কালো বা শ্যামলা মেয়েরা সাধারনত কালো রঙের শাড়ি পড়েনা। কেননা কালো শাড়িতে নাকি তাদের মানায় না। কথাটা সম্পূর্ণ ভুল মনে হবে লিতুনকে দেখলে। শ্যামলা মেয়েকে যে কালো শাড়ি এতোটা মানায় লিতুনকে না দেখলো বুঝা মুশকিল। সাজগোজ বলতে চোখে কাজল আর ঠোঁটে হালকা লিপিস্টিক তবুও সোনালি পাড়ের কালো শাড়িতে লিতুনকে অপরূপ লাগছে। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় লিতুন নিজেকে দেখে নিজেই অবাক হয়েছে এতো রূপ কোথায় লুকিয়ে ছিলো কে জানে।
রাস্তার পাশে অনেকক্ষন যাবদ রিক্সায় বসে আছে লিতুন। পাশের দোকানের কম বয়সি ছেলেটা তখন থেকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে। হয়তো মনে মনে ভাবছে এমন রূপবতী একটি মেয়ে যদি তার প্রেমিকা হতো, যদি তার জন্য এভাবে অপেক্ষা করতো, যদি ভালোবেসে হাতটা ধরতো। কল্পনায় হারিয়ে যায় ছেলেটি একসময় দীর্ঘ্যশ্বাস ফেলে বললো আমি তো অন্যের দোকানের কর্মচারি আমার কপালে এমন প্রেমিকা জুটবে কেন। এদের জন্ম হয়েছে দামি বাইকের পেছনে বসে কারো পিঠে হাত রাখার জন্য অথবা দামি কারে বসে কাঁচ নামিয়ে তাকে ডেকে “মামা একটা পানির বোতল দিন” বলার জন্য। ছেলেটি আবার তার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। হয়তো রাতে ঘুম না হলে লিতুনকে নিয়ে কল্পনা করবে। যদি তার মতো একটা প্রেমিকা থাকতো তাহলে রিক্সায় পাশাপাশি বসে ঘুড়তো, চিড়ায়াখানায় বেড়াতে গিয়ে বেঞ্চে বসে গল্প করতো, হাসির গল্প শুনে মেয়েটা হাসতে হাসতে তার বহুতে আলতো করে মারতো। লিতুন ব্যাগ থেকে সিগারেটের প্যাকেট বের করলো। রিক্সাওয়ালার দিকে তাকিয়ে বললোঃ
-মামা লাইটার আছে আপনার কাছে?
রিক্সাওয়ালা কিছু বললোনা পকেট থেকে লাইটার বের করে দিলো। লিতুন সিগারেট ধরিয়ে আনাড়ি ভঙ্গিতে সিগারেটে টান দিয়ে কাঁশতে শুরু করলো। কাঁশতে কাঁশতে চোখে পানি এসে গেছে, চোখদুটিতে পানি ছলছল করছে। আসিফ অফিস থেকে বের হয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়াতেই লিতুনকে দেখতে পেলো। লিতুন তখন অন্যদিকে তাকিয়ে ছিলো তাই আসিফ তাকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য হাঁটা শুরু করলো কিন্তু লিতুনের ডাক শুনে থমকে দাঁড়ালো।
-এই আসিফ দাঁড়াও। আসিফ থমকে দাঁড়ালো। লিতুন রিক্সা থেকে নেমে আসিফের কাছে আসলো।
-আমাকে দেখে পালাচ্ছিলে বুঝি।
–কই না তো। তুমি কোথায় ছিলে?
-মিথ্যা বলোনা আসিফ, তুমি মিথ্যা বললে আমি বুঝতে পারি ভুলে গেছো।
আসিফ কি বলবে কিছু ভেবে পেলোনা। চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো। লিতুনকে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। অনেকদিন পরে দেখছে তাকে কম করে হলেও দেড় বছর। আসিফকে চুপ থাকতে দেখে লিতুন বললোঃ
-আরে মজা করে বলেছি, তুমি হয়তো দেখতে পাওনি তাইনা?
–হ্যাঁ…
-আমরা কি কোথাও বসে কথা বলতে পারি। এখানে অনেকক্ষন ধরে রিক্সায় বসে আছি লোকজন কিভাবে যেন তাকাচ্ছে। সিগারেট খেয়েছি তো তাই লোকজন হয়তো খারাপ মেয়ে ভাবছে হিহিহি…
–পাশে একটা কফিশপ আছে সেখানে বসি?
-আচ্ছা…
দুজন সামনাসামনি বসে আছে কিন্তু কারো মুখে কোন কথা নেই। আসিফ টেবিলের দিকে তাকিয়ে আছে লিতুন তাকিয়ে আছে আসিফের দিকে। নিরবতা ভেঙ্গে লিতুন বললোঃ
-এখানে এসে তোমাকে কি খুব বেশি সমস্যায় ফেলে দিলাম। যদি তোমার সমস্যা থাকে তুমি চলে যেতে পারো।
–না এমন কিছু না।
-যাক তাহলে চুপ না থেকে দুটো কথা তো বলতে পারো, একলিস্ট হায় হ্যালো।
–কেমন আছো তুমি?
-আমি খুব ভালো আছি। তুমি কেমন আছো?
–আমিও ভালো আছি।
-কতোদিন পরে দেখা বলো তো?
–প্রায় দেড় বছরের মতো হবে।
-আচ্ছা সত্যি করে বলো তো এতোদিনে একবারের জন্যেও কি আমাকে দেখতে ইচ্ছা করেনি তোমার? জানতে ইচ্ছা করেনি কেমন আছি আমি।
–তুমিই তো বলেছিলে আর কখনো যেন যোগাযোগ না করি।
-হুম তাও ঠিক। আমিই তো বলেছিলাম কখনো যোগাযোগ যেন না করো। আচ্ছা আসিফ আমি কিন্তু বহুবার এও বলেছিলাম কখনো আমাকে ছেড়ে যেয়োনা। সেটা কি ভুলে গেছিলে?
–লিতুন পুরোনো কথা থাক না। কি লাভ পুরোনো কথা বলে।
-হুম সেটাই, লাভ ছাড়া তো আবার তুমি কিছু করোনা। লিতুন ব্যাগ থেকে সিগারেটের প্যাকেট বের করে আসিফের দিকে হাত বাড়িয়ে বললোঃ
-নাও সিগারেট ধরাও। তোমাকে অনেক নার্ভাস মনে হচ্ছে। আগের ব্রান্ডটাই খাও নাকি ব্রান্ড বদলেছো? আমি কিন্তু আগের ব্রান্ডটাই নিয়ে এসেছি।আসিফ সিগারেটের প্যাকেটটা হাত বাড়িয়ে নিয়ে টেবিলে রেখে দিলো। লিতুন বললোঃ
-তোমার গার্লফ্রেন্ড কেমন আছে?
–ভালো।
-কবে বিয়ে করছো?
–জানিনা। এখনো ভাবিনি।
-তাকেও ছেড়ে দেয়ার পরিকল্পনা আছে নাকি?
–লিতুন তুমি কি আমাকে অপমান করার জন্য এসেছো। কিছু বলার থাকলে বলো নাহলে আমি আসি।কথাটা বলে আসিফ চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। লিতুন স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই বললোঃ
-রাগ করছো কেন? তোমাকে অপমান করতে আসিনি। কিছু কথা বলতে এসেছি আর কিছু কথা জানতে এসেছি। কিন্তু কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতে পারছিনা। তুমি তো জানোই আমি গুছিয়ে কথা বলতে পারিনা। মন খারাপ হলে বাচ্চাদের মতো কান্না করি, আবোল তাবোল বকি। বসো প্লিজ।লিতুনের কথা শুনে আসিফ আবারো বসে পড়লো। লিতুন বললোঃ
-এখনো কি আগের মতো প্রচুর সিগারেট খাও নাকি কমিয়ে দিয়েছো?
–কমিয়েছি।
-বাহ্… আচ্ছা তোমার মনে আছে ভার্সিটিতে তোমার জন্য প্রতিদিন একটা করে সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে আসতাম।
বাসার প্যাকেট খুলে প্রতিটা সিগারের শেষ অর্ধেক অংশে ভালোবাসি লিখে দিতাম। কেন লিখতাম জানো? আমার বিশ্বাস ছিলো তুমি লিখাটা পড়ে অর্ধেকটা সিগারেট খেয়ে বাকি অর্ধেকটা রেখে দিবে তাই। আচ্ছা তুমি কি অর্ধেকটা খেতে নাকি পুরোটাই শেষ করতে? সত্যি বলবে কিন্তু?
–পুরোটাই খেতাম।
-ওহ্… আমি কি বোকা ছিলাম বলো তো। ভাবতাম তুমি সিগারেটে ভালোবাসি লিখাটা পড়ে অর্ধেকটা খাও সেজন্য বাসায় ফেরার পথে রোজ এক দোকান থেকে সিগারেট কিনতাম। দোকানদার আব্বুকে চিনতো তাই আব্বুকে বলে দিয়েছিলো আমি সিগারেট কিনি। আব্বু বাসা ফিরে সেদিন প্রথম আমাকে থাপ্পর মেরেছিলো কিন্তু তারপরেও সিগারেট কিনতাম অন্য দোকান থেকে। মায়ের ভয়ে গভীর রাতে প্যাকেট খুলে সিগারেটে ভালোবাসি লিখতাম। একদিন আম্মুর কাছেও ধরা খেলাম। কি বিচ্ছিরি অবস্থা বাসায় তখন। কিন্তু তোমাকে জানাইনি তুমি কষ্ট পাবে ভেবে। সত্যি গাধী ছিলাম। আসিফ চুপ করে বসে আছে। তার মুখে কোন কথা নেই। লিতুন আসিফের দিকে তাকাচ্ছেনা। অন্যদিকে তাকিয়ে কথা বলে যাচ্ছে।
-জানো আসিফ তুমি যখন বলতে ম্যাসের রান্না ভালো না খেতে কষ্ট হয় তোমার। আমি বাসায় খেতে পারতাম না। কষ্ট হতো। আম্মুর থেকে লুকিয়ে তোমার জন্য টিফিন বক্সে করে খাবার নিয়ে আসতাম। তুমি যখন আমার সামনে বসে তৃপ্তির সাথে খেতে আমার বড্ড মায়া লাগতো, বুকের ভেতর চাপা ব্যাথা অনুভব করতাম। কতোবার চোখের পানি লুকিয়ে মুছেছি তার হিসেব নিজেও জানিনা। লিতুনের গলা ধরে আসছে কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। লিতুন টেবিলের উপর রাখা গ্লাস থেকে পানি খেয়ে আবার বলতে শুরু করলো।
-জানো আসিফ তোমার পকেট খরচের টাকা দেয়ার জন্য টিউশনি শুরু করেছিলাম। তোমাকে বলেছিলাম না গলার চেইনটা হারিয়ে গেছে আসলে তোমার সেমিষ্টার ফি দেয়ার জন্য সেটা বিক্রি করেছিলাম। তুমি বুঝতে না পারলেও মা ঠিকই আঁচ করেছিলেন যে তার মেয়ে পাগলের মতো কোন ছেলেকে ভালোবেসে ফেলেছে।
–লিতুন তুমি কি আজ উপকার করে খোটা দিতে এসেছো? আমি তো কখনো তোমার কাছে হাত পেতে টাকা চাইনি তুমি নিজেই জোর করে দিয়েছিলে। তবুও যদি এমন হয়ে থাকে আমি তোমার সব টাকা ফেরত দিতে রাজি আছি।
-কয়টা টাকার জন্য তোমাকে খোটা দিবো এতোটাও ছোট আমি নই আসিফ। শুধু এটুকু জানতে চাই তুমি কি বুঝতেনা কিভাবে তোমার সেমিস্টার ফি দিতাম, কিভাবে তোমার পকেট খরচ দিতাম। সেটার পেছনে আমার ভালোবাসাটা কি কখনই বুঝোনি তুমি? নাকি বুঝেও না বুঝার ভান করছো। টাকাটা নাহয় ফেরত দিলে, কিন্তু তোমার জন্য ফেলা চোখের পানি ভালোবাসা মায়া ওসব কি কখনো শোধ দিতে পারবে তুমি?
–লিতুন কি চাও তুমি? আজ হঠাৎ এসব বলছো কেন?
-আমি তো বলেছি কিছু কথা বলতে এসেছি আর কিছু কথা জানতে এসেছি। বলা আর জানা শেষ হলেই চলে যাবো। গত দেড় বছর এগুলো যে বড্ড কষ্ট দিচ্ছে।
–হুম বুঝতাম সব। আর কি জানতে চাও?
-কখনো ভালোবেসেছিলে আমায়?
–জানিনা।-আমাকে কখনো মিস করো? কখনো মনে হয়েছে একটা মুহূর্ত লিতুনকে দেখতে চাই। কখনো মনে হয়েছে আমাকে ছাড়া পৃথিবীটা বড্ড কঠিন।
–এগুলো গল্প সিনেমায় মানায়, বাস্তব জীবনটা অন্যরকম।
-হয়তো। আচ্ছা আমাকে দেখতে কেমন লাগছে?
–সুন্দর।
-চিনতে পারছো শাড়িটা? তুমি সবসময় জেদ করতে এই শাড়িটা পড়ে আসার জন্য। আমি ইচ্ছে করে শাড়ির কুচি ঠিক করে আসতাম না। তুমি নিজে ঠিক করে দিতে।
–হুম…
-আচ্ছা তোমার প্রেমিকাকেও কি বলো শাড়ি পড়ে আসতে? তার শাড়ির কুচি কি সেভাবেই ঠিক করে দাও যেভাবে আমার শাড়ির কুচি ঠিক করে দিতে? কথা বলতে বলতে লিতুনের গাল বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। আসিফ বিব্রত ভঙ্গিতে বললোঃ
–লিতুন প্লিজ যা হয়েছে তার জন্য আমি সরি। প্লিজ সব ভুলে যাও।
-হুম ভুলেই তো যাবো। হয়তো কিছু সময় লাগবে পাঁচ দশ বিশ বছর। ঠিক ভুলে যাবো একদিন। ভুলে যাবো কখনো আমাকে হারানোর ভয়ে সবার সামনে জড়িয়ে ধরে বাচ্চাদের মতো কেঁদেছিলে। জানো আমার না বড্ড অবাক লাগে। মানুষ এতো নিখুত অভিনেতা হয় কিভাবে।
–তুমি হয়তো ভুলে যাচ্ছো তুমি আমাকে ছেড়ে গিয়েছিলে। আমি ছেড়ে যাইনি।
-হুম তা ছাড়া কি করতাম বলো। বর্ণার সাথে রিক্সায় তোমাকে দেখে ফেলেছিলাম যে। বর্ণার কোমড়ে যে হাত দিয়ে ধরেছিলে সে হাত দিয়ে আমাকে স্পর্শ করবে সেটা মেনে নিতে পারিনি। তবুও বিশ্বাস করো তোমার সাথে ঝগড়া করে যখন চলে আসছিলাম তখনো খুব করে চাচ্ছিলাম তুমি এসে আমার হাতটা শক্ত করে ধরে থামাও। কিন্তু তুমি থামাওনি। খুব কষ্ট হচ্ছিলো জানো প্রতিবার পা ফেলার সময় মনে হচ্ছিলো আমি তোমার থেকে বহুদূর চলে যাচ্ছি। বিশ্বাস করো প্রচন্ড কান্না পাচ্ছিলো। সারাক্ষন ফোনটা হাতে রাখতাম ভাবতাম এই বুঝি ফোন দিয়ে বলবে ভালোবাসি, প্লিজ ক্ষমা করে দাও। জানো তুমি যদি বলতে লিতুন আমাকে ক্ষমা করে দাও আমি ক্ষমা করে দিতাম।
–যদি এমনি হয়ে থাকে তবে ফিরে আসলেনা কেন?
-কে বলেছে ফিরে যাইনি। নিজের সব অভিমান, আত্মসন্মান ভুলে ফিরে গিয়েছিলাম কিন্তু বড্ড দেরি করে ফেলেছিলাম। তোমার পাশে বসে কাধে মাথা রাখার অধিকারটা যে অন্যকাউকে দিয়ে দিয়েছিলে।
লিতুন আর কথা বলতে পারছেনা। প্রচন্ড কান্না পাচ্ছে। কথা জড়িয়ে আসছে। বারবার চোখের জল মুছছে কিন্তু আবারো ভিজে আসছে। লিতুন কাদতে কাদতে বললোঃ
-আমার শাড়ির কুচিটা একটু ঠিক করে দিবে আসিফ?
–লিতুন তুমি বাসায় ফিরে যাও। তুমি কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। অন্যএকসময় নাহয় কথা হবে।
-না আসিফ। আজই আমাদের শেষ কথা। পড়শু আমার বিয়ে। শেষবারের মতো আম্মুকে মিথ্যা বলে বাসা থেকে বের হয়েছি।
–কনগ্রাচুলেশন…
-থ্যাংকস্… আচ্ছা আসি, অনেককিছু বললাম কিছু মনে করোনা। আসলে কথাগুলো বুকে চেপে রেখেছিলাম বড্ড কষ্ট দিচ্ছিলো।
–সরি লিতুন, সরি ফর এভরিথিং।
–ইটস ওকে। আচ্ছা আসি তাহলে ভালো থেকো।
লিতুনে চলে আসতে আসতে থমকে দাঁড়ালো আবার টেবিলের কাছে ফিরে গেলো। আসিফের দিকে তাকিয়ে বললোঃ
-আসিফ সে কি আমার থেকেও বেশি ভালোবাসে তোমাকে?
–জানিনা।
লিতুন কফিশপ থেকে বের হয়ে হাঁটছি সন্ধ্যা নেমে আসছে। লিতুন খুব করে চাচ্ছে আসিফ পেছন থেকে একবার তার নাম ধরে ডাকুক অথবা এসে তার হাতটা একবার ধরে বলুন- “চলো নতুন করে শুরু করি” লিতুন জানে এমন কিছু হবেনা তবুও খুব করে চাচ্ছে এমন কিছু হোক। ওই যে একটা কথা আছেনা পানিতে ডুবা মানুষ খরকুটো ধরে হলেও শেষবারের মতো বাঁচতে চায়। সে জানে সেই খুরকুটো তাকে বাঁচাতে পারবেনা তবুও সে শেষ চেষ্টা করে।
একটা মেয়ে যখন কাউকে সত্যি ভালোবাসে তখন সেই ভালোবাসার কোন সীমা থাকেনা। মেয়েদের ভালোবাসায় মায়া থাকে, মমতা থাকে। ভালোলাগা কেটে যেতে পারে মায়া মমতা কখনো কাটেনা। ভালোবাসার মানুষটা যেমনি হোক লিতুনদের মায়া কাটেনা, মমতা কমেনা।