– জানিস তাহিয়া, তোকে আম অনেক মিস করি।
– মিস যখন করিস তো দুরে না থাকলেও পারিস। যাইহোক, আমিও তোকে মিস করি। কেমন আছিস তুই?
তাহিয়ার কথা শুনে মনটা কেমন চুপসে গেল। অনুধাবন করলাম বুকটা কেমন কেঁপে উঠেছে। আমি কি তবে দূরে রেখেছি তাহিয়াকে? নাকি সেই আমার থেকে দূরে চলে গেছে? কিছুই বুঝলাম না।
– আমার আর থাকা, তোর কি অবস্থা বল? (আমি)
– তুই এমন হয়ে গেলি কেনো বলতো?
– পাঁচবছর আগের নিলয়কে কি আর আগের মত পাবি? সবে তো ৬ দিন হলো আমাকে দেখছিস।
দুজনেই চুপ হয়ে গেলাম। আমি আড় চোখে তাহিয়ার দিকে তাকাতেই দেখি সে আমার দিকে সরাসরি চেয়ে আছে। ওর চাহনি আবারো আমার বুকের হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে তুললো। হয়ত অনেকটা বছর পর দেখলাম তাই এমন হচ্ছে।
– হুমম হতে পারে। আচ্ছা শোন, তুই আর আগের মত লেখালেখি করিস না কেনো? জানিস,তোর সেই ডায়েরিটা এখনও আমার কাছে আছে। আমার নিয়ে সেটাতে কতই না আবোল তাবোল লিখতিস। তবে সুন্দর করে গুছিয়ে।
গলাটা ধক করে উঠল। পুরোনো সেই স্মৃতিগুলো স্কুলের ঘন্টার মত বেজে উঠল আমার মনের সরকারী বিদ্যালয়ে। একটা কথা বারবার মনে পড়ে যাচ্ছে, মানুষ হারিয়ে যায়, হারিয়ে যায় ভালোবাসা, হারিয়ে যায় সেই অধ্যায়ন অনুভূতিগুলো, কেবল হারায় না প্রিয় মানুষটার সাথে কাটানো স্মৃতিচারিত ঘটনাবহমান। সেই স্মৃতিই মানুষকে কষ্ট দেয়। মানুষ কখনো কাউকে কষ্ট দেয় না।
– নিলয়, তুই কিন্তু আগের থেকে বেশ চুপচাপ হয়ে গেছিস।
– কি জানি। হবে হয়ত।
– আর লিখিস না তাইনা? তোর ডায়েরিতে আমাকে নিয়ে লেখা কিন্তু অনেক বেশি অনুভূতির।
– ধুর পাগলি, এত ঢং এখন আর ভালো লাগে না রে। এখন বাজারে কোন কোম্পানির কলম চলছে তাই জানিনা,আবার লেখালেখি।
– তাহলে পড়াশোনা কি ছেড়েই দিয়েছিস?
– পারলে তো একেবারে ছেড়েই দিতাম। কিন্তু আম্মুকে যে আর কষ্ট দিতে ইচ্ছে করে না। তুই কিন্তু বললি না কেমন আছিস?
– আছি তোর মতই। তাহলে বললি কেন কলম চিনিস না,পড়াশোনা তো করছিসই।
– হিহিহি.. তুই কিন্তু সেই আগের মতই আছিস। ঘামটি মেরে থাকতি আমার ভূল ধরার জন্য। কালির দোয়াত নিয়ে যাই ভার্সিটিতে বুঝলি?”যদি ডেকে বলি, এসে হাত ধরো চলো ভিজি আজ বৃষ্টিতে এসো গান করি মেঘো মল্লারে করুনাধারা দৃষ্টিতে। আসবে না তুমি, জানি আমি জানি অকারনে তবু কেন কাছে ডাকি কেন মরে যায় তৃষ্ণার্তে এই এসো চলো জলে ভিজি শ্রাবন রাতের বৃষ্টিতে।”
– কি গাইলি রে নিলয়। তোর গানের কথাগুলো আগের মতই কানে বাজে।
– আগের মতই?
কথাটি শুনে বুকটা ধক করে উঠল। তাহিয়ার দিকে তাকালাম। তাহিয়ে চোখের পলক বারবার ফেলে সামনের দিকে তাকিয়ে যুগলদের পাইচারি দেখছে। আমি বিতাড়িত সৈনিকের মত গিটারে শব্দ করে চললাম। অপূর্ণ রয়ে যায় ভালোবাসা আমার। থেকেই গেল আজো অসমাপ্ত কথোপকথন।
– ভালোই হয়েছে তোকে আবার ফিরে পেয়েছি। জানিস আমার রাতগুলো বেশ কাটতো মুখবইতে তোকে নিয়ে গবেষনা করে। তোর লেখাগুলো আমি খুটিয়ে খুটিয়ে পড়ি। তোর ছবিগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখি। (তাহিয়া)
– তুই অনেক সুন্দর হয়েছিস তাহিয়া। একেবারে আমার মনের Back Spech এ জমে থাকা ভীতু মহাকাব্যের মত।
তাহিয়া হা হয়ে আমার দিকে তাকাল। আমি ওর ঠোঁটের হালকা গোলাপি এপ্রোনের দিকে তাকালাম। আমার বুকটা আবারো কম্পোনিত হল। কিন্তু কেনো এমন হচ্ছে বারবার? তাহিয়ার সাথে আমার হাজার বসন্ত বেঁচে থাকা বাকি আছে বলে? নাকি আমার মনে ওর চলাচল সর্বদা বলে?
– তুই কিন্তু দারুণ লিখিস। লাইক বাটনে করব করব করেও করিনা।
কত কি যে তোকে বলতে চাই কিন্তু বলতে পারিনা। তোকে খুউউউব ভালোবাসি তাহিয়া। এই কথাটিও মুখ থেকে বের হয় না। আমি আর আগের আমি নেইরে। হঠাৎ করেই তোকে খুজে বের করলাম। ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট সেন্ড করার পর থেকে ভেতরে কেমন জানি হাঁতুড়ি পেটা আওয়াজ করছিল। জানিস মিনিটে মিনিটে ঢু মারতাম তুই এক্সেপ্ট করেছিস কিনা দেখার জন্য। একসময় গ্রহন করলি। কত না কথা হলো আমাদের। তোর নাম্বার দিলি,আমারটাও নিলি। এরপর থেকে শুধু কথা আর কথা। তোর কথা শুনে আমার ভোর হয়। রাতের আকাশ দেখি শুনতে শুনতে। তুই বললি.. এতদিন কোথায় ছিলাম। আমায় কত খুজেছিস কিন্তু পাসনি।.. এই সেই আরো কত কি।
– নিলয় কি ভাবছিস? (তাহিয়া)
– না মানে কিছু না।
– তুই কিন্তু বেশ চুপচাপ হয়ে গিয়েছিস। আগে তো এমন ছিলি না। অবশ্য আম্মুও বলে আমিও নাকি চুপচাপ হয়ে গেছি খুব।
– হুমম.. আচ্ছা আজ উঠি রে।
কথাটা বলে আর দাঁড়ালাম না। বাম কাঁধে গিটার ঝুলিয়ে বেশ হন হন করে হেটে চলে আসলাম তাহিয়ার থেকে। বেশ খানিকটা দুরে এসে পিছনে তাকালাম। তাহিয়া আমার দিকে তাকিয়ে আছে একদৃষ্টিতে। হয়ত আমার চোলে যাওয়ার দিক থেকে চোখ সরাতে পারছে না। আমি ঘুরে সামনে হাটা শুরু করলাম। ডান পকেটে হাত গুজে হাঁটছি। পুরোনো স্মৃতিগুলো আমার মনে নাড়া দিয়ে উঠল..
“তাহিয়া, তোকে বলছিনা তোকে ভালোবাসতে হবে আমার। আবার এটাও বলছি না আমার থেকে হারিয়ে যেতে। কেবল বলছি তোকে খুব করে ভালোবাসার সুযোগ দিতে। তোর শৃন্যতা আমি বারবার অনুভব করি। আর এটা যদি ভালোবাসা হয় তবে তোকে আমি ভালোবাসি।”
তাহিয়াকে যখন কথাগুলো বললাম সে আমার দিকে বড় বড় দৃষ্টিতে চেয়ে রইল। আমি চুপ হয়েই দাঁড়িয়ে রইলাম। তাহিয়াকে আমি সেই কলেজ জীবন থেকেই ভালোবাসি। আমাদের বন্ধুত্বের শুরু যে সেখান থেকেই। তাহিয়াকে অনেকবার বলার চেষ্টা করেও পারিনি। কিন্তু আজ কেন জানিনা সাহস করে বলে ফেললাম। জানি তাহিয়া আমাকে ভালোবাসে। তাই হয়ত এমন অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে।
– তুই কি পাগল হয়েছিস নিলয়? আমাকে ভালোবাসলি শেষমেশ? তুই কি জানিস ভালোবাসা মানে কি? তুই কি বুঝিস ভালোবাসা কি? হুট করে দেখলাম, এসে ভালোবাসি বললাম হয়ে গেল? ভালোবাসা কাকে বলে বুঝিস?
কথাগুলো শোনার পর চোখমুখ যেন কেমন করে উঠল। তাহিয়াকে ভালোবাসি আমি চারবছর হচ্ছে। তারপরও বলতে হবে ওকে ভালোবাসা কি?
– শোন নিলয়, আমি ভালোবাসাতে বিশ্বাস করি না। বিশেষ করে বিয়ের আগে না। আর এখনকার ভালোবাসা মানে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া ছাড়া আর কিছুই না। আমি পারবো না ভালোবাসতে। যা আমার সামনে থেকে।
সেদিন কিছুই বলতে পারিনি। সোজা কাঁদতে কাঁদতে চলে আসি ওর সামনে থেকে। সেদিনের পরই ঐ ভার্সিটি ছেড়ে চলে আসি রাগে দুঃখে। তারপর কেটে যায় তিন চার বছর। এর মাঝে কোনো দিন ওর সাথে যোগাযোগ করিনি। কিন্তু কদিন হল ওর সাথে হুট করেই যোগাযোগ হয়ে গেল।
বাড়িতে এসে পৌছালাম। টুং করে মেসেজ বেজে উঠল। চেক করে দেখি তাহিয়ার মেসেজ। সেখানো লেখা “কাল বিকেল ৪ টার সময় দেখা করি রেস্টুরেন্ট এ” আমি মুচকি হাসলাম। ওর সাথে কালই সবকিছু শেষ করতে হবে। না হলে আমি যে দূর্বল হয়ে পড়ছি দিনকে দিন ওর প্রতি। ও কি তবে বুঝছে না নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করে আছে?
বিকেল ৪ টা…
ঝকঝকে রেস্টুরেন্টে ঢুকেই গায়ে শীতল বাতাসের ঝাপটার সাথে খুব পরিচিত একটা ঘ্রান এসে ধাক্বা দিল আমায়। এদিক ওদিক খুজে চোখ গিয়ে আটকালো কর্ণারের টেবিলটাতে। দূর থেকে দেখে মনে হল ছোট্ট একটা পুতুল বসে আছে। ধীর পায়ে এগিয়ে যেয়ে পুতুলটার সামনে বসলাম। এই সেই চেনা ঘ্রান, কতকাল পাইনা। কিছু বলতে পারছি না,তাহিয়াও চুপ করে আছে। নীরাবতা ভেঙে আমিই বললাম..
– কি খাবি বল?
– তোর যেটা ইচ্ছা।
– ওয়েটারকে ডেকে খাবার ওয়ার্ডার দিচ্ছি আর আড়চোখে তাহিয়াকে দেখছি। ও অবাক হয়ে দেখছে আর হয়ত ভাবছে আমি এখনো ওর পছন্দের খাবার মনে রেখেছি। আবার নিরাবতার মৌনতা ভেঙে বললাম..
– তাহিয়া তোকে আজ কিছু বলবো বলে আসছি।
– আমিও বলবো বলে ডেকেছি।
– হুমম.. তোর বয়ফ্রেন্ড এর কি খবর?
– বয়ফ্রেন্ড মানে?
– নাহ কিছু না। আইসক্রীম খাবি?
– নাহ খাবো না, আমি কি জানিনা.. তুই রাগিয়ে আমাকে আইস্ক্রীম খাওয়ানো তোর অভ্যাস ছিল।
– বাদ দে ওসব।
দুজনেই চুপ হয়ে গেলাম। তাহিয়ার দিকে তাকাতে বেশ ভয় করছে। সুন্দরী মেয়েদের পাশে বসলে আমার আজকাল এমন হচ্ছে। বুকটা কেমন কেঁপে উঠছে ভয়ে। আগের দিন অচেনা সুন্দরী একটা মেয়ের সাথে রিকশায় বসে যাচ্ছিলাম তখনো আনইজি লাগছিল। একদম গবেট হয়ে বসে ছিলাম। তবে তাহিয়া তো পরিচিত তবুও কেনো এমন হচ্ছে? ভয় কেন লাগছে?
– নিলয়, আমাকে কি আজো ভালোবাসিস?
প্রশ্নটি শুনে এবার বুক না সারা শরীর যেন কাঁপতে লাগল। কি বলবো ঠিক খুজে পাচ্ছি না। কি বললে পরিবেশটা অনুকূলে আসবে তাও মাথায় আসছে না। ধুরর। একটা ছেলে হয়ে যদি এতটা কথা শুন্য হয়ে পড়ি তাহলে কেমন দেখায় না। আজ বুঝলাম মেয়েদের থেকে ছেলেদের সাহস অনেক কেন কম।
– চুপ কেন? বল আমাকে, আজো ভালোবাসিস?
আমি তাহিয়ার দিকে তাকালাম। ওর চোখের মাশকারা যেন আমাকে উন্মাদ করে আকৃষ্ট করছে ওর দিকে। ওর মাদকতাময়ী মুখটা আমাকে কথাশুন্য করে দিচ্ছে। ওর কালো চুলগুলো যে আমিকে বিষাদগ্রস্ত করে তুলছে তা বেশ বুঝতে পারছি। জানিনা কি হল কোথা থেকে সাহস আসলো.. আমি ওর থেকে চোখ সরিয়ে বললাম..
– হ্যা ভালোবাসি তবে তোর মত সঙ্গাময়ী ভালোবাসি কি না জানিনা। তাহিয়া তোকে প্রথম যেদিন ভালোবাসি বলেছিলাম সেদিন তুই জানতে চেয়েছিলি ভালোবাসা কি। সেদিন বলতে পারিনি। কারন তোর থেকে বিতাড়িত অশ্রু আমার চোখ ওনকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। তবে আজ বলছি, যদিও বলার পর তোর সামনে আর আসবো না। তবে দুর থেকে ভালোবাসবো.। তোকে নিয়ে মনে মনে অনেকদুর চলে গিয়েছি সেখান থেকে ফিরে আসতে হলে আরো একবার জন্ম নিতে হবে।
ভালোবাসা মানে রুম ডেট না। ভালোবাসা হলো মনের গভীরে জমে থাকা উষ্ণ অনুভূতি। আমি ভালোবাসার সংগা জানিনা। তবে ভালোবাসা মানে এই নয় যে তোর ঠোঁটে আমার ঠোঁট আকর্ষন করা। তোর শরীর দুমড়ে মুচড়ে রক্ত পিশাচের মত খুবলে খেয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া। ভালোবাসা এই নয় যে তোকে ঘন ঘন বিছানায় নিয়ে যাওয়া। তোর শরীরে আমার দন্ত বসিয়ে দেওয়া। ভালোবাসা এই নয় যে তোকে একলা ফেলে জোসনা দেখা। দিনে একটিবার কল না করা। আমার কাছে ভালোবাসা হল দুজন হাতে হাত রেখে রেল লাইনের চিকন পাত হেটে চলা। ভালোবাসা মানে তোর আংগুল অকারনেই আলতো করে ছোয়া। ভালোবাসা মানে তোর হাত শক্ত করে ধরে সারাজীবন পাশে থাকা। যদি তোর কাছে ভালোবাসা অন্যরকম হয়। তবে তোর কাছে আর আসবো না ভালোবাসা নিয়ে। ভালো থাকিস।
কথাগুলো বলে আমি চলে আসতে যাবো তখনি তাহিয়া আমার হাত ধরলো। আমি হাতটা ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি কিন্তু সে বেশ শক্ত করেই ধরে আছে আমার হাত। আমি ওর দিকে তাকালাম। দেখি সে কাঁদছে। আমি বেশ অবাক হয়েই চেয়ে রইলাম তার দিকে। কি বলবো আবারো মাথায় আসছে না। সে বললো..
– নিলয়, আমি ঠিক এমন ভালোবাসায় চেয়েছি রে। জানি এটা তুই ছাড়া কেও আমাকে দিতে পারবে না। তাই তো তোর চলে আসার পর নিজেকে তোর জন্য তৈরী করেছি। তোকে যে আমি ভালোবাসি নিলয়। হয়ত তুই রাগে অভিমানে চলে যাবি। কিন্তু বিশ্বাস কর তোকে আমি অনেক ভালোবাসি।
তাহিয়া কেঁদেই চলেছে। আমিও যে ওকে ভালোবাসি। এভাবেই তো চেয়েছিলাম তাকে যে আমাকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসুক। তাহিয়া আমার হাত ছেড়ে দিল। মাথাটা নিচু করে কাঁদছে সে। আমি বাইরে তাকালাম। ঝুম করে শ্রাবনের বৃষ্টি নেমে এসেছে।
– ঐ বাইরে তাকিয়ে দেখ বৃষ্টি নেমেছে। তোর অশ্রু মুছে দিতে। ভয় নেই আমি ছেড়ে যাচ্ছি না। ভালোবাসা তো এমনি,যতই উপরে রাগ দেখাক না কেনো ভালোবাসা থাকলে ঠিকই প্রিয় মানুষটার জন্য শুন্যতা অনুভব হবেই। চল আগের মত হারিয়ে যাই বৃষ্টিতে। চল জলে ভিজি।
তাহিয়া,মুখে এক চিলতে হাসি ফুটিয়ে আমার হাতটা শক্ত করে ধরে আমাকে বাইরে টেনে নিয়ে এলো। আমার পাগলি পুতুলটার সাথে বৃষ্টিতে ভিজছি। সে আমার ডান হাতের চিকন আংগুলটি বেশ শক্ত করে ধরে ফুটপাত দিয়ে হাটছে। আমি কেবল ওর দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বললাম.. “জীবন এক মূহুর্তে এত সুন্দর হল কিভাবে? বৃষ্টি, তুমি আরো জোরে ঝাপিয়ে পড়ো, আমাদের ভালোবাসার বৃষ্টি হয়ে..
(সমাপ্ত)