টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে আমার বৌকে জিজ্ঞেস করা হলো আপনি বরকে কতটুকু ভালোবাসেন? বৌ উত্তর দিলো, “ এহেম এহেম, আমি উনাকে পছন্দ করতাম। যখন আমার প্রেমিক ছিলেন। স্বামী হওয়ার পরে ভালো লাগে। আমার পেটে উনার বাচ্চা থাকাকালীন ভালোবাসার চেষ্টা করবো। আর উনি মারা গেলে ভালোবাসবো। খুব বেশিই ভালোবাসবো তখন মনে হয়! ” শুনে আমার মাথাটা গরম হয়ে গেলো! এরে ইরি! তোকে আমি আঙুলে আঙুল ধরিয়ে গিটার বাজানো শিখিয়েছি! গলাটা একটু মিষ্টি হওয়ার ফলে কীভাবে কীভাবে তুই শিল্পী হয়ে গেলি! ঠিকাছে, তাই বলে তুই এখনো আমাকে ভালোবাসিস না?
এখনো যে নিজের হাতের শাড়ির কুঁচি করতে পারিস না! তা ভুলে যাস? কমপক্ষে টেলিভিশনের পর্দায় একটু ভালোবাসিস বললেই পারতি! কী করবো কী করবো ভাবতে ভাবতে একবার বারান্দা থেকে শোবার ঘর। শোবার ঘর থেকে বারান্দায় পাইচারি করছি! কদিন ধরেই খেয়াল করছি। কেউ যখন ইরাকে আমার কথা জিজ্ঞেস করে তখন অমনভাবে ইনি, উনি, তিনি করে মনে হয় আমি আশি বছরের বুড়া! আর সে নব্য ষষ্ঠ শ্রেণীতে উঠা এক ছাত্রী! অথচ তাঁর আমার বয়সের পার্থক্য মাত্র দুই বছরের!
বাপের ভোগে যাওয়া মেয়ে ছিলো ইরা। কলেজে এক গাধা বান্ধবীদের নিয়ে শুধু ঘুরাঘুরি হতো। কিছু আধুনিকা বান্ধবীদের সাথে মিশে সিগারেট বিড়িও খাওয়া শিখে গিয়েছিলো! একদিন ওর বাবা টের পেয়ে সেই মেরেছিলো! সঙ্গে বাড়ি থেকেও বের করে দিয়েছিলো! পথে ব্যাগপত্র নিয়ে কাঁদতে দেখে আম্মা বাড়িতে নিয়ে এসেছিলো! আর যাওয়া হয়নি তাঁর! আমাদের বাড়িতে ছয়টি বছর হয়ে গিয়েছে। ইরা যেদিন এসেছিলো সেদিন থেকে আমি থাকতাম নানাবাড়ি! এই মেয়েটাকে মা এতোই পছন্দ করেছিলো যে নিজের ছেলেটাকে দূরে রাখতে দ্বিধা করলেন না!
আমাদের প্রেমের বয়স ছিলো তিন দিন! যে প্রথম তিন দিন আমি ঈদে এসেছিলাম বাড়িতে। লোকজন নানা কথা বলবে বলে আম্মা আমাদের বিয়ে দিয়ে দিলো! সারাদিন শুধু কাঁদতো। আমি কাছে যেতাম না। আমি গিটার বাজানোর সময় দেখতাম মন দিয়ে দেখতো। একদিন বললাম, “ শিখবে? ” সে শুধু মাথা নাড়ালো! ব্যাস হয়ে গেলো! তারপর কলেজ ভার্সিটিতে গান গেয়ে গেয়ে আজকে তাঁর সাক্ষাৎকার টেলিভিশনে নেওয়া হয়! রাত তিনটে বাজে ইরা বাড়িতে এসে ঢুকতেই আমি জিজ্ঞেস করলাম, “ তুমি এটা কী করলে? ” সে সাধারণ উত্তর দিলো, “ কী করলাম? ”
“ টিভিতে যে বললে ভালোবাসো না। তা ঠিকাছে, কিন্তু মরে গেলে ভালোবাসবে কেনো? মরে গেলে আর ভালোবাসা দিয়ে কী করবো? ”
“ দরকার নেই? ঠিকাছে তখনও বাসবো না! ” মেয়েটার সাহস দেখে আমি অবাক হচ্ছি!
“ তাহলে ভালোবাসবেটা কাকে? আমি তোমার স্বামী না? ”
সে নাক উঁচু করে বললো, “ আমি কী সেটা অস্বীকার করেছি নাকি? কিন্তু এখনো আমি আপনাকে ভালোবাসি না। পরবর্তীতে বাসবো। ” এর মাঝে আম্মা এসে বললো, “ কী এতো চিল্লাচিল্লি করছিস? মেয়েটা মাত্র ধুলাবালি থেকে ফিরেছে! ” নিজের বাড়ি, নিজের ঘরে নিজেকেই অতিথি মনে হলো! সে হাসতে হাসতে আম্মার সাথে চলে গেলো। ইরার সাথে কোনো ছেলে কথা বললেই আমার জ্বলে। কিন্তু আমার সাথে কোনো মেয়ের কথা হলে ইরার জ্বলে না! আমি চাই সে জ্বলুক! আরো সহযোগিতা করে। এবং সবসময়ই বলে, “ আপনার দ্বারা গিটার বাজানো আর ফেইল করা ছাড়া দুনিয়ার অন্য কোনো কাজই সম্ভব না! বুড়ো হয়ে যাবেন তবুও কোনোদিন ভার্সিটির মুখ দেখতে পারবেন না। ”
নিজের আম্মা যখন বলে, “ নিজের বৌকে দেখেও তো কিছু শিখতে পারিস নাকি? বাদাইমাগিরি করে কতোদিন চলবি? ইরা বিয়ে না করলে তোর কাছে কোনো মেয়ের বাপ বিয়েই দিতো না! ” তখন কেমন লাগে? মানুষ বিয়ের এক বছর পরেই বাবা হয়ে যায়। আর আমার বিয়ের প্রায় ছয় বছর হতে চললো এখনো বাসর রাতই হয়নি! বাবা হতে গেলে আগে আমাকে পরীক্ষায় পাস করতে হবে! আরো পড়ালেখা করতে হবে। একটা চাকরী করতে হবে। তারপর যদি আব্বু ডাক শোনা যায়! নিজের দিকে চেয়ে মাঝে মাঝে হাসি। আমার বন্ধুবান্ধবরা চাকরী খুঁজছে প্রেমিকাকে বিয়ে করতে হবে তাড়াতাড়ি! আর আমি? সকালে নাশতার টেবিলে কথা হচ্ছে।
“ আম্মা আমি ঘুরতে যাবো। ”
“ তো যা। ”
“ ইরাকে নিয়ে আরকি। ”
“ ইরা অসুস্থ যেতে পারবে না। ”
“ কী বলো এসব? এইযে দিব্যি বসে খাচ্ছে! আর অসুস্থ হলে ওকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবো। ”
“ আমি এখনো মরে যাইনি! ”
“ আমি কখন বললাম তুমি মরে গেছো? ধুর ঘুরতেই যাবো না। ”
বলে টেবিল থেকে উঠে চলে এলাম। পিছনে না তাকালেও বুঝতে পারছি দুজন আমাকে নিয়ে হাসছে! খালি পায়ে রাস্তায় হাঁটছি আর ভাবছি জীবনটা যদি সিনেমা হতো! এখন এই মুহূর্তে আমি কোথাও চলে যেতে পারতাম। সেখানে গিয়ে কিছু ডিগ্রী অর্জন করে বীরের মতো বাড়িতে ফিরে আসতাম! ভাবতে না ভাবতেই একটা গাড়ির সাথে ধাক্কা খেলাম! গাড়ি থেকে একটা সুন্দরী রমণী বেরিয়ে এলো।
“ দুঃখিত হ্যাঁ? বেশি লাগেনি তো? চলেন হাসপাতালে যাই। ”
হাসপাতালে যেতে যেতে মেয়েটার সাথে পরিচয়। সে টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন বানায়! আমার চেহারায় নাকি কিছু একটা আছে তাই একটা বিজ্ঞাপন বানাতে চায় আমাকে নিয়ে! জীবনের প্রথম কেউ আমার প্রশংসা করলো! বিজ্ঞাপনটা হলো নারিকেল তেলের! এই ধরণের বিজ্ঞাপনে সাধারণত মেয়েদের দেখা যায়। কিন্তু আমি করেই হিট! এটা করার পরেই আরো বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব পেলাম! দিনে দিনে আকাশ ছুঁতে লাগলাম। তারপর নাটকে অভিনয় করা। এইতো সামনেই একটা সিনেমা করবো! সাক্ষর-টাক্ষর করা হয়ে গিয়েছে! এখন একরকম একজন সফল টিভি অভিনেতা বলা যায় নিজেকে। না মানুষই তা বলে। চাপা মারছি না। একটু আগে সময় টিভিতে সাক্ষাৎকারে এসেছি। সুন্দরী একজন উপস্থাপিকা শাড়ি পড়ে সামনে বসে প্রশ্ন করতে শুরু করলো।
“ আচ্ছা মাজহাব ভাইয়া। আপনি তো বিয়ে করেছেন? ”
“ হ্যাঁ। ”
“ কতোদিন হলো? ”
“ দশ বছর। ”
“ ওহ, সন্তানাদিও আছে নিশ্চয়। তাঁদের নাম কী? ”
“ না কোনো সন্তান নেই! ” উপস্থাপিকা নড়েচড়ে বসলেন।
“ মানে? আপনি কী মজা করছেন? বিয়ে করেছেন দশ বছর এখনো কোনো বাচ্চাকাচ্চা নেই! একটা কথা বলি কিছু মনে করবেন না। আপনার বা ভাবীর কী কোনো সমস্যা আছে? ” আমি হেসে বললাম, “ এরকম কিছুই নয়। আমার কোনো বাচ্চাকাচ্চা নেই কারণ আমি এখনো কলেজের গন্ডি পেরোতে পারিনি! ” উপস্থাপিকাও হেসে বললেন, “ খুবই মজার একটি ব্যাপার। ”
“ হুঁম, হুঁম। ”
“ তো আপনি ভাবীকে কতটুকু ভালোবাসেন। ”
“ এহেম, আমি ওকে পছন্দ করতাম। যখন আমার প্রেমিকা ছিলো। বৌ হওয়ার পরে ভালো লাগে। ওর পেটে আমার বাচ্চা থাকাকালীন ভালোবাসার চেষ্টা করবো। আর ও মরে গেলে ভালোবাসবো। একটু বেশিই ভালোবাসবো মনে হয় তখন। ”
ফোনটা শব্দহীন করে রেখেছিলাম। সাক্ষাৎকার শেষে দেখি ফোনে তেরোটা কল এসেছে! তাও কে করেছে? স্বয়ং ইরা ম্যাডাম! ফোন হাতে থাকার অবস্থাতেই আবার ফোন। আমি ধরলাম না! সন্ধা হয়ে গেলো বাড়ি ফিরতে। ইরার চোখ লাল হয়ে আছে! আমার পথ আটকে বললো, “ দাঁড়ান একটু, আপনি আমাকে ভালোবাসেন না? ”
“ এখনো ভালোবাসি না। পরবর্তীতে বাসবো। ”
সে ক্ষেপে বললো, “ আপনি কী আমার সাথে মজা করছেন না প্রতিশোধ নিচ্ছেন? ” আমি বেশ শান্ত গলায় বললাম, “ তুমি কী আমার শত্রু নাকি যে প্রতিশোধ নিবো? যা সত্য তাই বললাম। রাস্তা ছাড়ো। ” মেয়েটা নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারলো না! নাশতার টেবিলে কথা হচ্ছে। আম্মা বললো, “ মাজহাব। ”
“ জ্বী আম্মা। ”
“ ইরাকে নিয়ে একটু বিকালে বের হোস তো। ”
“ আমার হাতে তো সময় নেই। তুমিই বের হয়ো। ”
“ আমার সাথে যাওয়া আর তোর সাথে যাওয়া কী এক হলো নাকি? ”
“ খুবই জরুরী শুটিং আছে। সিনেমার শুটিং। দেরি করা যাবে না। এমনিই সিনেমায় নতুন তার উপর যদি! ”
মা থামিয়ে বললো, “ কী হয়েছে তোর? সত্যি করে বলবি? নিজেকে কী হিরো ভাবছিস? ” আমি কিছু না বলে চলে এলাম। কলেজের গন্ডি পেরোতে না পারা ছেলেটার পরিচিতি দিনদিন বেশ বিকাশিত হতে লাগলো! কতো মানুষ এক নজর দেখার জন্য রোদ বৃষ্টিতে পুড়ে! বাড়ি যাওয়া হয় না। এই হোটেল ঐ হোটেলেই দিন কেটে যাচ্ছে। যা ব্যস্ততা। মাঝ রাতে ইরার ফোন।
“ ঘুমাচ্ছেন? ”
“ না, স্ক্রিপ্ট পড়ছি। ”
“ বাড়িতে আসবেন কবে? ”
“ ঠিক নেই। দেখি কবে ফ্রী হই। আচ্ছা তোমার খবর কী? ইদানীং গান-টান দেখিও না, শুনিও না! ”
“ গাই না, ভালো লাগে না। ”
“ এমনটা করলে হবে? তুমি অনেক ভালো গাও। গাইতে থাকো। আর হ্যাঁ ফোনটা রাখছি, পরে কথা হবে। ”
“ আমাদের মধ্যে কী শুধু এই কথাগুলোই হবে? ”
“ হ্যাঁ, তাইতো হওয়ার কথা। ”
“ আমি পরিচিতি পেয়ে বদলাইনি। আপনি বদলে গিয়েছেন। আমার এখনো সেইদিনগুলোর কথা মনে পড়ে। আপনি কতোটা পাগল ছিলেন আমার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য! অথচ আজকে নিজেই অগ্রাহ্য করছেন! এটাই হয়তো স্বাভাবিক। একত্রিশ বয়সী কোনো পুরুষের উনত্রিশ বয়সী স্ত্রীকে ভালো লাগার কথা না! ”
আমি সুন্দর করে তাঁর কথাগুলো উপেক্ষা করে বললাম, “ ইরা, শুনো আমি ছাত্র হিসেবে খুবই খারাপ। কোনোরকম কলেজে উঠেছি। কিন্তু কলেজ পেরোবার জ্ঞান আমার মাথায় নেই। তার জন্য আমি খুবই লজ্জিত এবং প্রতি নিঃশ্বাসে কষ্ট পাই। কারণ আমার আম্মা আমাকে কখনো সিনেমার নায়ক হিসেবে দেখতে চায়নি। চেয়েছিলো পড়ালেখা করে একটা ছোট্ট চাকরী করি। নিজের পায়ে দাঁড়াই। দাঁড়িয়েছি তো ঠিকই, কিন্তু সেভাবে পারিনি যেভাবে আম্মা চেয়েছিলো। আর আমার আম্মা মনে করেন কলেজ না পেরোবার আগে আমি তোমার যোগ্য নই। মানে আমি তোমার যোগ্য নই। তাই এখন আমার মনে হয়। তোমার স্বামী হওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি আমার মতো থাকি, তুমি আম্মার মতো। ” ইরা আর কিছু বললো না। ফোনটা রেখে দিলো। বহুদিন আর কথা হয়নি। হঠাৎ কাজের মাঝখানে ফোন বেজে উঠলো।
“ আপনাকে শেষবারের মতো ফোন দিয়ে বিরক্ত করলাম! আমি এখন আমার নিজের বাড়ি। আমার বাবার বাড়ি! আজকে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন জানেন? বাবার মতো কঠিন লোকটা আমাকে নিজে গেলেন আনতে। জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন! আপনার মা মানা করেছিলো আপনাকে যেন না জানাই কিন্তু আমি না জানিয়ে থাকতে পারলাম না। আশাকরি আপনার সাথে আমার কথা হবে না। ভালো থাকবেন। ” হায় হায় মেয়েটা বলে কী? শুটিং-টুটিং ফেলে গাড়িতে এক টান, সোজা বাড়িতে। আম্মা একা বসে আছে।
“ আম্মা। ” আম্মা কথা বলে না।
“ আম্মা, ইরাকে নাকি ওর বাবা এসে নিয়ে গেছে? ”
“ না, আমিই পাঠিয়ে দিয়েছি। ”
“ কেনো? ”
“ কেনো মানে? ও কে যে এই বাড়িতে থাকবে? ”
“ কে মানে? এতোদিন কীভাবে থেকেছে? ”
“ সে হিসাব বাদ। তোকে আরেকটা বিয়ে করাবো। ”
“ মগের মুল্লুক নাকি? যখন যা ইচ্ছে বলবে। আমি ইরাকে আনতে যাচ্ছি। ”
ইরার ঠিকানা পেতে খুবই কষ্ট হলো কিন্তু বের করলাম। বাড়ি দেখি বিয়ের সাজে সাজানো হচ্ছে! ভিতরে ঢুকে দেখি ইরাকেই বৌ সাজানো হচ্ছে! আমি সরাসরি ইরার কাছে গিয়ে বললাম, “ ইরা, কার বিয়ে হচ্ছে? ” “ আমার। ” “ তোমার মানে? তোমার বিয়ে আমার সাথে আরো দশ বছর আগে হয়ে গেছে। ” “ তো কী? মানুষ দুই বিয়ে করে না? ” “ মানুষ করে তুমি পারবে না। ” “ আপনি যানতো, এখন আমার সাজগোজের সময়। বর আসার সময় এখনো হয়নি। মানুষ দেখলে বলবে, বরের মাথা ঠিক নেই! ”
কথাটা দুই মিনিট লাগলো বুঝতে। তারপর আস্তে করে বেরিয়ে আসলাম। রাত্তিরে নতুন করে ইরা বাড়িতে বৌ হয়ে আসলো। বাসর ঘরে হাতে একটা চিরুনি নিয়ে মাইক্রোফোন বানিয়ে ইরার মুখে ধরে বললাম, “ সময় টিভিতে আপনাকে স্বাগতম। তো ম্যাডাম আপনি বরকে কতটুকু ভালোবাসেন? ” “ আরেহ আগে ঘোমটা সরান। ” “ ধ্যাত্তেরি তোমাকে আবার নতুন করে দেখার কী আছে? ” সে রেগে নিজেই ঘোমটা সরিয়ে বললো “ নতুন করে দেখার সবই আছে। যদি আপনি পুরুষ সত্য হোন! ”
আমি তাঁর উত্তর শুনে বেকুব হয়ে গিয়েছি। আবারো জিজ্ঞেস করলাম, “ সাক্ষাৎকার তো শেষ হয়ে গেলো। আপনি উত্তরটা দিন। ” সে মুচকি হেসে জবাব দিলো, “ এহেম, উনাকে আমি আগেও ভালোবাসতাম না। এখনো ভালোবাসি না। ভবিষ্যতেও ভালোবাসবো না। ” আমি দীর্ঘশ্বাস নিয়ে গালগোল এক করে তাঁর দিকে চেয়ে বললাম, “ মরে গেলেও না? ” সে সঙ্গে সঙ্গে আমার মুখটা চেপে ধরলো, “ এই সুযোগটা তুমি কখনো পাবে না সোনা! ”