একসময়ের প্রেমিক প্রেমিকা পরবর্তীতে কখনো শুধু বন্ধু হতে পারে না। যে এটা বিশ্বাস করে সে বোকার স্বর্গে বাস করে। কারন ভালোবাসা হলো ছাই চাপা আগুনের মত। এটাকে একটু আগলে দিলেই যে কোন সময় ধপ করে জ্বলে উঠবে। সত্যিকার ভালোবাসা কখনো হারিয়ে যাবার নয় এটা অবিনশ্বর। হয়তো পরিবেশ পরিস্থিতির কারনে ভালোবাসাটাকে অন্য খাতে প্রবাহিত করা যায় কিন্তু সুযোগ পেলেই সেটা আবার যেগে উঠবে। হয়তো ভালো বন্ধু নামটা সকলের কাছে প্রকাশ করতে পারেন কিন্তু তার মধ্যে শুধু বন্ধুত্ব কখনোই থাকবে না,শুধু বন্ধুত্বের মধ্যে যা যা থাকে সেটা ছাপিয়ে যাবেই এবং ভালোবাসার গভীরে হারিয়ে যাবেন।
হয়তো সেটাকে সকলের কাছে বন্ধুত্ব বলেই গলা ফাঁটাবেন, আসলে কি শুধু বন্ধুত্ব পর্যন্ত সত্যি সেটা রাখতে পেরেছেন বা পারবেন?একবার কি ভেবে দেখেছেন? হ্যা যার সঙ্গে আপনি আবার বন্ধুত্ব করলেন তার যদি আরেকটা জীবন সঙ্গী থাকে তাহলে সে হয়তো দুটোকে নিয়েই ভালো থাকবে কিন্তু আপনি কি পারবেন? তার একজন গেলে একজন থাকবে কিন্তু আপনার তো কেউ থাকবে না তখন আপনার পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটাই দায় হয়ে যাবে। তিলে তিলে শেষ হয়ে যাবেন কিন্তু আপনার পাশে কেউ থাকবে না। কাউকে বললে আপনারই দোষ হবে বলবে জেনে বুঝে কেন আপনি আবার গেলেন। আর যার কাছে গেলেন ভালোবাসার টানে বন্ধুত্বের টানে সেও তখন আপনার পাশে না দাঁড়িয়ে ওপর মানুষটার পাশে দাঁড়িয়ে তার বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টায় ব্যস্ত থাকবে।
আপনার উপর সব দোষ চাপিয়ে মনের মানুষটার আস্থা অর্জন করবে। তার প্রতি কনশান হবে কি করে তার বিশ্বাস ফেরানো যায়,তার চোখের জল হৃদয় ছুয়ে যাবে,তার কষ্টে ব্যকুল হবে কিন্তু আপনার দিকে ফিরে তাকানোর ও সময় থাকবে না। একবারও ভাববে না আপনি কতটা কষ্ট পাচ্ছেন, আপনার বিশ্বাসটা কি করে ফিরাবে,আপনার চোখের ক’ফোটা জল পড়লো,এই পৃথিবীতে আপনি কি করে বেঁচে থাকবেন? বরং সব দোষের ভাগিদার আপনাকেই বানাবে। আপনাকেই পদে পদে ছোট করবে অপমান করবে। আপনার সেই অপমান গুলো সহ্য করার মত ক্ষমতা থাকবে কিনা সেটা একবারও ভাববে না। কারন তাকে যে যেকোন মুল্যে তার জীবন সঙ্গীটির আস্থা অর্জন করতেই হবে। হ্যা আপনাকে বলবে তাকে ভালোবাসে না আপনাকেই ভালোবাসে কিন্তু সেটা মনে মনে,বাস্তবে শুধু বন্ধুত্ব নাম ছাড়া কিছু নাই।
কারো জীবনে এমন তৃতীয় ব্যক্তি হওয়ার আগে একবার তার কথাটা চিন্তা করুন যার বিপরীতে আপনি দাঁড়িয়ে আছেন। তার জায়গায় নিজেকে একবার বসিয়ে দেখুন তার কেমন কষ্ট হতে পারে। পৃথিবীতে সব কিছুর ভাগ দেওয়া যায় কিন্তু ভালোবাসার মানুষটার ভাগ কেউ দিতে পারে না। তাহলে আপনি যার ভালোবাসায় ভাগ বসাতে গেলেন চুপি চুপি তার মনে কি ঝড় উঠতে পারে? সে কি করে সহ্য করবে এমন পরিস্থিতি। নিজের কথাটা ভাবলেই অন্যেরটা বোঝা যায়। তাই আপনি তো আজ হোক আর দুদিন পর হোক কষ্ট পাবেন সেটা বোঝাই যাচ্ছে তাহলে কেন অন্যের কষ্টের ভাগিদার হবেন? যাকে ভালোবাসেন তার আপনি না থাকলেও দিব্বি চলে যাবে কারন তাকে ভালোবাসার জন্য আরেকজন আছেই কিন্তু সবদিক দিয়ে কষ্টটা আপনিই পাবেন।
হ্যা হয়তো আপনি ভালোবাসার কারনে তার সব অপরাধ ক্ষমা করে দিয়ে তার সব কথা বিশ্বাস করে থাকলেন কিন্তু কতদিন থাকবেন? কিছুদিন পর গলা ধাক্কাটা আবার কিন্তু আপনাকেই খেতে হবে। তাই কষ্ট হলেও একাই কষ্ট পান সেই ভালো অযথা অন্য আরেকজনের জীবনে কষ্টের কারন হতে যাওয়া মোটেও ঠিক নয়। এটাকে প্রচলিত ভাষায় বললে পরকিয়া বলবে কিন্তু আপনার পরিচয় হবে একজন রক্ষিতা। এতটা অপমানিত জীবন নিয়ে বেঁচে থাকাটা মনে হয় না কারো উচিত হবে।
তাই যাকে ভালোবাসেন তার ভালোর জন্যই না হয় আপনি সরে আসুন। একটা মিথ্যে সম্পর্কের জালে জরিয়ে কি লাভ? জ্ঞানীরা বলেছেন, ভালোবাসাকে মুক্ত করে দাও,সে যদি তোমার হয় তাহলে অবশ্যই একদিন ফিরে আসবে। আপনি না হয় সেদিনের জন্যই অপেক্ষা করলেন। যদি সে আপনার হয় তাহলে একদিন ঠিক আপনার কাছেই ফিরে আসবে। কারো জীবনে অশান্তির কারন হওয়ার চেয়ে একাকিত্ব জীবন অনেক ভালো। ভালো থাকুক সকল ভালোবাসা, পবিত্র হোক সকল বন্ধন।