আমি আপনাকে নিয়ম করে ভালোবাসবো। সকাল, বিকেল, সন্ধ্যা তারার চকচকে আলোতে! ‘ কথাটা শুনেই ভ্রু-কু্ঁচকে তাকালাম। কি বলে এই মেয়েটা! নিয়ম করে আবার কিভাবে ভালোবাসে? আমি বললাম…
–নিয়ম করে বুঝি ভালোবাসা যায়?
 -হ্যাঁ যায়, অনেক যায়! এত্তগুলা যায়। কেন জানেননা? (মেয়েটি)
 –উম, নাহ জানিনা। কেউ বাসেনিতো তাই। তবে আপনি বোধহয় কাউকে নিয়ম করে ভালোবাসতেন তাইনা?
 -মানে! ঠিক বুঝলামনা।
 –বলছি আপনি বোধহয় কাউকে নিয়ম করে ভালোবাসতেন।
 -গাধা মার্কা কথাবার্তা বলেন কেন? (মেয়েটি)
 –আজব! তাহলে জানেন কিভাবে যে নিয়ম করে ভালাবাসা যায়?
 -ভালোবাসতে অভিজ্ঞতা লাগেনা। হুটহাট হয়ে যায়। আর নিয়ম করে বাসবো, একেকসময় একেকরকম করে বাসবো। (মেয়েটি)
 
–সেটা কেমন?
 -মেঘের মতন।
 –মেঘের মতন!?
 -হ্যাঁ মেঘের মতন। কখনো কালো আধার, কখনো সাদা ধবধবে কখনো বা হাওয়ায় ওড়ার মতন কখনো বা ছাপছাপ করে সারি হয়ে থাকার মতন। (মেয়েটি)
 
–সেই মেঘে কি বৃষ্টি হয়?
 -আপনি নাহয় ছাতা হয়ে রবেন। একসময় মেঘ চলে গেলে অপলক তাকিয়ে থাকবেন।
 –কেন?
 -নইলে মেঘযে আবার আসবে। জানেননা মেঘের রাগ বেশি?
 –আচ্ছা তাহলে ছুঁয়ে দিব।
 -কাকে শুনি?
 –মেঘকে, আচ্ছা ছুঁয়ে দিলে রাগ করবে?
 -উহু! লজ্জা পেয়ে উড়ে যাবে।
 –এমা উড়ে গেলেতো মেঘ হারিয়ে যাবে।
 
-হাদারাম! মেঘ কখনো হারায়? লুকিয়ে থাকবে। লজ্জায় কুঁকড়ে যাবে।
 –আমি মেঘের লজ্জা মাখা মুখে প্রতিচ্ছবি দেখতে চাই।
 -শুধু দেখবেন?
 –উহু, আলতো করে কাছে টানবো।
 -তারপর?
 –দু’হাতে গাল দুটো ছুঁয়ে দিব!
 -ইসসস! তারপর কি করবেন শুনি?
 
–একটু কাছাকাছি হবো।
 -কতটা?
 –স্কেল দিয়ে তো মাপা যাবেনা।
 -তাহলে?
 –অনুভুতি লাগবে, ঠিক ততটা যতটা দিয়ে নিজের অস্তিত্ব তাহারই মাঝে দেখতো পাওয়া যায়।
 -আচ্ছা কাছাকাছি হওয়ার পর কি হবে?
 –ভুল করে মেঘের কোঁমড়ে হাত রাখব।
 -কিইইইই?
 
–মা মানে ইচ্ছে করেই রাখব।
 -কেনো কেনো?
 –মেঘের তৃষ্ণা মেটাবো।
 -কিভাবে?
 –বৃষ্টি ঝড়িয়ে, সেই বৃষ্টিতে ভিজব আমি।
 -এই যাহ! লজ্জা করছে খুব। তাকাতে পারছিনা।
 –ভালোবাসি তো বলিনি।
 -থাক বলতে হবেনা, শুধু নিয়ম করে ভালোবাসতে দিও।
 –আচ্ছা, মহারানী।
 -ভালোবাসি মহারাজ আমার।
 
  
 Loading...
Loading...













