—–রাত এগারো টা। চুপি চুপি বাড়িতে ঢুকছি আমি। জানি সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। তবুও সাবধানের মার নেই। কেউ দেখতে পাবে না এটা আমি মোটামুটি নিশ্চিত। কিন্তু এটাও জানি যে, একজন এখনও আমার জন্য জেগে আছে। তাকেই খুজছি ধীর পায়ে দেউড়িটা পাড় হয়ে উঠোনে ঢুকলাম। হঠাত করেই চোখ গেলো পাশের পেয়ারা গাছটার দিকে। কিছু একটা নড়ছে। সেটার দিকে তাকিয়েই আমার ঘরটার দিকে হাটছি। হঠাত করেই কিছু একটার ধাক্কা খেলাম……
—কে কে…
—ইশশশশশশস…
—ও তুই?
—আমি ছাড়া আর কে হবে?
—বাড়ির কি অবস্থা?
—ভালো না। তোকে বকতে বকতে জ্যাঠু মাত্র ঘুমালো। জ্যাঠিমাও শুয়ে পড়েছে।
—তাহলে আমি ঘরে যাই।
—কীভাবে যাবি?
—কেন? দরজা দিয়ে।
—জ্যাঠু তো দরজায় তালা দিয়ে রেখেছে।
—তাহলে জানাল দিয়ে।
—দরকার নেই। জ্যাঠু জেগে যাবে।
—আমি তাহলে ইয়াসিনদের বাড়িতেই গিয়ে থাকি আজকের রাতটা।
—আরে দাড়া।
—কি হইছে?
—রাতে খেয়েছিস? আমি না সূচক মাথা নাড়লাম।
—দুপুরেও তো খাসনি।
—হুম। ইয়াসিনদের ওখানেই খাবো।
—কোথাও যেতে হবে না। তুই আমার ঘরে গিয়ে বস। আমি আসছি।
মাথাটা হেলিয়ে অবন্তিকার কথায় সায় দিয়ে ওর ঘরের দিকে পা বাড়ালাম। শরীরটা ক্লান লাগছে খুব। কেন যে কাউসারের কথায় ফুটবল খেলতে গিয়েছিলাম? আব্বা রাত করে বাড়ি ফেরা একদম পছন্দ করে না। আর খেলাধুলা তো আরো না। ছোট চাচা বাড়িতে থাকলে কোন ব্যাপার ছিলো না। এ বাড়িতে উনিই শুধু আমার খেলার ফ্যান। আরো একজন আছে। অবন্তিকা। ছোট চাচারই মেয়ে। সবাই ছোট করে অবু বলে ডাকে। কিছুক্ষনের মধ্যেই ফিরে এলো অবন্তিকা।
—কিরে শুয়ে পড়েছিস যে।
—খুব ক্লান্ত লাগছে।
—খেলার সময় মনে ছিলো না?
—জানিস? আজকে আমি ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছি। তিনটা গোল দিছি।
—রাখ তোর ম্যান অফ দ্যা ম্য্যাচ। কই গেছিলি সেটা বল। মাথা নিচু করে জবাব দিলাম…
—বালিজুড়ি।
—এত দূর! হেটেই গিয়েছিলি?
—তোর ফুফুর বাড়িতে কি উড়োজাহাজ চলে? একটা রিকশাও তো পাওয়া যায় না। তাও এত রাতে।
—ঐ আমার ফুফু তোর কিরে?
—আমারও ফুফু।
—তাইলে?
—তাইলে কি? কিছুনা।
—তোর অনুদের বাড়িতে থেকে গেলেই পারতি।
অনু আমার ফুফাতো বোন। আর অবুর একমাত্র প্রতিদ্বন্দী।
—আরে আমার কাছে কোন টাকা ছিলো না। খালি হাতে কি কোথাও যাওয়া যায়?
—ও টাকা থাকলে যেতি?
—আরে না। এমনিতেই যেতাম না। পথে ফুফার সাথে দেখা হয়েছিলো। উনিও যেতে বলছিলেন কিন্তু আমি, কাজ আছে বলে চলে এসেছি।
—গেলেই তো পারতি। ফুফু ফুফাতো বোনের আদর খেয়ে আসতি।
—তোকে না একশদিন না করছি এসব কথা বলবি না। তুই জানিস না আমার ব্যাপারে সব?
—আচ্ছা ঠিক আছে। গোসল করে আয় যা। আমি খাবার দিচ্ছি।
—হুম দে। খুব ক্ষুদা পেয়েছে।
—কিরে খোড়াচ্ছিস ক্যান?
—কিছুনা। এই খেলতে গিয়ে একটু মচকে গেছে আরকি।
—সবাই না করে, তারপরেও কেন করিস এসব।
—আমার ভালো লাগে যে।
—আমার যে কষ্ট হয়?
—তোর কষ্ট হয়?
—বারে, জ্যাঠু যখন তোকে বকে। খাবার বন্ধ করে দেয়। জ্যাঠিমা যখন আড়ালে কাদে তোর জন্য তখন আমার ভালো লাগে? নিজেও তো কষ্ট পাস না, খেয়ে থাকিস।
—কি করবো? পড়ালেখা শেষ। কোন কাম কাজ তো নাই। তাছাড়া তুই আছিস তো। তুই থাকতে আমার কোন চিন্তা নাই।
—তুই আছিস তো। আমি তোর কে?
ভেংচি কেটে বললো অবু।
—তুইই তো আমার সব। আমার ময়না পাখি আমার টিয়া পাখি……
—হইছে আর আলগা পিরিত দেখাইতে হবে না। যা গোসল কররে আয়। হাতে একটা লুঙ্গি আর একটা গেঞ্জি ধরিয়ে দিয়ে বললো অবন্তিকা।
—কীইইই! আলগা পিরিত? আমার কথা তোর কাছে আলগা পিরিত মনে হয়?বলেই ওর দিকে তেড়ে এলাম।
—গেলি? ইশশশশ… কি বিচ্ছিরি গন্ধ। টয়লেটে গোল দিতে গেছিলি নাকি?
—কি বললি তুই?
—এই একদম আমার কাছে আসবি না। ওয়াক থু…
আমিও চলে আসলাম। টয়লেটে না গেলেও ঘাম আর কাদার কারনে শরীর থেকে ভালোই দুর্ঘন্ধ আসছে। তাছাড়া এই গরমে প্রায় পাচ কিলোমিটার পথ হেটে এসেছি। গ্রামের রস্তা এমনিতেই গাড়ি পাওয়া যায় না। তাও আবার রাতে।
যাইহোক। আমি গেঞ্জি আর লুঙ্গিটা নিয়ে বাথরুমে ঢুকলাম। গ্রামের বাড়ি হলেও আমাদের বাথরুম ঘরের সাথে এটাচ করা। অবন্তিকার ঘরেও একটা আছে। আমি সেটাতেই ঢুকলাম। যদিও উঠোনে একটা টিউবয়েল আছে। আমি সেটাতে গোসল করতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। কিন্তু এই মাঝ রাতে সেখানে গোসল করাটা উচিৎ হবে না। তাতে আব্বা জেগে যেতে পারে। আর উনি জেগে গেলে আমার দ্বাদশতম ঘন্টা বাজিয়ে দেবেন। তাড়াতাড়ি গোসল শেষ করে গেঞ্জিটা পরেই বেরুলাম বাথরুম থেকে। অবন্তিকা এর মধ্য্যেই খাবার বেড়ে বসে আছে।
—কিরে গোসল শেষশ?
—হুম।
—আচ্ছা তোর পিঠে ঐটা কিসের দাগ?
—আরে কিছুনা। খেলতে পা পিছলে পড়ে গিয়েছিলাম।
—এত্ত বড় হইছিস তোর খেলার শখটা এখনো গেলো না।
—আমার বয়স কি মেসি নেইমারের থেকে বেশি?
—ওরা আর তুই?
—ক্যান কি হইছে?
—ওরা মাঠে নামলেই গোল পায় আর তুই ব্যাথা পাস। হি হি…
—হি হি হি… আচ্ছা তুই গেঞ্জির উপড় দিয়া পিঠের দাগ দেখই কেমনে?
—গেঞ্জির উপড় দিয়া দেখবো কেন? তুই যখন গেঞ্জি খুলছিলি তখনই দেখছি।
—আমি কখন গেঞ্জি খুললাম?
—কেন? বাথরুমে, গোসল করার সময়।
—অ্যা! তার মানে আমি যখন গোসল করছিলাম তুই তখন উকি মেরে আমার গোসল করা দেখছিলি? কি লুইচ্চা মাইয়ারে বাবা!
—ঐ। আমার কি দোষ? তুই বাথরুমের দরজা খুলে গোসল করতে গেলি ক্যান?
—আমি তো সরল বুইঝা গেছি। তাই বলে তুই আমার গোসল করা দেখবি। অ্যা অ্যা আমার সব শেষ।
—আরে ভ্যাঙ্গাইস না। আমিই তো দেখছি আর কেউ তো দেখে নাই।
—“আমিই তো দেখছি”। মুখ ভ্যাঙ্গাইয়া কথাটা বলে খেতে বসলাম।
—ঐ। এটা তো তোর প্লেট।
—আমার খাবার কি তোর প্লেটে থাকবো?
—তোর খাবার মানে?
—কেন আপনি জানেন না? আপনি দেরি করিয়া আসিলে আপনার আব্বাজান আপনার খাবার বন্ধ করিয়া দেন।
—তাই বলে তোর ঝুটা খাবার আমি খাবো?
—খেলে খা। না খেলে হাওয়া খা।
—কিন্তু তুই কি খাবি?
—আমি খাবো না। আমার ক্ষিদে নেই।
—ক্ষিদে নেই মানে? তুই না খেয়ে থাকবি?
বলেই আরো একটা প্লেটে খাবারটা দুভাগ করলাম। কারন আমি জানি ও কিছুই খায়নি। সবটা খাবারই আমার জন্য রেখে দিয়েছে। চাচা চাচী যেহেতু বাড়িতে নেই ও আমাদের এখানেই খায়। তাই আম্মু খাবার দিলে সেটা নিজের ঘরে এসে আমার জন্য রেখে দিয়েছে। কারন ও জানে আজকে আব্বা আমার খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
—বললাম তো আমার ক্ষিদে নেই। তুই খা।
—চুপ কর। আমি বলছি তাই খাবি। ক্ষিদে না থাকলেও খাবি। ধমকের অনেকটা সুরেই বললাম। সেও আর কিছু না বলে খেতে বসলো কারন ও জানে খাবার যতই অল্প হোক ও না খেলে আমিও খাবো না। শধু বিড় বিড় করে বললো
—ধমকাস ক্যান? আমি কি তোর বিয়া করা বউ নাকি?
কথাটা বলেই জিবে কামড় দিলো অবন্তিকা। আমিও বুঝতে পারছি ও লজ্জা পেয়েছে। তাই কথা না বাড়য়ে খাওয়া শেষ করলাম। অবন্তিকা এমনিতেই কম খায়। তাই ওকে খাবার কম দেয়া হয়েছে। বেশি নিতে গেলেই সবাই সন্দেহ করবে। যদিও আম্মা জানে আমার খাওয়া না হলে সেও খাবে না। কিন্তু আব্বার ভয়ে বেশি খাবারও দিতে পারেনি। আব্বা জানলেই চেচাবে। এমনিতেই খাবার কম তার উপড় দুজনে ভাগ করে খাইছি। ফলে আমার পেটে এখনো ক্ষিদে আছে। আমার মুখ দেখে অবন্তিকা সেটা ভালোই বুঝতে পারছে। এটাই হচ্ছে মেয়েদের একটা গুন। এরা ভালোবাসার মানুষদের মুখ দেখেই বলে দিতে পারে কখন কি লাগবে।
—কিরে পেট ভরে নি?
—মোটামুটি।
—বুজছি আর বলতে হবে না। তুই খাটে গিয়ে বস আমি টেবিলটা গুছিয়ে তোর জন্য অন্য খাবার নিয়ে আসছি।
—আচ্ছা।
আমি চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছি। আর অপেক্ষা করছি অবন্তিকা খাবার নিয়ে আসবে। কিন্তু কি খাবার? কি আর হবে বিস্কুট, কলা কিংবা কোন পিঠা-টিঠা হবে আর কি। এই তো এসে পড়েছে। ওর আসার টের পেয়েই আমি হেলান দিয়ে উঠে বসলাম।
—কিরে খাবার কই?
—আনছি তো। চোখ বন্ধ কর।
—খাবারের জন্য আবার চোখ বন্ধ করতে হবে কেন?
—না করলে পাবি না।
—আচ্ছা বাবা, ঠিক আছে এই নে চোখ বন্ধ করলাম।
চোখ বন্ধ করতেই ঠোটে একটা মিষ্টি ছোয়া পেলাম। পুরো এক হাজার মেগা কেলোরি।
—আউচ। এটা কি হলো?
—আমার কাছে এটা ছাড়া আর খাবার নাইরে।
—তাহলে এটাই আরেকটা দে। একটাতে কি পেট ভরে?
—ঐ। একটা পেয়ে লোভ বেড়ে গেছে না?
—দে না একটা। এমন করছিস কেন?
—খাওয়া শেষ হইছে। কথা না বাড়িয়ে এবার মামুন কিংবা ইয়াসিনদের ঐখানে গিয়ে থাক, যা।
—আচ্ছা যা। আর খাবার দিতে হবে। কিন্তু আমি এখানেই থাকবো।
—আমার সাথে, আমার ঘরে?
—কেন আমি তোর বর না? কালেমা পড়িয়ে, কবুল বলে বিয়ে করিনি তোকে?
—হুম বরই তো শুধু থিউরিটিক্যাল বর।
—মানে?
—খালি কাগজে পত্রে বর।
—ও ও আচ্ছা। তাহলে প্র্যাক্টিক্যাল হতে কতক্ষন? দাড়া আজ তোকে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করাবো।
—ঐ। একদম কাছে আসবি না। তুই বিয়ের সময় আমার আব্বার দেয়া শর্ত ভুলে যাচ্ছিস কেন?
—তোর জন্যই তো এমন শর্ত পেতে হলো। বিয়ের পরেও বউকে ছেড়ে আলাদা থাকতে হবে। বউ যে আমার পরিক্ষা দিবে। তাহলে পরিক্ষার পরে বিয়েটা করলে কি হতো? অন্তত আমাকে বিবাহিত ব্যাচেলর তো থাকতে হতো না। তোর সেদিনের পাগলামীটার জন্যই তো তাড়াতাড়ি বিয়েটা হয়ে গেলো।
—আমি যদি সেদিন ঐ পাগলামীটা না করতাম তাহলে এতদিনে তুমি অনামিকার গলায় ঝুলে পড়তা চান্দু। আমি তোমারে চিনি না?
—তাই বলে তুই সবার সামনে জড়িয়ে ধরে চুমু খাবি? ইশশশ কি লজ্জা?
—ঐদিন ঐটা না করলে সবাই বুঝতো কি করে তোর আর আমার সম্পর্ক কতটা গভীর। আর তুই তো নাচতে নাচতে বিয়ে করতে যাচ্ছিলি।
—জীবনেও না। আরে কেউ যদি আমারে পছন্দ করে। তাতে আমার কি দোষ? আমি কি পছন্দ করছি নাকি?
—ফুফু যেভাবে উঠে পরে লেগেছিলো তোর সাথে তার মেয়ের বিয়ে দিতে, আমি পাগলামী না করলে বিয়ে তো ঐদিনই হয়ে যেত।
—আরে ফুফু আমারে পছন্দ করছে। কিন্তু আমি কি রাজি ছিলাম নাকি?
—তুই রাজি না থাকলেও তোর আব্বা বিয়ে ঠিকই দিয়ে দিতো। আর তখন আমি জীবনের জন্য হারাতাম তোকে।
—আচ্ছা সত্যিই যদি সেদিন অনামিকার সাথে আমার বিয়ে হয়ে যেত তাহলে তুই কি করতি?
—কি করতাম মানে? আমি দুটো বিষের বোতল এনে রেখেছিলাম।
—মরার জন্য একটা বোতলই যথেষ্ট। দুইটা কেন?
—একটা তোর জন্য। আগে তোর খাবারে বিষ মিশিয়ে তোকে মারতাম। তারপর নিজেও সেখানে বিষ খেয়ে তোর বুকে মরে পড়ে থাকতামত।
—এত্ত ভালোবাসিস আমাকে?
—হুম বাসিতো। আমার না হলে তুই আর কারো হতে পারবি না। তুই শুধু আমার।
—এতই যখন ভালোবাসিস, তাহলে প্র্যাক্টিক্যাল না হোক অন্তত এক খাটে তো থাকতে পারি দুজনে।
—না পারি না। তুই উপড়ে ঘুমা আমি নিচে ফ্লোরে ঘুমাবো। তাছাড়া আর তো মাত্র তিনটা পরিক্ষা বাকী?
বলেই একটা বালিশ নিয়ে নিচে একটা মাদুর পেতে শুয়ে পড়লো।
—আচ্ছা সেটা নাহয় বুঝলাম। কিন্তু তুমি করে তো ডাকতে পারিস একবার।
—এই শর্ত তো তুইই দিয়েছিলি। যে যতদিন আমরা সত্যিকারের স্বামী স্ত্রী না হতে পারি ততদিন আমরা আগের মতোই একে অপরকে তুই করেই ডাকবো।
—শর্ত, শর্ত। আচ্ছা শর্ত ছাড়া কি আর কিছু আসে না তোর মাথায়?
—না আসে না। বেশি কথা না বলে এখন ঘুমা। সকালে উঠে আবার আমাকে পড়তে বসতে হবে।
—কিন্তু সকালে যদি আব্বা আমাকে তোর ঘরে দেখে তাহলে লংকা কান্ড বাধিয়ে দেবে।
—আরে দেখবে কীভাবে। আমি খুব ভোরে উঠে তোকে ডেকে দেব। তুই বাইরে চলে যাবি।
—কিন্তু আব্বা যদি জিগায় যে সারারাত কইছিলি? তখন কি বলবো?
—বলবি আমি তোকে বলেছিলাম আমার এক ফ্রেন্ডের কাছ থেকে একটা দরকারি নোট আনতে। যেটা পরিক্ষার জন্য খুব জরুরি। কিন্তু তার ভাইয়ের বিয়ে থাকায় সে রাতে আর তোকে আসতে দেয়নি।
—কিন্তু আব্বা এটা বিশ্বাস করবে কেন?
—আরে আমি আমার ফ্রেন্ডকে ফোন করে সব বলে দিয়েছি। সকাল হতেই সে জ্যাঠুর নাম্বারে ফোন করে সব বলে দেবে।
—বাব্বাহ! আমার জন্য এতটা ভাবিস তুই?
—আমি ভাববো নাতো কে ভাববে? আমিই তোর প্রথম এবং শেষ, একমাত্র বউ।
—উহু ঠিক বউ না। চাচাতো বউ।
—মানে?
—যেহেতু আমরা এখনো পরিপূর্ন স্বামী স্ত্রী না, সেহেতু তুই এখনো আমার চাচাতো বোন। আবার যেহেতু তোকে আমি কবুল পড়ে বিয়ে করেছি সেহেতু তুই এখন আমার সম্পূর্ন বোন না, আমার বউ। তাই চাচাতো বোন এর “চাচাতো” আর “বউ” সন্ধি করে “চাচাতো বউ”।
—হি হি হি … তাহলে তো তুইও আমার চাচাতো বর।
—না চাচাতো বর না জ্যঠাতো বর।
—জ্যাঠাতো বর?
—হুম আমি তোর জ্যাঠাতো বর আর তুই আমার চাচাতো বউ।
সমাপ্ত