ফিরে আসা

ফিরে আসা

-তুই এইখানে, আমি তোকে খুজতে খুজতে পাগল হয়ে গেছি। (হাফাতে হাফাতে)
-কেনো ? কি হয়েছে, হাফাচ্ছিস কেনো, ?? (আমি)
-আর বলিসনা, আসার সময় হাত থেকে মোবাইলটা পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে, এখন আর ওপেন হয়না। (ইরা)
-ভালোই হইছে,
-ভালো হইছে মানি তুই কি বুঝাতে চাইছিস??

-না কিছুনা, ডাক্টারের কাছে নিয়ে যা!
-হুম তাই করতে হবে, এখন আজেবাজে কথা রাখ, তোর ফোনটা একটু দে, আম্মুকে একটা কল দিবো ।
– আমার ফোন!! না আমার ফোন দেয়া যাবেনা, অন্য কারো মোবাইল দিয়ে কর!
-তুই না আমার বেস্ট ফ্রেড, আজ বিপদে পড়ে তোর কাছে এসেছি, আর তুই আমার সাথে ঘাতকতা করছিস,!!
-দেখ ইরা বুঝার চেষ্টা কর এইটা আমার পার্সোনাল সেট, আমার সব সেকরেট বিষয় এইটার ভিতর আছে, তোকে কিভাবে দেই এইটা।

-আমি তোর সেকরেট বিষয়ের কাছে যাবোনা, শুধু কনটেক থেকে আম্মু কে একটা মিসকল দিবো।
-বলিছিনা দেয়া যাবেনা, অন্য কারো কাছ থেকে চেষ্টা কর, আর চেষ্টা কখনো বিফলে যায়না।
-আমি তোর ফোন দিয়েই কথা বলবো, আর তোর কাছেই চেষ্টা করবো, আমার এই চেষ্টা কখনোই বিফলে যাবেনা।
-আমি দিবোনা,,
– তুই না দিলেও আমি জোর করে নিবো।
-দেখ ইরা এইটা কিন্তু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে,।
শেষ পর্যন্ত জোর করে মোবাইলটা নিয়ে গেলো।
-পাঁচ ওয়ার্ড বল??(ইরা)
-আমার কাছে দে আমি খুলে দিচ্ছি। (আমি)
-বলবি নাকি আছাড় দিয়ে মোবাইলটা ভেঙ্গে ফেলো?? (রাগ নিয়ে)

-jahid+Ira
-What, কি বললি??
-যেটা শুনছোস সেইটাই বলেছি, তোর আর নেকামো করতে হবেনা।
-তুইও না দিনদিন কেমন হয়ে যাচ্ছিস, মোবাইলের লকটা খোলার পর স্কিনে ইরার শাড়ি পড়া ছবিটা ভেসে উঠলো।
-কিরে এইটা কি,,,, ,,,??, (ইরা)
-আসলে তোকে সারাদিন দেখতে ইচ্ছে করেতো তাই তোর ছবি প্রোফাইলে সেট করে রেখেছি।
-আমি তোর গ্ল্যারীটা একটু চেক করি, (ইরা)
-ইরা ভালো হবেনা কিন্তু বলে দিলাম, তুই বলেছিস আমার সেকরেট বিষয়ের কাছে যাবি না, আর এখন?????
-এই সব কি জাহিদ? গ্ল্যারিতে ফুল আমার ছবি কেনো??
-(আমি চুপ)

-সবে মাত্র বুঝলাম তুই কেনো আমাকে তোর ফোন দিতে চাসনা। চুপকরে আছিস কেনো কথা বল।?
-তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আমার মোবাইলে তোর ছবি ছাড়া আর কার ছবি থাকবে??
-সেজন্য সবগুলো আমার ছবি??
-তো কি হইছে এখন??
-দাড়া আমি সবগুলো ডিলিট দিচ্ছি,,,
-কেনো ডিলিট দিবি??
-তোর মোবাইলে আমার ছবি থাকবে কেনো??
-তাহলে কার ছবি থাকবে??
-আমি জানি না, কিন্তু আমার ছবি থাকতে পারবেনা।

আমি জাহিদ, সিভিল ইঞ্জিনিরিংএ লাস্ট সেমিষ্টারএ পড়ি, ইরা আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড, আসলে ওকে প্রথম দিন দেখার সাথেই আমি ক্রাশ খাই। আস্তে অর সাথে পরিচিতো হতে লাগলাম। আর যখনি আমি আমার মনের কথাটি ওকে বলবো, ঠিক তখনি ইরা বন্ধুত্বের হাতটা বাড়িয়ে দিলো। আমি আর কিছু বললাম না, নিজেকে বুঝালাম ফ্রেন্ড থেকেও অনেক কিছু হয়ে যায়। ইরাকে আর আমার মনের কথা বলা হইনি। চার বছর ইরার পাশেই থেকেছি। আজকে বলার সুযোগ হলো,,, আমি এই সুযোগ মিস করতে চাই না। আমার মনের কথা আজ ইরাকে বলে দিবো।

-ইরা তোকে একটা কথা বলবো??
-হুম, কি বলবি তাড়াতাড়ি বল??
-আমি তোকে,,,,,,,,,,,
-আমি তোকে কি???
-তুই বুঝিস না? আমি কি বলতে চাচ্ছি?
-আজব তো না বললে কি করে বুঝবো?
-আমি তোকে ভালোবাসি,,, কথাটি শুনার পর ইরা তেলে বেগুনে ফুলে উঠলো।
-তুই কি পাগল হয়ে গেছিস,,,
-না ইরা সত্যি বলছি,

তোকে প্রথম দিন দেখার পর থেকেই আমি তোর প্রতি দুর্বল হয়ে পরি। এতদিন বলি নাই বিন্ধুত্ব হারানোর ভয়ে। এখন এইটাই আমাদের শেষ সেমিস্টার , তারপর তোর সাথে আমার আর কনো যোগাযোগ থাকবেনা। তাই আর ভয় করেনি।

-জাহিদ, তুই আর আমি বেস্ট ফ্রেন্ড। এর বেশী কিছু আমি চিন্তা করি না।
-কিন্তু আমি তোকে ছাড়া থাকতে পারবো না।
-পাগলামী করিস না। আমি চাইনা তোর সাথে আমারফ্রেন্ডশিপটা হারিয়ে যাক। (ইরা)
-উফফফ ফ্রেন্ড ফ্রেন্ড ফ্রেন্ড আর ভালো লাগেনা,, এইবার এইটা বাদ দে,,, আমি তোর কাছে ফ্রেন্ড হিসেবে থেকেছি,কিন্তু তুই আমার কাছে গার্লফ্রেন্ড হিসেবেইছিলি।

-এই কথাটি তুই আমাকে প্রথমে বলিসনি কেনো।
-প্রথমে বলেনি তো কি হয়েছে,? এখন তো বলেছি!
-তুই আমাকে ধোকা দিয়েছিস। তোর সাথে আমার আর কনো কথা নেই।
-plz, ইরা এরকম করিস না। আমি তোকে ছাড়া বাচবোনা। কথাটি বলার সাথে সাথেই,, ঠাসসস,,,,,,,

-আর কোনোদিন যদি এই কথা নিয়ে আমার কাছে আছিস, তাহলে তোর সাথে আমার বন্ধুত্বটাই বাদ দিয়ে দিবো।(ইরা) কথা গুলো বলে ইরা চলে গেলো। আমি গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার চলে যাওয়া দেখছি। যাক শেষ পর্যন্ত তো মিথ্যা অভিনয় থেকে বাচা গেলো। কিন্তু আমি তো এইটা আশা করিনি। আমি ভাবছিলাম ইরাও আমাকে পছন্দ করে, কিন্তু পরিস্থিতি তে এসে বুঝতে পারলাম আমার ধারনা ভুল। রুমে এসে শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য শুয়ে পরলাম। এক ঘুমে রাতে মোবাইলের রিংটোন এর আওয়াজে ঘুম ভাংলো। চেয়ে দেখি ইরা ফোন দিয়েছে,,,,,,,

-হ্যা,,,,, বল (আমি)
-কালকে কলেজে এসে আমার সাথে দেখা করবি, তোর জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে!!(ইরা)
-কি সারপ্রাইজ???
-সেটা কালকেই দেখতে পাড়বি।

ফোনটা কেটেদিলো,, আমার তো এখন আনন্দে বুকটা ফেটে যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত ইরা আমার কথায় রাজি হইছে। চিন্তা করতে লাগলাম ইরার সারপ্রাইজটা কি হতে পাড়ে। পরেরদিন সকালে ক্যাম্পাসে এসে ইরাকে খুজতে লাগলাম । কিন্তু কোথাও পেলামনা তাকে। দাঁড়িয়ে আছি নিস্তব্ধ হয়ে। এমন সময় কে জেনো পিছন থেকে এসে চোখ দুটি আকরে ধরলো। পারফিউম থেকে বুঝতে পারলাম এইটা ইরা,।

–আমি জানি যে আমার চোখ ধরেছে তার নাম ইরা। (আমি)
-চোখ খুলবিনা, আমি যখন বলবো তখন খুলবি।
-ওকে, কিছুক্ষণ পর,,,
-কিরে আর কতক্ষব???
-এইবার চোখ খোল? চোখ খোলা মাত্র সামনে দাঁড়িয়ে থাকা স্টাইলিশ হিরোর মতো চেহেরা এক ছেলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো,,,,

-ও হচ্ছে নাইম, আমার বয় ফ্রেন্ড। কালকে তোর কথা শুনে মনে হলো তুই কোথাও না কোথাও ভুল করছিস। তাই তোকে ওর সাথে পরিচয় করে দেই।(ইরা) ইরার কথা শুনে বুকটা ফেটে যেতে লাগলো। কাটা গায়ে নুনের ছিটা।

-হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে, hi আমি জাহিদ, ইরার সবছে কাছের বন্ধু,(আমি)
-আমি নাইম, সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার (নাইম)
-কি এইবার তোর ভুল ভেঙেছি? (ইরা) আমি কিছু বললাম না। শুধু মাথা নাড়ালাম।
-আজকে আমরা সারাদিন ঘুরবো (ইরা)
-তোরা যা আমার একটা কাজ আছে (আমি)
-না আজকে তোর কোনো কথাই শুনবো না, তোর যেতেই হবে আমাদের সাথে। (ইরা)
-তোদের পার্সোনাল সাইটে আমি যেতে চাই না। (আমি)
-জাহিদ,,, তুই এখনো আমাকে নিয়ে আছিস,?? তুই কি আমার ভালো চাস না, ? চাসনা আমি সুখে থাকি?(ইরা) একটু হাসির ভঙ্গী দিয়ে

-কেনো চাইবোনা, ? তোর সুখই তো আমার সুখ।(আমি) কথাটি বলে আর চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না। তাড়াতাড়ি চলে আসলাম রুমে। মোবাইল থেকে ইরার ছবিগুলো ডিলিট দিতে লাগলাম। তোর সুখে আমি বাঁধা দিবো না। ভালো থাক ইরা।

এখন আর আগের মত ক্যাম্পাসে যাওয়া হয়না। মাঝে মাঝে যাই। মাঝে মাঝে ইরার সাথে দেখা হয়৷ তখন মুখে একটা হাসি দেই৷ যেন ইরা বুঝতে পারে তার সুখে আমিও সুখে আছি। ইরার সাথে ভালোভাবে কথা হয় না। কিসের এতো তারা জানিনা। দেখতে দেখতে সেমিষ্টার চলে আসলো। এইটাই শেষ। আমিও ব্যাস্ত হয়েগেলাম। ইরার কথা ভাবার সময় নেই। সেমিস্টার শেষ। চিরতরে চলে যাবো এখান থেকে৷ প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র আগেই পাঠিয়ে দিয়েছি। যাওয়ার আগে ইরাকে খুজতে লাগলাম, অনেক খুঁজার পর যখন ইরার কোনো খোঁজ পেলাম না। তখন ইরাকে একটা মেসেজ দিয়ে চলে আসলাম। যেটাতে লেখা ছিলো, “চলে যাচ্ছি আর হয়তো দেখাহবে না। ভালোথাকিস! নিজের প্রাণপ্রিয় জেলা ভোলাতে এসে পড়লাম।

মোবাইলের সিমটা কে ফেলে দিয়েছি। নতুন একটা নিয়েছি। বাড়ি তে এসে পড়লাম, মা বাবার আদরে ইরাকে হারানো বেদনা আস্তে আস্তেনিমেষ হয়ে গেলো। মঝে মাঝে মনে পড়তো। তখন চোখদিয়ে পানি ছাড়া আর কিছুই ভাবা যেতো না। দেখতে দেখতে ১ বছর হয়ে গেলো,,, এই কদিনে ইরাকে ভুলেই গেছি। আজ জরুরী কাজে আবার সেই ক্যাম্পাসে আসলাম। কলেজের ভিতর ঢুকতেই ইরার স্মৃতি গুলো আবার জেগে উঠলো। যে খানে তাকায় সেখানেই আমার আর ইরার স্মৃতি ভেসে উঠে, আর বুকের ভেতর চিন চিন করে ব্যাথা করতে লাগলো। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলালাম। কলেজের কাজ শেষ করতে করতে দুপুর ২টা বেজে গেলো। এইবার বাড়ি ফিরার পালা, । বারান্দায় হাটতেছি এমন সময় পিছন থেকে ডাক আসলো।

-ভাই আপনার সেলফোনটা একটু দেয়া যাবে?? (এক অপরিচিত মেয়ে)
-কেনো কি করবেন? (আমি)
-আম্মুকে একটা ফোন দিবো
-ওকে, এই নিন। মোবাইলটা দিয়ে আমি আমার কাগজ পত্র গুলো পরিক্ষাকরতে লাগলাম।
-লক।
-4536
– কেনো? jahid+ira কি হয়েছে।

মেয়েটি বোরকা পরে ছিলো তাই চিনতে পারিনি, মুখটা খোলার পর দেখলাম,,, আরে এতো ইরা,। আমি ভাবিনী যে এমন করে ওর সাথে দেখা হয়ে যাবে।

-কিরে কেমন আছিস???(আমি)
-শয়তান, কুত্তা, ক্যারেকটার লুস তুই আমার সাথে এমন করলি কেন?? (ইরা)
-আমি কি করলাম
-তুই জানিস তোকে আমি কতো খুঁজেছি,। তোর মোবাইলও বন্ধ,
-তুই আমাকে খুজেছিস কেনো।
-এমনেই,,,, চল আমরা কথাও বসে কথা বলি?
-হুম চল
-তো কেমন আছিস? (আমি)

-এই কোনো মত। আর তুই?
– আমি অনেক। নাইম কেমন আছে?? (আমি) কথাটি বলার পর ইরাকে কেমন যানি ক্লান্ত দেখা গেলো।
-রাখতো এই সব কথা,, অনেক দিন পর দেখা হলো একটু ভালো কথা বলবি তা না করে?? (ইরা)
– ও সেটাইতো, ( আমি)
– শুন তোকে একটা কথা বলি?
– হুম?
– তুই কিভাবে ভালো থাকিস সেই মন্ত্রটা শিখিয়ে দিবি?
-কেনো??
-প্রথমে ভাবতাম তোকে হারিয়ে ফেললে আমি নতুন একজন পেয়ে যাবো,

কিন্তু আমি আমার ভুল বুঝতে পাড়লাম। তুই আমার জীবনে কতটুকু প্রয়োন ছিলি। আমি প্রতিদিন আশায় থাকতাম তুই একদিন না একদিন আসবিই। আজকে আমি তোকে দেখে বিশ্বাস করতে পারছিনা। আমি কি স্বপ্ন দেখছি।

-না বাস্তব আমি তোর পাশেই বসে আছি।
-জানোস জাহিদ তুই আমাকে কতো কষ্ট দিয়েছিস,??

তুই যাওয়ার পর নাইমও আমাকে ধোকা দিয়ে চলেগেছে। আমি তখন একলা হয়ে গেছি। আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারিনি। তখন বুঝলাম আমি আমার জীবনের মানিক রতন হারিয়ে ফেলেছি। সারাক্ষন শুধু তোর কথা চিন্তা করতাম, তুই আমাকে মাফ করে দে??

-আমি তোর বন্ধু আমি কখনো তোর উপর রাগ করি নি, আমার কনো অভিমান নেই তোর উপর।
-তুই চলে যাবি আজকে??
-হুম, এখান থেকেই চলে যাবো। কিছু বলবি??
-না কিছু না। আমি ঘরির দিকে তাকালাম। অনেক হয়েছে।
– ইরা?
-কি চলে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে?
-তাহলে আমি উঠি
-আর কিছুক্ষন থেকে যা,,,,

-জানোস তো বাড়ি কতদূর, তাড়াতাড়ি যেতে হবে,,
-তাইতো,,ইরার থেকে বিধায় নিয়ে চলে আসতে লাগলাম,, পিছনথেকে আবারো ডাক,,,,,
-জাহিদ ,,,,
-কি হইছে আবার,
-না কিছু না,,
-তাহলে যাই এবার??
-(চুপ) কিছুক্ষন পর হুটকরে আমাকে জড়িয়ে ধরলো আর বলতে লাগলো,,
-জাহিদ, আমি তোকে ছাড়া তাকতে পাড়বো না, আমি তোকে ভালোবাসি??? আমি ছাড়িয়ে নিয়ে।
– কি সব আজে বাজে বলছিস তোর মাথা ঠিক আছে? (আমি) ইরা আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

– কি প্রতিশোধ নিবি? নে, তারপরও ফিরেয়ে দিস না। এই কয়টা দিন তিলি মরেছি৷ তোকে দেখার পর নতুন প্রান পেয়েছি। (ইরা)
-ইরা আমার সময় চলে যাচ্ছে। ইরা এবার বেশ অবাক হলো।
– জাজিদ!! তুই এইটা। হুম যা, তোকে আটকিয়ে রাখার শক্তি আমার নেই। নিজেকে বুঝদিবো আমি আমারঅপরাধের শাস্তি পেয়েছি।

-ইরা চলে যেতে লাগলো আমিও সামনের দিকে অগ্রসর হলাম। প্রতিটা কদম আমার বীরুধিতা করছে, কোথাও যেনো ভুল হচ্ছে। বুকের ব্যাথাটা আবার জেগে উঠলো। আমি কি ঠিক কাজ করছি? একবার ইরার দিকে তাকালাম সে অনেক দূর চলে গেছে। নিস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। দুই চোখ বন্ধ৷ ইরার সাথে কাটনো সময় গুলো বার বার প্রতিফলিত হচ্ছে। কিছু না ভেবে এক দৌড়ে ইরার সামনে গিয়ে দাড়ালাম। ইরার দুচখে পানি ঝরছে অবিরাম। আমি কিছু বলার আগেই ইরা আমার বুকে ধুমরে পরলো৷

– এতো অভিমান রে তোর? (ইরা)

আমি আর কিছুই বললাম না। বুকের ভিতর পাথরে চাপা সপ্ন গুলো ডানা মেল্লো। দুটি জীবন আবার একসাথে স্বপ্ন দেখতে লাগলাম।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত