নিয়তি

নিয়তি

তূর্য আমার স্ট্যাডি টেবিলে বিশটা বেলী ফুল রেখে গিয়েছে।এত রাতে তরতাজা ফুল কোথা থেকে যোগাড় করেছে কে জানে!হ্যাঁ বিশটাই তো।আমি আরেক দফা ফুলগুলো হাতে নিয়ে গুনে নিলাম।রাগ কিছুটা হলেও কমে এসেছে আমার।একে তো স্নিগ্ধ সাদা ফুল তার উপর বেলী ফুল।অসম্ভব প্রিয় একটা ফুল।একদম তরতাজা ফুলগুলো থেকে খুব মিষ্টি একটা গন্ধ বের হয়ে সারা ঘরে ছড়িয়ে যাচ্ছে।কিন্তু ফুলের যোগাড়দাতাকে দেখা যাচ্ছে না।যাই হোক দেখা যাক বা না যাক তাকে দেখার কোন ইচ্ছে এই মুহূের্ত আমার নেই।আমি তুবা আর তূর্য আমার হাসব্যান্ড।ছোট একটা ঘটনায় খানিকটা মনোমালিন্য হয় আজ আমাদের।

আজকের ঘটনাটা অবশ্য আমাদের জীবনে এই এক বছরে প্রায়ই ঘটে যাওয়া ঘটনার মতই কিন্তু তবুই আমি কিছুতেই ভুলতে পারছি না।তূর্যের কাছে কখনো এমনটা আশা করিনি আমি। আজ যতটা কষ্ট পেয়েছি ততটা হয়তো এই এক বছরে পাইনি।আসলে চাইলেও কিছু কষ্ট হয়তো ছোট্ট এই জীবনে আমাকে প্রতিনিয়ত পেয়েই যেতে হবে।নিয়তি হয়তো খুব মজা পায় এমনটা করে আমার সাথে।আমি আজকের ঘটনাটার জন্য তূর্যকে পুরোপুরি দোষারোপ করছি না কিন্তু এত সব কিছুর পরও ওর নীরব দর্শকের ভূমিকায় আমি কিছুটা আহত হয়েছি।আসলে আমরা গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম বেশ কিছুদিনের জন্য।আমার শ্বাশুড়ি মা আমাদের যেতে বলেছিলেন।

অফিস থেকে ছুটি নিয়ে দু’জনেই গ্রামে রওনা দিলাম।কিন্তু গিয়ে যা শুনলাম তাতে আমরা মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না।আমার শ্বাশুড়ি মা আমাকে কবিরাজ দেখাতে চায়।অনেক চেষ্টার পরও যখন আমাদের বাচ্চা হচ্ছে না তাই তিনি ধরেই নিয়েছেন সমস্যাটা আমার আর উনি উনার ছেলেকে এমন নিঃসন্তান অবস্থায় আর দেখতে চান না।কিন্তু যেখানে আসল সত্যটা আমি আর তূর্য ছাড়া কেউ জানে না।বিয়ের তিন বছর পর যখন সিদ্ধান্ত নিলাম আমাদের ঘরেও একটা ছোট্ট ফুটফুটে প্রাণ আসুক।যে প্রাণটা আমাদের জীবনটাকে আরো সুন্দর করে তুলবে,যার কচি আঙুলগুলো ধরে এক পরম শান্তি অনুভব করবো আমরা।যার গুটি গুটি পায়ের উপস্থিতি আমাদের জীবন গতি আরো বাড়িয়ে দিবে। কিন্তু যখন আমরা বুঝতে পারলাম হয়তো আমাদের কারো সমস্যা আছে তখনি আমরা ডাক্তার দেখিয়েছিলাম আর সমস্যাটা তূর্য’র ছিলো।সিউর হওয়ার জন্য আমরা বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখিয়েছি।

সব জায়গাতেই সমস্যা তূর্য’র।আমার স্পষ্ট মনে আছে সেদিনের কথা যেদিন প্রথম আমরা জানতে পারি সেদিন বাসায় এসে টেস্ট রির্পোট হাতে নিয়ে তূর্য বাচ্চাদের মতন আমায় জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিলো আর বলেছিলো,”আমি কখনো বাবা হতে পারবো না তুবা,আমাদের ঘরে ফুটফুটে প্রাণ আসবে না।আমাদের স্বপ্নগুলো বুঝি..”বাকিটা শেষ করতে পারেনি আবার কান্না।সেদিন ওকে শান্ত করতে কি পরিমাণ কষ্ট হয়েছে শুধু আমি জানি।তূর্য এমনিতেই খুব ইমোশনাল আর সেনসিটিভ একটা ছেলে।আর এত বড় একটা কথা জানার পর স্বভাবতই ওর নিজেকে অপরাধী মনে হয়েছে। ওর মনে হয়েছে ওর জন্য আমি মা হতে পারছি না।মাতৃত্বের স্বাদ আমার জীবনে অপূর্ণ রয়ে যাবে।আমি ওকে শুধু এটুকুই বলেছিলাম,”আমি মা না হলেও চলবে কিন্তু তোমার প্রিয়তমা না হলে আমার একদমই চলতো না বুঝেছো জনাব।”

আরো বলেছিলাম এত ভেঙে পড়ার কিছু নেই। ডাক্তার দেখাই দেখি উনারা কি বলেন কিন্তু প্রায় এক বছর বিভিন্ন ডাক্তার আর টেস্ট করেও যখন কোন লাভ হচ্ছিল না তখনি আমার শ্বাশুড়ি মা আমাদের তলব করলেন।আমি আর তূর্য ঠিক করে নিয়েছিলাম আর কিছুদিন ট্রিটমেন্ট করার পর আমরা নাহয় একটা বেবী এডপ্ট করবো।বেবীটা যে আমাদের নিজেরই হতে হবে এমন তো নয় তাই না!বেবীটাকে আমরা নিজেদের করে নিবো।তূর্য যথেষ্ট আধুনিক ছেলে আর আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি যদি সমস্যাটা ওর না হয়ে আমার হতো তবুও ও কিছু বলতো না আমায় বরং তখন আমার কথা ভেবে এই বিষয়টা যথাসম্ভব যত তাড়াতাড়ি পারা যেতো নিষ্পত্তি করে ফেলতো।কারণ এই ছেলেটা আমায় অসম্ভব রকমের ভালোবাসে।আমার মা-বাবার পর যদি কেউ আমায় নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে থাকে তবে সেই ব্যক্তিটি হচ্ছে তূর্য।আর আমিও ওকে অসম্ভব ভালোবাসি।আমাদের যদি সারাজীবন সন্তান নাও হয় তবুও আমাদের আফসোস থাকবে না,কারণ আমরা একে অপরের সাথে সারাজীবন অনায়াসে কাটিয়ে দিবো।

গ্রামে আসার পর আমাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে।দেখতে হয়েছে মানুষের চোখে নিজেকে নিয়ে তাচ্ছিল্য আর অবহেলা।এই মানুষগুলোকে কে বুঝাবে এসব মানুষের হাতে থাকে না।নিয়তি সবাইকে সব কিছু দেয় না।আর এদের মূল ধারণাটাই হলো দোষ মেয়েদের অবশ্যই শতভাগ মেয়েদের।আমি যে কয়দিন গ্রামে ছিলাম প্রত্যেক দিনই আমায় কিছু না কিছু গাছ-গাছড়া খেতে হয়েছে।

গলায় সুতা ঝুলাতে হয়েছে,প্রতিদিন পানি পড়া সহ ঝাড়ফুঁকও বাদ যায়নি।তূর্য প্রথমেই বলেছিলো এসব করার দরকার নেই তুবা।সমস্যা আমার আর তুমি কেন অহেতুক এসব করতে যাবে!সত্যি বলতে এসব কুসংস্কারে আমিও বিশ্বাসী ছিলাম না কোনদিনও। কিন্তু আমি চাইনি তূর্য’র কথাটা জেনে ওর মা-বাবা কষ্ট পাক।আর আমরা তো ট্রিটমেন্ট করাচ্ছি।পজিটিভ কিছু ঘটতেও পারে। আর আগামী সপ্তাহে একটা রির্পোট পাওয়ার কথা আমাদের।ডাক্তার পজিটিভ কিছু বলেছেন আর আমরাও আশাবাদী।আর আমি শ্বাশুড়ি মায়ের মনেও আঘাত দিতে চায়নি।আমি জানি তূর্য ওর মাকে ভীষণ ভালোবাসে।আমি চাই না উনি মনে করুক বিয়ের পর উনার ছেলে পর হয়ে গেছে।আমার একটু কষ্ট হচ্ছে তবুও সয়ে নিচ্ছি সবটা।কিন্তু আজ সকালে যখন সেই মহিলা কবিরাজ এসে আমায় জিজ্ঞেস করলেন,কিছু কি বুঝতে পারছি আমি!ভাল লক্ষণ কিংবা সুখবর কি আছে! আমি জাস্ট থ হয়ে গেলাম।তিনদিনে ঠিক কি সুখবর আশা করছেন উনি।

যেখানে এক বছর যাবত ডাক্তার দেখিয়ে দেখিয়ে আমরা অতিষ্ঠ আর উনি কিনা আর সমস্যা আমার হলেও তবুও মেনে নিতাম যে উনার ওষুধ কাজে লাগছে।এমন একটা পরিস্থিতি না পারছি কিছু বলতে না পারছি চলে আসতে। আমি যথাসম্ভব শান্ত থেকে উত্তর দিলাম, না তেমন কিছু না।উনি কিছুক্ষণ আমার হাত,চোখ আর পেটের উপর গবেষণা চালিয়ে মুখের উপর বলে দিলেন এই মেয়ের বাচ্চা হবেনা আর।এই ওষুধ ফেল হইলে আর কিচ্ছু করার নাই।এই মেয়ে বাঁঝা। আমার শ্বাশুড়িকে ইঙ্গিত করে বললেন,তুমি মনে হয় কোনদিন আর দাদী হইতে পারবা না গো।শ্বাশুড়ি মন খারাপ করলো খুব।বললো সবই আল্লাহর ইচ্ছা,পোড়া কপাল আমার ।তবে তিনি মনে মনে আমায় অপয়া বলতে যে দ্বিধা করেননি তার আচরণে স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি আমি।আর তূর্য দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নীরব শ্রোতা হয়ে সব শুনছিলো।আমি কাঁদতে কাঁদতে ঘরে চলে এসেছিলাম।আমি এতটা ইমোশনাল মেয়ে নই কিন্তু তবুও তখন আমি চোখের জলের কাছে হেরে গিয়েছি। এই সমাজে মেয়েরা এখনো কতটা অসহায় সেটাই ভাবছি আমি।

লিখাপড়া জানা শহরের আধুনিক মেয়ে হয়েও আমায় এতটা সহ্য করতে হচ্ছে তাহলে গ্রামের মেয়েগুলোর কি অবস্থা হয় ভেবেই আরো জোরে কান্না করলাম।তূর্য একটু পর এসে আমার হাত ধরতে চাইলে এক ঝাটকায় সরিয়ে দিয়ে বললাম,”আমি এখান থেকে যেতে চাচ্ছি যত দ্রুত সম্ভব কাল আমাকে অফিসে উপস্থিত হতে হবে।আর আমার জানা ছিলো না তূর্য তুমি এতটাই বধির।” তূর্য আমায় হয়তো কিছু বলতে চাচ্ছিলো কিন্তু আমি সোজাসুজি ওয়াশরুমে চলে গেলাম।আসার সময় ও বাড়ির কেউ আমার সাথে দেখা করতে আসেনি।এতে আমার আফসোস নেই।তূর্য পুরো রাস্তায় আমাকে কিছু বলতে চাচ্ছিলো বারবার এক সময় রেগে গিয়ে বললাম, “যদি মুখ বন্ধ করে বসে থাকতো পারো তবে থাকো নইলে আমায় নেমে যেতে হবে এক্ষুণি। ঠিক তেমনভাবে থাকো যেমনটা সকালে ছিলে।”

তূর্য আর কথা বাড়ালো না।আমি বাসায় পৌঁছে রুমের দরজা বন্ধ করে কিছুটা সময় একা থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম আর তূর্য বাইরে বেরিয়ে গেলো।কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বুঝতে পারিনি। ঘুম থেকে উঠে স্ট্যাডি রুমে গিয়ে দেখি টেবিলের উপর বেলী ফুল।কিন্তু তূর্য কি ফুল রেখে আবারো বেরিয়ে গেছে!এখনো ফিরেনি দেখছি বাসায়। আমি পুরো বাসা খুঁজেও ওকে কোথাও পেলাম না।ডাইনিং টেবিলে একটা কাগজ গ্লাস দিয়ে চাপা দেয়া সেটা চোখে পড়তেই ছুটে গেলাম।হ্যাঁ একটা চিঠি এটা। তূর্য চিঠিতে কি লিখেছে পড়তে লাগলাম আমি মনযোগ সহকারে।

প্রিয় তুবা, খুব রাগ করে আছো তাইনা!আমার উপর নিশ্চয়ই অনেক অভিমান জমেছে আজ তোমার।সেই জন্য প্রথমেই বলেছিলাম এসব করার কোন দরকার নেই।কিন্তু কোন কথা শোন না তুমি।দেখলে কি হলো এর ফলাফল। কতটা কষ্ট পেতে হলো তোমায়।ওহ হ্যাঁ স্যরি আমি তোমার কথাটা রাখতে পারিনি।ক্ষমা করো আমায় প্লিজ।আমি মাকে সবটা বলে দিয়েছি।আমি চাই না আমার জন্য তোমাকে আর কথা শুনতে হোক বা অনাকাঙ্খিত কষ্ট পেতে হোক।তখন আমি একদম চুপ করে থাকতে চাইনি বিশ্বাস করো তোমায় বলা প্রতিটা কথা আমার হৃদপিন্ডে গিয়ে লাগছিলো।

আমি তখনি সবটা জানিয়ে দিতে চেয়েছিলাম সবাইকে কিন্তু কেন জানি পারিনি। আর সেই জন্য আমি মন থেকে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।তখন মায়ের কথা মনে হচ্ছিলো হয়তো তিনি বলতেন বউয়ের পক্ষ নিয়ে কথা বলছি।যেমন ভয়টা তুমি করেছিলে।তুমি তো জানোই আমার বাবা-মা একটু সেকেলের।উনাদের চিন্তাধারা কিংবা বিশ্বাস অতটা আধুনিক না।তারপরও আমি চুপ করে থাকতে পারিনি সরাসরি মায়ের ঘরে গিয়ে বলে এসেছি যে,মা তুবা বাঁঝা না ওর কোন সমস্যা নেই।সমস্যাটা আমার তাই আপনারা তুবাকে নয় আমাকে বাঁঝা বলুন।আমাদের সন্তান না হওয়ার মূল কারণ আমার সমস্যা।সব ডাক্তার তাই বলেছে।

তবুও তুবা আপনাদের মন রক্ষার জন্য এত সব করেছে। মা তুবা চাইনি তুমি সত্যিটা জেনে কষ্ট পাও।কিন্তু সত্যি তো একদিন না একদিন জানাতেই হতো তাই বলে দিলাম।তুমি হয়তো বিশ্বাস করতে পারছোনা কিন্তু এটাই সত্যি মা।কথাগুলো বলার সময় বাবাও ছিলেন তুবা। উনারা আর কিছু বলেনি একদম স্থির হয়ে গিয়েছিলেন।তবে আমি মা’র চোখে জল ঠিকই দেখতে পেয়েছিলাম আর বাবা ছিলেন একদম অসহায়। তারপর আমি বের হয়ে এসেছিলাম কারণ এই সত্যিটা জানার পর তাদের কিছুটা সময় দরকার নিজেদের সামলানোর জন্য।আশা করি এরপর আর কেউ কোনোদিন তোমায় এ নিয়ে কিছু বলবে না স্পেশালি আমার মা-বাবা।তুবা জানো আমি মহান হয়ে তোমায় বলতে পারবো না কোনদিনও তুমি নাহয় অন্য কারো সাথে জীবন সাজাও।অন্য কাউকে সঙ্গী করে মা হয়ে যাও।কারণ তোমায় ছাড়া আমার চলবে না এক মুহূর্তও চলবে না।তোমায় ছাড়া আমি নিজেকে ভাবতে পারি না।

আর আমি জানি এই কথা বললে ঘরের যত যা আছে তুমি আমার মাথাতেই ভাঙবা তবুও আমায় ছাড়বা না।আমি জানি আমার চেয়েও তুমি আমায় বেশি ভালবাসো। প্রিয়তমা আমিও তোমায় ভালোবাসি।তুবা নিয়তি কি লিখে রেখেছেন,আদৌ আমরা বাবা-মা হতে পারবো কিনা আমার জানা নেই।সামনের সপ্তাহের রিপোর্টে ঠিক কি অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য!তবে তোমায় ফুটফুটে একটা বাচ্চা আমি এনে দিবোই দিবো। যে তোমাকে মামনি আর আমাকে বাবাই বলে ডাকবে।একটা এতিমখানায় কথা বলেছি।তুমি যেদিন চাইবে আমরা যাব।রাগ কি একটু কমেছে তোমার!বেলী ফুল গুলো কি পেয়েছো!অনেক কষ্টে যোগাড় করেছি।যদি রাগ কমে তবে আমাদের পছন্দের প্রিয় সাদাকালো শাড়ীটা পরে ছাদে চলে এসো।অপেক্ষা করছি আমি।শোনো খোপায় ফুলগুলো গুঁজে আসবে কিন্তু আচ্ছা!

ইতি,
তোমার গাধা জামাই।

একটানা চিঠিটা পড়ার পর তুবা খেয়াল করলো ওর চোখ ভিজে গিয়েছে। আজকাল তূর্য’র মত তুবাও ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছে।চোখ মুছে তুবা সাদাকালো শাড়ীটা পরে ফুলগুলোর মালা বানিয়ে খোপায় গুঁজে নিলো।দৌঁড়ে ছাদের দিকে ছুটলো তুবা কারণ কেউ একজন প্রতীক্ষা নিয়ে বসে আছে ওর আশায়।তুবা ছাদে গিয়ে দেখলো তূর্য কাঁদছে। পাশে গিয়ে বসে চোখ মুছে দিলো।তূর্য কান ধরে আবারো স্যরি বললো।এবার তুবা কয়েকটা এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি লাগিয়ে তূর্যকে জড়িয়ে ধরলো।দু’জন নিঃশব্দে কাঁদছে।ওরা জানেনা নিয়তি কি লিখে রেখেছে সামনে ওদের জন্য।পজিটিভ কিংবা নেগেটিভ যাই হোক ওরা মেনে নিবে হাসিমুখে।ওরা জানে নিয়তি ওদের জন্য ভালোবাসাটা অফুরন্ত সাজিয়ে রেখেছে।আর এটা ওরা কিছুতেই হারাতে চায় না।এভাবেই হাতে হাত রেখে একে অপরকে জড়িয়ে কাটিয়ে দিতে চায় বাকিটা জীবন।নিজেদের পুরোপুরি সপে দিয়েছে ওরা নিয়তির সিদ্ধান্তের উপর।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত