-এই যে শুনুন।
-জ্বি বলুন,কি বলবেন?
-আমি আপনাকে ভালবাসি
-ও তাই,কিন্তু এটা সম্ভব না।
-ও একটা মেয়ে আগ বাড়িয়ে প্রপোজ করেছে বলে ভাব দেখাচ্ছেন।
-না,ভাব দেখাব কেন?
-তাহলে কি সমস্যা?
-সমস্যা অনেক তার জন্য আমাকে পাঁচ মিনিট সময় দিতে হবে।
-ঠিক আছে দিলাম,এবার বলুন।
-তাহলে শুনুন।ধরুন আমি আপনার প্রপোজাল গ্রহণ করলাম।
তারপর আমরা দুই জন দুজনার নাম্বার আদান প্রদান করব।তুমি বাসায় গিয়ে আমার নাম্বারে মিস কল দিবে।আমি এ পর্যন্ত কোন জিএফ কে তার বিএফ কে কল দেওয়া দেখিনি।তোমার মিসকল পেয়ে আমি কলব্যাক করব।তারপর আমাদের প্রেমালাপ ঘন্টার পর ঘন্টা, দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এভাবে চলতে থাকব।এদিকে তোমার সাথে কথা বলতে গিয়ে অনেক টাকা খরচ করে ফেলব।আর ডাক্তারেরা বলেছেন অতিরিক্ত মোবাইলে কথা বললে ব্রেইন ক্যানসার হওয়ার সম্ভবনা আছে।তোমার সাথে প্রেম করতে গেলে সপ্তাহে একদিন হলেও পার্কে বা রেস্টুরেন্ট এ দেখা করতে হবে।এখানেও আমাকে একজন যোগ্য প্রেমিক হিসেবে বিল পে করতে হবে।যখন আমি এরকম রেস্টুরেন্টে ঘোরাঘুরি আর কথা বলে আমাদের প্রেম চালাতে থাকব।তখনেই কোন বন্ধু এসে বলবে “কিরে ব্যাটা কি প্রেম করছ আজ পর্যন্ত মেয়ের হাত ধরতে পারিস না”ভীতু কোথাকার।
আমি ভীতু না এটা প্রমানের জন্য আমি তোমার হাত ধরব।তোমার হাত ধরার কথা বন্ধুদের বলার পর বন্ধুরা বলবে “এটা এমন কি আর সাহসীকতার কাজ,পারলে কিস করে দেখা।আমিও সাহসীকতার প্রমাণ দিতে গিয়ে তোমাকে কিস করার অফার করব।তুমি না করলে আমি বলব তুমি আমাকে একটুও ভালবাস না।তুমিও ভালবাসার প্রমাণ দিতে গিয়ে আমাকে কিস করবে।এই কথা বন্ধুদের বলার পর তারা বলবে এই তো সাহসী হয়েছিস।তখন তারা বলবে দোস্ত এখনকার কোন মেয়েলেই বিশ্বাস করতে নেই আজ এক জন কালকে আরেক জনের সাথে প্রেম করে বেড়ায়।ওকে আপন করে পেতে হলে রুমডেট করতে হবে।আমি যদিও না করি কিন্তু বন্ধুরা বলবে যা তোর জন্য রুম ফাকা করে দেওয়া হবে।আর বলবে এ যুগে রুমডেট না করলে প্রেম পূর্ণতা পায়না।
আমি আমাদের প্রেম কে পূর্ণতা দেওয়ার জন্য তোমাকে রুমডেটের অফার করব।একটা মেয়ে চায় না বিয়ের আগে কার সাথে শারীরিক সর্ম্পক হোক।তুমিও তা চাইবে না। কিন্তু আমার ভিতরের পশুটা তোমার নরম দেহ ভক্ষণ করার লোভে পড়ে যাবে।যার ফলে আমি ব্রেক আপ করার কথা বলব।আর বলব নিশ্চয় অন্য কাউকে ভালবাস তা না হলে আমার সাথে রুমডেট করতে রাজি হতে।তুমিও ভালবাসা বাঁচাতে এবং ভালবাসার পরীক্ষা দিতে রুমডেটে যেতে রাজি হবে।আমি তোমাকে নিয়ে বন্ধুদের দেওয়া রুমে যখন দুজনেই অবৈধ যৌনলীলায় ব্যস্ত থাকব।অপর দিকে আমার বন্ধুরা আমাদের অজান্তে গোপন ক্যামেরায় ভিডিও করতে ব্যস্ত তা আমরা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারব না।তারপর আমাদের ভিডিও একজনের মোবাইল থেকে আরেক জনের মোবাইলে।
কোন মহান ব্যক্তি আমাদের এই ভিডিওটা নেট এ ছেড়ে দিবে।ব্যাপারটা তুমি জানার পর মনে করবে এ কাজটা আমার তাই তুমি থানায় তথ্য প্রযুক্তি মামলা করবে।পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করবে।সংবাদপত্রে তিলকে তাল বানিয়ে আমাকে ধর্ষক বানিয়ে প্রচার করবে। কিছু স্বার্থ অন্বেষী সংগঠন এ নিয়ে রাজনীতি করবে।এ নিয়ে সংবাদপত্রে দফায় দফায় লিখা হবে “ধর্ষক সায়েমের ফাসি চাই।আমাদের এই দুজনের কারনে তনু ধর্ষন মামলা, হোটেল_রেইনট্রি ধর্ষন মামলা গুলো ধামাচাপা পড়ে যাবে।আসল ধর্ষকরা বেঁচে যাচ্ছে। তার চেয়ে বরং এই বিষয়টা না এগুনোই ভাল।এবার কেন ভালবাসব না বুঝতে পারছ নিশ্চয়।
-জ্বি বুঝতে পারছি।
-ও আর শোন তোমার যত ভালবাসা আছে এখন জমিয়ে রাখ। বিয়ের পর যত খুশি ভালবাসবে।
-ঠিক আছে
-আর শোন তোমার বাবার নাম্বার দিয়ে যাও
-কেন?
-কেন আবার,তোমার সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করব তাই