সেদিন দেখলাম একটা মেয়ের ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট এসেছে আমার আইডিতে। সাথে একটা ম্যাসেজ ও ছিল। আইডির নাম ছিল Mahiya mahi
~ হাই কেমন আছেন.?
~ হ্যালো। ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন.?
~ ভালো আছি আপনার গল্প গুলো অনেক সুন্দর।
~ ধন্যবাদ।
~ আপনি পড়েন কিসে.?
~ আমি পড়ি ১০ ম শ্রেনিতে। আর আপনি?
~ আমি বি বিএস ১ম বর্ষে পড়ি।
~আচ্ছা ভালো।
~ ছোট ভাই তোমার গল্পগুলো তো অনেক সুন্দর।
~ আরে না আপু তেমন করে তো সাজাতে পারি না আপনারা একটু বেশিই পাম দেন।
~ আরে ছোট ভাই তোমার গল্প গুলো অনেক সুন্দর। তো এত অল্প বয়সে লেখালেখি করো লেখাপড়ার ক্ষতি হয় না।
~ আমার পড়ালেখা ভালো লাগে না। তবে বড় একটা লেখক হওয়ার প্রচন্ড ইচ্ছে আছে।
~ তাহলে পড়ালেখা করতে হবে,জানতে হবে তাহলেই বড় মানের লেখক হতে পারবা।
~ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিন্তু স্কুল পালাইছেন, কাজী নজরুল ইসলাম কিন্তু লেখাপড়া করেনাই হোটেলে থেকেছে। তাহলে তারা যদি না বড় লেখক,কবি, সাহিত্যিক হতে পারে তবে আমি নাজমুল কেন পারব না.?
~ পারবা পারবা তুমিও বড় লেখক হবা। তোমার মাঝে প্রবল আগ্রহ আছে। বুঝতে পেরেছি।
~ হুমম।
~ আচ্ছা বাই পরে কথা হবে।
~ আচ্ছা বাই। বিদায় নিয়ে চলে গেল মেয়েটি। তো কয়েকদিন পরে আমি গল্প লিখছি কিন্তু কি লিখবো তা আমার মনেই আসছে না । তো দেখি মেয়েটি আমাকে ম্যাসেজ দিয়েছে।
~হাই
~হ্যালো।
~কেমন আছো ছোট ভাই.?
~ আছি ভালোই। আপনি কেমন আছেন.?
~ আমিও ভালোই। লেখালেখি কেমন চলছে.?
~ ভালো না। কি লিখবো কিছুই মাথায় ধরে না একটা গল্প বলবেন একটু প্রথমে মিলিয়ে দিবেন.?
~ দেখো ভাই আমি গল্প বলতে পারি না। তবে পড়তে পারি।
~ এমন করেন কেন আপু বললে কি এমন মহা ক্ষতি হবে?
~ আমি পারি না কিছুই।
~ বলেন না।
~ আচ্ছা একটা গল্পের নাম বলে দিচ্ছি এটা লেখো.?
~ হুমম বলেন তাহলে।
~ গল্পের নাম ”কালো ছেলের প্রেম ” দাও।
~ তাহলে একটু বুঝিয়ে দিন কি দিয়ে শুরু করব আর কি দিয়ে শেষ করবো.?
~ এমন করে লিখো ছেলেটি মেয়েটিকে ভালোবাসতো কিন্তু মেয়েটি ভালোবাসো না কারন ছেলেটি কালো বলে। পরে আস্তে আস্তে তাদের মধ্য ভালোবাসা হলো কিন্তু শেষে ছেলেটি মারা গেল।
~ আচ্ছা ঠিক আছে আপু।
~ তবে এটা কিন্তু ঝিনুর গল্প গল্পে ঝিনুর নাম দিবা।
~ আচ্ছা আপু ঝিনু না দিয়ে নীলা দিলে হয় না.?
~ দাও তোমার খুশি মতো।
~ নাকি আপু আপনি মন খারাপ করলেন.?
~ না মন খারাপ কবরো কেন.?
~ আসলে কি জানেন আপু ঝিনু নামটা আমার ভালো লাগে না।
~ আচ্ছা ঠিক আছে।
এভাবে গল্পটি যখন লেখা শেষ তখন গল্পটি আগে ওনাকে দিয়েই পড়াই। ওনি বললেন তুমি আমাকে অপমান করলে। আমি আপু কি করে আপনাকে অপমান করলাম। মাহি বলল তুমি জানো না যে ঝিনু আমার নাম। আমি বললাম সরি আপু ভুল হয়ে গেছে তবে নামটি আমার ভালো লাগে নি। মাহি বলল ঠিক আছে। তারপর কিছুদিন পরেই মাহির একটা পোষ্ট আমার টাইমলাইনে আসলো। পোষ্টটি ছিল “সে গেলতো গেল,,,,,আর ফিরে এল না।” তো আমি একটা কমেন্ট করলাম। কে গেলো গো আপ.? তার তিনি রিপ্লে দিলেন তোর ভাইয়া। আমি রিপ্লে টা দেখি নি। তবে দেখি আমাকে ম্যাসেজ দিয়েছেন তিনি।
~ সরি।
~ কি হইছে সরি বলতেছেন কেন.?
~ আমার একটা পোষ্টে তুমি কমেন্ট করছিলা না
”কে গেলো” আমি সেখানে তোমাকে উত্তর দিছি তোর ভাইয়া তুই করে বলার জন্য সরি।
~ তো কি হইছে তাই সরি বলতে হবে আপনি তো আমার অনেক বড় তাই তুই করেও বলতে পারেন।
~ না গো ছোট ভাই তবে তুমি আমাকে তুমি করে বলবা ঠিক আছে।
~ আপনি তো আমার অনেক বড় এটা বললে আপনি তো মাইন্ড করবেন না।
~ আরে না। তুমি করেই বলবা ঠিক আছে.?
~ আচ্ছা ঠিক আছে আপু।
~ তো খেয়েছো কি আজ রাতে.?
~ আমি খেয়েছি তুমি খেয়ছো আপু।
~ হুমম খেয়ছি আমিও।
~ তো কি করেন আপু আপনি.?
~ আবার আপনি করে বলছো কেন.?
~ অহহ সরি আপু মনে থাকে না।
~ এ রকম ভুল যেন আর না হয়!
~ আচ্ছা আপু আমার আর হবে না।
~ ঠিক আছে কি করো এখন.?
~ কি আর করব বলুন শুয়ে শুয়ে তোমার সাথে চ্যাট করছি। আর তুমি কি করো.?
~ আমিও। আচ্ছা বাই কাল কথা হবে।
~ বাই।
এভাবে কয়েকটি রাত কথা বলতাম মাহির সাথে। একদিন স্কুলে খুবই বৃষ্টি হচ্ছে। ক্লাস হচ্ছে না তাই আমি ফেসবুক চালাচ্ছি আরেকটা রুমে। তখন আবার ম্যাসেজ দিলো মাহি।
~ কি করো ভাই।
~ কি আর করব আপু বৃষ্টি হচ্ছে স্কুলে তাই ক্লাস হচ্ছে না। আপনার সাথে আপাদত কথা বলছি।
~ এ বারিস কি পানি এ পানি কি বুধে তুজকো হে ডোনডে এ মিলনে কি কওসিস এ কওসিস কি পুরানী।
~ আপু আপনি তো বৃষ্টির দিনে একটা সুন্দর রোমান্টিক গান শুনালেন কি বলে যে আপনাকে ধন্যবাদ দেই মনটাই ফ্রেশ হয়ে।
~ এই ছেলে আবার আপনি করে বলিস কেন.?
~ সরি আপু সরি।
~ ঠিক আছে। মন কি খারাপ নীলার জন্য.?
~ ছিল এখন আর নেই গানটা শুনে। আচ্ছা আপু আবার ক্লাস শুরু হচ্ছে ক্লাসে যেতে হবে। বাই বাই আপু।
~ বাই।
এভাবে অনেক আড্ডা দিতাম আমরা প্রতিদিন রাত ২ টা ৩টা পর্যন্ত। ভালোই চলছিল আমাদের আড্ডা দেওয়া। প্রতিদিন রাতেই ২-৩ বার জিজ্ঞাসা করতো কি করি কি খেয়েছি কি না। তো একদিন রাতে ম্যাসেজ করছিলাম আমরা দুজনে।
~এই নাজমুল শোনো।
~ হ্যা বলো।
~ কাল থেকে রাতে আমি আর লাইনে আসব না।
~ কিহ কেন আসবা না।
~ আমার ভালো না।
~ না এটা তুমি করতে পারো।
তুমি না থাকলে প্রতি রাতে কে আমাকে বার বার বলবে কি করো, কে বলবে খেয়েছো কি না, আমি যদি বলতাম খাই নি তাহলে বার বার রিকুয়েষ্ট করে খাওয়াতে এখন কে এই অগোছালো ছেলেটাকে খাওয়ার জন্য রিকুয়েষ্ট করবে, কে সেই সুন্দর সুন্দর গান গুলো আমাকে শুনাবে, আবার গল্প লেখলে তুমি পড়ে আমাকে ববলতে অনেক সুন্দর হইছে, কে বলেে এইসব কথাগুলো।
~ তুমি না লেখক তোমার তো আমি ছাড়া আরো বড় বড় ফ্যান আছে।
~ আছে তো তাদের তো আমি বিরক্ত করি না, তারাও তো আমাকে তেমন বিরক্ত করে না তেমন। না তুমি যাবে না।
~ যেতে হবেই আমাকে যদি খুব বেশি মনে পড়ে তাহলে ০১৭৮০২৬……. এই নাম্বারে কল দিয়ো।
~ তবুই তোমার আমার কথা মনে পড়বে না।
~ পড়বে তো আমি আসব মাঝে মাঝে।
এভাবেই চলে গেল মাহি খুবই মিস করতাম মেয়েটিকে যেদিন গেল সেদিন আর লাইনে এল না আমারও খুব মনে পড়তে লাগল মাহি কে। আমি ফোন দিয়ে কথা বললাম আর রাজি করালাম ফেসবুকে আসতে। সেও রাজি হলো। এভাবেই চলছে তো চলছেই আমাদের প্রেম ভালোবাসা। একদিন ও থাকতে পারি না আমি মাহিকে ছাড়া। ভালোবেসে ফেলেছি মাহিকে।আর মাহিও। বড় তাতে কি হয়েছে ভালোবাসা তো ভালোবাসাই। কিছুদিন পর বিয়ে করবো দাওয়াত দিলাম সবাইকে এত কষ্ট করে পড়ার জন্য।