ব্যস্ততা ও সংসার

ব্যস্ততা ও সংসার

সিফাত সারাক্ষণ ব্যস্ত,আমাকে দেয়ার মত সময় ওর নেই।শুধু কাজ আর কাজ;বাসায় যে একটা বউ আছে সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই।আমি চলে যাবো এমন চলতে থাকলে।ওর সংসারে ও সং সেজে বসে থাকবে,সার দেয়ার কেউ থাকবে না। সিফাতের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভ নিয়ে একা একাই বকবক করছে মিশু।সিফাত আজকাল কর্মক্ষেত্র আর বন্ধু বান্ধব নিয়ে এত টাই ব্যস্ত যে নিজের পরিবারের জন্য কোনো সময় অবশিষ্ট থাকেনা।তাই ওর প্রতি মিশুর অনেক অভিমান জমে গেছে। সিফাত বাসায় ফিরতেই মিশু ওর শার্টের কলার টেনে ধরে উচু গলায় বলল,আমি কি মরে গেছি? কেউ মারা গেলেও তো সপ্তাহে একদিন তার কবর জিয়ারত করা হয়।তুমি তো মাসেও একদিন আমাকে দেয়ার জন্য সময় বের করতে পারো না। সিফাত কলার থেকে মিশুর হাত ছাড়িয়ে বলল,রাগ করছ কেন? তুমি বুঝো না?

– অনেক বুঝেছি, আর কিচ্ছু বুঝতে চাইনা।এত কিসের কাজ তোমার?

সিফাত মিষ্টি স্বরে বলল,বাবু আমি এত পরিশ্রম করে পয়সা করছি কার জন্য? শুধু তোমার জন্যই তো। মিশু এগিয়ে এসে সিফাতের চোখের দিকে তাকিয়ে বলল,আমার জন্য এত কষ্ট করছ সেই আমি কি এতে সুখে আছি? আমি তো টাকা পয়সার স্রোতে ভাসতে চাইনা,যেভাবে দিন চলছিল সেভাবেই ভালো ছিলাম। আমি শুধু একটু সময় চাই তোমার কাছে। সিফাত বলল,অনেক কাজ করতে হয় আমাকে। সময় না পেলে কিভাবে সময় দিবো?

– আগে যেভাবে দিতে।আমি এমন সুখ চাইনা।আমি শুধু একটু সময় চাই সিফ।সারাদিন বাসায় আমি একা একা থাকি।কথা বলার কেউ নাই।তুমি যদি একটু তাড়াতাড়ি ফিরে এসে কিছুক্ষণ গল্প করো, তবে কত্ত ভালো লাগত।

– পরে এসব নিয়ে কথা বলবো। এখন টেবিলে খাবার দাও,আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।খুব টায়ার্ড আজ। মিশু রেগে বলল,প্রতিদিন ই তো টায়ার্ড থাকো। আজ আমার সাথে গল্প করবা ব্যস।
– মিশু আমার আজ অনেক খাটুনি গেছে।ক্ষিধা লাগছে,যাও খাবার রেডি করো।

মিশু আবারো রেগে সিফাতের কলার ধরে বলল,আজ আমার কথা শুনবা তুমি।প্রতিদিন তুমি যা বলো তাই শুনি।আজ আমি বলবো, তুমি শুনবা। সিফাতের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। সারাদিন অনেক খাটা খাটুনির পর এভাবে ঝাড়ি শুনতে একটুও ভালো লাগেনা।মিশুর সাথে কথা বলতেও ভালো লাগছে না। সিফাত মিশুর হাত ছাড়িয়ে ধমক দিয়ে বলল,বাসায় বসে বসে খাও আর রূপচর্চা করোতো তাই বুঝো না।আমার মত সারাদিন বাইরে কাজ করলে বুঝতা ইনকাম করা কত টা কষ্টের।এভাবে টায়ার্ড হয়ে ফিরে ন্যাকামি শুনতে একদম ভালো লাগেনা। মিশুর কান্না পেয়ে গেলো। নিজেকে সামলে নিয়ে ও পাশের রুমে চলে গেলো।

রাতের খাবার খাওয়ার পর সিফাত বিছানায় শুয়ে মোবাইল এ কি যেন করছে।মিশু কথা না বলে বেলকুনিতে একা দাড়িয়ে গান শুনতে লাগলো। প্রায় চল্লিশ মিনিট হয়ে গেলো। মিশু ভাবল,সিফাতের নিশ্চয় ই মেজাজ ভালো হয়েছে।এখন গিয়ে একটু গল্প করি।ও তো সত্যিই অনেক পরিশ্রম করে,হয়ত রাগ দেখিয়েছে।তাই বলে আমিও রেগে থাকবো তা তো উচিৎ হবেনা।যাই, গিয়ে একটা গান শুনাই ওকে। এসব ভেবে মিশু মনটাকে ভালো করে নিলো। তারপর হাত মুখ ধুয়ে হালকা সাজগোজ করে শোবার ঘরে আসলো। এসে দেখে সিফাত ঘুমিয়ে পড়েছে।ওর মাথার উপরে তিন চার টা মশা গুণগুণ করছে। মিশু মশারি টাঙিয়ে দিয়ে শুয়ে পড়ল।

অনেক্ষন সিফাতের মুখের দিকে একদৃস্টে তাকিয়ে রইলো। এর মধ্যেই সিফাত গভীর ঘুমে ঢলে পড়েছে। সিফাতের মোবাইলের মেসেঞ্জার টোন বেজে উঠছে বারবার।ছেলেটা ডাটা অন রেখেই ঘুমিয়ে পড়েছে। মিশু ফোনটা হাতে নিয়ে দেখল কয়েক টা ইনকামিং মেসেজ। প্রিয়দর্শিনী’র সাথে এক ঘণ্টা ধরে চ্যাটিং,গ্রুপ চ্যাটিং আরো কয়েকজনের মেসেজ রিপ্লে দিয়েছে।অথচ নিজের স্ত্রীকে দেয়ার জন্য তার সময় নেই,কি অদ্ভুত! মিশুর আবারো মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে।কিন্তু মিশু মন খারাপ করতে চায়না।ও একদৃস্টে সিফাতের মুখের দিকে তাকিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলো। মিশু ঘুম থেকে উঠে দেখল সিফাত এখনো ঘুমাচ্ছে। মিশু ফ্রেশ হয়ে চা বানিয়ে সিফাতকে ঘুম থেকে ডেকে তুলল। সিফাত উঠে বলল,কয়টা বাজে?

– সাত টা।
– ওহ,আজ একবার আড়তে যেতে হবে।সেখান থেকে অফিসে যাবো। তুমি তাড়াতাড়ি রুটি করে ফেলো।

মিশু হতাশ হয়ে বলল,এখুনি বের হবা? তোমার অফিস তো অনেক দেরিতে।ভাবলাম একসাথে চা খাবো।

– বললাম তো আজ একবার আড়তে যাবো।এখন চা খাবোনা,তুমি রুটি করে দাও।একটা ডিম ভেজে দিও।
– আমি অনেক আশা করে চা বানালাম একসাথে খাবো বলে।
– কালকে একসাথে চা খাবো মিশু পাগলী। এখন আমি গোসলে যাচ্ছি,কালো জিন্স টা দিয়ে যেও তো।

সিফাত আর কিছু না বলে উঠে বাথরুমে ঢুকে গেলো। মিশুর খুব রাগ হচ্ছে।সকাল সকাল ওকে ডাকা টাই ভুল হয়ে গেছে।এত আশা করে চা বানিয়ে হতাশ হতে হলো।সকালে ব্যস্ত,দুপুরে ব্যস্ত,রাতে ও ব্যস্ত।তাহলে তো সে নিজের জীবন নিয়ে বেশ ভালোই আছে।আমাকে আর কি দরকার? রান্নাবান্না আর বাসন মাজার কাজ টা কাজের বুয়াই করতে পারবে। কথা গুলো ভাবতে ভাবতে মিশুর খুব কান্না পাচ্ছিল আর প্রচুর রাগও হচ্ছিল। সিফাতের অনেক্ষন ধরে শাওয়ার নেয়ার অভ্যাস।মিশু এই সুযোগে সিফাতের সব জামা কাপড় ব্যাগে তুলে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেলো।

সিফাত গোসল শেষ করে অনেক্ষন ধরে মিশুর নাম ধরে ডাকা ডাকি করল।মিশুর কোনো সাড়া না পেয়ে খুব রেগে গেলো সিফাত।তোয়ালে টা কোমড়ে জড়িয়ে রুমে এসে রাগারাগি করতে লাগলো। কিন্তু মিশুর কোনো সাড়াশব্দই নেই।সিফাত কাপড়ের তাকে তাকিয়ে দেখল সেখানে সব মিশুর জামা কাপড়। সিফাতের কোনো পোশাক নেই।ওর রাগ আরো বেড়ে গেলো। সিফাত চেঁচিয়ে মিশুকে ডাকতে ডাকতে রান্নাঘরে এসে দেখল ক্যালেন্ডারের পিছনে মার্কার পেন দিয়ে বড় করে লেখা ” আমি চলে যাচ্ছি।যেদিন তোমার সময় থাকবে আমার জন্য,সেদিন ফিরিয়ে এনো।আর খুব অভিমান হচ্ছিল বলে তোমার সব জামা কাপড় ব্যাগে তুলে নিয়ে এসেছি।এবার দেখবো তুমি বাইরে যাও কিভাবে? তোমার মোবাইল টাও সাথে নিয়ে এসেছি” কথাগুলো পড়ে সিফাতের একদিকে শুন্য শুন্য লাগছে অন্যদিকে রাগ ও হচ্ছে। সিফাত রুমে এসে ল্যাপটপে ফেসবুকে লগইন করলো।তারপর কয়েকজন বন্ধুকে মেসেজ পাঠিয়ে দিয়ে বলল একটা প্যান্ট শার্ট নিয়ে তার বাসায় চলে আসতে।

সিফাতের খুব রাগ হচ্ছে।কাউকে ফোন করাও যাচ্ছেনা,অফিসের সময় হয়ে এসেছে।তোয়ালে পড়ে কতক্ষণ থাকা যায়? মিশুর প্রতি রাগ গর্জে উঠছে যেন এই মুহুর্তে মিশু পাশে থাকলে থাপ্পড় দিয়ে ওর সব দাত ফেলে দিতো।
দশ টার পরই একজন বন্ধু শার্ট ও প্যান্ট নিয়ে এসে হাজির।তাড়াতাড়ি সেটা পড়ে সিফাত বাইরে বের হলো।
রেস্টুরেন্টে নাস্তা খেয়ে অফিসের দিকে ছুটল। মোবাইল ছাড়া এক মুহুর্তও যেন চলেনা।মিশুর কাজের জন্য সিফাতের রাগের মাত্রা বেড়েই চলেছে। তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বেড়িয়ে সিফাত শ্বশুরবাড়িতে চলে আসলো। মিশুর মা ওর হাতে মোবাইল টা দিয়ে বলল,বাবা মিশু তো এখানে নাই।আমাকে বলেছে এটা যেন তোমায় দিই।আর ও কোথায় গেছে কিচ্ছু বলে যায়নি।অনেক বুঝালাম কিন্তু আটকাতে পারিনি।জোর করে চলে গেলো। কথাগুলো শোনামাত্রই সিফাতের রাগের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে গেলো। বাসায় বসে বসে খায় তো তাই এত আবেগ। সিফাত নিজেকে সামলে নিয়ে বাসায় চলে আসলো।মনে মনে ঠিক করল,মিশুকে সে কল ও দিবেনা আর কোথাও খোজ ও করবে না।

দেখতে দেখতে ছয়দিন কেটে গেলো। সিফাতের রাগ অনেক টা কমে গেছে।রীতিমত এখন ও মিশুকে খুব প্রয়োজন মনে করছে।ওকে ছাড়া সবকিছুই কেমন যেন লাগে,সারাক্ষণ শুন্যতা বিরাজ করে।তাছাড়া সিফাত তিনবেলাই রেস্টুরেন্টে খাবার খাচ্ছে।সিফাতের বাবা মা দুজনেই গ্রামে আছেন, তারা মিশুর চলে যাওয়ার ব্যাপারে কিছুই জানেনা। মিশুর চিন্তায় চিন্তায় সিফাতের চেহারা কেমন যেন হয়ে গেছে।কাজেও মন বসে না।তবুও মাঝেমাঝে খুব রাগ হয় ওর এই পাগলামির জন্য। এক সপ্তাহ হয়ে গেলো। সিফাত দরজা খুলেই দেখে মিশু দাড়িয়ে! প্রচণ্ড ধমক দিয়ে সিফাত মিশুকে জিজ্ঞেস করল,মাইর খাইছো কখনো? তোমার নাম্বার ও বন্ধ,আমাকে টেনশনে ফেলে কই ছিলা এতদিন? মিশু মিষ্টি করে হেসে বলল,সু খবর আছে। মিশুর হাসি দেখে সিফাত শান্ত হয়ে বলল,কি?

– আমার চাকরী হয়ে গেছে।

সিফাত অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। চাকরী হয়েছে মানে! মিশু বলল,পরে বিস্তারিত বলছি।আগে রুমে ঢুকতে দাও। সিফাত সরে দাড়িয়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। মিশু বলল,স্যালারি ভালো। খেয়েদেয়ে অনেক টাকা বেচে যাবে আমার।তুমি প্রতিদিন বলতে,নিজে অফিস করলে বুঝতা হেন তেন নানান কথা।তাই তোমার অজান্তেই আমি এক জায়গায় এপ্লাই করেছিলাম। সেখানে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম। চাকরী হয়ে গেছে,এবার আর আমি বসে বসে খাবো না।আমিও তোমার মত ব্যস্ত থাকবো। মিশুর আনন্দিত মুখ দেখে সিফাত নির্বাক হয়ে গেছে! ওর মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছেনা। রাতে খেতে বসে সিফাত বলল,এতদিন খুব কষ্ট হয়েছে।ভালো ভাবে খেতে পারিনি।

– এখন থেকে তোমাকে নিজেকেই রান্না করে খেতে হবে।
– মানে! তুমি রাধবা না?
– রাঁধবো কিন্তু তুমি খেতে পারবা না।কারন আমি পরশুদিন ই খুলনায় চলে যাবো।
– খুলনা! তুমি সত্যিই চাকরীতে জয়েন করবা?
– অবশ্যই করবো। এত কষ্ট করে চাকরী নিলাম আর ছেরে দিবো?

সিফাত খাওয়া বন্ধ করে মিশুর দিকে তাকিয়ে আছে।বুকের একপাশে চিনচিন ব্যাথা হচ্ছে।মিশু কি সত্যিই চলে যাবে? সিফাত অনেক চেষ্টা করেও মিশুকে আটকাতে পারল না।মিশু খুলনায় চলে গেলো। রংপুর থেকে খুলনার দূরত্ব অনেক বেশি।সিফাত চাইলেও যখন তখন মিশুকে দেখতে যেতে পারবে না। সিফাত নিজেকে মরুভূমির মাঝে পড়ে থাকার মত ভাবছে।কিভাবে কি যে হয়ে গেলো! মিশুর চাকরী করার কোনোই দরকার ছিলনা।মিশু শুধুমাত্র অভিমান থেকেই এত দূরে চলে গেলো। কয়েকদিন পর রাতে সিফাত মিশুকে কল দিয়েই ভেজা ভেজা গলায় বলল,আমার খুব জ্বর মিশু।

– কি করবো বলো? খুলনা থেকে রংপুর যাওয়ার ভালো বাস নেই।আর জার্নি খুব বিপদজনক।তাছাড়া অফিস ছেরে যেতেও পারবো না।তুমি বরং মাকে নিয়ে আসো তোমার কাছে। সিফাত নিশ্চুপ। মিশু বলল,তোমার তো এখন ফেসবুকে থাকার কথা।কল কেটে দিয়ে ফেসবুক চালাও, ভালো লাগবে।

– মিশু,আমার ফেসবুকের চেয়ে তোমার সাথে কথা বলাটা গুরুত্বপূর্ণ।
– তাই নাকি? এটা আগে বুঝো নাই যে নিজের স্ত্রীকে গুরুত্ব দেয়া টা কত জরুরি?

আসলে কাছে থাকলে কেউ গুরুত্ব  বুঝেনা,দূরে গেলে বুঝে।এখন তোমার ব্যস্ততা কই গেছে? সারাদিনে হাজার বার কল দেয়ার সময় পাও কিভাবে?
সিফাত নিশ্চুপ,এর কোনো উত্তল তার জানা নেই।অনেক দিন মিশুকে দেখেনা সে,চোখ ভিজে উঠছে। মিশু বলল,অনেক রাত হয়েছে।রাইস কুকারে ভাত হয়ে গেছে,এবার তরকারি রান্না করবো।এখন রাখি? সিফাত আর কিছুই বলতে পারল না।যদিও খুব ইচ্ছে করছে মিশুর কণ্ঠ টা সারাক্ষণ শুনতে,কিন্তু মিশু তো সারাদিন অফিস করে এসেছে।নিশ্চয় ই অনেক ক্লান্ত,এখন আবার রান্না করে খাবে।সিফাত কিছু না বলে ফোন রেখে দিলো।

এক মাস কেটে গেলো। মিশু প্রথম বেতন তুলে পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করলো।কিন্তু বাসায় ফেরার মত সময় নেই,সারাক্ষণ ব্যস্ত সে।আজকাল দিনের বেলা সিফাতের কল রিসিভ করার সময় টাও হয়না তার। রাত্রিবেলা শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে মিশু। কলিং বেল বেজে উঠল। দরজা খুলে দিয়েই মিশু স্তব্ধ হয়ে গেলো! সিফাত সামনে দাড়িয়ে! সিফাতকে উদভ্রান্তের মত দেখাচ্ছে। সিফাত মিশুকে দেখা মাত্রই জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললো। মিশু বলল,এই কি হইছে? তুমি আমাকে কিছু না বলেই হঠাত চলে এলে যে? সারপ্রাইজ দিলে বুঝি?

– আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারছি না।
– এত শুকিয়ে গেছো কেন? চেহারার একি হাল হয়েছে? যেন প্রেমিকা ছ্যাকা দিয়েছে।
– তুমি ছাড়া আমি ভালো থাকি কি করে?
– এতদিনে সময় হলো আমার জন্য?
– হুম হলো।

এখন থেকে সবসময় ই হবে।কারন আমি চাকরী ছেড়ে দিয়ে তোমার কাছে চলে এসেছি।তোমার কাছেই থাকবো। মিশু অবাক হয়ে তাকালো! সিফাত বলল,এখন থেকে আমিই রোজ তোমার জন্য অপেক্ষা করবো।তবুও আমাকে ছেড়ে কোথাও যেও না।তুমি না থাকলে আমি ধন সম্পদ দিয়ে কি করবো?

– তাই বলে চাকরী ছেড়ে দিয়েছ? আমাকে বললেই তো আমি নিজেই তোমার কাছে চলে যেতাম।
– এখানেই একটা চাকরী জোগার করে নিবো।

কিন্তু তোমাকে ছোট করতে চাইনা।আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না। মিশু অবাক হয়ে নির্বাকের মত তাকিয়ে আছে।বিস্ময়ে মুখে কোনো কথা আসছে না। শুধু মিষ্টি হেসে আলতো করে সিফাতের চুলে হাত বুলিয়ে দিলো…

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত