সম্ভাব্য প্রেমের গল্প

সম্ভাব্য প্রেমের গল্প

-তুমি আমার কল রিসিভ করছো না কেন??

আমি ইলমার কথার কোনো উত্তর দিলাম না। চুপ করে রইলাম। আসলে এরকম পরিস্থিতিতে পরবো ভাবতেও পারিনি। আজ আমি যখন ঐশীর সাথে শপিং মলে শপিং করতেছিলাম তখন ইলমা আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। আচমকা ওকে দেখে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। ইলমা ঐশীর সামনেই আমাকে বলল…

-তুমি আমার কল রিসিভ করছো না কেন? আমি চুপ করে আছি দেখে ও আবার বলল…

-কাল আমাকে বললে যে শপিং এ যাবে। অথচ সকাল থেকে তোমাকে ফোনে পাচ্ছি না।আর কে উনি?? আমি ওকে বললাম…

-আমি তোমার সাথে পরে কথা বলবো। এটা বলেই ওকে এড়িয়ে যেতে চাইলে এবার ঐশী বলল…
-ওয়েট ওয়েট। কে উনি? আর ওনার সাথে শপিং এ যাবা এর মানে কি? ঐশী ইলমাকে বলল…
-আপনি কে বলুন তো! ইলমা বলল…
-উনার গার্লফ্রেন্ড। আপনি কে? এটা শুনেই ঐশী আমাকে ধমক দিয়ে বলল…

-ইডিয়ট, চিটার।

এসব বলে ঐশী আর দাঁড়ালো না। আমি খুব অবাক হয়ে গেলাম ওর আচরণে। ও আমাকে ছেড়ে দিচ্ছে ভাল কথা, রিলেশন ব্রেক আপ সেটাও ভাল কথা কিন্তু ও শপিং এর ব্যাগ গুলা রেখে যাচ্ছে না কেন? ইলমার ডাকে ওর দিকে তাকালাম। ইলমা বলল…

-আমাকে আর কোনোদিন কল দিবে না। ইলমাকে বললাম…
-তুমিই তো দাও। আমি দেই না তো। ইলমা কথাটা শুনে আরো বেশি ক্ষেপে গেলো। আমাকে আর কিছু না বলে ও চলে যেতে লাগলো। আমি ভাবলাম দেখি রাগ ভাঙ্গানো যায় কি না। আমি ওর সামনে গিয়ে বললাম..

-আসলে আমি বলতে চাচ্ছি যে সব সময় তো তুমি কল দেও। আর আমি তো অফিসে থাকি। আর ঐ মেয়ের সাথে আমার কিছু নাই সিরিয়াসলি। ইলমা আমাকে ধমক দিলো আবারো। আর বলল…

-ডোন্ট ডিস্টার্ব মি প্লিজ। আমার ফোন থেকে তোমার নাম্বার ডিলেট করবো এখনি। আমি বললাম…
-তোমার হাতের আইফোনটা তো আমারই দেওয়া! কথাটা আমি একটু আস্তে বললেও ওর কানে যেন যায় সেভাবেই বলেছি। ও শুনে বলল…
-কি বললা তুমি?
-কিছু না তো। আমাকে বলল..
-ওকে। গুড বাই।

মেয়েদের কাছে হাতজোর করে মাফ চাওয়ার মতো মানসিকতা আমার কখনোই হয়নি। ব্রেক আপের মুখোমুখি আমি অনেকবার অনেক জনের সাথেই হয়েছি। তবে এরকম আচমকা ব্রেক আপের অভিজ্ঞতা আমার মধ্যে প্রথম বারই ছিলো।

-আচ্ছা আদিবা আমার তো ঐশীর সাথে মিট করার কথা ছিলো। কিন্তু সেখানে ইলমা বলল ওর ফোনে নাকি মেসেজ গেছে। আমি তো ওকে কোনো মেসেজ দেইনি। আদিবা কলম কামড়াতে কামড়াতে বলল…

-স্যার সেটাতো আমি জানি না। কোনো সমস্যা??

আদিবা আমার পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট। আগে যখন আব্বু এই চেয়ারে বসতো তখন থেকেই আদিবা এখানে। আদিবাকে বাবা খুব পছন্দ করে।আর ইলমা, ঐশী আমার খন্ডকালীন প্রেমিকা ছিলো। এখন আর নেই। অফিসের দায়িত্বে থাকলেও অতটা সময় আমি অফিসে কখনোই দেই না। আমার অনুপস্থিতিতে আদিবা সব দেখাশুনা করে। এমনকি আমার প্রেমিকাদের সাথে ডেটিং এর টাইম ফিক্সড করে। আদিবাকে বললাম…

-ইলমা আর ঐশীর সাথে ব্রেক আপ হয়ে গেছে আজ। আদিবা হেসে বলল…
-তার মানে এখন থেকে আপনি সিঙ্গেল??

কথাটার উত্তর দেওয়ার আগেই ফোন কেপে উঠলো। আমি ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখি নাবিলার কল। আমি ফোন রিসিভ করে আদিবাকে নামটা দেখিয়ে ওর সামনেই বললাম…

-বাবু তুমি এতক্ষণ কল দিলা না কেন?? ওপাশ থেকে নাবিলা বলল…
-সরি বাবু।

আদিবা সেটা দেখে আমার দিকে ভ্রু কুচকে তাকালো। আদিবা সামনে থেকে চলে যেতে চাইলো। আমি আদিবাকে ইশারায় আমার সামনের চেয়ারটাতে বসতে বললাম। আদিবা অনিচ্ছাবশত বসে পরলো। আমি ওর সামনেই নাবিলার সাথে খুব রোমান্টিক ভাবে কথা বলছি। আদিবাকে বললাম…

-পানি খাবো গ্লাসটা দাও। ও একবার আমার দিকে তাকাচ্ছে আরেকবার টেবিলের উপর পানির গ্লাসে। ও পানির গ্লাসটা দিতে গিয়ে আমার উপরেই পানি ফেলে দিলো। আমি ফোন রেখে ওকে ধমক দিয়ে বললাম…

-সামান্য পানির গ্লাসটা দিতে পারো না??

ও মুচকি হাসতে হাসতে ‘সরি স্যার’ বলে চলে গেলো। আমি আদিবার মুচকি হাসি দেখে বুঝতে পারছি ও ইচ্ছা করেই কাজটা করেছে। ঘুম থেকে উঠতেই আমি কথার আওয়াজ শুনতে পারলাম। সারা বাড়িতে আমি আর খালা ছাড়া আর কেউ নেই। আব্বু আম্মু এখানে আসে না কেন সেটা আমি জানি। আসলে আমার এতগুলা মেয়েদের সাথে সম্পর্ক সেটা আব্বু আম্মু পছন্দ করেনা। নিচে কে আসল কে আসলো সেটা দেখতে সিড়ি বেয়ে নিচে নামলাম। সোফায় খালা আর আদিবা বসে কথা বলছে। এত সকালবেলা আদিবা আমার বাসায় কেন?? আমাকে দেখে খালা আর আদিবা দুজনেই দাঁড়ালো। আমি বললাম…

-দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই বসে থাকো। আমি আসাতে খালা বলল…
-আমি রান্না বসাইছি। যাই। এটা বলেই উনি রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ালো। আমি আস্তে আস্তে হেঁটে আদিবার সামনে গিয়ে বসলাম। আদিবা চশমাটা নেড়ে বলল…

-স্যার এই ফাইলটা সাইন করতে হবে। আমি ফাইলটা সাইন করতে লাগলাম। আদিবা এক গ্লাস পানি খেয়ে বলল…
-একটা কথা বলব স্যার?
-হুম বলো।
-আমি আপনার এখানে থাকতে চাই কিছুদিন। কোনো সমস্যা হবে?? আমি উত্তর দেওয়ার আগেই খালা পিছন থেকে এসে বলল…

-না না আম্মা। কোনো সমস্যা নাই। আপনে যতদিন ইচ্ছা থাকেন। সাব ঠিক কইছি না?? খালা কথাটা বলেই হাসতে লাগলো। আমি ওর দিকে কৌতুহলী হয়ে তাকাতেই হাসি থেমে গেল। আমি মুচকি হেসে আদিবাকে বললাম…

-কোনো সমস্যা নেই। তুমি থাকতে পারো।

আদিবা ধন্যবাদ দিয়ে ফাইল নিয়ে চলে গেল। আর বলল যে আজ বিকালেই সে সবকিছু নিয়ে আসবে। কিন্তু কেন আসবে সেটা জিজ্ঞাসা করলাম না। থাক পরে কখনো জিজ্ঞাসা করবো। রাতে আমি আদিবার রুমে গেলাম। আদিবা আমাকে দেখে দাড়ালো। আমি বললাম…

-আদিবা আমার মাথাটা খুব ঘুরছে। এটা বলেই আমি ওকে নিয়ে বিছানায় পরলাম। আদিবা আমাকে নিয়ে টেনশনে পরে গেলো। তারপর আমাকে বিছানা থেকে টেনে উঠালো। আর বলতে লাগলো…

-স্যার খুব খারাপ লাগছে আপনার?? সেদিন আদিবা পানি ঢেলে যেভাবে মুচকি হাসছিলো আমিও সেভাবে মুচকি হাসতে হাসতে ওর রুমে চলে আসলাম। ও ঠিক বুঝতে পারছে আমি রিভেঞ্জ নিলাম।

-তুমি কি বলবে এই ছবি গুলোও ফেইক??

আদিবা আমার বাসায় আসার পর থেকে আমি আর ও একসাথেই অফিসে যাই। আজ ও একটু অসুস্থ তাই অফিসে যাবে না। অফিসে যখন আসলাম তখন শুনলাম কে নাকি আমার সাথে মিট করতে এসেছে। আমি গেস্টরুমে গিয়ে দেখলাম নাবিলা বসে আছে। আমি নাবিলাকে দেখে বললাম…

-তুমি হঠাৎ এখানে? ও বলল…
-কফিশপে যাবো চলো।
-কফিশপে এখন? হঠাৎ কফিশপে যাওয়ার কথা বলায় আমি কিছুটা ভরকে যাই। আমি বললাম…
-আমি তো অফিসে মাত্র আসলাম।
-তুমি আগে কফিশপে চলো তারপর অফিসের কাজ করবে। আমি কিছু না বলে সামনের একটা কফিশপে গেলাম ওকে নিয়ে। ও আমার সামনের চেয়ারে বসে বলল…
-তোমার বাসার মেয়েটা কে?

-কোন মেয়েটা? নাবিলা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল…
-দেখো সাজিদ। তুমি খুব ভাল করেই বুঝতে পারছো আমি কার কথা বলছি।
-ক্লিয়ার করে বলো।
-তোমার অফিসের মেয়েটা তোমার বাসায় কেন??
-ওহহ আদিবা। ও কিছুদিনের জন্য আমার বাসায় থাকবে।
-লিভ টুগেদার করছো??
-মানে?
-ওর সাথে তোমার সম্পর্কের কথা আমি জানি না ভাবছো??

আর একটা যুবতী মেয়ে তোমার বাসায় থাকে আমি কিছু বুঝি না?? নাবিলার কথা শুনে কফিশপেই ওর গালে একটা চড় মারলাম। আমার রাগ প্রচন্ড বেশি। আমার ব্যাপারে কেউ ইনিয়েবিনিয়ে কিছু বললে সেটা আমার একদম সহ্য হয় না। নাবিলাকে চড় দিয়ে আমি যখন চলে আসতে চাইলাম তখন ও ডেকে বলল…

-তুমি কি বলবে এই ছবিগুলোও ফেইক?

ছবিগুলো দেখে বেশ অবাক হলাম। আদিবা আমার বেডরুমে আমার পাশে শুয়ে কখন সেলফি তুলেছে সেটা বুঝতেই পারছি না। আমি আর কিছুই বলতে পারলাম না নাবিলাকে। আর বললেও কোনো লাভ হবে না। ছবিগুলো দেখে আমার রাগ সামলাতে না পেরে আমি বের হয়ে পরলাম সেখান থেকে। তারপর অফিসে সারাদিন ছিলাম। রাতেও অফিস থেকে ইচ্ছা করে অনেক দেরি করে রওনা করলাম। আমি বুঝতে পারছি না আদিবা কেন সেলফি তুলল। আর কেনই বা ওর কাছে পাঠালো। আমার মস্তিষ্কে অনেক কিছু ঘুরপাক খাচ্ছে। আচ্ছা ইলমার সাথে দেখা করার মেসেজটা কে পাঠিয়েছিলো? আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি বাসায় যাওয়ার পর দেখলাম খালা আর আদিবা দুজন আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আদিবা আমাকে দেখে আমার সামনে এসে বলল…

-আপনি এতক্ষণ কই ছিলেন?? আমি কোনো উত্তর না দিয়ে আমার রুমের দিকে পা বাড়াতেই ও কিছুটা উচ্চস্বরে বলল…

-কি হলো বলুন। লেইট হলো কেন? এখানে আপনার চিন্তায় আমরা বসে আছি।

আমি ওর দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকালাম। ওর সামনে গিয়ে ওর হাতটা ধরে টেনে আমার রুমে নিয়ে যাচ্ছি। আদিবা বার বার বলতে লাগলো…

-কি হলো? কই নিয়ে যাচ্ছেন?? আমি আমার রুমে গিয়ে দরজা আটকিয়ে দিতেই খালা দরজা ধাক্কাতে লাগলো আর বলতে লাগলো…
-সাব। দরজা খুলেন। ও সাব। দরজা খুলেন। আমার আচরণ দেখে আদিবা ভীতিজনক চোখে তাকিয়ে বলল…
-স্যার। কি হয়েছে আপনার??

আমি ওকে দেয়ালের সাথে ঠেকিয়ে ওর হাত দুটো দেয়ালে চেপে ধরলাম। ও চিৎকার দিয়ে উঠতেই আমি ওর হাত ছেড়ে মুখে চেপে ধরলাম। আমি ওর চোখের দিকে তাকালাম। ওর চোখ দিয়ে পানি পরতে লাগলো। আমি ওকে ছেড়ে দিলাম। ছেড়ে জানালার গ্লাস খুলে দাঁড়িয়ে রইলাম। ওর দিকে আবার তাকিয়ে দেখলাম ও কাঁপছে আর কান্না করছে। খালা এখনো দরজা ধাক্কা দিচ্ছে। আদিবা আস্তে আস্তে গিয়ে দরজা খুলে দিলো। খালা ওকে নিয়েই চলে যাচ্ছিলো কিন্তু আদিবা কি জানি ভেবে আবার আমার কাছে এসে বলল…

-জানালা লাগিয়ে ফেলুন। মশা আসবে রুমে।

আমি হাতে ওকে ইশারা করে চলে যেতে বললাম। ওকে সেলফির ব্যাপারে কিছুই বললাম না। আদিবা সকালে আমার রুমের দরজা ধাক্কাধাক্কি করতে লাগলো আর বলল..

-স্যার উঠুন। আমি দরজা খুলে চোখ কচলাতে কচলাতে বললাম…
-এত তাড়াতাড়ি ডাকছো কেন??
-অফিস যাবেন না??

আমি চোখ খুলে যখন ওর মুখের দিকে তাকালাম তখন আমি অবাক হয়ে গেলাম। ও একটা শাড়ি পড়েছে। ভেজা চুল। গোসল করে এসেছে মাত্র তাই ওর মুখে শিশির বিন্দুর মতো পানির ফোটা লেগে আছে। আমি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়েই রইলাম। আদিবাকে চশমা পরলেও যে খারাপ লাগে তা না। তবে এখন চশমা ছাড়া এতটাই ভাল দেখাচ্ছে যে আমি মায়ায় পরে গেলাম। আদিবার ডাকে হকচকিয়ে গেলাম। ও বলল…

-কি দেখছেন? আমি মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললাম…
-শাড়িতে তোমাকে ভাল লাগছে খুব। ও হেসে বলল…
-আমি ব্রেকফাস্ট দিচ্ছি। আসুন।
-শুনো আদিবা!
-হুম।
-কাল রাতের জন্য সরি। ও আবারো হেসে চলে গেল। একটু পর খালা আসলো। এসেই কান্না জুড়ে দিলো। আমি বললাম…
-কি হয়েছে??
-সাব। আম্মা আজকা চইলা যাইব।

কথাটা শুনে আমার মস্তিষ্ক যেন কিছু সময়ের জন্য থেমে গেল। আমি শার্ট আর একটা প্যান্ট পড়ে তাড়াতাড়ি ওর কাছে গেলাম। তারপর বললাম….

-তুমি কি আজ চলে যাবে??
-হুম। আপনাকে আর কত বিরক্ত করবো??
-মানে কি? চলে যাবে কেন??
-নাহ। আর থাকবো না। থেকে আর কি করবো?

ওর কথাটার উত্তর দিলাম না। ওর হাতটা ধরে বের হয়ে গেলাম। গাড়িতে উঠিয়ে কাজী অফিসে আসলাম। আদিবা আমার আচরণে বেশ অবাক হচ্ছে। আমি নিজেও অবাক হচ্ছি। আমি যতই ওর কাছে যেতে চাচ্ছি আমার ততই ভাল লাগছে। আদিবা হয়ত আমাকে বিয়ে করতে চাইবে না। কিন্তু আমি ওকে বিয়ে করবোই। এই কয়েকদিনে ও আমার অনেকটা জুড়ে বিস্তৃতি লাভ করেছে। আদিবা বলল…

-এখানে কি করতে এসেছেন??
-আমি বিয়ে করবো তোমাকে। কথাটা শুনে আদিবা বেশ রেগে বলল…
-মানে কি? আমি আপনাকে কেন বিয়ে করবো?

কথাটা শুনে কেন জানি আমার চোখ দিয়ে পানি পরে গেল। ইলমা, ঐশী, নাবিলার প্রতি কখনো আমার চোখে পানি আসেনি। কিন্তু আদিবার এই কথাটা শুনে আমার অজান্তেই চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো। আদিবা চলে যাচ্ছে আমাকে রেখেই। আমি মাথা নিচু করে আছি। মাটির দিকে তাকিয়ে দেখলাম ঘোলা দেখছি।। গাল বেয়ে চোখ থেকে পানি পরছে। হঠাৎ একটু পর আদিবা এসে আমার মুখের পানিটা ওর শাড়ির আচল দিয়ে মুছে দিলো।আর বলতে লাগলো

-বিয়েও কি কয়েকটা করবেন?? নাকি একটা? একটা করলে আমি রাজি আছি। তাকিয়ে দেখলাম ওর চোখেও পানি। আচ্ছা এর মানে কি আদিবাও আমার প্রেমে পরেছে??

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত