-সুমন কই তুমি? ( আব্বু)
– মেসে। কেন আব্বু? ( আমি)
– আজ বাসায় আসতে পারবে?
– হ্যা। কিন্ত কেন?
– আসো আগে।
– ওকে।।
আমি সুমন। এখনি আব্বুর সাথে কথা বললাম। পৃথিবীতে এই একজন মানুষকে আমি সব থেকে বেশি ভয় পাই। যাই হোক বেশি কথা না বলে রেডি হই। আমার বাসায় আসতে একবার গাড়ি চেন্জ করতে হয়। প্রথম গাড়ি থেকে যখন আর একটা গাড়িতে উঠলাম
– চোখে দেখেন না? (একটা মেয়ে)
– দেখি তো। এখন আরো ভালো দেখছি।
– ধাক্কা দিয়ে বড়বড় কথা বলছেন? ভারী বেয়াদব তো আপনি?
– জী না আমি হালকা বেয়াদব।
– মানে?
– বুঝবেন না বড় হন আগে।
– বুঝাই বললে তো বুঝি।
– আমি কি আপনার চিটার থুক্কু টিচার যে আপনাকে বুঝাবো?
-আপনাকে কি যে করি?
– বলে দিব কি করবেন?
– কিহহহহহ
– আমার মাথা ব্যাথ্যা করছে আপনি ম্যাসাজ করে দেন।
– আপনার সাহস তো কম না?
– আপনি এমন কেন?
– কেমন?
– আমার মতো ভদ্র ছেলের সাথে ঝগড়া করছেন।
– কিহহহ ( খুব রাগে গজগজ করছে)
– মামা গাড়ি থামান আমি বের হবো।
অতপর গাড়ি থেকে নামলাম। বাসা থেকে একটু দূরে নামলাম বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে তারপর বাসায় যাব। আড্ডা দিয়ে সন্ধায় বাসায় গেলাম। এখন গেটের সামনে দাড়িয়ে
– ঠক ঠক ঠকঠকঠকঠকঠকঠকঠকঠকঠকঠকঠকঠকঠকঠকঠকঠকঠকঠক
– ঐ হারামজাদা দাড়া যাচ্ছে। ( আম্মু)
– আপনার সাহস তো কম না? আমার পিছু নিছেন কেন? ( ঐ মেয়েটা)
– মানে?
– আপনি আমার পিছু নিয়ে এখানে আসছেন কেন? যদি ভালল চান তবে চলে যান। তা না হলে
– কি তা না হলে?
– এটা আমার স্বামীর বাসা। ও জানলে আপনার খবর আছে।
– কিহহহহহহহ ( অবাক হয়ে) মেয়েটাকে সাইড করে বাসায় ঢুকলাম।
– আম্মু… মা….. মাম্মি….. মাদার… আম্মাঅঅঅ
– কি রে চেচাঁমেচি করছিস কেন?
– সোহাগ কবে বিয়ে করলো?( আমার ছোট ভাই)
– মানে?
– ঐ ছেড়ি বলতিছে এটা নাকি ওর শশুড়বাড়ি।
– হ্যা। ঠিকই বলছে।
– তোমরা আমায় না জানিয়ে সোহাগর বিয়ে দিলা?
– কে আম্মু এটা? ( মেয়েটা)
– তোর বিয়ে কার সাথে?
– সুমনর সাথে
– ওই সেই জমিদার।
– কি?????? আম্মু আমার বুক ব্যাথ্যা করছে ? ( আমি)
– চিন্তা করিস না ওটা গ্যাসের ব্যাথ্যা।
– আম্মু আই বিয়া করতোন নো।
– তোরে এখন বিয়ে কে দিবে?
– তাহলে?
– এখন তো শুধু বিয়ে ঠিক করে রাখা হবে ৫ বছর পর বিয়ে।।
– না এ হতে পারে না। আমি অনশন শুরু করবো।
– কেন?
– আমি প্রেম করতে চাই। বাঁচার মতো বাঁচতে চাই আট দশটা গফ চাই।
– তুই ওর সাথে প্রেম করবি
– আমি কোনো ঝগড়ীর সাথে প্রেম করমু না।
– ঐ কি বললা তুমি? আমি ঝগড়ী।
– কই নাতো। কখন কোথায় কিভাবে?
– ধ্যাত।।।।।। রাতে সবাই একসাথে খাবারের টেবিলে বসে আছি
– সুমন ও অধরা। ( আব্বু)
– ওহহহ।।।।
– আমার বন্ধুর মেয়ে।
– হুম।
– ও আর তুমি কিছুদিন একসাথে মেলামেশা করো যদি দুজনের দুজনকে ভালো লাগে তবে তোমাদের বিয়ে ঠিক করবো।
– আচ্ছা। আমি আবার আব্বুর সামনে গেলে অনেক ভদ্র হয়ে যাই। বেশি কথা বলি না।। পরেরদিন
– আম্মু আমি আর মাত্র ৫ মিনিট ঘুমাবো।
– আমি তোমার আম্মু না। তোমার বউ।
– কিহহহ? তুমি আমার রুমে আসছো কেন?
– কেন আসা যাবে না?
– না কারো অনুমতি ছাড়া কারো রুমে যাওয়া যায় না। জানো না?
– জানি। কিন্তু এটা রুমে আমারও ভাগ আছে।
– মানে???
– কিছু না। তাড়াতাড়ি ওঠো আম্মু ডাকছে। এরপর থেকে আমার শান্তি হারাম হলো। সবকাজেই ও মাথা ঘামাতো। একদিন
– মামা কে রে? (সাকিব)
– ও আমায়য়য়য়য়য়য়
– আমি ওর হবু বউ। ( আমায় থামিয়ে দিয়ে অধরা কথাটা বললো) আমি স্টেচু হয়ে পকেটেহাত দিয়ে দাড়িয়ে রইলাম। কারণ এরপরর ঝড়টা আমার পকেটের উপর দিয়ে যাবে। যা ভাবছিলাম তাই হলো আমার পকেট ফাঁকা হলো। রাগে আমার মাথা তো পুরাই হট। কিছুদিন এমনই চললো। তবে এখন আর অসহ্য লাগে না ভালোই লাগে ওর পাগলামিগুলো।
– আচ্ছা আব্বু যদি এখন তোমায় বিয়ের কথা বলে তখন তুমি কি বলবা? ( অধরা)
– বলবো আমি তোমায় বিয়ে করবো না।
– কেন?
– তোমায় আমার পছন্দ হয়নি তাই।
– ওহহহ। ওকে বাই। বিকেলে বাসায় এসে দেখি সবাই বসে আছে
– সুমন কি ভাবলে? ওকে বিয়ে করবে? ( আব্বু)
– হুমমমম। আমার মুখে হুম শুনে অধরা চমকে গেল
– তাহলে আমি ওর বাবাকে কথা দেই?
– আচ্ছা।
– তুমি কি বল অধরা?
– আপনি যা ভালো মনে করেন।
– আচ্ছা। রুমে আসলাম। একটু পরে অধরা আসলো
– তুমি হ্যা বললা যে?
– কেন? না বললে খুশি হতে?
– তা না।
– তুমি আমায় অনেক জ্বালাইচো শোধ নিতে হবে না? তাই হ্যা বলছি।
– তাই। তারমানে ভালোবাসো না?
– ওটা কী খায় নাকি মাথায় দেয়।
– তুমি সব সময় ফান করো ( বেরিয়ে যাচ্ছে)
– ভালোবাসি
– কি ( চমকে উঠে)
– আমি কিছু বলিনি তো।
– ওহহহ।।।
– আচ্ছা আমি যদি তোমায় ভালোবাসি বলি তো কি হব?
– আমি তোমায় জড়িয়ে ধরে হামি দিব।
– না থাক আর একদিন বলবো।
– বলো না প্লিজ
– আমি আমার পাগলীটাকে অনেক ভালোবাসি।।।।।।