আমার হাড়ঁ কিপ্টে প্রেমিকা

আমার হাড়ঁ কিপ্টে প্রেমিকা

সেদিন রেস্টুরেন্টে বৃদ্ধ ক্যাশিয়ার চাচাকে বিল দিয়ে চলে আসতে যাবো আর তখনই উনি আমাকে বললেন, বাবা, এই দুই বছর ধরে তুমি নিয়মিত আমার দোকানে আসো, একটা কথা জিজ্ঞেস করবো করবো করে করা হয়ে ওঠেনি। তুমি যদি কিছু মনে না করো, তাহলে একটা প্রশ্ন করতাম। আমি বললাম, জ্বী চাচা, অবশ্যই করেন। ততক্ষণে আমার প্রেমিকা রেস্টুরেন্টের বাইরে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। চাচা জিজ্ঞেস করলেন, বাবা, মেয়েটা কি তোমার স্ত্রী? আমি বললাম, না, আমাদের আসলে ৩ বছরের প্রেম, বিয়ে হয়তো খুব শীঘ্রই করবো, কিন্তু কেন বলেন তো?

আসলে, আজ দুই বছরে তাকে কোনোদিন বিল দিতে দেখলাম না, এই কারণে আরকি! চাচার প্রশ্নে বিব্রতবোধ করলাম, বয়স্ক মানুষ বলে কিছু বললাম না। উনাকে বললাম, চাচা, এটা তো আমাদের ব্যক্তিগত বিষয় কিন্তু আপনি মুরব্বি বলে আপনাকে বলছি, আসলে মাঝেমধ্যে ও জোর করে খাওয়া শেষ হলে আমার হাতে টাকা গুজে দেয়, নিজের থেকে এসে দেয়না, আমাকে দেয়, আমি বিল দিয়ে দিই। কিন্তু আমার মনের কথা আর বাস্তব কথাটা আজ আপনাদের বলি, আসলে আজ এত বছরেও আমার প্রেমিকা কখনোই একটাবারের জন্যও বিল দেয়নি কিংবা আমাকে বলেওনি যে আচ্ছা, আজ নাহয় বিলটা আমিই দিয়ে দিচ্ছি। শুধু বিল না, যেকোনো কিছু কেনার ক্ষেত্রে।

ওহ! আজ তিন বছরে আমি গিফট দেয়াতে সেঞ্চুরি করে ফেললেও আমার তিনি কিন্তু এখনো গিফটের খাতাটাই খোলেননি। আপনারা আবার ভাববেন না যে আমার প্রেমিকা গরীব, একদমই না। হাতে আইফোন, ব্যাগে ম্যাকবুক, ভার্সিটিতে আসা যাওয়া বাবার কিনে দেয়া গাড়িতে, শুধুমাত্র মেয়ে চড়বে বলে, মানে বুঝতেই পারছেন, আমার প্রেমিকা কোন সমাজে বাস করে। এত বড়লোক আর এত বড় মনের মানুষের মেয়ে কিভাবে এত কিপটা হয় সেটাই আমার মাথাতে আসেনা। আচ্ছা, বলাই তো হয়নি, আমার প্রেমিকা আমার বাবার বিজনেস পার্টনারের মেয়ে, শুধু বিজনেস পার্টনারই না বরং তারা দুজন কলেজ লাইফ থেকে বন্ধু।

তো আমার হবু শশুরের সাথে আমার সস্পর্কটা খুব বন্ধুত্বপূর্ণ, আমি উনাকে চাচা বলে ডাকি, আমাদের বিয়ের ব্যপারে কথা হয়ে গেলে একদিন চাচাকে জিজ্ঞেস করি, চাচা, আপনি এত দিলখোলা একটা মানুষ, অথচ আপনার মেয়ে এমন কিপটা কেন বলেন তো? চাচা শুনে হাসেন আর জিজ্ঞেস করেন, আচ্ছা, আসলেই কি আমার মেয়ে খুব কৃপণ? আমি বলি, হ্যাঁ, তাইতো! অনেক কৃপণ, এমন কৃপণ যে বলার ভাষা নেই। উনি আবার বলেন, তাহলে শুনে রাখো, তোমার যেমন বলার ভাষা নেই, আমারও নেই, আজ ২৭ বছর ধরে সংসার করে আসছি, এইবার বুঝে নাও।

চাচার কথা শুনে আমি বুঝলাম, আমার হবু বউ কেন আর কিভাবে এত কৃপণ যে সেদিন আমার গাড়ির তেল ফুরিয়ে গেলে আমার কাছে পর্যাপ্ত ক্যাশ ছিলনা সেটা দেখে জেনেও কেন আমাকে একটু সাহায্য করেনি অথচ বন্ধুকে বলে টাকা ম্যানেজ করে তেল ভরে মার্কেটে যাবার পর দেখি সে তার ব্যাগ থেকে কড়কড়ে কয়েকটা ১০০০ টাকার নোট বের করে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ঠিকই কিনে ফেললো, আমার কাছে টাকা আছে জানলে আমাকেই যে বলতো না পে করতে – কে জানে! ভাগ্যিস ক্যাশ ছিলনা, আবার দোকান কার্ডেও পেমেন্ট নিতনা।

তো, আমার প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, এখনও কি বুঝতে পারেন নি আমার প্রিয়তমা প্রেমিকা ওরফে হবু বউ কেন এত কিপটা? কারণ, তার মা। মানে আমার হবু শাশুড়ি সারাজীবন এমন কিপটামি করে এসেছেন বলেই নাকি তারা এত টাকা পয়সার মালিক! – আমার বাবার ধারণা এটি, কারণ, আমার মা আবার কিপটামি করতে পারেনা, আমিও আমার মায়ের মতন, আমাদের দুজনার খুব মিলে, আসলে যা বুঝলাম যে আমার সাথে আমার প্রেমিকার বিয়ে হলে আমার আর আমার মায়ের খুব যন্ত্রণা হলেও আমার বাবা আর আমার বউ এর খুব মিলবে! দেখেন তো, আমি কতটা বেখেয়ালী? এখন পর্যন্ত আমার প্রেমিকা ওরফে হবু বউ এর নামটাই বলা হলোনা, ওর নাম সাদিয়া। আমার কৃপণতা একদমই ভালো লাগেনা, তাই সাদিয়ার সাথে এই ব্যাপারে বলা উচিত বলেই ভাবছিলাম। কেননা, পরবর্তীতে সংসারে এটা নিয়ে ঝামেলা হোক সেটা আমি চাইনা।

সেদিন সাদিয়ার ফাইনাল ইয়ার এর ফাইনাল এক্সাম ছিল, শেষ করেই আমার বাসাতে এসেছে দেখা করতে আর দুপুরের খাবার খেতে। এসেছে আবার কয়েক কেজি মিষ্টি হাতে নিয়ে! ঘটনা কি? ঘটনাটা খুব খুশির, ফাইনাল এক্সাম শেষ হলোনা আর অমনি সে একটা বড়সড় খুব পরিচিত কোম্পানিতে উচ্চপদে চাকরিও পেয়ে গিয়েছে, আপনারা আবার ভাববেন না যে সে প্রভাবশালীর মেয়ে বলে চাকরি জুটিয়ে ফেলেছে, আমার কথা তো বিশ্বাস করবেন তাইনা? আসলে ও অনেক মেধাবী। অনেক বেশী, ঠিক তার কৃপণতার মতই।

তো সেদিন আর বলা হলোনা, অগত্যা সে আমাকে নিয়ে বাইরে বের হতে চাইলো, আমি আমার অফিসে জানিয়ে দিয়ে ওর সাথে বের হলাম, সে আমাকে নতুন একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে এলো লাঞ্চ করবে বলে। ভালো কথা, যে মেয়ে এটা চিন্তা করে যে বাসায় খেলে টাকা বাচঁবে, সে কিনা নিজের থেকে এসেছে রেস্টুরেন্টে! বাহ! ভালো তো ভালো না? ভালো হবে যদি কৃপণতা না করে আজ দয়া করে বিলটা দেয়, যদিও আমার দিতে সমস্যা নেই।

ভরপুর খাওয়া দাওয়া হলো, এমনিই মোটা তারপর আবার এত খাওয়া – ভাবলাম যাক একদিনই তো, সমস্যা নেই। ওয়েটার বিল দিয়ে গেল, অভ্যাসবশত মানি ব্যাগে হাত দিতে গিয়েছি আর অমনি সাদিয়া আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো, আজ থাক, চাকরিটা কনফার্ম হয়ে যাওয়ায় কোম্পানি আমাকে এক মাসের এডভান্সড স্যালারি দিয়েছে, আজ বিলটা আমিই নাহয় দিই বলে ও বিলটা দিয়ে দিল। আমি হা করে ওর মুখের দিকে চেয়ে থাকলাম, সেটা খেয়াল করে ও বললো, এই, কি হলো, আমার মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে আছো কেন? চলো। জিজ্ঞেস করলাম, কোথায়? শপিং-এ যাবে, আমি কেনাকাটা করবো, সবার জন্য।

সাদিয়ার এমন কথা শুনে আমার মাথা ঘুরতে লাগলো, একদিন স্যালারি পেয়েই এই অবস্থা? যাইহোক, আমাদের দুই পরিবারের জন্য সে ভরপুর কেনাকাটা করলো। আমার জন্য পাঞ্জাবী, শার্ট, ফতুয়া, জিন্স, এমনকি আন্ডারওয়ারটাও।
যাইহোক, মেয়ের এমন অবনতি দেখে হয়তো মেয়ের মা মানে আমার হবু শাশুড়ি হয়তো জ্ঞান হারিয়ে ফেলবেন ভেবেছিলাম, কিন্তু না, তিনিও মেয়ের কাছ থেকে গিফট পেয়ে যারপরনাই খুশি! উনারা খুশি দেখে আমিও খুশি।
পরের মাসের এক তারিখ থেকে ওর জব শুরু হয়ে গেল, এদিকে আমারও অফিস, বাবার বা আমাদের ব্যবসা দেখভাল করা লাগে! আমাদের অফিস টাইম কাকতালীয়ভাবে মিলে গেলে আমি আর ও একসাথে যাওয়া আসা শুরু করলাম, অদ্ভুত ব্যাপারটা কি শুনবেন? মেয়ে আমূল পালটে গেল এক চাকরি পেয়ে। যে মেয়ে দামাদামি করতে গিয়ে বিক্রেতাকে নাজেহাল করে ফেলতো, কাঁচা বাজারে গেলে ডিমের দাম ২-৪টাকা কম বেশি হলে দোকান পালটে ফেলতো কিংবা যে মেয়ে কোনোদিন সারাদিন আমার গাড়িতে ঘুরলেও গাড়ির তেল কিনে দেয়নি সে কিনা এখন পুরোটাই উলটো। লক্ষী ভর করেছে মেয়ের ওপরে।

তার এমন পরিবর্তন সবাইকে ভাবিয়ে তুললো একটা সময়। কারণ, একটা সময় এসে সে অতিরিক্ত খরচ করা শুরু করে দিল, অতিরিক্ত গিফট দেয়া, দরদাম না করেই অতিরিক্ত দামে দ্রব্যাদি কেনা – মোটকথাতে বেহিসেবীর মত খরচ যেটা কিনা – না আমার পরিবার পছন্দ করলো, না তার পরিবার। অবশেষে, বিষয়টি তার নজরে আনা হলে সে নিজের থেকে দুই পরিবার নিয়ে মিটিং ও ডিনার এরেঞ্জ করে, তাদের বাসাতেই, দুই বাড়িতে যারা কাজ করেন, তাদেরকে সহ!

সাদিয়া তার বক্তব্য শুরু করে তাদের বিশাল ড্রয়িং রুমেঃ আমি জানি তোমরা আমার বেহিসেবীপনাতে অনেক অনেক বিরক্ত, যদিও আমি আমার টাকাতে সব কিছু করি কিন্তু আমার ভুল থাকলে সেগুলোকে শুধরে দেবার অধিকার তোমাদের আছে। এখন আসি মূল কথাতে। আমি যখন হিসেব করে খরচ করতাম, তখন কেউ আমাকে অনেক ভালো চোখে দেখতে আবার কেউ কেউ আমাকে কিপ্টে-রাণী বলে সম্বোধন করতে। এখন কথা হচ্ছে, কেন আমি হিসেব করে চলতাম? কারণ, আমার নিজের কোনো ইনকাম ছিল না, আমি আমার বাবার টাকায় চলেছি সবসময়, বাবা এমনিতেই আমার সকল খরচ বহন করে থাকেন, সেখানে আমার যেটুকু প্রয়োজন, আমি ঠিক ততটুকুই ব্যবহার বা খরচ করবো, বাথরুমের টয়লেট পেপারের ব্যপারেও আমি হিসেবী হবো – ব্যাপারটা ঠিক অনেকটাই এরকম, কারণ, অপচয় করাটা সমীচিন নয় – সে কথা আমরা সকলে জানলেও কজনে বা মানি?

এই যে আমার হবু বর, তার কথায় বলি, তার সাথে আজ এতদিনের সম্পর্ক কিন্তু কেন কখনো কোনোদিন  রেস্টুরেন্টের বিলটা আমি দিতাম না? কারণ, আমার কোনো ইনকাম ছিলনা, তার মাসে বড় একটা স্যালারি পকেটে ঢুকে সুতারাং সেটাতে সমস্যা হবার কথা নয় তার। আবার আরেকদিনের কথা বলি, একদিন সে পেট্রোল পাম্পে গিয়ে দেখে তার কাছে ক্যাশ নেই, আমার কাছে থাকা স্বত্ত্বেও আমি কেন দিইনি? কারণ, আমি জানি তার এমনিতেই মনভোলা স্বভাব।

আমি চেয়েছি সে যেন পরবর্তীতে আর এমন ভুল না করে, আরো সতর্ক হয় নিজের ব্যাপারে।
তাছাড়া বাজারে গেলে কেন এত দামাদামী করি, কারণ, আমি জানি একটা পণ্যের দাম ৩০০০ টাকা, কেউ যদি সেটাকে ৬০০০ টাকায় বিক্রি করতে চায় তবে আমি সেখানে অবশ্যই দামাদামী করবো, যেদিন থেকে সেটা বন্ধ করে দিলাম, সেদিন থেকেই তোমরা আমার ব্যাপারে ধারণা পোষণ করা শুরু করলে যে আমি বেহিসেবী, আর কাঁচা বাজারে যাওয়াটা ছোট বেলা থেকে আমার অভ্যেস, বাবা বা মিজান কাকার (ওর বাবার গাড়ির ড্রাইভার) সাথে গিয়ে শিখেছি কিভাবে বাজার করতে হয়, কিন্তু সেখানেও কেন আমি হিসেব করি ৪-৫ টাকা? কারণ, আমি ১টাকারও মূল্য দিতে শিখেছি, এক পয়সা দুই পয়সা করে যেমন এক টাকা হয়, এভাবেই এক টাকা, দুই টাকা, শত টাকা করে করে লাখ আর কোটির জন্ম হয়, তোমার পকেট ভর্তি টাকা বলে তুমি ছোট অংককে পাত্তা দেবেনা, সেটা করলে রাজার ভান্ডারও বেশিদিন টিকবেনা। কিন্তু কোনো দিন কি দেখেছো গরীব কোনো রিকশাচালক এর সাথে রিকশা ভাড়া নিয়ে কিছু বলতে যখন গাড়ি সার্ভিসিং-এ থেকেছে, বরং ভাড়া ৫০ টাকা হলে আমি ১০০ টাকা দিয়েছি, আমি লজ্যিকাল মানুষ, এথিকাল ব্যপারগুলো চিন্তা করে থাকি!

আমি জানি আমাদের দুই পরিবারেই এমন সদস্য আছে যারা কিনা খরচের ব্যপারে একদম মাথা ঘামায়না আবার কেউ আছেন খরচ করতেই চায়না, এই না করতে চাওয়ার বা বেশি করতে চাওয়ার মধ্যে কারণ আছে, যেমন আমার ছোট বোন, সে ভাবে, আজ বাবার টাকাতে চলে বলে ইচ্ছা মত খরচ করবে কারণ বাবার অঢেল সম্পত্তি, আমার মা আবার উলটো, সে সংসার চালায়, সে জানে তার স্বামীর অনেক টাকা তারপরেও কেন সে নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্তের মত করে সংসারের হিসেব নিকেশ করে? কারণ, সে বিশ্বাস করে যে এক পয়সা দুই পয়সা করে সেইভ করলেই একদিন লাখপতি হওয়া যায়, কোটিপতি হওয়া যায়, সে কোনোদিন বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বা ফাইনান্স নিয়ে পড়েনি কিন্তু সে একজন স্টুডেন্ট এর চাইতেও হিসেব-নিকেশে অনেক প্রখর।

সুতারাং দিনশেষে আমি সবাইকে একটা কথায় বলবো, কোনোকিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়, আমার আচরণ দিয়ে আমি সেটাই বোঝাতে চেয়েছি। না ভালো অতিরিক্ত কৃপণতা দেখানো, আবার না ভালো অতিরিক্ত খরুচে হওয়া। আমাদের এমনটাই হওয়া উচিত যে আমাদের ঠিক যতটুকু প্রয়োজন আমরা যেন ঠিক ততটুকুই খরচ করি।
সাদিয়া তার কথা শেষ করলে আমরা সবাই হাত তালি দিই ও আমাদের ভুল আমরা বুঝতে পারি। এরপর থেকে আমাদের দুই পরিবারের মানুষদের মধ্যেই অনেক পরিবর্তন আসা শুরু করে খরচের ব্যাপারে।

এমনকি যারা বাসায় কাজ করেন তাদের মধ্যেও, আমাদের বাসায় ১০ বছর ধরে কাজ করেন ও থাকেন রমজান ভাই, প্রচুর খরচ করেন সিগারেট আর অন্যান্য খরচে, সেও এতটাই বদলে যায় যে দিনে অতিরিক্ত সিগারেট খাওয়া কমিয়ে টাকা জমিয়ে তার মা এর জন্য উপহার কিনে দেয়, গাড়ির তেল কেনার জন্য সে টাকা জমায়, আমি তার জন্য আমার গাড়িটা ছেড়ে দিই, কারণ, সে তার বাবা-মাকে নিয়ে ঢাকা শহর ঘুরে বেড়াবে। আবার সাদিয়ার ছোট বোন আমূল বদলে যায় বোনের সেদিনের কথায়, অহেতুক টাকা খরচ করা সে বন্ধ করে দেয়। আমার মা হয়ে যান আরো হিসেবী। ঈদে ৪-৫টা শাড়ি কেনার বদলে একটা কিনেন আর বাকিগুলার টাকা যাকাতের টাকার সাথে যোগ করে দেন। আমি আর আমার স্ত্রী সাদিয়ার দেশ ছাড়ার পর লাষ্ট আপডেট যেটা জেনেছি সেটা হলো, আমার মা একজন গরীব ছাত্রের পড়াশুনার সকল ব্যয় বহন শুরু করেছেন।

জয় হোক ভালোবাসার, জয় হোক সাদিয়ার। মনে রাখবেন, কোনোকিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। আমার কিপ্টে প্রেমিকা যে এমন শিক্ষা দেবে আমাদেরকে, তা আমাদের কল্পনারও বাইরে ছিল। সাদিয়া সন্তান-সম্ভবা, তার জন্য সকলেই দোয়া করবেন।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত