ছেলে: হ্যালো!
মেয়ে: এই তুমি এতো কিপটে কেনো? কতগুলা মিসকল দিলাম, ব্যাক করলে না কেনো বলতো?
ছেলে: মোবাইলে ব্যালেন্স নেই!
মেয়ে: তো ইমারজেন্সি ব্যালেন্স এনে কল দিতে!
ছেলে: সেটাও শেষ!
মেয়ে: ওহহ,সকাল থেকে কল করছি, আর এই ভর দুপুরবেলা কল রিসিভ করলা!
ছেলে: ঘুমিয়ে ছিলাম!
মেয়ে: এতক্ষণ কেউ ঘুমায়? ওরে বিলাসিতা রে!
ছেলে: এটা বিলাসিতা না, এটা মানিব্যাগ খালি থাকার প্রতিক্রিয়া!
মেয়ে: মানে?
ছেলে: মানে ঘুমিয়ে থাকলে ক্ষুধা লাগে না!
মেয়ে: তার মানে তোমার কাছে, দুপুরে খাওয়ার টাকাও নাই?
ছেলে: না তবে ম্যানেজ করে ফেলছি, ২০ টাকা!
মেয়ে: বিশ টাকা দিয়ে কি খাবে শুনি?
ছেলেটি: বিশ টাকা দিয়ে, এক কাপ চা, দুইটা কেক আর একটা চকলেট খাবো! দোকানদার একটা ভাংতি দিতে পারবে তাই!
মেয়ে: এগুলা খাবা তুমি?
ছেলে: খাইতেছি!
মেয়ে: কোথায়?
ছেলে: টঙে বসে,সাথে বাংলা সিনেমা ফ্রি!
মেয়ে: কি সিনেমা?
ছেলে: হঠাৎ বৃষ্টি!
মেয়ে: কার? ভিন ডিজেল নাকি স্ট্যাটহামের?
ছেলে: ফেরদৌস!
মেয়ে: হা হা হা হা!
ছেলে: হাসো কেনো?
মেয়ে: এমনি,আচ্ছা একটা হেল্পকরবা?
ছেলে: কি বলো?
মেয়ে: তোমার বিকাশ এ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাচ্ছি। একটা লোক কে দিয়ে দিবা?
ছেলে: ঠিক আছে,দিয়ে দিবো!
মেয়ে: ওকে,এখন বাই!
ছেলে: ঠিক আছে,বাই!
এ্যাকাউন্টে ৩০০০ টাকা আসার পর ছেলেটি মেয়েটিকে কল দিলো….
ছেলেটিঃ হ্যালো,টাকা আসছে, কাকে দিবো?
মেয়েটিঃ একটা রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে এক প্যাকেট বিরিয়ানি কিনবা, কোক কিনবা আর বাকিটা পকেটে রাখবা!
ছেলেটিঃ তারপর?
মেয়েটিঃ ওগুলা খাবা!
ছেলেটিঃ তারপর?
মেয়েটিঃ তারপর হঠাৎ বৃষ্টি মুভিটা দেখবা!
ছেলেটিঃ তারপর?
মেয়েটিঃ পুরো মুভিটা শেষ হলে, মোবাইলে রিচার্জ করে আমাকে কল দিয়ে মুভির কাহিনী শোনাবা!
এটাই হলো প্রকৃত ভালবাসার বন্ধন। সর্বদা বয়ফ্রেন্ডের টাকায় নয়। বরং মাঝে মাঝে বয়ফ্রেন্ডকেও আর্থিক ভাবে কিছুটা পারলে সাহায্য করা দরকার!