আমি তোমাকে ভালোবাসি

আমি তোমাকে ভালোবাসি

এতো সুন্দরী মেয়ে কখনো আমাকে প্রপোজ করবে কল্পনাও করতে পারিনি। মেয়েটা এখনো আমার সামনে সিনেমার নায়কদের মতো হাটু গেড়ে বসে আছে। হাতের কদম ফুলগুলো আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললোঃ

–আলিফ আমি তোমাকে ভালোবাসি…

মেয়েটার হাত থেকে ফুলগুলো নিয়ে বাম হাত দিয়ে তার ঘাড় ধরে ডান হাত দিয়ে পিঠের মধ্যে গুনে গুনে তিনটা কিল মারলাম। কিল মারার পর ঘাড়টা ছেরে দিতেই মেয়েটা ও মাগো বলে চিৎকার দিয়ে দৌঁড় শুরু করলো। আমি হাতের কদম ফুলগুলো তার পিঠ বরাবর ছুঁড়ে মারলাম মেয়েটা আবারো ও মাগো বলে চিৎকার দিয়ে বললো ব্যাটা খাচ্চর তারপর দৌঁড়ে পালালো। দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে একসময় দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে গেলো। আমি দাঁড়িয়ে রইলাম। এতোক্ষন স্বপ্ন দেখছিলাম, হঠাৎ ধাড়াম করে শব্দ হওয়ায় ঘুম ভেঙ্গে গেলো। চোখ খুলে দেখি ফ্লোরের মধ্যে শুয়ে আছি। কিন্তু বিছানা থেকে পড়লাম কিভাবে? দাঁড়া হয়ে দেখি রাত্রি আর মুহি হাঁসছে নিশ্চই এটা তাদের কাজ। ধমকের স্বরে বললামঃ

-মুহি আম্মু আমাকে কে ফেলে দিয়েছে? মুহি বললোঃ
–আব্বু আমি ফেলিনি আম্মু ফেলছে।রাত্রির দিকে তাকিয়ে বললামঃ

-সকাল সকাল মাথার তার ছিঁড়ছে নাকি?
–না তো…
-তাহলে বিছানা থেকে ফেলে দিলা ক্যান?
–তোমার মেয়ে বললো আম্মু আব্বুকে যদি বিছানা থেকে ফেলে দেই তাহলে কি আব্বু রাগ করবে? আমি বললাম জানিনা তোমার আব্বু রাগ করবে কি না। তাই ফেলে দিয়ে চেক করলাম রাগ করো কি না।
-তোর মাথা ঠিক আছে?
–এই খবরদার তুই তুকারি করবানা। মুহিকে বললামঃ

-আম্মু তোমার কান বন্ধ করো তো…
–কেন আব্বু?
-তোমার আম্মুকে গালি দিবো।মুহি দুহাতে নিজের কান চেপে ধরলো। রাত্রির দিকে তাকিয়ে বললামঃ
-তুই একটা বদমহিলা।
–তুই বুইড়া খাটাস, ডুগডুগি আলি, টিকটিকি, কঙ্কাল ছবির নায়ক…
-অক্কে অক্কে বৌ চুপ থাকো ডোন্ড টেক ইট পার্সোনালি, আই এম জাস্ট কিডিং…
–যাও ফ্রেশ হয়ে আসো নাস্তা দিচ্ছি…

নাস্তার টেবিলে গিয়ে চেয়ারে বসতে গিয়েই চেয়ারসহ ফ্লোরে ধপাস। কোমড়ে বেজায় লেগেছে। কোনমনে দাঁড়া হয়ে মুহির দিকে তাকালাম। কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই মুহি মুখ খুললোঃ

–আব্বু আমিতো কিছু করিনি, চেয়ার আম্মু ভেঙ্গে রেখেছে। রাত্রির দিকে তাকিয়ে বললামঃ
-ক্যান এমন করছিস? তুই চাসটা কি? আমারে মাইরা ফেলবি?
–আমার কি দোষ তোমার মেয়েই তো বললো আম্মু কেউ যদি ভাঙ্গা চেয়ারে বসে তাহলে কি হবে। তোমার মেয়েকে বুঝানোর জন্য চেয়ার ভেঙ্গে রেখেছি।
-হো মেয়ে যদি বলে আম্মু পেটের ভেতরে কি আছে তাহলে তো তুই আমার পেট কেটে মেয়েকে দেখাবি। বদমহিলা।
–খবরদার গালি দিবানা।
-দিলে কি করবা?
–আমার হাতের কাঁটা চামচ দেখছো, পেট ফুটো করে দিবো।
-ছিঃ ছিঃ বৌ ওসব বলতে নেই আমি তো ফান করছিলাম।

খাওয়া দাওয়া শেষ শুয়ে শুয়ে টিভি দেখছি। বৌয়ের কাজিনের বিয়ে তাই আজ ছুটি কাটাচ্ছি। বিয়ে বাড়িতে যাবো বিকালে তাই ভাবলাম বিকাল পর্যন্ত আরামে কাটাবো তা আর হলো কই মা মেয়ের অত্যাচারে বাসায় টেকা যাচ্ছেনা। মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে সন্যাসি হয়ে জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরি। এই যে এখন মা মেয়ে মিলে বায়না ধরছে লুকোচুরি খেলবে। শান্তি মতো একটু টিভি দেখবো সেটাও সম্ভব না। দাঁড়া এমন জায়গায় লুকাবো যে মা মেয়ে মিলে সারাদিন খুঁজলেও খুঁজে পাবিনা। আলমারির ভেতরে ঢুকে বসে থাকলাম। দশ মিনিট, বিশ মিনিট, আধা ঘন্টা হওয়ার পর বুঝতে পারলাম ডাল মে কুছ কালা হায়। ভেতর থেকে আলমারির দরজায় ধাক্কা দিলাম তারপর চিল্লানি শুরু করলাম বৌ কই গেলা। হারামিগুলো বাইরে থেকে তালা দিয়ে দিয়েছে। টানা দুঘন্টা আলমারির ভেতরে বসে থাকলাম তারপর বৌ এসে দরজা খুলে দিলো।

-এটা কেমন ব্যবহার?
–কেন কি হয়েছে?
-আলমারির দরজা বাইরে থেকে লক করে দিছো কেন?
–তোমাকে আলমারির ভেতরে কে লুকাই বলছে।
-তুমি বুঝলা কিভাবে আমি আলমারির ভেতরে লুকাইছি?
–কেন স্মরন নেই এর আগেও তুমি দুবার আলমারির ভেতরে লুকিয়েছিলে আর আমি বাইরে থেকে তালা দিছিলাম।
-মনে পড়ছে তুমি এর এগে আমাকে লক করে রেখে পার্লার গেছিলা। তারমানে আজকেও…
–জ্বী…
-আমার মানিব্যাগ কই? সত্যি করে বলো আটা ময়দার পেছনে কতো খরচ করছো। তোমাকে তোমার মেকআপের কসম।
–এই নাও তোমার মানিব্যাগ। দেখ আলিফ কতো খরচ করেছি করেছি জবাবদিহি করতে পারবোনা। আচ্ছা বলো তো আমাকে কেমন লাগছে?

-গতবছর তোমাদের চিড়িয়াখানা বেড়াতে নিয়ে গেছিলাম মনে আছে?
–হুম মনে আছে…
-বান্দরের খাচার সামনে গেছিলাম মনে আছে?
–হুম বান্দর তোমাকে দেখে তোমার দিকে পেছন করে বসে ছিলো। তুমি অনেক ডাকাডাকি করছিলা কিন্তু তোমার দিকে ফিরেও তাকায়নি।
-হ্যাঁ আসলে বান্দরটা আমাকে তার লাল পাছা দেখাচ্ছিলো আর বুঝাচ্ছিলো তোর বৌ যখন বেশি মেকআপ করে তখন তাকে দেখতে আমার পাছার মতো লাগে…

বৌয়ের হাতের রান্না যদি হাসি মুখে খাওয়া যায় তাহলে মাঝে মাঝে বৌয়ের হাতের মার হাসি মুখে খেতে হয়। এতে সংসারে সুখ বজায় থাকে। আমিও আদর্শ স্বামীর ন্যায় বৌয়ের কয়েকটা কিল ঘুষি চিমটি খেয়ে চুপ হয়ে গেলাম।
রাগের মাথায় যতো যাই বলি রাত্রিকে দেখে ক্রাশ খাইছি। বিয়ে বাড়িতে অনেকেই রাত্রির দিকে তাকাচ্ছে আর আমি জ্বলছি। এজন্যই এই মেয়েকে সাঁজতে দেইনা। মা মেয়ে কেমন সেঁজেগুজে একা একা বেড়াচ্ছে আমি কাছে গেলে বলছে দূরে থাকো। এ কেমন বিচার। তারপরেও বৌ আর মেয়ে পিছু পিছু ঘুড়ছি হঠাৎ পেছন থেকে কেউ পাঞ্জাবী ধরে টান দিলো, গালি দিতে যাচ্ছিলাম কিন্তু দিতে পারলাম না কেননা তিনি দাদি শাশুড়ি হবেন।

-দাদি আসসালামুআলাইকুম…
–কে রে তুই তখন থেকে দেখছি আমার নাতনীর পেছন পেছন ঘুড়ছিস। লাথি চিনস ছ্যাচড়া পোলা…
-দাদি আপনি মনে হয় আমাকে চিনতে পারছেন না।
–তুই কি বারাকওবামা যে সবাই তোকে চিনবে।
-দাদি আমি আলিফ।
–কোন আলিফ…
-রাত্রির বর মুহির আব্বু আপনার নাত জামাই।
–প্রমাণ কি?
-বুড়ি তুই কি গাজনি হইছস চিনতে পারসনা। আমাদের বিয়ের সময় তো নাগিন ড্যান্স দিছিলি। এখন আমারেই চিনস না…

–এবার চিনছি…
-চিনলেন ক্যামনে?
–শুনছিলাম রাত্রির বর বেদ্দপ, মুখে কিছু আটকায় না।
-দাদি আমি তো মজা করে বলছিলাম…
–আচ্ছা নাতজামাই শোন পাত্রের ঘরে যা তো, একটু সমস্যা হইছে।
-কি সমস্যা?
–গেলে বুঝবি যা।

রাত্রির এই কাজিনটা কালা, নিগ্রো কালা। তাই অনেক কষ্টে বিয়ে ঠিক হইছে। সমস্যা হলো বিয়ের পাঞ্জাবী তার এতো ছোট হয়েছে যে পাঞ্জাবীকে ফতুয়া মনে হচ্ছে। তার চেয়ে বড় সমস্যা কফি কালারের পাঞ্জাবী পড়ার কারনে রাতের বেলা তাকে চেনা মুশকিল হয়ে গেছে। খালি যখন দাঁত বের করে হাঁসছে তখন বুঝা যাচ্ছে এইডা মানুষ। বিয়ের খুশিতে নিজের বাপকে ধরে চুমু খেয়ে বললোঃ- আব্বা থ্যাংকু বিয়ে দেয়ার জন্য। উম্মাহ্ উম্মাহ্…

-সালা কি অবস্থা?
–দুলাভাই বিয়ে করতেছি।
-সালাবাবু মানমে লাড্ডু ফুটা?
–জ্বী দুলাভাই…
-ভালো কথা। কিছু কথা বলে দেই স্মরন রাখবা।
–কি কথা?
-বিয়ের পরে বৌ ধরে যদি কখনো মারে বাইরে কাউকে বলবানা। ইজ্জত থাকবোনা। ঘরের ভিতরে মাইর খাইলে সমস্যা নাই।
-অক্কে দুলাভাই…

ঘর থেকে বের হওয়ার আগে সালাবাবু খুশিতে আমারেও দুটা চুমা খেলো। বড়ই বিপদ যাকে পাচ্ছে খুশিতে চুমা খাচ্ছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে বিবাহ ঠিক মতো হয়ে গেলো। কনে নিয়ে বাসা পৌঁছাতেই সালাবাবু গাড়ি থেকে বের হয়ে বললোঃ

-দুইটা ঝাকানাকা গান বাঁজাও। ওই সবাই নাচো। আব্বা আপনিও নাচেন। তারপর রাস্তায় শুয়ে নাগিন ড্যান্স শুরু করলো। রাত্রির কাছে গিয়ে বললামঃ

-তোমার বংসে কি সবাই পাগল?
–বাজে কথা বলবানা।
-নিজের বিয়েতে কে ড্যান্স করে?
–আমার কাজিন করে কোন সমস্যা?
-নাহ্ আমার কি সমস্যা হবে। তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে।

–তুই আমার কাছে আসছিস ক্যান। আমাকে না বান্দরের ইয়ের মতো লাগে। দূরে সর…
-এতো খাইসটামি করো ক্যান?
–কথা বলবিনা।
-কোন দুঃখে যে তোমাকে বিয়ে করছিলাম।
–আহা আমি বলে তোমাকে বিয়ে করছি নাহলে তোমার মতো খাটাসকে কোন মেয়ে বিয়ে করতোনা।
-অপমান করছো?
–না চ্যালেঞ্জ করছি। পারলে আরেকটা বিয়ে করে দেখাও।
-দেখ রাত্রি আমাকে চ্যালেঞ্জ করোনা। আলিফ করতে পারেনা এমন কিছু নাই…
–তো যাও না আরেকটা বিয়ে করে দেখাও। দেখি কতো পারো।
-ঠিক আছে। আমি যাচ্ছি বাসা ফিরে আমার নতুন বৌ দেখবা।

দুঘন্টার মধ্যে নতুন বিয়ে করবো। চ্যালেঞ্জ। রাত তখন বারোটা বাঁজে। শশুড় মশাই রাত্রি আর মুহিকে বাসা পৌঁছে দিলেন। আমি আর আমার নতুন বৌ দোলনায় পাশাপাশি বসে দোল খাচ্ছি। রাত্রি আমাদের দেখে হাতে ব্যাগটা ফেলে দিলো।

–এ তুমি কি করেছো?
-নতুন বিয়ে করেছি। তুমি না বললে।
–কাকে বিয়ে করেছো। আল্লাহ্ কি সর্বোনাশ হলো। তুমি সত্যি বিয়ে করেছো… নতুন বৌয়ের দিকে তাকিয়ে বললামঃ

-বৌ যাও তোমার বড় বোনকে সালাম করে দোয়া নাও। রাত্রি থরথর করে কাঁপছে। নতুন বৌ রাত্রিকে সালাম করতে নিচু হওয়া মাত্র রাত্রি টেবিল থেকে কাঁচের জগ নিয়ে মাথায় বাড়ি মারলো। নতুন বৌ উরিম্মা বলে অজ্ঞান হয়ে ফ্লোরে হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে পড়লো।

-রাত্রি কি করলা এটা।
–কি করলাম মানে। ওকেও মারবো তোকেও মারবো তারপর নিজে মরবো। তুই কোন সাহসে আরেকটা বিয়ে করলি। রাত্রি কান্না করছে আর কথাগুলে বলছে। মাঝে মাঝে কান্নার কারনে কথা বোঝা যাচ্ছেনা।

-তো কি করবো, কোন বৌ তার বরকে বিছানা থেকে চেয়ের থেকে এভাবে ফেলে দেয়?
–ফেলবোনা তো কি করবো। দুদিন ধরে ঘুমের মধ্যে বলছো মেয়েটা কতো সুন্দর। এতো সাহস ঘুমের মধ্যে অন্য মেয়ের প্রশংসা করো।
-ও এই কথা। তোর আলমারি বন্ধ করে রেখে পার্লার গেছো যে।
–তুমিই তো বলতে রাত্রি তোমাকে না সাঁজলে ভালো লাগে। তখন তুমি পিছু পিছু ঘুরো আমার ভালো লাগে তাই পার্লার যাই। তুমি তো টাকা দিতে চাও না কিপটা…

-আচ্ছা হইছে কান্না থামাও। দেখ মালটা আছে নাকি মরছে…
–মরুক… কতো বড় সাহস বিয়ে করবে।
-আরে তুমি বুঝছোনা ওটা তোমার সতীন না বাবা, ওঠা সেন্টু ভাই।
–মানে কি?
-আজব আমি চান্দের লাহান বৌ থাকতে নতুন বিয়ে করবো কেন। সেন্টু ভাইকে বৌ সাজিয়ে বসায় রাখছিলাম। তোমার রিয়েকশন দেখার জন্য।কথা শেষ হতেই সেন্টুভাই উঠে বসলো, সাথে সাথে কান্না শুরু করলো, হামকো মার দিয়া রে হামকো বরবাদ কার দিয়া।

-সেন্টু ভাই ঠিক আছেন আপনি?
–আমি কি স্বর্গে পৌঁছে গেছি? স্বর্গে এতো অন্ধকার কেন ভাই?
-আব্বে সেন্টু তুই বেঁচে আছিস। ঘোমটা টা সরা দেখ রুমে আলো আছে।

ঘোমটা খুলে রাত্রিকে দেখে সেন্টু ভৌঁ দৌড় দিলো। মারের ভয় কার নেই বলুন। রাত্রি তখনো কান্না করছে। শেষমেষ কাতুকুতুর আশ্রয় নিতে হলো। রাত্রি মুহি আর আমি তিনজনে ঘুম দিলাম ঘুম ভাঙ্গলো মাথায় সুড়সুড়িতে। চোখ খুলে দেখি রাত্রি আর মুহি আমার মুখের দিকে ঝুঁকে আছে। তাড়াতাড়ি উঠে বসলামঃ

-আজ দুজনে কি করছো?
–তোমার মেয়ে বললো আম্মু আব্বুর চুলগুলো যদি লাল কালার করি তাহলে কেমন দেখাবে…
-তারমানে তোরা দুইজন আমার চুল কালার করতেছিস?
–এখনো করিনি করবো এখন। এক দৌঁড়ে আলমারির ভেতরে ঢুকে আলামারির দরজা বন্ধ করে দিলাম। বাইর থেকে মুহি ডাকছেঃ

–আব্বু বের হওনা প্লিজ, একবার তো কালার করবো শুধু রাত্রি বলতেছেঃ
–আলিফ বের হওনা বাবু তোমার মেয়ে কতো আশা করেছে তোমাকে লাল চুলে দেখবে।
-ভাগ তুই ভাগ বদ মহিলা। বাইর থেকে মা মেয়ে দুজনের হাসির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এই দুইটা এতো বজ্জাত কিন্তু হাসি দুইটারই এতো সুন্দর ক্যান???

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত