পরিক্ষার হলে সামনেকার সিটে এক মেয়ে বসেছে, পেছনের ছেলে হাটু দিয়ে মেয়েটির পশ্চাতদেশে হাল্কা চাপ দিয়ে মজা পাচ্ছে! মেয়েটি বুঝছে কিন্তু কিছুই বলছেনা কারণ মেয়েটি ছেলেটির খাতা দেখে লিখছিলো! মেয়েটি নিশেধ করতে পারতো ধর্ম কে ব্যবহার করে ভয় দেখাতে পারতো কিন্তু সে করেনি!
ছেলেটি রিলেশন রাখতে হলে বলেছিল আমার সাথে রুম শেয়ার করতে হবে!! মেয়েটি শুনেছিল বিয়ের আগে এসব হারাম, মেয়েটি ছেলেটিকে ধর্ম দিয়ে বোঝাতে পারতো! মেয়েটি লম্পটতা সম্পর্কে অনেক গল্প পড়েছে কিন্তু নিজে কিছুই করতে পারেনি। ছেলেটি তার প্রিয়তমার মাসিকের ডেট জানে | ছেলেটির তার প্রিয়তমার নমর জর্বিময় স্থন ছুঁয়ে দিয়েছে, মেয়েটি জানে এইগুলা হারাম তবুও সে এইগুলা কে সম্মতি দিয়েছে। একটা মেয়ে যদি তার মাসিকের ডেট না বলে ছেলেটি জানবে কিভাবে?? কোনো বইয়ে কী লেখা থাকে এসব কথা??
মেয়েটি তার বফকে বলেছে আজ রাতে বাসায় কেউ থাকবেনা ও যেন সন্ধার পর ছাদে আসে!! মেয়েটি নানান কিছু রান্না করল! ওকে আদর করে খাইয়ে দিলো তারপর ছেলেটি ওর কাছে প্রথমে কিস তারপর রুমে যেতে বায়না ধরলো! মেয়েটি সম্পর্ক বাঁচাতে রাজী হলো! আসলে তখন মেয়েটির কী করা উচিৎ ছিলো?? একটা মেয়ে স্থন দেখানো ড্রেস পরে, আর একটা ছেলে জাঙ্গি! সবার আগে কার দিকে মানুষ তাকাবে?? মেয়েটির দিকে! তাহলে মেয়েটি যখন রুম থেকে সেজেগুজে বেড় হইছিল ও জেনেশুনে বেড় হয়ছিল?? সম্পর্ক্য শুরু হলো ছেলেটি বাহানাবাজ শুধু সে টাকা টাকা করে! আর সুযোগ পেলে গফের গরম নিশ্বাস পেতে চাই! মেয়েটির করণীয় কী?? সম্পর্ক্য রাখবে? নাকি একাকিনী হবে??
আমাদের জীবন আমাদের চলাফেরা সবকিছু কে “?” দিয়ে আটকাতে হবে!! আপনি জানেন কী একজন মুসলিমের দিনে ৭০বার হলেও মৃত্যুর কথা শরণ করা অতিউওম?? আপনি জানেন কী ভালোবাসা বিয়ের আগে হারাম?? আজ আপনি যে মেয়ের স্থন ছুঁয়ে দিয়েছেন কাল যদি তাকে বিয়ে না করতে পারেন?? আর আপনি যাকে বিয়ে করবেন তার স্থন যদি আমি মেঘ ছুঁয়ে দেয়?? এই প্রশ্ন আমার বন্ধুকে করেছিলাম ও প্রতিউওরে বলেছিলো, তাতে আমার আফসোস নেই!! আমি রাগে গর্জে ছিলাম!! কতটা পশু আমরা?? যৌনতা এতো?? এতো প্রয়োজন আমাদের?? কই আল্লাহ আমাদের নবীর কথা তো কারও মুখে আমি শুনিনি ভাই! তাহলে এসব এতো কেন?? একটা বাচ্চা মেয়ে ৬/১০ বছর ওর মাঝে ওর কাছে আজ আমরা যৌনতা খুঁজছি?? একবার নিজেকে কী প্রশ্ন করেছি আমরা কী করছি?? বাচ্চা মেয়েটি চকলেট খেতে চেয়েছিল!! একটা ভদ্র মেয়ে আপনাকে বিশ্বাস করেছিল, একটা ভদ্র মেয়ে আপনাকে বিশ্বাস করেছিল সে আপনাকে ভালোবেসে আপনাকে সাথে নিয়ে জান্নাতে যেতে চেয়েছিল।
ভাবুন, মেয়েটি ভালোবেসেছিল পবিত্রভাবে এখানে হারাম নয়! কিন্তু যখন তাকে স্পর্ক করেছেন সেটা হারাম হয়ে গেছে!! তাই স্পর্শ থেকে দূরে থাকা ভালোবাসার পূর্ব শর্ত! মনে রাখবেন, যে সম্পর্কে যৌনতা ও রাগ নিয়ন্ত্রিত থাকেনা সে সম্পর্ক্য বেশিদিন থাকেনা। ভালোবাসা মানে দূরে থাকা না! দূর থেকে ভালোবাসা না! তাহলে মহব্বত হবে কিভাবে? আমরা আল্লাহ কে ভালোবাসি?? হ্যা ভালোবাসি তাকে কী দেখেছি?? কথা বলেছি?? ঠিক আমাদের ভালবাসা হতে হবে বিশ্বনবীর মতো!! আর তারপর নামায সাথে (চাবী) নিয়ে জান্নাতে!! এতো ঝামেলা এতো বাহানা এতো কিছুই দরকার নেই তো!!
ভাল মানুষ, ভালো চরিত্র, ভালো মানুষিকতা, নামায, খোদাভিতী, নবীর প্রতি প্রেম তারপর জান্নাত!! মাত্র ক’টা বছরের জীবন রে ভাই!! ভার্জিন থাকুন আর জান্নাতে গেলে পাবেন এমন ৪টা হুরপরী শুধুমাত্র আপনার সেবা করার জন্য ভালো হতেই হবে ভাই!! আগুন জ্বালাতে হবে ভাই!! আর মেয়েদের বলছি, জুতাপেটা শিখতে হবে বোন, আর সবকিছুর মাঝে ইসলাম টানতে হবে। আর রোকেয়া, সুফিয়া, তসলিমা, আর মা ফাতেমার মতো হতে হবে!! পর্দা করতেই হবে!! তারপর সবাই মিলে জান্নাতে যাবো!! আমার কন্ঠটা অনেক মিষ্টি আমি নিজে গল্প পড়ে শোনাবো!!