তবুও ভালবাসি

তবুও ভালবাসি

তোর বুকের উপরের তিলটা কি অরিজিনাল? নাকি আমাকে দেখাতে একেঁছিস আইব্রু দিয়ে?” নিশুভাইয়ের প্রশ্নতে আমি কুঁকড়ে গেলাম। শাড়িটা বুকে উপরে আরো টেনে দিলাম। ” শোন আমার এসব দেখানো ভালো লাগে না” আবার বলে উঠলো নিশু ভাই। তখন আমি মিনমিন করে বললাম এটা তো আমার অরিজিনাল তিল। নিশু ভাই বলল ” কই আগে তো কখনও দেখি নাই, রাতারাতি তিল গজাইল কি করে?” তখন মনে মনে বললাম আমি কি বুক উদলা করে দেখিয়ে বেড়াবো নাকি তাকে যে দেখো আমার বুকে তিল আছে।

আমি নিলু আজ আমার বাসর রাত। পেয়েছি তাকেই স্বামী হিসাবে যে আমার প্রথম ক্রাশ ছিল। বাসর রাতে এসেই প্রথমেই এই কথা উনার৷ কই একটু ঘোমটা খুলে দেখবে তা না উনি এসে পড়েছে আমার তিল নিয়ে। সেদিন রাতেই আমার হাত ধরে নিয়ে এসেছিল খালার সামনে। খালা ঘুম থেকে উঠে এসে আমাকে আর নিশু ভাইকে দেখে আশ্চর্য হয়ে গেছিল। নিশু ভাই কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই বলেছিল ” আম্মু এই আতেঁলকে আমি বিয়ে করব।তোমার কোন আপত্তি থাকলে বলো “। খালা মনে হয় ঠিক করতে পারছিলেন না উনি হাসবেন কি কাঁদবেন। পুরো পাঁচ মিনিট লাগিয়েছিলেন কি বলবেন এটা ভাবতে৷ পরে শুধু এটা বলেছিলেন ” দুটোই কাক ভেজা হয়ে গেছিস, যা যার যার রুমে যেয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে ঘুমা”।

পরের দিন সকালেই খালা আম্মু আব্বুকে ফোন দিয়ে ঢাকা আসতে বললেন। আব্বু আসার বারবার জিজ্ঞেস করা স্বত্তেও খালা বলে দিলেন জরুরি কথা সামনাসামনি না বসে বললে হবে না। ওইদিন বিকালেই আব্বু আম্মু এসে হাজির৷ চেহারায় একরাশ চিন্তা নিয়ে যখনই বাসায় ঢুকল আমি যেয়ে মিলির রুমের দরজায় খিল দিয়ে বসলাম। এত এত ডাকার পরেও লজ্জা আর ভয়ের জন্য মন চাইলেই সাহসে কুলায় নাই তাদের সামনে যাওয়ার। তারা ফ্রেশ হয়ে আসার পরে খালা বলা শুরু করল ” দেখ আফরোজা আমি তো তোর বড় তাই না? কখন তো কিছু চাই নাই তোর কাছে। আজকে একটা জিনিস চাইবো তোর কাছে দিবি আমারে?” খালার কথা শুনে আম্মু তো আকাশ থেকে মাটিতে পড়ার মত অবস্থা। বলল ” আপা তুমি একটা জিনিস চাওয়ার জন্য এত জরুরি তলব করে এনেছ আমাকে? এটা কোন কথা৷ ফোন করে বলে দিলেই তো হত”। আব্বুও আম্মুর সুরে সুর মেলালো। খালা তখন আম্মুর হাত ধরে বলল ” তোর নিলুকে আমারে দিবি? আমার নিশুর জন্য!! আমার ছেলেটার মন যে বড় ভালো। তোর মেয়েকে আমি আমার মেয়ের মত করে রাখবো”।

আম্মু আব্বুর দিকে তাকালো। আব্বু মুচকি হেসে খালাকে বলল ” এখন আপা বলে ডাকবো নাকি বিয়াইন সাহেব বলে ডাকব”। আমার খুব প্রিয় তিনজন মানুষের মুখে বিমল হাসি দরজার ওপাশে থেকে তো দেখতে পারি নি শুনেছিলাম। পরে নিশু ভাইকে খালা ঘুম থেকে টেনে উঠালেন। বললেন ” বিয়ের জন্য রাত দুইটায় আমাকে টেনে তুলেছে এখন বিকেল বাজে ছয়টা লাটসাহেব আজ অফিসেও যায় নাই। পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে। দেখ কে এসেছে”। উনি আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসলেন। আব্বু আম্মু তখন খালার রুমে বসে লিষ্ট করতে ব্যস্ত বিয়ের কেনাকাটার। ঘরোয়া ভাবে বিয়ের আয়োজন। আগামী কালই ওলীমা আমার পরীক্ষার পরে বড় করে অনুষ্ঠান করা হবে। আর সাহেব মাত্র উঠল ঘুম থেকে। আমাদের বিয়েতে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছিল মিলি।
বারবার বলছি ” আপুই এত দিনের অন্যায়ের শোধ তুলবো দুই বোন মিলে। আচ্ছা তোমাকে কি ভাবি বলে ডাকতে হবে? আমি কিন্তু তোমাকে আপুই বলেই ডাকবো”।

আজকে আমার ওলীমা হয়ে গেছে একটু আগে আর আমি মাথায় ঘোমটা দিয়ে চুপ করে বসে আছি। আর এই ভদ্রলোক এসেই আমার তিল এর জাত উদ্ধারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে৷ কি যে এক লোকের উপরে ক্রাশ খেয়েছিলাম তাই ভাবছি। এমন সময় সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলল ” এই নিলু উঠে দাঁড়া “। ভয়ে ভয়ে আমি সত্যিই খাট থেকে নেমে উঠে দাঁড়ালাম। আবার কখন না কখন হেঁচকা টানে নামিয়ে আনে। এর পূর্বাভিজ্ঞতা তো আগেই আছে। তাই সাতপাঁচ না ভেবে সোজা মিলিটারীদের মত দাঁড়িয়ে গেলাম। নিশু ভাই বুক টান টান করে দাঁড়িয়ে বলল ” বাসর রাতের প্রথমেই স্ত্রী স্বামীকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে। তুই করেছিস? না করে সোজা বাঙলা পাঁচ এর মত মুখ করে বসে আছিস আর আমাকে বুকের তিল দেখাচ্ছিস”।

আমি তাড়াতাড়ি নুয়ে সালাম করতে যেয়ে পা বাধালাম শাড়ির সাথে। আমার মাথা সোজা যেয়ে লাগল তার পেট বরাবর। হুক করে মুখ দিয়ে বাতাস বের করে বলল ” আমি না হয় সালাম করতে বলেছিলাম তাই বলে ষাঁড়ের মত গুতোতে আসবি নাকি তুই”। লজ্জায় তখন মরে যেতে ইচ্ছা করছিল। পেটে হাত দিলে কি না কি ভাবে তাই বার বার প্রশ্ন করছিলাম কেমন লাগছে। বেশি ব্যাথা করছে কি না। আবালের মত বলেই ফেলেছিলাম পেট কি টিপে দেবো একটু? মানুষটা আমার দিকে চোখ রাঙ্গিয়ে বলল ” পারলে আমার গলা টিপে দে। এ কারে বউ করে এনেছি যে কি না বলে পেট টিপে দেবে কি না। যা তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নে। অনেক রাত হয়েছে”

আমিও কথা না বাড়িয়ে হালকা গোলাপি একটা শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে দেখি নীল একটা পাঞ্জাবি আর সাদা পাজামা পরে জানলা দিয়ে আকাশ দেখছে সেই উদাসী চোখে। মনে মনে বললাম এত সুন্দর কেন তোমার ওই চোখ। আমি যে হারিয়ে যাই বারবার ওই চোখে৷ আমাকে বের হতে দেখেই ধীর পায়ে আমার সামনে আসলো মানুষটা। কোন কথা না বলে কপালে ছোট্ট একটা চুমু খেয়ে নিল। আমি তো লজ্জায় তার বুকেই মুখ লুকোলাম। পাঁজকোলে করে বিছানায় নিয়ে আসলো আমার৷ ” তুই ঘুমিয়ে যা। অনেক রাত হয়েছে” এই বলেই লাইট অফ করার জন্য উঠতে যাচ্ছিল। আমি হাত টেনে ধরে বললাম মরে যাবো তোমাকে ছাড়া। ঘুরে আমাকে জড়িয়ে ধরল তার উষ্ণ নিশ্বাস আমি ঘাড় পিঠে পড়ছে। ” মরতে দিলে তো” এই বলেই নিজের বাহুর আলিঙ্গনে আমাকে জড়িয়ে নিল। শুধু বলতে পেরেছিলাম লাইট তো অফ করো। উওর এসেছিল ” এত্ত কিউট তিল গজিয়ে এনেছিস আমার জন্য লাইট অফ করলে দেখবো কি করে। টর্চ কোথায় খুঁজতে পারব না এখন”।

এভাবেই শুরু হয় আমার সংসার জীবন। পরে উঠিয়ে নেওয়ার কথা থাকলেও আমাকে নিশু ভাই একদিনের জন্যও আলাদা করে নি নিজের কাছে থেকে। প্রতিদিন অফিস থেকে এসেই প্রথম ডাক দিত আমাকে। একদিন মিলির সাথে দুষ্টামি করতে করতে ওর কাছেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। পরের দিন সকালের আগে টেরই পাই নি যে সকাল হয়েছে। উঠে দেখি আমার পাশে উনি অঘোরে ঘুমাচ্ছে। আর মিলি আমাদের রুমে। কিছুই না বুঝে নাস্তার পরে উনি যখন অফিসে চলে গেলে তখন মিলিকে প্রশ্ন করলাম কি রে মিলি তুই আমাদের রুমে গেলি কখন আর তোর ভাইয়া তোর রুমে ঘুমালোই বা কখন।

মিলি ঠোঁট উলটে বলল আপুই ” তুমি আর আমার রুমে ঘুমাবে না। ভাইয়া কালকে চ্যাংদোলা করে আমাকে তোমাদের রুমে রেখে এসে নিজে আমার রুমে তোমার পাশে ঘুমিয়েছে। তোমার যাতে ঘুম না ভাঙে তাই আমার মুখে হাত চাপা দিয়ে রেখেছিল “। সব শুনে আমার তো মাথায় হাত। এমন করেই যাচ্ছিল আমাদের ছোট্ট সুখের সংসার। মানুষটা খুব ভালবাসতো আমাকে। আমার চেয়েও বেশি ভালবাসত আমাকে। কিন্তু কখনও যদি কোন আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে বা আমার আব্বু আম্মুর কাছে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলতাম তাহলেই হইছে কাজ সারা। হুতুম পেঁচার মত মুখ হয়ে যেত আর দাঁতে দাঁত পিষে পিষে বলত যেখানে মন চায় যাও আমার কি। এই দুষ্টু মিষ্টি পাগলামীতেই যাচ্ছিল দিন কেটে। এর মধ্যে আমার এবিএ পরীক্ষাও চলে আসল। হঠাৎ করেই একদিন বুঝলাম অন্য এক প্রাণের অস্তিত্ব আমার ভেতরে।

খুশিতে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলাম। কি করব কি না করব ভাবতে ভাবতে মিলিকে কল দিলাম। দিয়েই বললাম তোর না নিম্মু হওয়ার খুব শখ যা তোকে নিম্মু করেই দিলাম। মিলির ততদিনে বিয়ে হয়ে গেছে তখন সে সুইডেন প্রবাসী। আমার কথা শুনে ও এমন এক চিতকার দিল আমার মনে হল সুইডেন থেকে সেই শব্দ বিনা ফোনেই বাংলাদেশ এসে পৌছেছে। সে জিজ্ঞেস করল তার ভাই জানে কি না। আমি মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললাম কি যে বলব তাই তো বুঝে উঠতে পারছি না। এই কথা শোনার পরে সে কোন কথা নেই ধপ করে লাইন কেটে দিল।

ও মা একটু পরেই দেখি আমার শাশুড়ী মা কোথা থেকে যেন দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে হু হু করে অঝোরে কান্না। কান্নার মধ্যে কি যে বলছে কিছুই বুঝতেছিলাম না। পরে বুঝলাম সে যে দাদি হবে এই খবর মিলি তাকে দিয়েছে আর এই খবর শুনে সে বিশাল খুশি যা তার চোখ দিয়ে অশ্রু হয়ে পড়ছে। রাতে আসলেন সাহেব। খালা অনেক চেষ্টা করে ছিল খুশির খবরটা দিতে কিন্তু কি করে ও যেন এড়িয়ে যাচ্ছিল ব্যাপারটা। পরে আমিও ভাবলাম যাক ভালই হইছে মিলি মনে হয় বলে নাই উনাকে। রুমে ঢুকেই দেখি লাইট অফ। আমি ভেবেছিলাম উনি বিছানায় শুয়ে পড়েছে পা টিপে টিপে যেতে লাগলাম যাতে আমার আওয়াজে ওর ঘুম না ভেঙ্গে যায়। ঠিক তখনই পিছন থেকে কে যেন খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আমাকে। একটু পরেই বুঝলাম নিশু ভাই ছাড়া এই আকাম আর কেই বা করবে। বললাম যে ছাড়বে তো ঘুমাতে হবে তো নাকি!! আস্তে করে আমার পেটে হাত বুলিয়ে বলল ” শোন নিলু, বাবুকে কখনও ব্যাথা দিবি না বাবুকে কখনও বকা দিবি না। তাহলে কিন্তু জানে মেরে ফেলব”। বাবার হবার খবর সে ঠিকই পেয়ে গিয়েছিল।

নতুন মানুষের আগমন উপলক্ষে ফ্যামিলির সবাই খুশিতে আটখানা হয়ে গিয়েছিল।মিলি ঘন্টায় ঘন্টায় ভিডিও কল দিয়ে দেখত আমাকে দেখতে কেমন দেখায়। পেট কত বড় হল আরো কতো পাগলামি। আর উনি উনার তো কোন কথাই নাই মিনিটের আগা মাথায় কল দিয়ে দিয়ে খোঁজ খবর নিত। মাঝে মাঝে খালা রাগ করে বলত ” দেখ নিশু তোর বউ তুই অফিসে নিয়ে যা। মেয়েটা আর আমি তোর আর তোর বোনের ফোনের জ্বালায় অস্থির। কবে জানি বাসার সব ফোন ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো করে ফেলি আমি নিজেও জানি না”। এমন করে দেখতে দেখতে ডেলিভারি ডেট এগিয়ে আসছিল। জেনেছিলাম যে ছেলে বাবু হবে। নিশু ভাই সব সময় বলত ” শোন নিলু আমার ছেলের নাম মেঘ রাখবি।ও ঠিক মেঘের মতই তোর আমার জীবনে ছায়া দেবে”।

ডেলিভারি ডেটের ঠিক চারদিন আগে সে বাসায় আসল মুখ গোমড়া করে। আমি পাশে বসে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে। উওর না দিয়ে অফিস ড্রেস পরেই আমার পেটের উপরে আলতো করে মাথা দিয়ে বলল ” শোন আমাকে একটু অস্ট্রেলিয়ায় যেতে হবে অফিসিয়াল ট্যুরে অনেক চেষ্টা করেছি পারি নি পিছাতে। না গেলে হয়ত চাকরিটাই খোয়াবো “।। প্রচুর ভয় করছিল কিন্তু মুখে হাসি ফুটিয়ে বললাম যাও তো তুমি আম্মু আব্বু খালা সবাই আছে। তুমি অঅস্ট্রেলিয়ার ঘুরে আসো আমি তোমার মেঘকে নিয়ে তোমার অপেক্ষা থাকব। সেই মাতাল করা মুচকি হাসি দিয়ে বলল ” আমি আসার আগে কিন্তু আমার ছেলেকে আমার কথা বলবি না। আমি এসেই বলল তার কানে কানে আমি যে তার বাবাই হই” লম্বা নাক টেনে বলেছিল জো হুকুম জাহাপানা।

আজ ত্রিশ বছর পর আমি এসেছি জার্মানি থেকে। সাথে আমার মেঘ। প্লেন থেকে নেমেই পটুয়াখালী চলে এসেছি ছেলেকে নিয়ে। ব্যাগ রেখেই চলে গেলাম পারিবারিক কবর স্থানে। নিশু ভাইয়ের কবরের সামনে। ওর পরের দিন এয়ারপোর্টে যেতে যেয়ে নিশু ভাইদের গাড়িকে ট্রাকে ধাক্কা দিয়েছিল। ওখানেই মারা যায় তিন জন যার মধ্যে উনিও ছিলেন। আর তখন আমি অটিতে সিজারিয়ানের জন্য। যখন হুশ আসে দেখি সবার মুখ থমথমে খালা নেই কোথাও। বারবার বলা স্বত্তেও কেউ আমাকে বলে নি কি হয়েছে।

পরে যখন জেনেছিলাম আমি পাগল প্রায় হয়ে গিয়েছিলাম। মেঘের পাঁচ বছর বয়সের সময় ওকে নিয়ে চলে যাই জার্মানিতে। আজ ফিরলাম। কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ফিস ফিস করে বললাম দেখো নিশু ভাই আমি কিন্তু কিচ্ছু বলি নাই মেঘকে তোমার কথা। সোজা তোমার কাছে নিয়ে এসেছি। তুমি তো এখন বলবে। এখন মেঘ বোঝে বাবা কি। আচ্ছা আমাকে ছেড়ে একা একা কি করে আছো। আমার কথা কি মনে পড়্ব না একবারও। আমি যে এখনও চুল খুলে কোথাও যাই না। এখন ওড়না একপাশে নেই না। আমি যে তোমার স্পর্শ গুলো এখনও অনুভব করি। তুমি থাকবে তুমি আছো। তুমি আজ পাশে নেই তবুও যে তোমাকেই ভালবাসি।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত