— আজ রাতে আমার সাথে থাকবেন? (জারা)
— মানে ঠিক বুঝলাম না (তানভীর)
— আপনি তো যথেষ্ট এডাল্ট.. না বোঝার কি আছে ?আপনি তো আমাকে চেনেন…নাকি অস্বীকার করবেনআমাকে আপনি চিনেন না?(জারা)
— হ্যাঁ আপনাকে আমি চিনি আমার বাসার উপরের তলায় থাকেন তো এবার বলেন কি বলতে এসেছেন? (তানভীর)
— হা হা বোঝেন নি…? ওকে আবারও বলছি..আজ রাতে আমার সাথে থাকবেন আপনি..?মানে রাতে আমার সাথে সময় কাটাবেন..সারারাত এঞ্জয় করবো আমরা…রাজী আছেন..?(জারা) তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে রইলাম জারা’র দিকে…মেয়েটা যথেষ্ট সুন্দরী..কি বলা উচিত বা কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না..হয় সে পাগল হয়ে গেছে না হয় আমার সাথে মজা করতে এসেছে..এছাড়া আর কিছু মাথায় আসছে না..
জোরে জোরে সিগারেট টানতে লাগলাম আমিআশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম আর কেউ নেই..শুনলে জারাকে সবাই খারাপ মেয়ে ভাবতো..কিন্তু আমি জানি এই মেয়েটা অসম্ভব রকমের ভালো একটা মেয়ে..আজ দু’বছর ধরে দেখছি..কিন্তু কখনো কোন ছেলের সাথে দেখি নি জারা আর আমি একই ভার্সিটিতে পড়ি..তবে আমি ওর চেয়ে ২ বছরের সিনিয়র.. পড়ছি এম বিএ তে..আর ও বি বি এতে…কিন্তু মেয়েটা এসব কি বলছে মাথায় আসছে না আমার….
— আপনি ভেবে বলুন..সমস্যা নেই..সিগারেট খেয়ে ভেবে নিয়ে তারপর না হয় জবাব দিবেন…(জারা)
— এই মেয়ে দেখো..তুমি করে বলছি আমার ছোট তাই..এসব কি বলছো বুঝতে পারছি না আমি..আর এমন কথা দ্বিতীয়বার ভুলেও বলবে না আমাকে(তানভীর)
— কেন আপনি কি হিজড়া?
আপনার সেক্সুয়াল পার্টটা কি অকেজো?নাকি পেনিস কাজ করে না ?(জারা) জারা নির্লিপ্ত কণ্ঠে বলে গেল এসব কথা কোন ভাব ভঙ্গি নেই যেন..মনে হচ্ছে আমি যেন ওর বফ..অনেক বছর ধরে দৈহিক রিলেশনে আছি এভাবেই বলে গেল সহজে কিন্তু এসব কথা শুনে আমার মাথায় আগুন ধরে গেল..কি বলে মেয়েটা…? এতোবড় সাহস..? আমার পুরুষত্ব নিয়ে কথা বলে..?যেখানে ভার্সিটির সবাই জানে আমি একটা প্লেবয় সেখানে এই মেয়েটা কোন সাহসে আমাকে এসব বলে…?
— ওকে জারা কয়টায় আসবো..? তবে একটা শর্ত আছে…(তানভীর)
— রাত ১১ টায় আসবেন বাসায়..বাসায় কেউ নেই আজ..আর বলেন কি শর্ত..?(জারা)
— আমি যতক্ষণ চাইবো ততক্ষণ আমার চাহিদা পূরণ করতে হবে…
এর আগ অব্দি তুমি আমাকে হাজার মানা করলেও আমি শুনবো না..আমাকে তোমার শরীর থেকে নেমে যেতে বললেও আমি নেমে যাবো না..তুমি যতই নিষেধ করো না কেন আমি শুনবো না আমি যতক্ষণ চাইবো যতবার চাইবো যেভাবে চাইবো সেভাবেই করতে হবে..(তানভীর) ঝিক করে উঠলো যেন জারার চোখ গুলো..পুরোপুরি উন্মাদের দৃষ্টি টের পেলাম জারার চোখ থেকে..লোভাতুর নেশা ছিল সে চোখে…
— আমি অবশ্যই রাজী..এবং আমি না ছাড়া অব্দি আপনিও যেতে পারবেন না…(জারা)
— আচ্ছা দেখা যাবে কে কাকে হারায়..বা কে কার কাছে হার মানে দেখা যাবে…(তানভীর)
— আচ্ছা আসি এখন..(জারা)
জারার চলে যাওয়া দেখতে লাগলাম…আমি কোনদিন কাউকে ভালোবাসি নি..ভালোবাসায় একবার প্রতারিত হবার পর থেকেই ভালোবাসাকে ঘৃণা করি..ভীষণ ঘেন্না করি…তারপর থেকেই মেয়েদের সাথে খেলি..মেয়েদের দেহ নিয়ে খেলে তাকে ছুঁড়ে ফেলে দেই..মেয়ে আমার কাছে ভোগ পন্য ছাড়া আর কিছুই না..কোন মেয়েকে পটানো আমার জন্য কোন ব্যাপার না…কারণ আমি দেখতে এমনই..আকৃষ্ট হবার মত ছেলেই আমি..কিন্তু এত যে শয়তান খোদ শয়তানও বোধহয় আমাকে দেখে লজ্জা পায় মাঝে মাঝে…
ভাবছিলাম কিভাবে কি করা যায়..আজ জারাকে বিছানাতে মেরেই ফেলবো…কারণ সে আমাকে এমনকথা বলেছে যা আমি নিত্র পারছি না..এমনিতেও আমি ভীষণ রাগী আর বদমেজাজি আর তার উপর জারার কথা শুনে রক্তগুলো টগবগ করে ফুটতে লাগলো এমনিতে জারার ফিগারটা বেশ ভালোই…কিন্তু সে দেহে কারো হাত এখনো পড়ে নি দেখেই বোঝা যায়..আর মেয়েদের আমি মুড়ির মত ব্যবহার করেছি..মেয়ে দেখেই বলে দিতে পারি সে মেয়ে ভালো না খারাপ চোখের ভাষা যে পড়তে পারবে সে অবশ্যই সবকিছু বলে দিতে পারবে..আর আমি চোখের ভাষা পড়তে পারি..বেশ ভালো করে পারি পড়তে আর মেয়েদের সাথে কথা বলেই বুঝতে পারি সে কি চায় বা তার মনে কি চায় আজ রাতে খেলা হবে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি যেন তবে একটু যেন গিল্টি ফিল করতে লাগলাম কারণ মেয়েটা যথেষ্ট ভালো..
আবার পরক্ষণেই ভাবতে লাগলাম যাই হবে হোক আমি তো আর মেয়েটাকে বলি নি মেয়েটা নিজেই তো রাজী হয়ে তারপর আমার কাছে এসেছে বন্ধুকে কল দিয়ে ওর সাথে মিট হলাম ওর মেসে যাবার আগে ফেনসিডিল আর বাবা কিনে নিয়ে গেলাম মোট ২০ টা বাবা খেয়ে তার সাথে দু বোতল ফেনসিডিল খেয়ে নিলাম নেশাটা চরম হয়েছে গা থেকে আগুন বের হচ্ছে যেন..আজ জারাকে মেরেই ফেলবো আদর করতে করতে ওর প্রতিটা শীৎকারে যেন পুরো রুম কেঁপে উঠে সেই ব্যবস্থাই করবো যথারীতি ১০:৫৭ তে ওর দরজায় টোকা দিলাম দু’টোকাতেই দরজা খুলে দিল…বুঝলাম যে ড্রয়িং রুমে বসেই অপেক্ষা করছিল সে আমার জন্য লাল একটা নাইটি পড়ে আছে সে..ধবধবে সাদা ঊরু দেখা যাচ্ছে..হাঁটু পর্যন্ত নাইটিটা ভেতরের ব্রা আর অন্তর্বাস স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আলোতে ভেতরের সবকিছু দেখা যাচ্ছে..নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে হেঁটে গিয়ে সোফাতে বসলো আমি কল্পনাই করতে পারছি না জারাটা এমন আমি কি স্বপ্নে আছি ? বুঝতে পারছি না কিছুই নাকি জারা মেয়েটাকে চিনতে আমার ভুল হলো তবে কোনদিন ওর নামে খারাপ কিছুই শুনিনি ক্যাম্পাসে অনেক ছেলেই ওর পাত্তা পায় না আর এমন মেয়ে আমাকে এমন অফার করবে আমি ভাবি নি কখনো
— বিছানায় চলো..(জারা)
— ওকে…(তানভীর)
ওর বেডরুমটা অনেক সুন্দর..দেখেই অবাক হয়ে গেলাম..নীল পর্দা এবং নীল রঙ দিয়ে রঙ করা দেয়াল গুলো খুব সুন্দরভাবে মানিয়েছে বিছানায় বসলাম আমি..জারা হোম থিয়েটারে এনরিকের গান প্লে করে দিল কি অদ্ভুত এনরিকের গান অনেক অনেক ফেভারেট আর এই মুহূর্তে এনরিকের গান শুনে যেন মাথায় আস্তে আস্তে আগুন চড়তে লাগলো জারা এসে আমাকে ঠেলে শুইয়ে দিল ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু দেয়া শুরু করলো কিন্তু এই চুমোটাই যে আমার কাল হয়ে দাঁড়াবে তা কখনো ভাবতে পারি নি প্রায় ১০ মিনিট পর সে উঠলো আমার উপর থেকে তারপর জড়িয়ে ধরে আমার বুকে শুয়ে রইলো আমি বুঝে গেলাম জারার সব মনের কথা চোখ মন আর ওর মাথায় কি চলছে সব বুঝে গেলাম আমি আমি মেয়েদের সবকিছুই বুঝতে ও বিশ্লেষণ করতে পারি জারা আমাকে ভালোবাসে অনেক অনেক ভালোবাসে..পাগলের মত ভালোবাসে..তাই ওর সবকিছু সমর্পণ করে হলেও আমার ভালোবাসা পেতে চেয়েছে কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না ইচ্ছা করছিল ওকে ফেলে ওখান থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যাই আমি..নিজেকে কাপুরুষ ভাবতে ইচ্ছা করছিল..হেরে গেলাম যেন জারার কাছে জারা হঠাৎ মাথা তুলে আমার চোখে চোখ রেখে বলে উঠলো,,
— আমি তোমাকে ভালোবাসি তানভীর…হয় আমাকে গ্রহন করো না হয় আমাকে ভোগ করো..
ভালো যদি নাও বাসো তবুও তোমার আজকের এই রাতের স্মৃতি ধরে রেখে আমি আজীবন এভাবে একা কাটিয়ে দিবো..আর যদি ভালোবাসো তোমার ভালোবাসা পেয়ে আমি ধন্য হবো..আমি তোমার কোন কিছুই জানতে চাই না বা জানার আগ্রহ নেই আমার আমি শুধু আজ থেকে সামনে দেখে যাবো..কি বলবে বলো..(জারা) কি বলবো তা আগে থেকেই ভেবে নিয়েছিলাম আমি শুধু ওর কপালে আলতো করে একটা চুমু দিয়ে বললাম,,
— জারা অনেকদিন কাউকে ভালোবাসি নি..ভালোবাসার ইচ্ছাটাও আর ছিল না..কিন্তু আজ কেন যেন বলতে ইচ্ছা করছে ভালোবাসি জারা তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি এই বলে জারাকে ছেড়ে দিলাম..কারণ এটা ভালোবাসা..ভালোবাসাকে নষ্ট করতে পারবো না আমি..আজ জারা আমার বিবেক জাগ্রত করে দিয়েছে..আমার চোখ খুলে দিয়েছে জারাকে বলে উঠলাম,,
— আমাদের বিয়ের পর সব হবে..তার আগে কোন কিছুই নয়..আর হ্যাঁ আজ থেকে এমন পাগলামো আর করবে না..(তানভীর)
— আর এমন করবো না কখনো..(জারা)
আমি লজ্জায় লাল হওয়া জারার মুখটা দেখতে পাচ্ছি..ভালোবাসায় লজ্জিত লাল হওয়া মুখ অনেক বছর পর দেখলাম..এমন মুখের দিকে তাকিয়ে হাজার বার মরে যাওয়া যায় কল্পনায় দেখতে পাচ্ছি, সারাদিন বাসায় খুনসুটি চলছে আমাদের…