নিরা আমার স্ত্রী

নিরা আমার স্ত্রী

নিরা। হ্যাঁ, নিরা আমার স্ত্রী। এক ঘন্টা পঁচিশ মিনিট আগে মারা গিয়েছে। আমার সাথে একটা, হ্যাঁ একটা কথাও না বলে মরে গেল। আমাকে একটি বারও বলে দিয়ে গেলনা এই ফুটফুটে সুন্দর পরীর মত মেয়েটাকে আমি কেমন করে রাখবো।

আমি গিয়েছিলাম মৌচাক মার্কেট। নিরার জন্যই যেতে হলো। নিরা বলে রেখেছিল, মেয়ে হওয়ার খবর শুনলেই তুমি মৌচাক মার্কেট থেকে আমার মেয়ের জন্য হলুদ রঙের খুব সন্দর একটা জামা কিনে নিয়ে আসবে। ওখানে ছোট বাচ্চার খুব সুন্দর সুন্দর জামা পাওয়া যায়। আমার হলুদ পছন্দ। প্রথমেই আমি এই হলুদ জামা পরা একটা পরী মেয়ে দেখতে চাই। আমি দেখতে চাই, তুমি হাসি হাসি মুখ করে আমার হলুদ পরী মেয়েটাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছো।

আমি জামা নিয়ে আসলাম বিয়াল্লিশ মিনেটের মধ্যে। হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে মৌচাক মার্কেট বিয়াল্লিশ মিনিট খুব কম সময়। আমি বিয়াল্লিশ মিনিটের মধ্যে গেলাম আর আসলাম। দৌড়াতে দৌড়াতে গেলাম। লোকজন আমার দিকে তাকিয়ে আছে। দুপুরবেলা টাডা পড়া রোদে একটা মানুষ দৌড়াচ্ছে। ঢাকা শহরে এই দৃশ্য বেশ বেমানান। তারপরও আমি দৌড়ে গেলাম মৌচাক। জামা নিয়ে এসে শুনি নিরা মারা গেছে।

আমি এখনও মেয়েটাকে দেখতে যাইনি। আমার সবকিছু কেমন উল্টা পাল্টা লাগছে। মনে হচ্ছে আমি একটা টিভির সামনে বসে আছি। বসে বসে সিনেমা দেখছি। কলেজে পড়ার সময় মেসে থাকতে বন্ধের দিন দুপুরবেলা খুব বাংলা সিনেমা দেখতাম। সিনেমার করুণ দৃশ্যগুলো দেখে আমি অনেকবার কেঁদেছি। মাঝে মাঝে হাউমাউ করে কাঁদতাম। কিন্তু আজ আমার একটুও কান্না পাচ্ছে না। হাসপাতালের লোকজনগুলো কি করুণভাবে আমার দিকে তাকাচ্ছে। মনে হচ্ছে তারা বাংলা সিনেমার করুণ কোন দৃশ্য দেখছে।

না, এটা সিনেমা হচ্ছে না। ডাক্তার এসে আমাকে নিরার মৃত্যু নিয়ে বিস্তারিত বললেন। নিরার প্রেগনেন্সিটা একটু জটিল ছিল এটা ঠিক কিন্তু শেষে এসে এমনটা হবে তা আমি কল্পনাও করিনি। যখন আমার মেয়েটাকে কোলে দিল তখন আমি ঠিক বুঝতে পারলাম। হ্যাঁ, আমি কোন সিনেমা দেখছি না। আস্তে আস্তে আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। মনে হচ্ছে সবকিছু ভেঙ্গে চুরমার হচ্ছে। আমার পালিয়ে যেতে খুব ইচ্ছে করছে। হাসপাতাল থেকে দুরে কোথাও পালিয়ে যাই। আমি বার বার ইচ্ছে করেই ভাবতে চেষ্টা করছি আমার কেউ নেই। নিরা নামের কোন মানুষকে আমি চিনিনা। আমি একা। আমি একা ছিলাম। আমি একা ছিলাম। আমি বার বার সবকিছু ভুলে যেতে চেষ্টা করছি।

ফুটফুটে পরীর মত মেয়েটা আমার দিকে চোখ পিটপিট করে তাকাচ্ছে। মেয়েটার দিকে তাকালেই আমার কান্না আসছে। ভীষণ কান্না। এই মেয়ে নিয়ে আমি কি করব? আমি কোথায় যাব? আমি ভয়ে কাঁদিনা। নিজের ভেতর সব কান্না চেপে রাখি। আমার মনে হচ্ছে আমি কাঁদলে এই মেয়েটা তার খুব ছোট্ট চোখ দুটি দিয়ে আমার কান্না দেখে ফেলবে।

দুই বছর আগে এপ্রিল মাসের পনের তারিখ নিরার সাথে আমার বিয়ে হয়। পরিবারের পছন্দেই বিয়ে। বিয়ের পর পরই নিরাকে ঢাকা নিয়ে আসি। বেশ ভালই চলছে আমাদের সংসার। ঢাকায় আমার আর নিরার আত্নীয় স্বজন বলতে খুবই হাতে গোনা। নিরার এক মামা থাকেন সাভারে। আমার ছোট খালুর কিছু আত্নীয় স্বজন ছাড়া আমার কেউ এই ঢাকায় থাকেন না। তাই শুক্রবার বন্ধের দিন আমি আর নিরা নিজের মত করে ঘুরি। বেশির ভাগই ঐ শিশু পার্কে। কেনজানি নিরা শিশুপার্কে যেতে বেশ ভালোবাসে। তার নাকি বাচ্চাদের দৌড়াদৌড়ি দেখতে বেশ ভালো লাগে। আমার আর কি করা। নিরার পছন্দেই শিশু পার্কে গিয়ে বসে থাকি। এই রাইড সেই রাইডের পাশে গিয়ে নিরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বাচ্চাদের খেলা দেখে। মাঝে মাঝেতো বেশ অস্তির হয়ে পড়ে নিরা। আমাকে বলে দেখেছো দেখেছো বাচ্চাটা কেমন করে দাঁড়িয়ে আছে। ও পড়ে যাবেতো। ও পড়ে গিয়ে ব্যথা পাবে।

নিরার কান্ড দেখে আমি হাসি। হাসতে হাসতে বলি। ধুর, তুমি এত চিন্তা করোনা। পাশে বাচ্চাটার মা দাঁড়িয়ে আছে। উনি শক্ত করে ধরে আছেন।

মুসর ডালের পিয়াজু আমার খুব পছন্দের। অফিস থেকে ফেরার পর নিরা রোজ দিনই আমার জন্য এই মুসর ডালের পিয়াজু ভাজে। মুসর ডাল শিল-পাটায় পিষতে হয়। নিরা একসাথে বেশ কিছু ডাল শিল-পাটায় পিষে ফ্রিজে রাখে। রোজদিন সন্ধ্যায় আমি অফিস থেকে ফিরলে পিয়াজু ভাজা হয়। মাঝে মাঝে বেগুনীও ভাজে নিরা। বেগুনী বেশ স্বাদের। এত স্বাদের বেগুনী আমি আগে কখনও খাইনি।

আমার আর নিরার খুব শখ আমাদের প্রথম সন্তান একটা মেয়ে হবে। এই নিয়ে নিরা আর আমি নানা পরিকল্পনা করতাম। মেয়েকে কোন স্কুলে ভর্তি কররো এই নিয়ে আমাদের মাঝে তুমুল তর্ক। সেই রাতে আমার উপর রাগ করে নিরা ভাত খায়নি। আমি অনেক জোর করলাম। তারপরও নিরার রাগ ভাঙ্গেনি। শেষে আমি মেনে নিলাম নিরার যেমনটা ইচ্ছে তা হবে। আমার কথা শুনে নিরা কেঁদে দিল। খুশিতে কাঁদল। আমি সেদিন ফজরের নামাজের পর আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম আল্লাহ যেন আমাদের একটা মেয়ে সন্তান দেন।

প্রেগনেন্সির প্রথমদিকে ডাক্তার আল্ট্রা করে বলল, এখনও ঠিক নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আরও কিছুদিন পর আল্ট্রা করলে সঠিক বলা যাবে। তবে এখন মনে হলো, বোধহয় ছেলে হবে।

ডাক্তারের কথাশুনে প্রথমে আমি আর নিরা একটু মন খারাপ করলাম। তারপর দুজন খুশি মনে মেনে নিলাম আল্লাহ যা দিবেন তাতেই আমরা খুশি। এরপর আমরা আর আল্ট্রা করিনি। ইচ্ছে করেই করিনি।

বাচ্চা ডেলিভারির দিকে এসে নিরার শরীরটা একটু জটিল হয়ে গেল। নিরার পেসার নামতে লাগল। ডাক্তার বলল, সিজার ছাড়া উপায় নেই।

সিজারটাও একটু জটিল হয়েছে। কিন্তু শেষে সবকিছু ভালোই হয়েছে। সিজারের পর ডাক্তার আমাকে বলল, আপনি মেয়ের বাবা হয়েছেন। বাচ্চার মায়ের শরীর একটু খারাপ তবে আশা করছি ঠিক হয়ে যাবে।

হ্যাঁ, আমিও জানি সব ঠিক হয়ে যাবে। নিরা আমাকে ছেড়ে যাবে এই বিষয়টা আমার মাথায় কিঞ্চিৎ পরিমাণেও আসেনি। কারণ এই ভাবনাটা আমি স্বপ্নেও ভাবতে চাইনা। মেয়ে হওয়ার খবর শুনে আমি খুশিতে কেঁদে দিলাম। আমি আর নিরা জানি আমাদের ছেলে হচ্ছে। এখন মেয়ে হওয়ার খবর শুনে আমি খুশিতে কাঁদছি। আমার বার বার নিরার চেহারাটা মনে পড়ছে। ভাবছি এই খবরটা শুনে নিরা নিশ্চয় হাউ মাউ করে কাঁদবে। মেয়েটা একটু খুশি হলেই কাঁদে। নিরার এই রোগটা আমার মধ্যেও ঢুকিয়ে দিয়েছে। এখন আমারও খুশিতে কান্না আসে।

আমার মনে পড়ে গেল নিরার সেই বায়নার কথা। মেয়ে হলে যেন হলুদ জামা কেনা হয়। সেই হলুদ জামা কেনা হলো ঠিকই কিন্তু আমার কোলে থাকা হলুদ জামা পরা ফুটফুটে পরীটাকে নিরা দেখতে পারল না। নিরার উপর আমার খুব রাগ হচ্ছে। খুব রাগ। নিরার উপর আমার রাগ আগেও হয়েছে। রাগ হলে আমি বারান্দায় নিরার লাগানো সাদা গোলাপ গাছটার তিন চারটা পাতা ছিঁড়ে দিতাম। এতেই নিরার শিক্ষা হয়ে যেত। আমি পাতা ছিঁড়ব বললেই আর উল্টা পাল্টা কাজ করতো না। এখন আমি কি করি। আমার যে এখন কিছুই করার নেই। আমি বুকের সাথে আমার মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরে বসে আছি। মেয়েটা ঘুমাচ্ছে।

হ্যাঁ চার বছর পর। আমি চার বছর পরের কথা বলছি।

আমি বিয়ে করেছি?

একেবারেই না। ঐ বিয়ের চিন্তা আমার মাথায়ও আসেনি। কতশত মানুষ একটা বিয়ে না করেও জীবন পার করছে। আমিতো একবার বিয়ে করেছি। আমার পরীর মত একটা মেয়ে আছে। পরীটার নাম মিতু। এই নাম নিরার পছন্দের। নিরা মারা যাওয়ার পর মিতুর নানী আমাদের সাথেই থাকে। আমাদের বাপ মেয়ের জ্বালায় তিনি মাঝে মাঝে মাঝে অস্তির হয়ে পড়েন। রাগারাগি করে মাঝে মধ্যে তার ভাইয়ের বাসায় চলে যান। তবে এই চলে যাওয়াটা তিনি বেশির ভাগ আমার অফিস বন্ধের দিনই করেন। আমি বুঝি। খুব বুঝি। তিনি কখনও মিতুকে একা রেখে যাবেন না। এই মানুষটা আমাদের বাপ বেটির বিশাল এক মায়ায় জড়িয়ে গেছেন।

নিরার মত মিতুরও প্রিয় জায়গা শিশুপার্ক। বন্ধের দিন আমরা বাপ মেয়ে এই শিশু পার্কে গিয়ে বসে থাকি। আমি একটা জিনিস দেখে বেশ অবাক হই। বেশ অবাক। মিতু দেখি তার মায়ের মত পার্কে রাইডে চড়ার চেয়ে দেখতে বেশ ভালোবাসে। মাঝে মাঝে দুই একটা চড়লেও বাচ্চাদের দেখেই সে বেশ আনন্দ পায়।

সেদিন আমি বেশ অবাক হলাম। ভীষণ অবাক। দোলনায় একটা বাচ্চাকে চড়তে দেখে মিতু অস্থির হয়ে চিৎকার করে বলতে লাগল, বাবা দেখ, দেখ ঐ বাবুটা পড়ে যাচ্ছে। ঐ বাবুটা পড়ে যাচ্ছে। তুমি দোলনা বন্ধ করতে বলো।

হ্যাঁ, এমনই করতো নিরা। কোন বাচ্চাকে একটু অসর্তক হতে দেখলেই নিরা অস্তির হয়ে পড়তো। মিতুর কথা শুনে আমার বুকের ভেতরটা কেমন যেন সবকিছু ওলট পালট করা শুরু করল। মিতুর সামনে আমি কখনও কাঁদতে চাই না। তারপরও আমারে চোখের কোণায় পানি জমতে শুরু করলো।

বন্ধের দিন আমার আর মিতুর যাওয়ার আরেকটা ভীষণ প্রিয় জায়গা আছে। আজিমপুর। হ্যাঁ, এই আজিমপুর কবরস্থানই আমাদের প্রিয় জায়গা। নিরাকে এখানেই কবর দেয়া হয়েছে। আমরা কবরস্থানে যাই খুব ভোরে। তখন সবে মাত্র ভোরের আলো ফুঁটতে শুরু করে। অন্যদিন মিতুকে এত সকাল সকাল ঘুম থেকে জাগাতে বেশ বেগ পেতে হলেও বন্ধের দিন আজিমপুর কবরস্থানে যাওয়ার সময় মিতু লাফিয়ে উঠে পড়ে। ঐ জায়গাটা তার বেশ প্রিয়। মিতু এখন একটু একটু লিখতে পারে। তার মায়ের নাম লিখাটা সে আগে শিখেছে। আজিমপুর যাওয়ার সময় সাদা কাগজে তার মায়ের নামটা লিখে নিয়ে গেল। মায়ের সাথে তার কিসব কথা হয়। আমাকে বলতে চাই না। আমি জানতে চাইলে রাগ দেখিয়ে বলে. তোমার এত সব শুনে কাজ কি?

আজিমপুর কবরস্থানের ঠিক পশ্চিমে বিশাল এক আম গাছ। এই গাছের কাছেই নিরার কবরটা। এখানে আমাদের বাপ বেটির খুব প্রিয় একটা জায়গা আছে। আমরা গেলে ওখানেই বসি। মিতু আজ নতুন একটা সুরা শিখেছে। তার মায়ের কবরের কাছাকাছি গিয়ে এই সুরা পড়ার আগে দুই তিনবার আমাকে পড়ে শুনাবে। বার বার জানতে চাইবে ভুল হচ্ছে কিনা। মিতু চাইনা তার মায়ের কাছে গিয়ে ভুল সুরা পড়ুক। আজিমপুর কবরস্থানে মিতুর আরেকজন প্রিয় মানুষ আছে সেটা হল মিজান কাকা। এই মানুষটাকে মিতু দাদাভাই বলেই ডাকে। মিজান কাকা কবরস্থানের পাশেই থাকেন। পরিবার পরিজন আছে বলে মনে হয় না। মিতু নানীর কাছে নতুন নতুন সুরা শিখে তার মাকে অবাক করে দিতে চাই। এই বয়সে তার অনেক সুরা মুখস্ত। আমিও জানিনা অনেকগুলো। যেগুলো আমি জানিনা সেগুলো মিতু মিজান কাকার কাছে গিয়ে বলে। মিতুর সুরা পড়া শুনে মিজান কাকা লুকিয়ে চোখের পানি মুচেন। তিনি অনেকক্ষণ আমার পরী মেয়েটাকে বুকের মাঝে জড়িয়ে রাখেন। আমি কিছু বলিনা। শুধু দুর থেকে তাকিয়ে থাকি।

আজ আমার পরী মেয়েটা সুরা ইয়াসিন শিখেছে। পুরোটা শিখেছে। মাঝে মাঝে কয়েকবার ভুল বলেছিল। সেটা গতকাল রাতেই ঠিক করে নিয়েছে। মিতু তার মায়ের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে সুরা ইয়াসিন পড়ছে। আমি আর মিজান কাকা দাঁড়িয়ে আছি একটু দুরে। মিজান কাকা কাঁদছেন। অন্যদিন মিজান কাকা লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদেন। আজ তিনি কান্না লুকাচ্ছেন না। তিনি বাচ্চাদের মত করে কাঁদছেন।

পৃথিবীতে সুখ পাওয়ার জন্য উদগ্রীব হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। সৃষ্টিকর্তা সুখটাকে নির্ধারণ করে রেখেছেন। আমার সুখ গ্রহনের সময় হলেই তিনি তা আমাকে বিরামহীনভাবে দিতে থাকবেন। আজ আমার সুখ গ্রহনের সময়। এই সময়টা আল্লাহ আমার জন্য নির্ধারণ করে রেখেছেন অনেক আগে।

আমার ভীষণ কান্না পাচ্ছে। নিরার সেই রোগটা আমার এখনও আছে। বেশি খুশি আর সুখ পেলে আমার কান্না আসে। মিতুর ভয়ে আমি অনেকদিন কান্না চেপে রেখেছি। কান্না আসলেও কাঁদতাম না। মেয়েটা কান্না একটুও পছন্দ করেনা। আজ আর কান্না চেপে রাখতে ইচ্ছে করছে না।

আমার পরী মেয়েটা দুর থেকে আমার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিলো। আমি বুঝতে পারলাম মেয়েটা আমার পুরো সুরাটা পড়তে পেরেছে। পড়তে পেরেছে বলেই খুশিকে হাসছে।

দুর থেকে মেয়েটার হাসি হাসি মুখ দেখে আমি আর কান্না চেপে রাখতে পারলাম না। নিরার উপর এতদিন বিশাল একটা অভিমান আমি পুষে রেখেছি নিজের ভেতর। বিশাল অভিমান। এই অভিমান ঠিক সমুদ্রের মত বড় ছিলো। আমাকে একা রেখে এভাবে পালিয়ে যাওয়া তার কিছুতেই ঠিক হয়নি। আজ আমার সব অভিমান মিশে গেল।

আমি কাঁদছি, হ্যাঁ আমি কাঁদছি নিজের ভেতর বিশাল একটা সুখ নিয়ে। বিশাল সুখ। হাজার বছর বাঁচলেও এমন সুখ অর্জন করা যায় না।

সুখের জন্য প্রহর গুনতে হয়।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত