রাকিবঃ- বাঃ আজ তোমাকে হেব্বি লাগতেছে তো। কিন্তু কপালে কালো টিপ কেনো পড়োনি।যদি চোখে কাজল দিতে মন্দ হতো না। আর হাতে এইসব কি পড়েছো। যদি কাঁচের চুড়ি পড়তে তাহলে আরো ভালো লাগতো
তানিশাঃ- আমার যা ইচ্ছা হয়েছে আমি তাই পড়েছি তাতে তোমার কি।
রাকিবঃ- আমার তেমন কিছুই না ।কিন্তু আমি যা যা বললাম তুমি যদি সেগুলো পড়তে তাহলে তোমাকে আরো সুন্দর লাগতো
তানিশাঃ- তাই নাকি
রাকিবঃ- হুম
তানিশাঃ- তো এত রাতে তুমি এখানে কি করো
রাকিবঃ- আমারোতো একই প্রশ্ন এতো রাতে তুমি এখানে কেনো
তানিশাঃ- পূর্ণিমার চাঁদ দেখতেছি কিন্তু তুমি ?
রাকিবঃ- আমিও চাঁদ দেখতে এলাম!
তানিশাঃ- তাহলে দেখো কিন্তু এভাবে ড্যাব ড্যাব করে আমার দিকে তাকিয়ে আছো কেনো
রাকিবঃ- চাদ দেখতেছি
তানিশাঃ- মানে আমি কি চাদ নাকি
রাকিবঃ- হুম ঐ আকাশের চাদের চেয়োও তোমাকে অনেক সুন্দর লাগে
তানিশাঃ- হয়ছে এবার চুপ করো
রাকিবঃ- তো তুমি ঐ আকাশে চাদের দিকে তাকিয়ে কি ভাবছিলে ?
তানিশাঃ- ভাবছিলাম যদি কোনো দিন ঐ চাদটাকে ছুঁতে পারতাম!
রাকিবঃ- এতো খুবি সহজ চাদের কাছে চলে যাও
তানিশাঃ- কিন্তু কিভাবে ?
রাকিবঃ- তুমি সাঁতার জানো ?
তানিশাঃ- নাতো
রাকিবঃ- সাঁতার শিখবে
তানিশাঃ- হুম শিখবো কিন্তু কে শেখাবে
রাকিবঃ- কেনো আমি !
তানিশাঃ- কিভাবে শেখাবে
রাকিবঃ- তোমাকে এই ব্রিজ থেকে পানিতে ফেলে দিই। যদি তুমি তীরে উঠতে পারো তাহলে তুমি সাঁতার শিখে যাবে আর যদি উঠতে না পারো তাহলে ঐ চাদের কাছে চলে যাবে।।
তানিশাঃ- তুমি কি কোনো দিনও সিরিয়াস হবে না
রাকিবঃ- আচ্ছা ছাড়ো ঐসব কথা চলো একটু হাটি
তানিশাঃ- না আমি তোমার সঙ্গে হাটবো না।
রাকিবঃ- কেনো
তানিশাঃ- এতো রাতে আমাকে তোমার সাথে কেউ দেখে ফেললে খারাপ ভাববে।।
রাকিবঃ- এতো রাতে আমার সঙ্গে কথা বললে বুঝি কেউ খারাপ ভাববে না
তানিশাঃ- আচ্ছা চলো দু জনে ব্রিজ থেকে নেমে পূণিমার রাতে পাশাপাশি হাটতে শুরু করলো আর তারা বলতে শুরু করলো হাজারো কথা
তানিশাঃ- আচ্ছা তুমি এত অবুঝ কেনো কিছুই কি বুঝ না
রাকিবঃ- কি বুঝবো বলোতো
তানিশাঃ- আচ্ছা তুমি কি কখনো আমাকে ভালো করে দেখেছো
রাকিবঃ- হ্যা দেখেছিতো একবার না অনেক বার
তানিশাঃ- মিথ্যে কথা ; তুমি এত সুন্দর করে মিথ্যা কথা বলতে পারো জানতাম নাতো
রাকিবঃ- জানো সকল কিছুর মাঝে একটা সৌন্দর্য থাকে
তানিশাঃ- মানে
রাকিবঃ- এই যেমন কেউ সুন্দর করে সত্য কথা বলতে পারে কেউ সুন্দর করে মিথ্যা কথা বলতে পারে আবার কেউ সুন্দর করে ভালোও বাসতে জানে।
তানিশাঃ- তাহলে তুমি কোনটা জানো।
রাকিবঃ- আমি সবগুলোই পারি
তানিশাঃ- তুমি ভালোও বাসতে পারো নাকি।। হুম
রাকিবঃ- হ্যা পারি কেনো সন্দেহ আছে নাকি
তানিশাঃ- তুমি কি কাউকে ভালোবেসেছো
রাকিবঃ- না না সেই সুযোগটা কোনো দিন হয়নি
তানিশাঃ- মানে
রাকিবঃ- তেমন কাউকে পায়নি
তানিশাঃ- আচ্ছা তোমার কেমন মেয়ে পছন্দ
রাকিবঃ- ঠিক তোমার মতো।
তানিশাঃ- কি বলো এসব
রাকিবঃ- জানো তোমাকে একটা কথা বলার ছিলো কিন্তু বলার সাহস হয়নি
তানিশাঃ-তো আজ হঠাৎ কেমনে এত সাহস আসলো মশায়
রাকিবঃ- আসলে একটু একটু করে সাহস জমিয়েছি তোমাকে যেটা বলতে চেয়েছি বলি
তানিশাঃ- থাক আর বলতে হবে না
রাকিবঃ- কেনো
তানিশাঃ- তুমি যেটা বলবে আমি জানি ।।হিহিহি
রাকিবঃ- কি জানো
তানিশাঃ- সেটা কি বলতেই হবে
রাকিবঃ- হ্যা আমি জানে চাই নইলে রাতে ঘুম আসবে না।।
তানিশাঃ- ওকে বাবা বলছি
রাকিবঃ-হ্যা তাড়াতাড়ি বলো
তানিশাঃ- তুমি আমাকে ভালোবাসো তাই না
রাকিবঃ- কি করে জানতে
তানিশাঃ- তোমার ঐ দু চোখ দেখেয় বুঝতে পেরেছি
রাকিবঃ- ও তাহলে সব বুঝেও এত দূরে ছিলে কেনো
তানিশাঃ- কোনো উপায়তো ছিলো না
রাকিবঃ- তোমার জন্য আমার ঘরের দরজা সব সময় খোলা ছিলো না মানে থুক্কু তোমার জন্য আমার মনের দরজা সব সময় খোলা ছিলো
তানিশাঃ- তবে কি তুমি আমাকে আগে থেকেই ভালোবাসতে
রাকিবঃ- না না আমি তোমাকে ভালোবাসতাম না
তানিশাঃ- তোমার বুকে হাত রেখে বলতে পারবে যে তুমি আমাকে ভালোবাসতে না রাকিব ও তানিশা দুজনেই কিছু সময়ের জন্য নিরব হয়ে যায়। নিরবতা ভেঙ্গে রাকিব তানিশাকে বলে উঠে
রাকিবঃ- আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরতে পারি
তানিশাঃ- আমিতো মানা করিনি।। অভিমানী সূরে তানিশা বলে উঠে রাকিব তানিশাকে তার বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে রাখে আর তানিশা কাদতে কাদতে বলতে থাকে
তানিশাঃ- আমাকে এই ভাবে সাড়া জীবন তোমার বুকের মাঝে জড়িয়ে রাখবে তো
রাকিবঃ- হ্যারে পাগলি আমি তোমাকে সাড়া জীবন জড়িয়ে রাখবো আমারি এই জীবনে
I Love You
তানিশাঃ- I Love Too Sona! I Love You Too