পারবো না আমি ছারতে তোকে

পারবো না আমি ছারতে তোকে

–ওই (আমি)
–কি হইছে(রিতু)
–আই লাভ ইউ(আমি)
–থাপ্পর চিনস
–কেন দিবি নাকি।
–হ্যা দিব
–দে তাহলে(গালটা এগিয়ে দিয়ে)
–বেহায়া
–হিহিহি
–কুত্তা

–ভালোবাসি
–যা ভাগ
–তোকে নিয়ে ভাগি
–হুররররর
–আামাকে ভালোবাসতে তোর সমস্যা কই।
–জানিনা
–বলনা
–ভালোবাসতে হলে একটা ফিলিংস লাগে ফিল করতে হয়।কিন্তু তোর জন্য আমার ওটা হয়না।
–ওহহহহ(মন খারাপ করে)
–চল বাসায় যাব
–চল

তারপর বাসায় আসলাম।ওহহ এতোক্ষন তো আপনাদের আমার পরিচয় দেওয়া হয়নি।আমি জাহিদ। এবার ইন্টার প্রথম বর্ষ।বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। আর যার সাথে এতোক্ষন কথা হলো।সে হচ্ছে রিতু।পুরো নাম।নাইমা ইসলাম রিতু। নামটা যেমন সুন্দর তেমনি মেয়েটাও দেখতে মাশআল্লাহ।ছোট থেকে আমরা দুকনে একসাথে বড় হয়েছি।ওর আর আমার বাসা একসাথেই মানেপাশাপাশি।অনেক পরিচয় দিলাম এবার ফ্রেস হয়ে নি। তারপর ফ্রেস হয়ে দিলাম এক ঘুম। রাতে ফেবুতে গেলাম দেখি রিতু অনলাইনেতাই নক করলাম…..

–কিরে পেত্নী কি করস(আমি)
–কিছু না রে পেত্তোর(রিতু)
–কাল কলেজ যাবি না।
–হুম যাব তুই।
–হুম।
–কিছু বলবি নাকি
–ভালোবাসি গো তোমাকে তুমি কেন সেটা বুঝো না।

বারবার বলার পরও তুমি কেন মানতে রাজি না।তোমার এই অবহেলায় পুড়ে যাচ্ছি আমি, পুড়ে যাচ্ছে আমার মন,নিঃসঙ্গতার মাঝে আমি একলা রয়েছি এখন।

–আহারে ব্যাচারা
–বলনা ভালোবাসিস
–তোকে কতবার বলব ভালোবাসি না তোকে
–কিন্তু আমি যে বাসি
–আমি বাসি না।বাই

বলেই অফলাইম হয়ে গেলো মেয়েটা। আমি ভাবতে লাগলাম। সেই ছোট বেলায় যখন আমরা বর বউ খেলতাম। কত মজা করতাম।একজন আরেকজনকে ছাড়া থাকতামনা।তখনকার দিনগুলোই ভালোছিলো।

যখন একটু বড় হলাম স্কুলে গেলাম বুঝতে শিখলাম তখন থেকেই রিতুর জন্য এক আলাদা রকমের অনুভূতি হতো।হয়তো সেটা ভালোবাসা তবে সেটা যে ভালোবাসা সেটা হাই স্কুলে এসেবুঝলাম।তখন থেকেইরিতুকে ভালোবাসি কথাটা বলে আসতেছি কিন্তু মেয়েটা এখনও আমাকে ভালোবাসেনা।এতোদিন যদি আমি অন্যকোন মেয়ের পিছনে ঘুরতাম তাহলে শুধু মেয়ে না মেয়েরপুরা ফেমিলি রাজি হয়ে যেত।কিন্তু এই মেয়ে রাজি হয়না। কখনও কখনও তো মনে হয় খামাখা শুধু মেয়েটার পিছনে ঘুরতেছি।কিন্তু পরেক্ষনেই আবার মনে হয় ভালোবাসি তো মেয়েটাকে। এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম বুঝতেই পারিনি।সকালে আম্মুর ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো।তারপর ফ্রেসহয়ে নাস্তা করে কলেজ গেলাম।

এমনি ভাবে চলতে লাগলো আমার জীবন।কিন্তু এখনও রিতুকে ভালোবাসি কথটা বলাবাদ দেয়ই নি।আসলে বুঝিনা মেয়েটা কারওসাথে রিলেশনও করেনা আবার আমাকেওএকসেপ্ট করেনা।মেয়েদের বুঝা বড় দায়। চলে গেলো এভাবে আরও দুই মাস।অবশ্য এই দুইমাসে আমার মধ্যেতো কোন পার্থক্য হয়নি।তবে রিতুর মধ্যে অনেকটা হয়েছে।মেয়েটা অনেক বদলে গেছে।এখন ওর সাথেকথা বললে একটুতে রেগে যায়।নানা রকমভাবে অপমান করে।ফোন করলে রিসিভ করেনা মেসেজ করলে সিন করেনা ইত্যাদি।তার এই বদলে যাওয়াটা আমাকে অনেক কষ্টদেয়।তবে কিছু বলতে পারিনা তাকে কারন ভালোবাসি যে মেয়েটাকে। পরেরদিন কলেজে গেলাম।কিন্তু কলেজে আসার সময় শুনলাম রিতু নাকি আগেই কলেজে আসছে।অবশ্য নতুন করেনা এটা দুমাস থেকেই হচ্ছে। কলেজের মাঠে বসে আছি।এমন সময় যা দেখলাম তাতে আমি একদম পুরাই থ হয়ে গেছি।কারন,

–রিতু একটা ছেলের সাথে হাত ধরে বেড়াচ্ছে।নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারলাম না।আমার রিতু কিনা অন্য একটা ছেলের হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।আর কলেজে থাকলাম না সোজা বাসায় চলে আসলাম। না আমাকে জানতে হবে ওই ছেলেটা কে। তাই বিকেলের দিক গেলাম রিতুদের বাসায়। দেখলাম মেয়েটা রুমে বসে মোবাইলটিপতেছে।

–কিরে কি করিস(আমি)
–দেখতেই তো পাচ্ছিস। তাহলে বলার কিআছে(রাগি কন্ঠে)
–হুম।তোকে একটা কথা বলার ছিলো(নরম সুরে)
–কি বলবি বল আমার হাতে সময় নাই।
–কলেজে তোকে দেখলাম একটা ছেলের সাথে ঘুরতে।ছেলেটা কে।
–সেটা কি তোকে বলতে হবে ছোটলোককোথাকার।আর তুই আমার কে যে তোকে সেটাবলতে হবে।(চিৎকার করে বললো)
–আমি শুধু জানতে চাইলাম কে ছেলেটা।
–ছোটলোকের বাচ্চা তোকে কেন বলবো।

আর তুই সব সময় আমার পিছনে কেন পরে থাকিসলেলি কত্তার মতো।তোর কি হায়া নাই নাকিতোকে তোর বাবা-মা কিছু শিখায় নাই। আসলে কুত্তার লেজ কখনো সোজা হয়না।আরবলছিলি না ছেলেটা কে ওটা আমার বিএফ হইছে এবার।

–(এসব কথা শুনে আর নিজের চোখের পানি আটকাতে পারিনি।ভাবতে পারিনি রিতু আমাকে এভাবে অপমান করবে।চলে আসলাম সেখান থেকে) তারপর বাসায় এসে সেদিন অনেক কান্না করেছি।কিন্তু একসময় মনে হলো আমি কার জন্য কাঁদতেছি যে কিনা আমাকে ভালোবাসেনা তার জন্য।না আমি কাঁদব না। আর আমি থাকবো না এখানে চলে যাব এ শহর থেকে। তাই আব্বুকে বললাম…

–আব্বু আমি আর এখানে থাকব না।আমি ঢাকাতে আঙ্কেলদের কাছে থাকব।(আমি)
–হুম।তোর আঙ্কেল তো অনেকদিন থেকেই সেটা বলতেছিলো।তবে হঠ্যাৎ করে এসব বলছিসযে কিছু হয়েছে নাকি।(আব্বু)
–না আব্বু কিছু হয়নি।তুমি আঙ্কেলকে বলো আমি কালকেই ঢাকা যাব।আর ওখানেইপড়াশোনা করব

–আচ্ছা আমি বলব

চলে আসলাম আমার রুমে।সব কিছু গুছিয়ে নিলাম। পরেরদিন চলে গেলাম এ শহর ছেড়ে আমার রিতুকে ছেড়ে।আসলে রিতু এখন আমার না অন্য কারও। আমি ঢাকাতে আসছি এটা কাউকে বলি নি।আমার বন্ধুরাও জানেনা। শুধু আমার পরিবার ছাড়া। তো ঢাকায় চলে আসলাম।আঙ্কেল আমাকে দেখেতো অনেক খুশি কেনই বা হবেনা। আমিই তো একমাত্র ছেলে আমাদের বংশের আর আঙ্কেলের তো কোন ছেলে-মেয়ে হয়নি। শুনেছি এক অসুখ হয়েছিলো আন্টির যার ফলেই আজ এমন। তারপর আঙ্কেল আমাকে এক কলেজে এডমিশননিয়ে দিলো।আমিও ভুলতে লাগলাম সব।আমার সিম চেঞ্জ করলাম।সব খানেই রিতুকে ব্লক করলাম।আমার নাম্বার শুধু আমার পরিবার ছাড়া কাউকে দি নাই।

৩ বছর পর আজ অনেকদিন পর বাসায় যাচ্ছি অবশ্য আমার যেতে ইচ্ছে ছিলোনা। তবে আঙ্কেল অনেক করে বললেন তাই যাচ্ছি সেই চিরচেনা শহরে। এই তিন বছরে আমি রিতুকে প্রায় ভুলে গেছি। এখন আর তার কথা তেমন মনে পরে না।আমি এখন অনেকটাই বদলে গেছি। সেখান থেকে চলে আসার পর শুধু পড়াশোনায় মন দিয়েছিলাম।যার ফলে অনেক ভালো রেজাল্ট করছি তার সাথে ভালো একটা ভার্সিটিতেও সুযোগ পেয়েছি। সব থেকে বড় কথা হলো যে ভার্সিটিতে আমি সুযোগ পেয়েছি সেটা আমাদের শহরেই।মানে আঙ্কেলদের বাসা থেকে কিছুদূর দূরেই। এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে আমার গন্তব্য স্থানে এসে পরেছি সেটা মনে নেই। তারপর বাস থেকে নেমে দেখলাম আব্বুএসেছে।আমাকে দেখেই আব্বু আমার কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।

–এতোদিন পর তোর আমাদের কথা মনে পড়লো (আব্বু)
–তোমাদের কথা সব সময় মনে পরে শুধু সময় করে আসতে পারিনি(আমি)
–হুম চল।এবার বাসায় যাই তারপর বাসায় আসলাম আমাকে দেখে তো আম্মু কেঁদেই দিয়েছিলো।

আসলে এক ছেলেতো তারপরেও মায়ের মন বলে কথা। আমার রুমে গেলাম কিন্তু আমি তো রুমটা দেখে অবাক হয়ে গেলাম।কারন,আমার রুমটা অনেক সুন্দর করে সাজানো। দেখে মনে হয়না কেউ এ রুম ব্যবহার করে না।তারপর ফ্রেস হয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম।

এমন সময় রিতুর কথা মনে পরে গেলো। পরেই আবার ভাবলাম হয়তো এতোদিনে মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেছে।তাই আর বেশী কিছু ভাবলাম না। বিকেলের দিকে একটু বের হলাম সব পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা করতে। ওরা তো আমাকে দেখে অনেক খুশি।জমিয়ে আড্ডা দিলাম।তারপর সন্ধ্যার আগে বাসায় আসতেছি।এমন সময় মনে হলো কে যেন আমাকে দেখছে আশেপাশে তাকিয়ে দেখি কেউ নাই।হয়তো আমার মনের ভুল। তাই বাসায় আসলাম।সেদিনের মতো রাতে খেয়ে ঘুমালাম। সকালে উঠে ফ্রেস হলাম।তারপর নাস্তা করতে গেলাম। কিন্তু আমি গিয়ে দেখি একটা মেয়ে আমাদের বাসায় আর আম্মুর সাথে কাজ করতেছে।আমি ওইদিকে মন না দিয়ে খেতে বসলাম।

–আম্মু আমাকে খেতে দাও(আমি)
–হুম দিচ্ছি(আম্মু)
–তাড়াতাড়ি দাও
–তারপরে দেখলাম মেয়েটা নাস্তা নিয়ে আসতেছে।

কিন্তু মেয়েটাকে দেখতে অনেক সুন্দর ও কিউট। মেয়েটার চেহারা একটু গোলযারফলে তাকে আরও কিউট দেখাচ্ছে।অনেকক্ ষন ধরে তাকে চিনার চেস্টা করতেছি কিন্তুচিনতে পারলাম না।তাই বললাম….

–কে আপনি আপনাকে তো ঠিক চিনলাম না (আমি)
–আরে ও রিতু ওকে চিন্তে পারিস নাই(আম্মু)
–ওহহ।তো কি খবর রে তোর(আমি)
–হুম।তোর কি খবর(রিতু)
–ভালোই।তো বিয়েটিয়ে করছিস নাকি (আমি)
–ধুরর।বিয়ে এখনও করি নাই।
–ওহহ

তারপর আর কোন কথা হয়নি।আমি খেয়ে চলে আসলাম আমার রুমে। চলে গেলো এক সপ্তাহ আমার বাসায় আসার এর মধ্যে আঙ্কেল আন্টিকে অনেক মিস করেছি। তবে এই কয়েকদিনে রিতুর মাঝে অনেকটাই পরির্বতন দেখেছি।মেয়েটা এখন সব সময় আমাদের বাসাতেই থাকে।রিতু আমাকে কিছু বলতে চাইছে কিছুদিন ধরে কিন্তু বলতে পারছে না। তো একদিন রাতে ছাদে বসে চাঁদ দেখতেছি এমন সময় দেখলাম রিতুও ছাদে আসলো। আমি কিছুনা বলে চুপচাপ আছি।তখনেই রিতু বললো……

–তোর সাথে কিছু কথা আছে(রিতু)
–হুম বল (আমি)
–আসলে আমি তোকে ভালোবাসি।তুই যখন আমাকে ছেড়ে চলে গেলি তখনেই তোর ভালোবাসা বুঝতে পারলাম(আমার হাত ধরে এসব বললো)

–(আর কন্ট্রোল করতে পারলাম না নিজেকে)
–ঠাসসস।ঠাসসস।ঠাসস।ঠাসসসস চারটা থাপ্পর দিলাম মেয়ে টাকে।
–কি ভাবিস তুই নিজেকে হুম।ভালোবাসা ওতো সস্তা না যে বললেই হয়ে যাবে।

আর তোর কয়টা বিএফ লাগে একজনের সাথে প্রেম করে হয়না। লুচ্চা মেয়ে কোথাকার। বলেই ছাদ থেকে চলে আসলাম। যখন কথাগুলো বলতেছিলাম তখন দেখেছিলাম রিতুর চোখে পানি। তবে আমি আর এসব ভাবতে চাইনা। না আর এখানে থাকা যাবেনা কালকেই চলে যাব আমি এখান থেকে। রাতে আব্বুকে বলে সব ঠিক করে নিলাম। সকালেই আমার ট্রেন।তাই রাতেই সব গুছিয়ে নিলাম। আমি এখন ট্রেনে বসে আছি।চলে যাচ্ছি আবার এ শহর ছেড়ে।ভাবছিলাম আরও বেশ কিছুদিন থাকব কিন্তু সেটা আর হলনা শুধু রিতুর জন্য।যাক যা হয়েছে ভালোই হয়েছে।

ঢাকাতে আসার আমার আজ ১৫ দিন হয়েগেলো। সব ভুলে আবার নতুন করে শুরু করলাম।নতুন বলতে রিতুর কথা ভুলে গেছি।কারন,ভার্সিটিতে আমার অনেক ফ্রেন্ড সেটা ছেলে হোক বা মেয়ে। অনেকগুলো মেয়ের প্রোপজ পাইছি ভার্সিটিতে এসে।কিন্তু কাউকে একসেপ্ট করিনি। কেন করিনি জানিনা হয়ত আজওজও আমার মনে রিতুর জন্য জায়গা আছে। একদিন ভার্সিটি থেকে বাসায় আসতেছি।এমনসময় একটা মেয়েকে দেখে চেনা চেনা লাগলো।পরে বুঝতে পারলাম আরে ওটাতো রিতু।কিন্তু রিতু এখানে এসে কি করবে।হয়তো অন্য কাউকে দেখেছি রিতুর মতো। বাসায় এসে যখন ভিতরে প্রবেশ করবো।তখন তো আমি পুরাই অবাক। রিতু তাও আবার এখানে।তখনেই আন্টি বললেন….

–দেখ তোর ছোটবেলার সাথী এসেছে(আন্টি)
–সেটা ছোটবেলায় ছিলো এখন না(বলেই আমার রুমে আসলাম) পরে অবশ্য জানতে পারলাম যে রিতু এখানে নাকি কিছুদিনের জন্য বেড়াতে এসেছে।

আমি অবশ্য যতদূর পারি ওর থেকে দূরে দূরে থাকি। বেশ কয়েকদিন হয়েগেলো মেয়েটা এখানে আসার। রাতে একদিন ছাদে বসে কানে হ্যাডফোন দিয়ে গান শুনতেছি। বুঝতে পারলাাম কে যেন ছাদে আসলো। সেদিকে লক্ষনা করে আমি মনের সুখে গান শুনতেছি। হঠ্যাৎ কে যেন আমার হ্যাডফোনটা খুলে নিলো।ঘুরে দেখি রিতু।রাগটা এবার আর ধরে রাখতে পারলাম না।

–ঠাসসস।ঠাসসস।কি সমস্যা কি তোর(আমি)
–তোর সাথে কথা আছে(রিতু)
–আমার কোন কথা নাই।
–আমার আছে
–কি কথা থাকবে তোর অন্য একটা ছেলের সাথে প্রেম করিস আবার আমাকে এসে ভালোবাসি বলিস লজ্জা করেনা তোর।

–তুই সত্যটা জানিস না।আগে শুন তারপর বলিস।
–আচ্ছা বল শুনি কি বলবি।
–সেদিন তুই কলেজে যে ছেলেটাকে দেখেছিলিস ওটা আমার মামাতো ভাই।
–ওহহ আচ্ছা। আজকাল ভাই বোনরাও হাত ধরাধরি করে ঘুরে বেড়ায় বুঝি।
–ওটা আমি তোকে দেখানোর জন্য করেছিলাম।

কারন,তোকে আমার তখন একদম সহ্য হতো না।তাই আমি প্লান করেছিলাম কি করে তোর থেকে মুক্তি পাব।তাই ওসব করছি।আমার প্লান যখন সফল হলো তখন আমি খুব খুশি ছিলাম। কিছুদিন পর আবার শুনলাম।তুই নাকি ঢাকা চলে গেছিস। সেদিন আরও খুশি হলাম যে যাক বাবা এতোদিন পর আমি আজ মুক্ত।কিন্তু মনে কেন জানি সুখ ছিলো না।

কিছুদিন যেতে না যেতে তোকে মিস করতে লাগলাম। তোর ভালোবাসি বলাটা মিস করতে লাগলাম।পরে যখন বুঝতে পারলাম যে আমিও তোকে ভালোবেসে ফেলেছি।তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিলো। ফোনে,ফেবুতে সব জায়গায় তোর সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করলাম।কিন্তু সব দিকক থেকেই ব্যর্থ হলাম।পরে আন্টির কাছ থেকে তোর নাম্বার নিলাম।কিন্তু ফোন করে তোকে কি বলব সেটাই বুঝলে পারতেছিলাম না।তাই তোর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম কিন্তু তুই আসলি না।আসলি তাও আবার তিন বছর পর।এই তিন বছরে কত কষ্ট হয়েছে আমার জানিস। যখন তুই দূরে চলে গেলি তখন বুঝলাম ভালোবাসা কি।কারও জন্য অপেক্ষা করাটা কত কষ্টের। তোর জন্য প্রতিরাত কাদতাম।তোর ছবি বুকে নিয়ে ঘুমাতাম। তোকে আমি অনেক ভালোবাসি। তুই আমাকে ফিরিয়ে দিস না।তা না হলে আমি মরেই যাব (কাদতে কাদতে বললো রিতু)

–(আমি শুধু এতোক্ষন চুপ করে ওর কথাগুলো শুনতে ছিলাম।)
–কিরে চুপ করে আছিস কেন কিছু বল
–আমি তোকে ভালোবাসিনা
–আমাকে যখন ভালোইবাসিসনা তাহলে এতোগুলা মেয়ের প্রোপজ কেন একসেপ্ট করিস নাই।
–সেটা আমার ব্যাপার তোকে বলতে হবে নাকি।
–তুই যদি আমাকে না ভালোবাসিস।তাহলে আমি এখনেই ছাদ থেকে লাফ দিব।
–তো দে না।কে মানা করছে তোকে
–ওকে।শেষবারের মতো বলছি ভালোবাসি তোকে তারপর রিতু যখনি ছাদ থেকে লাফ দিতে যাবে তখনেই ওকে ধরে ফেলেছি।তারপর

–ঠাসসসসস।ঠাসসসস তুই কি পাগল হয়ে গেছিস নাকি।
–হ্যা হ্যা আমি পাগল হয়ে গেছি।তোর জন্য পাগল হয়েছি।কেন আটকাতে গেলি তুই আমাকে।
–তুই চলে গেলে আমার কি হতো একবার ভেবেদেখেছিস(জড়িয়ে ধরে)
–উহহুহহহু। ভালোবাসি পাগলা তোকে(কাঁদতে কাঁদতে)
–হুম।আমিও ভালোবাসি এই পাগলিটাকে।
–তাহলে এতো কষ্ট দিলি কেন(শক্ত করে জড়িয়ে ধরে)
–তুই বুঝি দিস নাই।

–আর দিব না
–আমিও দিব না।এবার শুধু ভালোবাসবো
–এবার থেকে শুধু তুমি কোন তুই না
–ওকে ওকে
–এই আরও জড়িয়ে ধরো
–হুম(আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে)
–আমাকে ছেড়ে আর যাবে না তো
–একদম না। এই একটা পাপ্পি দিবা
–যা দুষ্টু( বলেই আমার বুকে মাথা লুকালো) তারপর। তারপর আর কি কাম খাতাম পেয়সা উছুল।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত