আমার বাবা যখন মারা যায় তখন আমার বয়স ছিলো চার বছর।তখন আমি কিছুই বুঝতামনা।শুধু দেখতাম আমার মা আরালে লুকিয়ে খুব কান্না করতো।বুঝতাম না কেনো কাঁদে। আমার মা আমাদের জীবন বাঁচাতে অন্যের বাসায় কাজ করতো।তখন বুঝতাম না আমার মায়ের কতটা কষ্ট হতো।এখনো মায়ের মুখটা আমার কিছুটা মনে আছে।শেষ যখন মায়ের সাথে কথা হয়েছিলো তখন মা বলেছিল “বাজান আজকে একটু তাড়াতাড়ি বাড়িতে আসিস আমার শরীর টা ভালো নেই”তখন আমার তেমন কোন বুদ্ধি ছিলোনা। পাঠশালা তে আমি তখন পড়ছিলাম তখন করিম চাচা এসে বললো “বাজান তাড়াতাড়ি বাড়ি চল”আমিও পড়াশোনা বাদ দিয়ে তাড়াতাড়ি করিম চাচার সাথে বাড়ি যেতে থাকলাম।বাড়ির কাছে গিয়ে দেখি আমাদের বাড়ির উঠানে অনেক লোক জরো হয়েছে।কেনো জানি এক অজানা ভয় আমার বুকের মাঝে এসে আমাকে মুচরে দিয়ে গেলো।
.
লোকেদের ভির ঠেলে ভিতরে ঢুকলাম।ঢুকেই আমার চোখ কপালে উঠে গেলো।আমার সামনে আমার মায়ের নিথর দেহো পরে আছে।আমি তখনি আমার মা’কে জরিয়ে ধরে খুব কেদে দিলাম।তখন আমি মা’কে কতোবার বলেছি”ও মা চোখটা একবার খুলো না।মা আমি আর জেদ করবোনা একটিবার চোখটা খুলো”কিন্তু আমার মা চোখ খোলেনি।সেইদিন আমি কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পরছিলাম কিন্তু আমার মা জননী আমাকে আর তার মায়া ভরা বুকের মাঝে পরম মমতায় মাঠি থেকে উঠিয়ে জরিয়ে নেয়নি।তখন আমি বুঝেছিলাম আমায় আর কেউ এতো মমতায় বুকে টেনে নিবেনা।
.
কেউ কবর খুরতে ব্যস্ত কেউবা আমার মা’কে শেষ বারের মতো গোসল করাতে ব্যস্ত। আর আমিতো পাগলের মতো কেঁদে চলেছি। আমার মায়েরা ছিলো দুই বোন।আমার খালাও এদিকে কেঁদে অস্থির হয়ে পরেছে।কিছু মহিলা আমাদের এসে সান্তনা দিতে থাকলো।কোনকিছুই তখন আমাকে সান্ত করতে পারছেনা।যখন আমার মা’কে গোসল করিয়ে সাদা কাপড়ে মুরিয়ে খাটনিতে রাখলো তখন আমার অবস্থা দেখার মতো ছিলো।অবশেষে যখন মা’কে কবর দেওয়ার জন্য নিয়ে যাবে তখন একজন আমার কাঁধের উপর মা’কে পরিবহন করা পালকি তুলে দিলো।আমি তখন ছোট মানুষ অতো শক্তিও নাই তাই পাশ থেকে একজন ধরে আমার কাঁধের উপর আলতো করে তুলে দিলো।কখনো ভাবিনি যে মা আমাকে এতো কষ্ট করে কোলে পিঠে করে বড় করছে তাকেই একদিন আমার কাঁধে নিতে হবে।অবশেষে যখন মাকে কবরের মাঝে রাখা হলো তখন আমার বুকের মাঝে ধুকধুক করা শুরু করে দিলো।আস্তে আস্তে মা কবরের মাঝে মিলিয়ে যেতে থাকলো মানে কবরে মাটি দেওয়া হলো তখন বুঝলাম আজ থেকে আমি একেবারে অনাথ হয়ে গেলাম।কেউ আর আমাকে গল্প বলে ঘুম পারিয়ে দিবেনা।কেউ আর আমাকে নানা অজুহাতে খাইয়ে দিবেনা।তারপরে আমি মাঝে মাঝেমাঝেই মায়ের কবর দেখতে যেতাম গিয়ে দোয়া করে আসতাম।
.
তারপর শুরু হলো আরেকটা নতুন জীবন যে জীবনে কোন আনন্দ নেই আছে শুধু দিঃখ আর কষ্ট। তখন আমাকে আমার খালার কাছে গ্রামের মানুষ রা রেখে আসে।কিন্তু আমার খালার স্বামী ভালো ছিলোনা।আমার জন্য আমার খালাকে প্রচুর মারধোর করতো।আমার খালা তখন একজন মহিলার কাছে আমাকে রেখে আসে।সেই মহিলার কোন বাচ্চা ছিলোনা। তাই আমাকে তাকে মা বলে ডাকতে বলতো কিন্তু আমি মা বলে না ডাকাতে তিনি আমায় কাচি দিয়ে কপালে একটা কোপ দেয় এবং আমাকে কুঁয়ার ভিতরে নিক্ষেপ করেন।আমি তখন ভালোভাবে সাঁতার জানতাম না।প্রায় ডুবু ডুবু অবস্থা। তখনি পাশের বাড়ির একটা মহিলা এসে আমাকে টেনে তুলে এবং মহিলাটাকে খুব বকে।যে মহিলাটি আমাকে কুঁয়া থেকে তুলে ছিলো তখন আমি তাকেই মা বলে ডেকেছিলাম।
.
তারপর তিনিই আমাকে তার সন্তানের মতো করে পালিত করতে থাকেন।তাহার স্বামীটাও ছিলো খুব ভালো।আমাকে কখনো নিজের সন্তানের চেয়ে কম ভালোবাসেন নি।তারপর আমি আমার পালিও বাবার সাথে ব্যবসায় নেমে পরি।আমরা দুই বাবা ছেলে মিলে সিদ্ধান্ত নিই একটা দোকান দিবো যেই ভাবা সেই কাজ।সহরের মাথায় একটা ছোট্ট মুদিখানার দোকান দিই।আস্তে আস্তে আমাদের ব্যবসাও বাড়ছিলো তার সঙ্গে বয়সও বাড়ছিলো তাই বাবা আমায় তাহার ভাইয়ের মেয়ের সাথে বিবাহ দেন।একবছর তার সাথে সংসার করে তার কোল জুরে আসে একটা ছোট্ট ফুটফুটে মেয়ে দেখতে গোলাপের মতো তাই আদর করে নাম দিছি গোলাপি।
.
আমার কপালে কখনোই সুখ সয় নি ঠিক এক্ষেত্রেও তাই হলো আমার বিয়ে করা বউ তার পূর্ব ভালোবাসার মানুষটির হাত ধরে পালিয়ে গেলো সুধু দিয়ে গেলো একবুক যন্ত্রণা। আমার মেয়ের বয়স যখন পাঁচ তখন আমার মা আমাকে আবার বিয়ে দিতে চায় প্রথমে মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে না করলেও পরে পরিবারের চাপে বিয়ে করতেই হয়।আর এক কথা আমার নিজের মা মারা যাওয়ার পরেই সেই খানে বোন্না হয় যার ফলে আমার পালিত মা-বাবা আমাকে নিয়ে অন্যত্র চলে যায়।বিচ্ছিন্ন হয়ে পরি চেনা মানুষের কাছ থেকে।তো যাইহোক আমার দ্বিতীয় বউ বিয়ে করে আনার পরে কিছুদিন মায়ের বাড়িতেই থাকি।আমার মা আমার দ্বিতীয় বউ টাকে বেশী দেখতে পেতোনা তাই বাধ্য হয়ে আমি ওই বাড়ি ত্যাগ করি।
.
অন্যজনের বাড়িতে থাকতাম।আমার যেটুকু সম্পদ ছিলো সেইটা আমি আমার প্রথম মেয়ের নামে দলিল করে দিই এবং পরে আমি অনেক কষ্ট করে আরেকটা জায়গা কিনি।তারপরেই আমাদের ঘরে এলো আমার দ্বিতীয় মেয়ে আদর করে নাম রাখছি সুলতানা। ধীরে ধীরে আমার প্রথম মেয়ে দেখতে দেখতে বড় হইলো তো এখন তাকে বিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।ইনশাআল্লাহ মেয়েকে ভালো ঘরেই বিয়ে দিছি।ভালো ঘর মানে এটা নয় ছেলের টাকা পয়সা আছে।ভালো ঘর মানে ছেলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরে।ছেলের পরিবারটাও খুব ভালো।
.
তার প্রায় পাঁচ বছর মানে সুলতানার বয়স যখন পাঁচ বছর তখন আমাদের ঘরে নতুন আরেকজন সদস্য যোগ হয়। ঘর আলোকিত করে একটা ফুটফুটে ছেলে আসে নাম দিই তার রাকিব।তখন আমি আগের চেয়ে আরো বেশী পরিশ্রম করতাম।মেয়েটাকে বেশীদুর লেখাপড়া করাতে পারিনি কিন্তু আসা আছে ছেলেকে অনেকদূর পর্যন্ত পড়াবো।আমি জানি আমার ছেলে একদিন আমার কষ্ট নিভিয়ে দিবে।
.
এতক্ষণ ফোনের ওপাশ থেকে যে মানুষটি কথা বলছিলো উনি আর কেউ নয় উনি আমার পিতা। এইসব কথা শুনে কখন যে গাল বেয়ে টুপটুপ করে পানিনি পরছে বুঝতেই পারিনি।বাবা আমাদের এতো কষ্ট করে বড় করছে আর আমি এইদিকে কতো অজুহাতে বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে অসথ পথে ব্যয় করছি।বাবা এতক্ষণ তার একজন বন্ধুর সাথে এইসব গল্প করছিলো আমার সাথে কথা বলার পর ভুল বসতো বাবা ফোনটা কেটে দেয়নি আর আমি কৌতূহল বসতো এইসব সুনছিলাম।আজ থেকে আমাকে পরিবর্তন হতেই হবে।
.
কলেজের ভালো ছাত্র’র তালিকায় আমার নাম প্রথমে আনতেই হবে।যেখানে দিনে পাঁচশত টাকা লাগতো সেখানে আজ থেকে খরচ ই করবোনা।তারপর থেকে মন দিয়ে পড়ালেখা শুরু করলাম।যে মেয়েটা আমায় সবসময় বলতো আড্ডা বাদ দিয়ে ভালো করে পড়ো সে ও আজ আমার এমন পরিবর্তন দেখে অবাক সাথে খুশিও হয়েছে।দুইটা টিউশনি নিয়েছি।এখন বাবার আগের তুলনায় অনেক কম টাকা দিতে হয় আমাকে এবং কোন মাসে টাকা দিতেও হয়না।দিতে চাইলেও আমি নিইনা।এরই মাঝে আমার এইচ. এস.সি পরিক্ষা চলে আসলো।আর হ্যাঁ যে মেয়েটা আমায় সবসময় বলতো আড্ডা বাদ দিয়ে পড়তে সে আসলে আমার প্রেয়সী। অন্য দশটা মেয়ের মতো না।রোজ কলেজে বোরকা পরে হিজাব কররে মুখ ঢেকে আসবে।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে।নাম তার তৃষ্ণা। সে তার পরিবারের বড় মেয়ে।তার বাবার ইচ্ছা মেয়ে একদিন বড় ডাক্তার হবে।
.
দুইজন পরিক্ষার সময় একেবারে আধাজল খেয়ে নামলাম। সারাদিন পড়া আর পড়া।মাঝে মাঝে টুকটাক কথা হতো প্রেমের নয় পড়ার বিষয়ে তার বেশী আর কিছুই বলা হতোনা নয় ওই আমায় বলতে দিতোনা।অবশেষে দুজন আজ শেষ পরিক্ষা দিলাম।এখন শুধু অপেক্ষা কেমন রেজাল্ট আসে সেটা দেখার।
.
আজ পরিক্ষার রেজাল্ট দিবে।ডিজিটাল যুগে চাইলেই ইন্টারনেট দিয়ে জানতে পারতাম কিন্তু আমি সেটা করিনি।সবার সাথে একসাথে দাড়িয়ে দেখার মজাই আলাদা।কিন্তু আমার খুব ভয় হচ্ছে যদি রেজাল্ট খারাপ হয় তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আমি যাবোনা।
.
“হ্যালো তৃষ্ণা আমি কালকে কলেজে যাবোনা প্লিজ তুমি আমার রেজাল্ট দেখে আসো।
“কেনো?তোমার কি শরীর খারাপ করছে?তোমাকে যেতেই হবে রাকিব।
“তৃষ্ণা আমার খুব ভয় হচ্ছে যদি রেজাল্ট খারাপ হয়?
“আরে পাগল বিশ্বাস রাখো তোমার রেজাল্ট খারাপ হবেনা।
“তবুও আমার ভয় করছে।এক কাজ করো তুমি আমার বদলে দেখে ফোন করে আমায় জানাইবা।
“তোমার গিয়ে দেখতে হবেনা তুমি দূরে দাড়িয়ে থাকবা।আমি দেখে এসে তোমাকে বলবো।
“বলছোতো?
“হ্যাঁ বলছি।
.
রাত একটা বিছানা থেকে উঠলাম।তাহাজ্জতের নামাজ পড়বো
এতো টেনশন হচ্ছিলো যে একটু ঘুমাতেও পারিনি। ওযু করে এসে নামাজ পড়তে বসলাম।আল্লাহর কাছে খুব কাঁদলাম।নিজের স্বপ্নের জন্য নয় বাবা মায়ের স্বপ্নের জন্য।তাহাজ্জতেরর নামাজ পড়ে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরলাম।মাঝরাতে যেইমাত্র চোখটা বুজেছি ঠিক তার কিছুক্ষণ পরে ফজরের আজান দিলো।উঠে নামাজ পড়ে একটু বাহিরে ঘুরাঘুরি করলাম।এই করতে করতে কলেজের টাইম হয়ে গেলো।খুব নার্ভাস লাগছে।জানিনা কি লেখা আছে কপালে।
.
“তৃষ্ণা তুমি যাও গিয়ে দেখে এসো।
“যাচ্ছি তুমি এইখানে ওয়েট করো।
কিছুক্ষণ পরে তৃষ্ণা আসলো তবে মোন খারাপ করে তবে কি আমি ফেইল করছি নাকি ওর রেজাল্ট খারাপ আসছে নানান চিন্তা মাথার ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছে।
“রাকিব এখন যে কথা বলতে যাচ্ছি সেটা শোনার জন্য তুমি প্রস্তুত নও।রাকিব তুম…..
“হ্যাঁ আমি…..
“তুমি গোল্ডেন এ প্লাস পাইছো(বলেই খুশিতে লাফাতে থাকলো।
আমি কি করবো বুঝতে পারছিনা।কিছু বুঝতে না পেরে তৃষ্ণা কে ধরে কেঁদে দিলাম।
“এই পাগল আমি বলেছিলাম না তুমি একদিন তোমার বাবা মা’র মুখ উজ্জল করবা।
.
তারপর ফোন দিয়ে বাবা মা’কে জানালাম।তারা তো খুশিতে আত্মহারা। তৃষ্ণা এ প্লাস পাইছে।ও খুব খুশি।তারপর আমাদের আসলো কঠিন বাধা তৃষ্ণা পাবলিক ভার্সিটি তে টিকলো না কিন্তু আমি টিকে গেলাম।ও একটা প্রাইভেট ভার্সিটি তে ভর্তি হলো আর আমি পাবলিক ভার্সিটি তে।অনার্স প্রথম ইয়ারটা ভালো গেলেও দ্বিতীয় ইয়ার ভালো যায়নি। যেখানে দুইটা টিউশনি করাতাম সেখানে এখন চারটা নিছি ছাত্র আমি ভালো হওয়ার খাতিরে এইসব টিউশনি পেতে কষ্ট হয়নি।আর যেসব ছাত্র আমার কাছে পড়েছে তারা খুব ভালো ছাত্র তাই বেশী কষ্ট করতে হয়নি।দেখতে দেখতে অনার্স কমপ্লিট করার পাশাপাশি মাস্টার্স ও করলাম। আমি আমার লক্ষ পূরণ করতে পেরেছি।আমি আমার বাবা-মা এর স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি। আমার এতদূর আসার পিছনে তৃষ্ণার অবদান টা অনেক।ওর সাথে শেষবার যখন কথা হয়েছিলো তখন বলেছিলো”আমি অপেক্ষা করবো তোমার ঠিক এইখানে”এখন শুধু দেখা তার এই প্রতিশ্রুতি সে কতোটা রেখেছে।তার আগে যে আমাকে একটা চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে।
.
অনেক খাটাখাটি করার পর একটা চাকরি পেয়েও গেলাম।এমনি এমনি এমনি পাইনি চার লক্ষ টাকা ঘুস দিয়ে একটা চাকরি পেয়েছি।আমি পেরেছি আমার বাবার দুঃখ মুছতে।সত্যিই আমি আজ খুব গর্বিত।
.
চলে গেলাম সেই চিরোচেনা নদীর পাড়ে যেখানে দারিয়ে উপরের কথা গুলো বলেছিলো।পাগলিটা একবুক অভিমান নিয়ে বসে আছে।
.
“হাই আপনি কি কারো উপর অভিমান করে আছেন?
“না বিরক্ত করেন নাতো।
“ম্যাডাম এইদিকে তাকাবেন একটু।
“তু তু তুমি(সাথে সাথে পাগলিটা আমাকে জরিয়ে ধরে কেঁদে দিলো)যাও তোমার সাথে কোন কাথা নেই।তুমি খুব পচা ছেলে।
“হ্যাঁ তো আমি খুব পচা।আমি আমার পাগলির পচা।
.
আমি দেখতে শুনতে ভালো তার পাশাপাশি চাকরিও করি তাই তৃষ্ণার বাবা আমাদের বিয়ে দিতে অমত হননি।বিয়েটাও সম্পন্ন হলো।তৃষ্ণা বাড়িতে আসার পরে সে বাবা মাকে সবসময় আনন্দে রাখতো।দুই বছর পরে তৃষ্ণার কোলজুরে এলো আৃার ছোট্ট মাম্মাম রাইমুন তানজিম।বাবা মা তো তাদের সংসারে আরেকটা অথিতী পেয়ে ভিসন খুশী।
গল্পের বিষয়:
ভালবাসা