“ভাইয়া ভাইয়া তুই কাউকে ভালোবাসিস.? আমিতো ভ্যাবাচেকা খেয়ে জান্নাতের দিকে তাকিয়ে আছি। হঠাৎ এমন প্রশ্ন করলো যেনো সময়টাকে থমকে দিলো।
“এই জান্নাত এসব কী বলিস.?
“আরে ভাইয়া বলোনা কাউকে ভালবাস কি না.?
“আগে বল হঠাৎ এসব বলতেছিস কেনো.?
“ভাইয়া বলবি কী না সেটা বল.?
“হুম ভালবাসি তো “এই কাকে কাকে.?
তার নাম কী.? দেখতে কেমন রে। “আমার ছোট্ট পরী টাকে ভালবাসি। জানিস নামটা না সবসময় আমার বুকের মধ্যে ছটফট করে। এক মুহূর্তের জন্য সরেনা। আর দেখতে এত সুন্দর জানিস.? আমার সামনে যদি বিশ্ব সুন্দরি কেও নিয়ে দ্বার করিয়ে দেয়। তাহলেও বলবো আমার জান্নাত পরীটা সুন্দর।
“আরে বুদ্ধু আমাকে তো ভালবাসিস সেটা তো জানি অন্য কাউকে ভালবাসিস.? “আমার মনে শুধু আমার বোনের জন্য ভালবাসা রয়েছে। আর কারো জন্য না। তোকে আমি যেমন টা ভালবাসি। দেখ তেমনি অন্য মেয়ের ভাই ও তার বোনকে তেমনি ভালবাসে। তোর সাথে যদি কেউ বেয়াদবি করে আমার যেমন সহ্য হবে না। তেমনি সেই ভাইটার সহ্য হবে না। আমি এটা মানি আমি যেটা অন্য মেয়ের সাথে করবো সেটা তো অন্য কোনো ছেলে আমার বোনের সাথেও করতে পারে। তাই এসব ন্যাকামির মধ্যে আমি যাইনা। তোকে ভালবেসে ই হয়ে যাবে। আমার ভালবাসার মানুষের অভাব আছে দেখ। তুই আছিস, আম্মু আছে আর কাকে ভালবাসবো বল।
“ধুর ইমোশনাল করে দিলি। একটু ফাজলামো করবো ভাবছিলাম কিন্তু তুই সবসময় সিরিয়াসলি নিয়ে কথা বলিস।
“এই যা পাগলিটা কান্না করে কেনো.? আচ্ছা কান্না করতে হবেনা। এই জান্নাত বাচ্চাদের মত কান্না করে। আম্মু আম্মু দেখে যাও তোমার বাচ্চা মেয়েটা কান্না করতেছে। আচ্ছা কান্না থামাও তাহলে একটা গিফট দিব।
“তুই যা কিপ্টে একটা ক্যাটব্যারী চকলেট আর কিছুনা। আমি জানি।
“আচ্ছা আজকে অন্য কিছু দিব। চোখ বন্ধ কর।
জান্নাত নিজের হাত দিয়ে চোখ দুটো বন্ধ করে রাখলো। আর আমি আমার ব্যাগে রাখা জান্নাতের জন্য একজোড়া কানের দুল আর নীল চুড়ি। এ গুলোর ছবি জান্নাতের টেবিলের উপর একটা বইয়ের মধ্যে পেয়ে সারপ্রাইজ হিসাবে নিয়ে আসছি।
“এই এই জান্নাত একদম চিটিং করবি না। চোখ বন্ধ কর। আমি বলছি চোখ বন্ধ কর।
“করছি তো।
“উহু হাতের ফাক দিয়ে এখনো দেখছি ভালো করে চোখ বন্ধ কর।
“আচ্ছা ভাই করলাম চোখ বন্ধ কী এমন গিফট দিবি যে এত করে চোখ বন্ধ করতে হবে।
জান্নাতের সামনে ওর সবচেয়ে প্রিয় চকলেট তারপর চুড়ি আর দুল জোড়া সুন্দর করে সাজিয়ে বললাম জান্নাতকে চোখ খুলতে। জান্নাত চোখ খুলে তো পুরো স্তব্ধ হয়ে গেছে। মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে ওয়াও রিয়াকশন দিয়ে আছে। চোখ দুটো বড় বড় করে দুল জোড়া হাতে নিয়েই এক দৌড়ে আম্মুর কাছে চলে গিয়ে কি লাফালাফি শুরু করলো। ওকে দেখে মনে হয়েছিল যেন ও চাঁদ হাতে পেয়েছে। এতটা খুসি আগে কখনো দেখিনি আমি। খুশিতে আমার সাথে কথা না বলে পুরো বাসা মাথায় তুলে নাচতে শুরু করে হঠাৎ করেই দৌড়ে এসে আমার গালে একটা চুমু খেয়েই। ভাইয়া এত্তগুলা ভালবাসি তোকে। তুই আমার সবচেয়ে বেস্ট ভাই।তোরমত আর কারো ভাই যেনো না হয় আমার হিংসে হবে।
“ভালবাসি বোন তোকে। “আমি তোকে ভালবসি না। ভালবাসলে আর এত আদর পাবো না। হি হি বেশি আদর পেলে বাদর হয়ে যাব। “বাদর হইলে হবি বাদর হয়েও আমাকেই জ্বালাবি। আমার থেকে একটুও দূরে যাবিনা। মনে থাকবে তো.? “হু মনে থাকবে। ঠিক তখনি আম্মু বললো। “তোদের ভালবাসা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভালবাসা”