বন্ধুর নাম হলো রাকিব। আর রাকিবের বোন হলো রুপা। কিন্তু সিয়াম তা জানে না।)
>> আরে বন্ধু মেয়েটিকে এতো সকাল সকাল বলবি না যে মেয়েটাকে ভালোবাসোস। এতে করে মেয়েটি কে হারিয়ে ফেলবি। একটু সময় নে। আর মেয়েটি কে কিছু তার পছন্দের গিপ্ট দিবি। এতে করে মেয়েটি তোর প্রতি খুশি হবো।
>> আচ্ছা বন্ধু তোকে অনেক ধন্যবাদ। এখন বাসায় যাই। মা-বাবা আবার বকাবকি করবে বাসায় দেরি করে গেলে।
.
>> কি সিয়াম ঠিক মতো করে ভার্সিটি তে যাস না কেন? আর এসব খেলাধুলার পুরষ্কার বাসার মধ্যে রাখবি না বলে দিলাম তবুও এসব কেন বাসার মধ্যে রাখছত। আমাদের কোনো কথা কি তোর কানে যায় না। দেখছত তোর ছোট ভাই কি কষ্ট করে লেখাপড়া করে। আর তুই কি করিস।
>> বাবা আমি এখন খাব। অনেক খিদা লাগছে। একটু শান্তি মনে খেতে দাও। বাবা আমি লেখাপড়া করব না। এসব আমার ভালো লাগে না। আমি তোমার ব্যবসা দেখাশুনা করব।
>> ওই লেখাপড়া না করে কি এতো বড় ব্যবসা দেখাশুনা করা যায়। তুই মানুষ হবি কবে।
>> আমি তো মানুষ ওই বাবা। কালি তোমার চোখে আমি অমানুষ।
>> সিয়ামের মা তোমার ছেলে কিন্তু দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আমি কিন্তু তা মানতে পারছি না।
>> এমন করতাছ কেন?
ছেলে তো বড় হয়েছে। এখন সব বুঝবে।
.
>> বন্ধু আজ মেয়েটি কে আমার মনে কথা বলে দিব। জানিস মেয়েটি না খুব ভালো। আমার সাথে খুব সুন্দর করে কথা বলে। যেন মেয়েটির মাঝে আমি হারিয়ে যাই।
>> শালা তোর মাঝে যে আসবে সে খুব শীঘ্রই মৃত্যুবরণ করব। তোকে আমি ওই চিনতে পারি নি আর কোনানের কোন মেয়ে এসে তোকে অল্প দিনেই চিনে ফেলবে।
কে সেই মেয়ে রে?
>> আরে শালা সে মেয়ে তো আজ আমার সাথে এখানে দেখা করতে আসবে। তার জন্য ওই তো তোকে আজ এখানে আসতে বলেছি।
>> তলে তলে এতো দূর। আর আমি কিছুই জানি না। আমাকে এর আগে কিছু বলিস নি কেন?
>> ওই বন্ধু মিথ্যা বলিস কেন? আমি তো সব কথা তোকে বলছি। আর এখন অস্বীকার করছ।
>> আচ্ছা বন্ধু সে কখন আসব?
>> আরে শালা ওই দেখ সে এসেছে। গাড়ি থেকে নেমে আমাদের দিকে আসছে।
.
রাকিব তো কিছুই বুঝতে পারল না। আরে এ তো তার বোন রুপা। রুপা তার ভাই কে দেখে ভয় পেয়ে গেল। রুপা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল। আর রাকিব ঠাস করে সিয়াম কে একটা থাপ্পড় দিয়ে তার বোন কে তার সাথে করে নিয়ে চলে গেল।
এরপর থেকে রুপা সিয়ামের সামনে আসলে সিয়াম তাকে এড়িয়ে চলে। রুপা অনেক কষ্ট পায়। একদিন রুপা সিয়ামের হাত ধরে বলে আপনি আমাকে এড়িয়ে চলছেন কেন?
>> কারণ আপনি আমার বন্ধুর বোন। আর আমি চাই না আমাদের বন্ধুত্ব আপনার কারণে নষ্ট হয়ে যাউক। এতে করে আমিও কষ্ট পাব আর সে তো বাঁচতে পারবে ওই না আমাকে ছাড়া । সে ছোট বেলা থেকে আমরা দু’জন বন্ধু।
>> আচ্ছা ভাইয়া কে রাজি করাতে পারলে তো আপনি আমাকে এড়িয়ে চলবেন না। আমাকে ভালোবাসবেন।
>> সে যদি আমাদের দু’জনের সম্পর্ক মানে তাইলে আমি আপনাকে ভালোবাসবো। আর যদি না মানে তাইলে আমি আপনার কাছ থেকে দূরে চলে যাব।
>> আচ্ছা।
.
>> ভাইয়া তুমি এতো টা নিষ্টুর হলে কিভাবে?
যাকে ছাড়া তুমি এক মুহূর্তও তাকতে পারতে না আর তাকে ছাড়া তুমি এখন দেখি খুব ভালো আছ। তুমি আমাদের সম্পর্ক টা যেহেতু মানছ না তাই সে আর আমার সাথে সম্পর্ক রাখতে চায় না। সে তোমার সাথে সম্পর্ক রাখতে চায়। ভাইয়া তুমি ওই তো জানো সিয়াম অনেক ভালো ছেলে। প্লিজ ভাইয়া সিয়াম কে তুমি ভুল বুঝ না।
>> নিশ্চুপ….।
>> ভাইয়া ঠিক আছে তুমি যেহেতু এই সম্পর্ক টা মানতে পারছ না। তাইলে আমরা দু’জন কে দু’জন ভুলে যাব। তবুও তোমাদের বন্ধুত্ব নষ্ট কর না।
>> এই দিকে আয়। তুই কি সিয়াম কে পাইছিলি?
>> আমি তার কাছে সব সময় যাই কিন্তু সে আমাকে এড়িয়ে চলে। তোমার জন্য। তুমি নাকি এই সম্পর্ক টা মানবে না।
>> তুই এখন যা আমি তার সাথে কথা বলব যেন তোকে এড়িয়ে না চলে।
>> সত্যি ভাইয়া।
>> তোর ভাইয়া তোকে কোনো দিন মিথ্যা বলছে। আর আজও বলবে না।
.
>> কি রে বিন্দাস। কি করিস? তুই নাকি এখন আমার বোন রুপাকে এড়িয়ে চলস। তোর তো সাহস কম না।
>> আরে এসব কি বলিস । এসব বাদ দে। এতো দিন আসিস না কেন?
>> শালা তুই আমার সাথে কি করছত। আমার বোনের সাথে প্রেম করস আর আমাকে বলস এতো দিন আমি আসি নি কেন? তুই যাতে প্রেমে সাফল্য হতে পারস আমি তোকে যুক্তি দিলাম। এখন দেখি আমার সর্বনাশ আমি নিজে নিজে ওই করলাম।
>> আরে তুই দুর্বল হয়ে যাসছিস কেন।
আমি আর রুপার সাথে দেখা করব না। খুশি তো এবার।
>> শালা হারামী আমার বোনের সাথে তুই একশো বার দেখা করবি। যদি আমার বোন কে কোনো কষ্ট দিছত তাইলে তোকে আমি মেরে ফেলব বলে দিলাম।
>> আচ্ছা বন্ধু তুই রাজি হইছত। তাইলে ঠিক আছে।
.
আবার শুরু হলো রুপা ও সিয়ামের প্রেম।
আজ রুপার জন্মদিন। সিয়াম অনেক কষ্ট করে রুপা ও সিয়ামের ফোটোর ফ্রেম বানালো। তাও আবার ভুঁড়াভুঁড়ি কালের ফোটো। অনেক মজার বিষয়। কিন্তু যখন সে রুপার কাছে যাবে ঠিক তখনই তার মা এসে বলে তার বাবার নাকি অনেক অসুখ। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সব কিছু ভুলে সিয়াম তার বাবা কে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে যাওয়ার কারণে সে রুপার সাথে যোগাযোগ করতে পারে নি। আর রুপা অনেক ফোন দিয়েছে। কিন্তু সিয়াম কে সে পায় নি। তাই অনেক রেগে আছে। কিন্তু এখানে সিয়ামের কিছু করার ছিল না। একসময় সিয়ামের বাবাকে ডাক্তার ছুটি দিয়ে দেয়। তার বাবাকে নিয়ে সে বাসায় চলে আসে।
আবার সকাল বেলা সিয়াম রুপার সাথে দেখা করতে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে সিয়াম দেখতে পায় রুপা রেগে বসে আছে। সিয়াম রুপা কে কেমন আছ বলতেই রুপা তাকে অনেক বকাবকি করে। রুপা সিয়াম কে বলে….
>> আপনি আপনার যোগ্যতা থেকে অনেক কিছু পেয়ে গিয়ে ছিলেন সেটা কি জানেন। আর আমার মূল তো আপনার কাছে কিছুই না।
>> রুপা বিশ্বাস করেন বাবা অনেক অসুস্থ ছিলেন। বাবা কে নিয়ে আমি হাসলাতালে গিয়েছিলাম। তাই আসতে পারি নি।
সরি।
>> কিসের সরি। আপনি আমার সাথে আর যোগাযোগ করবেন না। আপনার কাছে আমার যেহেতু কোনো মূল ওই নাই আমি আর আপনার সাথে কোনো যোগাযোগ রাখব না।
>> এই আপনার গিপ্ট। প্লিজ রাগ কর না।
.
কিন্তু রুপা গিপ্ট টা ফেলে দেয় আর ছোট লোক বলে গালি দেয়। পরে সিয়াম রাগের মাথায় রুপা কে একটা চড় মারে। রুপা কান্না করে বাসায় চলে যায়।
.
সিয়ামের বাবা সিয়ামের জন্য একটা মেয়ে বিয়ের জন্য ঠিক করে রেখেছেন। কিন্তু এই মেয়ের সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সিয়ামের ছোট ভাইয়ের। কিন্তু সিয়ামের ভাই লেখাপড়া শেষ করে মা-বাবা ও সিয়াম কে একা রেখে সে এখন বাসা ভাড়া করে তার ভালবাসার মানুষের সাথে বসবাস করে। আর তার বাবার পছন্দ করা মেয়ে কে সে সেদিন বিয়ে করবে না বলে দেয়। তারপর সিয়ামের বাবা এই মেয়ে কে সিয়ামের জন্য পছন্দ করে রেখে দেন। তারপর থেকে সিয়াম তার বাবার ব্যবসা পরিচালনা করে। মা-বাবাকে খুশি রাখতে সিয়াম এই বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায়। আর সিয়াম তো জানে রুপা এখন তাকে ঘৃণা করে।
কিন্তু রুপা এখনও তাকে ভালবাসে। সেইদিন রাগের মাথায় এসব করে ছিল। যখন রুপা শুনল সিয়াম বিয়ে করছে তখন সে সুইসাইড করে পরে তার মা-বাবা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়। সিয়াম খবর পেয়ে তাকে দেখতে আসে। কিন্তু রুপা তাকে দেখা মাত্রই রেগে যায়। সিয়াম রুপা কে বুঝানোর অনেক চেষ্টা করে কিন্তু রুপা তার কোনো কথাই শুনতে চায় না। রুপা সিয়াম কে দেখা মাত্র ওই বলে….
>> আমি মরে আছি কি বেঁচে আছি তা দেখতে আইছেন। তা দেখতে হবে না। আমি আপনার জন্য মরব না।
>> রুপা কেন পাগলামি করছেন। আমার সম্পূর্ণ কথা আপনি শুনেন। তারপর আপনি না হয় আমাকে দোষবেন।
>> আমি আপনার কোনো কথাই শুনতে চাই না। প্লিজ আমার সামনে থেকে চলে যান। নইলে আমি নিজে কে শেষ করে দিব।
>> রুপা প্লিজ এমন পাগলামি কর না।
>> আপনি যাবেন কিনা আগে সেটা বলেন।
.
সিয়াম রুপার এসব পাগলামি দেখে চলে যায়। কারণ সে যতক্ষণ এখানে থাকবে ততোক্ষণ রুপা রেগে গিয়ে কোনো কিছু করে ফেলবে। কারণ রুপা যখন রাগে তখন সব কিছু ভুলে যায়।
.
আজ সিয়ামের বিয়ে। তার বাবার পছন্দ করা মেয়ের সাথে। কিন্তু এই বিয়ে হবে না। কারণ এই মেয়েটি আরেক টি ছেলে কে ভালোবাসে। আর সিয়াম কে বিয়ে করতে পারবে না বলে দেয়। তাই সিয়ামও বিয়ে করতে আর মেয়েটিকে জোর করে নি। সিয়াম ছেলেটিকে খোঁজে মেয়েটির সাথে বিয়ে দিয়ে দিবে বলে ওয়াদা করে। অনেক খুঁজাখুঁজি করার পর সিয়াম ছেলেটিকে পায় তারপর মেয়েটির মা-বাবা কে বুঝিয়ে ছেলেটির সাথে মেয়েটির বিয়ে দিয়ে দেয়। সিয়াম প্রায় একা হয়ে যায়। সিয়ামের বাবাও অনেক খুশি হন। যে তার ছেলে এতো বড় একটা কাজ করছে। কে পারে অন্যের সুখের জন্য নিজের সুখ নামক জিনিস টা হারাতে। কিন্তু সিয়াম পারছে।
.
আর এদিকে রুপা সিয়ামের উপর রাগ করে অন্য একটি ছেলে কে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেছে। রুপার ভাই রুপা কে অনেক বুঝাতে চেষ্টা করল কিন্তু রুপা কিছুতেই বুঝতে যাচ্ছে না। রুপা এই ছেলে কে বিয়ে করবেই। বিয়ে প্রায় হয়ে যেতে ছিল কিন্তু রুপার চোখে প্রায় সিয়ামের সব দৃশ্য এসে পড়ে। সে কিছুতেই সিয়ামের চলাফিরা, হাসি,কান্নামাখা চোখ তার নিজের চোখ থেকে সরাতে পারছে না। সে কান্না করে বিয়ের আসর থেকে উঠে যায়। তার ভাই কে কাছে গিয়ে বলে সিয়াম কোথায়…..
>> সিয়াম কে তুই খুঁজিস কেন?
বিয়ের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে।
>> ভাইয়া আমি এই বিয়ে করব না। আমি কি বিয়ে দুই বার করব নাকি। আমি সিয়াম কে ভালোবাসি। সিয়াম কে আমি বিয়ে করব।
>> আমি জানি না সিয়াম কোথায় আছে।
তুই খুঁজে দেখ সিয়াম কোথায় আছে।
>> আমি জানি ভাইয়া সিয়াম কোথায় আছে। আমি চলে গেলাম।
.
রুপা সিয়ামের বাসার ছাদে গিয়ে দেখে সিয়াম দাঁড়িয়ে আছে। রুপা বলতে লাগলো….
>> আমার বিয়ে হলে আপনি খুশি হতেন। নিজে তো বিয়ে কর নি। তাইলে আমাকে বিয়ে না করার জন্য আটকালে না কেন?
>> কারণ আপনি তো অনেক রাগি। যদি রাগের মাথায় বিয়ে করে ফেলতেন তাই আপনাকে আর ডিস্টার্ব করি নি। আমার বিশ্বাস ছিল আপনি এক সময় বুঝবেন। আর আমার বিশ্বাস টা সত্যি হলো।
>> কিন্তু এখন যে কিছু করার নাই। আমি বিয়ে করে ফেলেছি। ভালো থেকো।
>> ও তাইলে এখানে কেন আইছেন?
>> হিহিহিহি। আপনাকে বিয়ে করতে।
>> হিহিহিহিহিহিহি।
>> আমাকে ছেড়ে যাবে নাতো কোনো দিন।
>> আমাকে আর কষ্ট দিবে নাতো।
………………………………..সমাপ্ত ………………………………