হোক না প্রেম একপাক্ষিক, তাতে কি এসে যায়!!না হয় তুমি অন্য কারোরই হলে,তা বলে কি আমার তোমাকে ভালোবাসতে নেই!!কেন ভালবাসব না!! ভালোবাসা কি বিনিময় প্রথা!! যে ভালোবাসা না পেলে ভালোবাসতে নেই… আমার তো কোন প্রত্যাশা নেই,,, তোমার থেকে…থাকবেই বা কেন বলতে পারো!! ভালোবাসা অনুভূতিটাই যে এমন যেখানে থাকে না স্বার্থ, আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশা, না থাকে দাবি, না কোনোরূপ চাহিদা..কেবল একা সে পড়ে থাকে নিজের অনুভূতিকে সম্বল করে… তাহলে আমার তোমাকে ভালবাসতে অসুবিধা কোথায়!!!!
যদি আজ, তোমার মুখে, তুমি অন্য কাউকে ভালোবাসো, এটা শুনে, আমাকে সরে যেতে হয়, তাহলে আমি এতদিন ধরে, তোমাকে কি ভালোবাসলাম!!! সেটাকে তো ভালোবাসা বলার থেকে, তোমার প্রত্যাশা বলা যেতে পারে.. ভালোবাসি তোমাকে.. আগামিতেও বাসব.. কি হয়েছে তাতে,, তুমি অন্য কাউকে ভালবাসো.. বাঁচতেই পারো..আমিও ভালোবাসব..প্রত্যাশা না রেখে, দূর থেকে, তাহলে তোমার সমস্যা থাকবে না এতদিন তো ঠিক ছিল পরী,, আমাকে এভাবে বারবার করে তোমার ভালোবাসার কথা শোনাতে না.. যখনই ফোন করতাম, ফোন তুলতে, কথা বলতে, মেসেজ করলে সাথে সাথে রিপ্লাই দিতে.. এখন কি হল তোমার!! যে যখনই ফোন করি, কথা বল,, কিন্তু শুধু তোমার ভালোবাসার কথা বল.. তুই কেন বোঝো না!!! তোমার ভালোবাসার কথা, বারবার শুনতে ইচ্ছে করে না…
সবই মানলাম পরী, তুমি কাউকে ভালবাসো.. কিন্তু আমার মনে হয় না, তুমি সত্যিই অন্য কাউকে ভালোবাসো বলে.. যদি বাসতে তাহলে, আমি যখনই ফোন করি না কেন, হয়তো সবসময় ধরতে পারতে না.. কখনো তোমার ফোন আমি বিজি পেতাম, এখনও পর্যন্ত, তোমার ফোন একবারের জন্যও আমি বিজি পাই না!!! আর ভালো লাগে না তোমায় ফোন করতে, পরী… সব সময় তোমার ভালোবাসার কথা শুনতে আমার ভালো লাগেনা… তুমি বোঝনা… আমি তোমাকে বলতে পারি না.. তাই না হয়, আর ফোন নাই করলাম, কী এসে যায় তাতে!!!!
-হ্যাঁলো…(আমি)
-বল… কি খবর..(পরী)
-কিসের আর খবর!! ফোন তো কর না…
-তুমিও তো কর না ফোন.. তুমি তো করতে পারতে…
-পারতাম কি.. আমিই তো করলাম.. কিন্তু তোমার কি ফোন করতে নেই!!!!!
-না,,তা কেন!!তা নয়.. করতেই পারি.. কিন্তু সময় করে যে উঠতে পারছি না..তাই জন্যে..
-হু….হু…
-সত্যি গো… বিশ্বাস কর.. ব্যাস এবার দেখবে, আমি করবো তোমাকে ফোন আগে…
-বেশ..দেখব..তা কেমন আছো!!!
-ভালো… তুমি কেমন আছো!!!
-চলে যাচ্ছে..একই রকম..
-হু… ভালো… তারপর বল…
-বলবে তো তুমি…
-কেন তোমার কি কিছু বলতে নেই!!!
-তা নয়.. ফোন তো তুমি করলে..
-ফোন আমি করেছি বলে, আমাকেই বলতে হবে!!!
-তা নয়…
-আচ্ছা, শোনো না পরী… আমি পরে কথা বলব তোমার সাথে..আজ রাখি..
-কেন!!
-একটু কাজ আছে পরী…
-একটু কথা বললে হয় না!!!
-আমি কাল ফোন করব আবার..এখন রাখি…
-আচ্ছা….
আজ, অনেকদিন পর, পরীকে ফোন করলাম.. হয়তো সেও প্রতীক্ষায় ছিল আমার জন্য.. তার কথা শুনে তো তাই মনে হলো.. ফোন রাখতে চাইছিল না.. যাইহোক আমার তো বেশ লাগল কথা বলে.. এখনোও কথা বলতে ইচ্ছে করছে যদিও…থাক,,আজ আর না,,কাল করব আবার…
-হ্যালো…(পরী)
-বলো, কি কর!!!(আমি)
-কিছু না… তুমি কি কর!!!
-দোকানে যাচ্ছি… ওষুধ কিনতে…
-কেন.. কি হয়েছে তোমার!!!!
-হালকা একটু জ্বর জ্বর,, মাথাব্যথা হচ্ছে…
-কিভাবে হল!!!
-জানি না…
-নিজের খেয়াল পর্যন্ত রাখতে পারে না…
-আরে, বলছো কেন!!! রাখি তো..হয়ে গেছে হঠাৎ… কি করব…
-কিছু না.. সাবধানে থেকো..
-তারপর বল…
-তুমি বল…
-Do you know!!!
-what am i know!!!
-i am in love….
-wow.. congratulations..
-thank you..
-who is the lucky one!!!
-pallabi
-good…
-হুমমম…
-তারপর বল.. কখন কিভাবে হল.. কেমন কাটছে!!!
-দারুন….
-বেশ… এখন ফোন রাখি.. পরে কথা হবে…
কি হলো ব্যাপারটা!! কিছুই বুঝলাম না… হঠাৎ ফোন রেখে দিল, রেগে গিয়ে… আবার ফোন করতে হবে, কিছু তো হচ্ছে ব্যাপারটা.. যা বুঝতে পারছি না আমি… যাই হোক, আজ ফোন করা আর ঠিক হবে না.. কাল করব না হয়…
-হ্যালো..(আমি)
-বল..(পরী)
-কি করছ!!!
-কিছু না..
-আচ্ছা..
-কি হল…
-কি হবে!!
-কিছু তো বল..
-পল্লবী কেমন আছে!!
-ভালো…
-বেশ..
-আমি কেমন আছি জানতে চাইলে না!!!
-তার জন্য পল্লবী আছে.. আমার জানার দরকার কি!!
-কেন!!
-ভালোই থাকবে, ভালো না থাকলে, থোরি ফোন করতে…
-রাগ করেছ!!
-না…
-ওওওও আচ্ছা এত রাগ!!!
-রাগিনি..
-হ্যাঁ তা বুঝতেই পারছি…
-ভালো নিজের বোঝা নিয়েই থাকো..
ভীষণ রাগ করেছে পরী.. বুঝতে বাকি নেই আর আমার..রেগে গিয়ে, ফোন কেটে দিল… ফোন করলাম আবার, কিন্তু ফোন কেটে দিল, ধরল না ফোন দুই-তিন দিন ফোন করলাম, কিন্তু একই অবস্থা.. ফোন কেটে দিচ্ছে, ফোন ধরছে না…এই মেয়েটা আমাকে আর কত জালাবে!! কিভাবে জালাবে..ওই জানে..থাক..এখন ওকে ফোন করে কোনো লাভ নেই.. কিছু দিন থাক পল্লবী,
সে আমার সাথে একই অফিসে কাজ করে.. ভালো মেয়েটা, নরম স্বভাবের, পরীর মত অত রাগারাগী, চঞ্চল মস্তিষ্কের মেয়ে না.. সেদিন পরীর মুখ থেকে শুধু তার ভালোবাসার গল্প শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে, রেগে গিয়েই ফোন রেখে দিয়েছিলাম..সেদিন ওই ঘটনার কিছুক্ষণ পরে পল্লবী আমার কাছে আসে, খুব সুন্দর লাগছিল তাকে দেখতে..স্বর্গের অপ্সরাও যেন ওর রুপে হার মানবে..কি হল বুঝলাম না, আমি ওর দিকে মোহিত হয়ে দেখছিলাম..এসে আমাকে বলে, ও আমাকে খুব ভালোবাসে… আমার কি হল জানি না.. আমি সম্মতি দিয়ে দিলাম.. পাগলিটা এসে জড়িয়ে ধরল আমাকে.. জানি না কি হল আমার..ওর প্রেমে পড়ে গেলাম আমি.. অদ্ভুত এক মেয়ে, সারাক্ষন আমাকে ঘিরে রাখে… কিন্তু আমার কোথাও যেন একটু শূণ্যতা বোধ..একা লাগে, ফাঁকা লাগে.. সবকিছু কাছে থেকেও কেন যেন নেই বেশ কিছুদিন হল পরীকে ফোন করি না..কথা হয় না ওর সাথে..আর ভালো লাগছে না ফোন করতে হবে ওকে..
-হ্যালো…(পরী)
-কি কর…(আমি)
-কিছু না..তুমি কি কর!!!
-তেমন কিছু না..
-পল্লবী কেমন আছে!!
-ভালো..
-তারপর বল..
-কি খবর তোমার!! কোন ফোন নেই,, চুপচাপ…
-কোনো খবর নেই…খবর তো তোমার..সব নতুন নতুন..
-হুমমম… কেমন আছো পরী!!!
-ভালো এইভাবে পরপর, টানা কয়েকদিন আমাদের কথা চলতে থাকে.. কিন্তু এর মধ্যে পরী আবার রেগে যায় আমার ওপর… কিভাবে!!!!ব্যাপারটা দাঁড়ায়, খানিকটা এরকম…
-হ্যালো…(পরী)
-কি কর…(আমি)
-কি আর করব!! তোমার অপেক্ষায় আছি..
-হা হা হা হা…love you…
-হা হা হা… ফাজলামি তে তুমিও কম যাও না..
-হা হা…
-বল তারপর..
-পরী,, তুমি না আমাকে তুই করে বলবে…
-কেন!! তুমি তে কি অসুবিধা!!!
-অসুবিধা নেই.. তবুও তুই করে বলবে…
-তুমি তো অভ্যাস হয়ে গেছে.. তুই এখনি হবে না..
-বেশ.. চেষ্টা কর…হয়ে যাবে…
-কেন তোমার তুমি তে কি অসুবিধা!!! তুমি বললে কি হবে!!!পারব না আমি তুই তুই করতে তোমাকে…(উত্তেজিত হয়ে)
-ঠিক আছে.. বলতে হবে না…
-(মুখের কথা কেড়ে নিয়ে)ওওওও…. বুঝতে পেরেছি..ঠিক আছে.. তুই করেই বলব…
-কি বুঝেছ!!!
-পল্লবী ভূল বুঝছে…
-ও হো…পরী ঠান্ডা হোও… তুমি, আমাকে তুমি করেই বোলো ফোন রেখে দেয় পরী… আমাকে আর কোনো কথা বলার সুযোগ দেয় না… ফোন করে যাই, ফোন কেটে দেয়.. ফোন তোলে না… দুই-তিন দিন পর, সে ফোন তোলে, কিন্তু মেয়ে আর তুমি করে বলে না আমাকে… তুই তুই করতে থাকে…
-কি হয়েছে তোমার বলতো!!!(আমি)
-কি হবে!!!(পরী)
-তুই তুই করছ কেন!!!
-তুই তো চেয়েছিলি, আমি তোকে তুই তুই করে ডাকি…
-কিন্তু আমি তো এও বলেছিলাম, তুমি’ করেই ডাকতে…
-না তুই-ই ঠিক আছে…
-না তুমি করে বলো…
-না এটাতেই ঠিক আছে….
-তাহলে কিন্তু আমিও তুই বলেই ডাকবো….
-তোর ইচ্ছা… আমি কি জানি…
-বেশ….
এই চলছে আমাদের তুই-তুকারি.. সেদিন রাতে ফোন করেছিলাম, মেয়ে স্বীকার করে ফেলে যে, ভালোবাসে আমাকে… আমি নাচব, গাইব না লাফাব,, বুঝতে পারছি না..মেয়েটা যে আমাকে কতদিন অপেক্ষা করালো, তার সীমা ও নিজেও বোঝে না.. আমার বুকের ভেতর হার্ট বিট দ্বিগুণ-চারগুণ হারে বাড়ছে..এত জোরে হচ্ছে যেন আমার কানে কেউ শত-সহস্র ড্রাম বাজাচ্ছে..আমি ওর সাথে দেখা করতে চাই…ও রাজি হয়ে যায়…আমি গিয়েই ওকে জড়িয়ে ধরি..আমার হার্ট বিট যে কমছে না..মাথা কাজ করছে না..জানি না কি করছি..জড়িয়ে ধরি..ওর এলো চুল আমার মুখের কাছে..পাগলিটাও আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে..ভালো লাগছে আমার..আমার যে ছাড়তে ইচ্ছা করছে না…আমি বলি ওকে,
-খুব ভালোবাসি…(আমি)
-আমিও খুব ভালোবাসি (পরী)
-যখন ভালোবাসিস আমাকে,তখন যেতে দিলি কেন আমাকে!!!
-আমি যখন ভালোবাসি,তখন আটকাতে যাব কেন!!!!
-আমি কিভাবে বুঝবো, তুই আমাকে এতটা ভালোবাসিস…
-কেন বুঝবি না!!!সব সময়, সব কিছু কি মুখে বলতেই হয়!!!(কেঁদে ফেলে পাগলিটা)
-(আমি ওর কপালে আলতো করে ঠোঁটের স্পর্শ দিয়ে, ওকে জড়িয়ে ধরে) ক্ষণিকের মোহে সব হয়ে গেছে বুঝতে পারিনি,, বোঝার আগেই হয়ে গেছে…
-আমিই কিভাবে বুঝবো তাহলে!!!(আমার বুকে মাথা রেখে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলে) (কিছুক্ষণ দুজনেই চুপ করে যাই..)
-পরী…..
-হুমমমম….
-খুব ভালোবাসি তোমায়.. আমি তোমারই ছিলাম..তোমারই থাকবো…
-হুমমম… কিন্তু পল্লবী…
-(আমি সত্যিই ভুলে গিয়েছিলাম পল্লবীর কথা, সত্যিই তো কি বলব…)……কথা বলব ওর সাথে…
-বেশ.. তোর ইচ্ছে.. আমার কিছু বলার নেই…
দুজন-দুজনকে জড়িয়ে ধরে থাকি বেশ কিছুক্ষণ…. বাড়ি ফিরি, পল্লবীকে ফোন করে সব বলি…(যদিও পরীর সাথে আজ দেখা হয়েছে তা বলি না..)এত বোঝদার মেয়ে সব বোঝে..সব মেনে নেয়… আমি খুশি হয়ে পল্লবীর বাধন ছেড়ে আমার ভালোবাসার কাছে যাই. সত্যি পল্লবী মেয়েটা খুব ভালো.. চুপ চাপ সব শুনলো, মেনে নিল.. মেয়েটার জন্য খারাপ লাগছে.. ওকে বললাম আমার সাথে যেন আর কখনো যেন, ও যোগাযোগ করার চেষ্টা না করে..সব মেনে নিল ও কোনো রকম বিরোধীতা না করে.. কি জানি সব ঠিক হলো কি না… সত্যিই তো মেয়েটার কোনো দোষ ছিল না.. জানি না..আর ভাবতে পারছি না..পরীকে, পল্লবীর ব্যাপারে সব জানিয়ে, ফোন সাইলেন্ট করে ঘুমিয়ে পড়লাম।।
পরের দিন যখন ঘুম ভাঙ্গল তখন দেখি ৫০টার ওপরে আমার ফোনে মিস্ কল..ম্যাসেজ বক্সে গিয়ে দেখি পল্লবীর একটা লম্বা মেসেজ.. তার সারমর্ম এই “তুমি আমাকে ছেড়ে কেন গেলে!! তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না..”সাথে আর একটা অজানা নম্বরের মেসেজ… তাতে লেখা, “পল্লবী বিষ খেয়েছে… ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি তাড়াতাড়ি চলে আয়…..রানু” …আমি আর কারোর সাথে কথা বলে, সময় নষ্ট না করে, হন্তদন্ত হয়ে ছুটে যাই হাসপাতালে.. গিয়ে দেখি পল্লবীর চিকিৎসা চলছে… ভীষণ রাগ হচ্ছে নিজের ওপর.. কাল কেন যে ফোনটা সাইলেন্ট করে ঘুমালাম,,,কে জানে.. ভীষণ ভয় হচ্ছে, চিন্তা হচ্ছে পল্লবীর জন্যে… ভগবান সুস্থ করে দাও ওকে..ওর যেন কিছু না হয়..পরীর ফোন আসে ইতিমধ্যে.. ফোন তুলে কেঁদে ফেলি আমি…
-কি হয়েছে তোর!!কাঁদছিস কেন!!(পরী)
-পল্লবী বিষ খেয়েছে.. কিছু বুঝতে পারছি না কি হবে…(আমি)
- কিন্তু ও এরকম করল কেন!!
-(পরীকে সব বললাম, বিস্তারিত ভাবে)
-চিন্তা করিস না..সব ঠিক হয়ে যাবে.. কিছু হবে না ওর..(এই বলে ফোন রেখে দেয়,পরী) আমি অপারেশন কেবিনের সামনে দাঁড়িয়ে আছি,, হঠাৎ দেখি পরী.. আমার সামনে এসে বলে, কি রে ঠিক আছিস তো!!!
-হুমমম.. কি হবে কিছু বুঝতে পারছি না…
-চিন্তা করিস না…
পল্লবীকে, কেবিনে দেওয়া হয়, বিশ পরিষ্কার করে দেয়া হয়েছে, stomach থেকে.. এখন আর কোনো বিপদ নেই, কিন্তু ওর জ্ঞান ফিরছে না… প্রায় 6 ঘন্টা কেটে গেছে… এখনো ধীরে ধীরে চোখ খুলছে… ডাক্তার এসে, আমাকে বলে, ওকে কোনরূপ মানসিক চাপ না দিতে… মানসিক চাপ ওর জন্য ক্ষতিকর…চোখ খুলে, আমাকে চিনতে পেরেছে ও… আমি ছুটে গিয়ে, ওকে জড়িয়ে ধরতে চাই, কিন্তু কোথাও যেন আটকে যাই, কিছু যেন বাধা কাজ করে.. পেছন থেকে পরী, আমাকে ঠেলে দিয়ে, বলে, কি হলো… দাঁড়িয়ে পড়লি কেন!!!যা, জড়িয়ে ধর… এই প্রথমবার, অবুঝ, অবোধ মেয়েটা বোঝদারের মত কথা বলল,, মনের সব কথা বুঝে গেল.. কিভাবে বুঝলো জানিনা.. কিন্তু বুঝে গেল,, ওর চোখে, আমি সম্মতিসূচক আভা পাই আমি গিয়ে, পল্লবীকে জড়িয়ে ধরি.. কেঁদে ফেলি..বলি…
-কি এসব!!! কেন করেছিলে এসব!!!!(আমি)
-(পল্লবী, আমাকে জড়িয়ে ধরতে ইতস্তত বোধ করে… পরীর, চোখের ইশারায় সম্মতি পেয়ে, আমাকে জড়িয়ে ধরে, কেদে ফেলে, বলে) পারতাম না তোমাকে ছাড়া থাকতে…
-তাবলে এই পথ বেছে নিতে হবে!!!
-আমি যে, আর অন্য পথ খুঁজে পাচ্ছিলাম না থাকার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু পারিনি দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে,
খুব কান্নাকাটি করতে থাকি তারপর কান্নাকাটি বন্ধ করে, যখন ছাড়ি দুজনকে,,, হাসপাতালের কোথাও খুজে পাইনা পরীকে..সে চলে গেছে আমার আর পল্লবীর, অদ্ভুতভাবে মিল করিয়ে দিয়ে,, সে চলে গেছে আমি পল্লবীকে জড়িয়ে ধরি পাগলিটা এখনো কাঁদছে…