Loading...
ফেসবুক সম্পর্কে কিছু জানতাম না।কলেজের এক বন্ধু ফেসবুক আইডি খুলে দিছে ।
তেমন ঢুকতাম না ফেসবুকে কারণ ফেসবুকে কি কি করা যায় বুজতাম না ।তার পর এক বন্ধু ফেসবুক সম্পর্কে বুঝিয়ে দেয় তার নাম হিয়া।
তার পর থেকেই মোটামুটি বুঝি ।আর কি তখন থেকেই আমি প্রতিদিন ফেসবুকে ঢুকতাম আস্তে আস্তে অনেক বন্ধু হল।
অনেক টা সময় ফেসবুকে থাকতাম , তার কিছু দিন পর একটা ছেলের আইডি আমার চোখে পড়ে যেখানে কিনা নানা ধরনের গল্প কবিতা লিখতো,
আর আমার তো গল্প পড়তে ভালো লাগে তাই ছেলেটাকে এড দেয়।সাথে সাথে ছেলে টা এড accept করে আর ছেলেটার নাম ছিল অনি ।
(ও আপনাদের কে তো বলায় হয় নি আমার নাম আরিশা) তার পর আর ফেসবুকে ঢুকা হয় নি একটা কাজ নিয়ে জানি ব্যস্ত ছিলাম ।
তার দু /এক দিন পর ফেসবুকে ঢুকে অনি স্টাটাস পড়ছি আর লাইক আর কমেন্ট করতেছি ঠিক তখনি অনির এসএমএস :
অনি: হাই
আরিশা :হাই
অনি: আপনার নাম কি?
আরিশা: আমার নাম আরিশা আপনার?
অনি: অনি।কি করেন আপনি । বাসা কোথায় আপনার ।
আরিশা: আমি স্টুডেন্ট আর বাসা টাঙ্গাইল ।আপনার?
অনি: আমি জব করি।আর বাসা টাঙ্গাইল ।
আরিশা :ওকে বাই
অনি:বাই
তার পর থেকেই মোটামুটি আমাদের অনেক কথা হত।এ ভাবে কেটে যাই অনেকটা মাস রোজ কথা হয় আমাদের ।
অনির ছবি profile এ ছিল কিন্তু আমি আমার ছবি ফেসবুকে দিতাম না।অনি কে আমার খুব ভাল লাগত ।
অনি আমার কাছে আমার ছবি চাইতো কিন্তু আমি দিতাম না ।তার পর এক দিন আমি দেয় ও জোর করায় ।
তার পর হঠাৎ আমি বলি আমার সাথে দেখা করো অনি দেখা করতে চাইতো না নানা ধরনের সমস্যার কথা বলতো,
আমি বলতাম কিছু হবে না শুধু একটা বার দেখা করবো plzzzzzzzz ।তার পর এক দিন অনি বলে এক বছর পর দেখা করবো ।
অনির কথা আমি মেনে নেয় আর অপেক্ষায় থাকি ।তার পর এক বছর না দু বছর কেটে যায়।
এর মাঝে অনির সাথে আমার ঝগড়া হয় নানা কারণ নিয়ে , আরকি আমি শুনেছি অনি যে ছবি টা ফেসবুকে দিছে ওটা ওর না ওর বন্ধুর না কার জানি।
আর এটা আমি ওর অনেক বন্ধু কে বলে দেয় ।এর জন্য ও আমায় ব্লক করে দেয়।
তার পর ওর সাথে আমার কোন কথা হয়নি আমি অন্য আইডি খুলি আর সেখানে ভালোই চলছিলো দিন ।
তো হঠাৎ একদিন ও আমায় এসএমএস দিল আর সেখানে বলল…
…চল না আমরা আবার নতুন করে শুরু করি ।
আরিশা : এতদিন পরে হঠাৎ আমার কথা মনে হল ?
অনি: সরি ।আর তুমি যা শুনছিলে সবটা ঠিক ।
আরিশা: হুম(অনির সাথে আমার ফোনে অনেক কথা হত )….
তার পর থেকে অনি তার আইডি বন্ধ করে নতুন আইডি ব্যবহার করে আর সেখানে আমায় এডডড দেয় ।
তো তার পর হঠাৎ একদিন ও নিজেই বলে চলো আরিশা আমরা দেখা করি।তার পর আমরা দেখা করি।অনেক টা সময়।
অনি ঠিক সেই দিন আমাকে প্রপোজ করে আর আমি অনির প্রপোজ accept করে আর তারা তখনই সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ে করার।
তার পর অনির পরিবারের কাছে অনি সব বলে আর আমি ও বলি পরিবারের সবাই মেনে নেয়…,
কারণ অনি যে চাকরি করতো আর ওরা দু’জন দুজনের ই যোগ্য।আর তার পর ই ওদের বিয়ে হয়ে যায়।
