এক বছরের বড় বউ

এক বছরের বড় বউ

এই কেরে??? কার এতোবড় সাহস আমার মুখে পানি মারে??? (আমি) ঔ হারামি উঠ তারা তারি। ( আমার কান ধরে টেনে)(আপু) ও আপু তুই??? আরে কান ছার লাগছে তো। (আমি) এখনো তুই ঘুমথেকে উঠস নাই কেন??? কয়টা বাজে দেখছিস???(আপু)

তুই জা তো। ছুটির দিনও একটু শান্তিতে ঘুমাতে দিবিনা নাকি??? যা ভাগ।(কেমনটা লাগে বলেন। ছুটির দিনও একটু শান্তিতে ঘুমাতে দেয়না। এই ঠান্ডার মাঝে আবার ঠান্ডা পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিলো।) ওই আব্বু তোকে ডাকে।(আপু) আরে যাতো। গিয়ে বল ঘুমাইছে আসতে পারবে না।(আমি) ঐ কোন ফকিন্নির বাচ্চারে???( রিগ পেয়ে। পাবইনা বা কেনো এই ঠান্ডার মাঝে আবার এক বালটি পানি পরলো আমার গায়ে।) ঐ হারামজাদা আমি ফকিন্নির বাচ্চা না তোর বাপ।(বাবা) কিকিকিকি কোকোকোকোইলাাাাাাা??? ( ভয়ে তুতলানো সুরু করছি।) কয়টা বাজে দেখছস??? তারা তারি উঠে ফ্রেস হয়ে রেডি হো।(বাবা) কেনো কোথায় যাবো???( অবাক হয়ে।) শশুর বাড়ি জাবি তারা তারি উঠ( রাগ পেয়ে) আচ্ছা আজ সূর্য কোন দিকে উঠছে কেও কি বলতে পারেন???? যে বাবা কখনো থাপ্পড় মারা ছারা কথাই বলেনা সেই বাবা আজ এতো কিছুর পর ও কিছুই বললো না!!!!

-সাইদ????(বাবা)
-যি বাবা???
-তোর হলো????
-এইতো বাবা আর একটু।
-তারা তারি কর দেরি হচ্ছে।
-এইতো বাবি হইছে আমি রেডি।
– চলো তাহলে সবাই।
-বাবা আমরা কই জাচ্ছি? ??
– জাহান্নামে চুপচাপ চল।
-ওকে বাবা।

কি হচ্ছে আজ কিছুই বুঝতেছি না। কোথায় জাচ্ছি তাও জানি না। ওহহ পরিচয়টা দিয়ে দেই। আমি এস এ আনিস। মানে সাইদ আহমেদ আনিস। আমি আর আমার বড় বোনই মা বাবার এক মাত্র সম্বল। যাই হোক এতোটুকুই জেনে রাখেন আমরা চোলে আসছি। বাকি টুকুর দরকার নেই। আরে এটাতো মিম আপুদের বাসা!!! মানে এটা বাবার ফ্রেন্ড এর বাসা। মিম আপু হলো বাবার ফ্রেন্ডের এক মাত্র মেয়ে। জাি হোক ভিতে গিয়ে আন্টি আনকেল কে সালাম দিয়ে মা বাবার সাথে সুফায় বসলা। কিছুক্ষন পর মিম আপু এসে আমাদের নাস্তা দিয়ে গেলো। আর আমার হাফ ছেন্চুরি পুরন হলো। মানে ক্রাস খাওয়ার। যদিও আমার এক বছরের বড়। আপু আনেক সুন্দর। দেখলেই মন প্রেমে পরে যায়। উনাকে দেখে আমি থ হয়ে গেলাম। আউউউউউ।(হঠাৎ কে যেনো পায়ে পারা দিলো। মানে আমার চেয়ে থাকা দিখে মিম আপু আমাকে জুস দেয়ার নামে পায়ে পারা দিছে। কিরে কি হলো ভেরার মোতো চিল্লাস কেন????(বাবা) কিছুনা বাবা মসা কামর দিছে।(আমি)

ওওও এমন ভাবে চিল্লানি দিলি মনে হলো হাতি তোর পায়ে পারা দিসে। ( বাবার কথা সুনে জুস গলা অবদি গিয়ে বের হয়ে মেঝেতে পরলো।) কিরে কি হলো তোর আবার???( বাবি) না কিছুনা। সরির টা কেমন যেনো করছে ভালো লাগছে না।( আমি) সে কা বাবা তোমার আবার কি হলো??? সরির খারাপ??? মিম যা তো মা তুই ওকে নিয়ে ঘরে যাতো। ও একটু রেস্ট নেক।( আন্টি) না আন্টি আমার কিছু হয়নি তো( আমি) চুপচাপ মিম এর সাথে যা।(বাবা) আমি আর কিছু না বলে মিম এর সাথে ওর রুমে চলে এলাম। এমা মিম আপুর চোখ লাল কেনো??? আবার কোমরে হাত দিয়ে ফুপাতেছে। আপু আপনার কি সরির খারাপ??? সিন আপনি সুয়ে থাকেন। আমি আন্টিকে ডেকে দিচ্ছি । কথাটা বলে যেই বিছানা থেকে উঠলাম আপু আমাকে ধাক্কা দিয়ে আবার বিসানায় বসিয়ে দিলো। আর বললো- ঐ তোকে এতো জুরে কে চিল্লাইতে বলছিলো????

-কি করবো বলেন??? অনেক বেথা পাইছিল্ম তো।।।
-বেথা না???? তোর বেথা আমি বের করতেছি।।। বলেই আমার বুকের উপোর উঠে বসলো।।
– আরে কি করছেন লাগছে তো।।( বালিস দিয়ে আমাকে মারা সুরু করে দিছে।

প্লিজ একটু বাচান আমায়) নাহহহ এইমেয়ে তো থামছেনা। (মনে মনে) তাই আমি আপুকে বিসানায় ফেলে আমি তার মুখের অনেকটা কাছে আমার মুখটা নিয়ে গেলাম। আপু কিছুই বলছেনা। সুধু চেয়ে আছে আমার চোখের দিকে। তাই আমি আমা ঠোট দুটো আস্তে আস্তে আপুর ঠোটার কাছে নিয়ে যেতে ধরলাম তখনি পিছন থেকে কে যেনো গলা আওয়াজ করলো। আমি লাফদিয়ে ওর উপর থেকে সরে গেলিম।দেখি আমা বোন। ও আর আসার সময় পেলোনা এখনি এলো। কি ভাবি বিয়ে না হতেই কি শুরু করলা হুমমম???(আপু) ঐ কে তোর ভাবি???(আমি)মিম এর দিকে চেয়ে দেখলাম ও মিটি মিটি হাসতেছে। আমি কিছুই বুঝতেছি না। এসব কি বলতেছে ওরি।

তুই বুঝবিনা। তোরা থাক আমি বাইরে যাই।(আপু) আপু চোলেজাবার পর দেখি মিম আপুও মুচকি হেসে লজ্জায় লাল হয়ে চলে গেলো। আমি শুধু অবাক চোখে দেখলা। কি হচ্ছে কিছুই বুঝতেছি না। এসব কি হচ্ছে???? যাই হোক একটু সুয়ে থাকতেই কখন যে ঘুমিয়ে পরছি বুঝলামি না। হঠাৎ কার যেনো নরম হাতের ম্পরসে জেগে উঠলাম। চেয়রদেখি মিম আপু। লাল সারি পরে একদম বউ সেজে আমার পাসে বসে আসাতে আমাকে ডাকতেছে।এই বিকাল তো হয়েগেছে উঠো সবাই তো ওয়েট করতেছে।(মিম আপু) হুমমম উঠতেছি। তুমি যাও। (আমি) হুমম আসো আর বাথরুমটা ঐদিকে।(মিম) ওকে।(আমি) হঠাৎ বাবার আগমন। তুই উঠেছিস??? নে তারা তারি ফ্রেস হয়ে এই পান্জাবিটা পরে বাইরে আয়।(বাবা)  কিন্তু এটাতো বিয়ের পান্জাবি এটা পরে আমি কি করবো???(আমি)

বেয়ে করবি যা তারা তারি রেডি হো।।(রাগ পেয়ে বলে চলে গেলো।)আমি অরাক হয়ে চেয়ে রইলাম। নাহহ আর বসে থাকলে চলবে না। তারা তারি রেডি হতে হবে বাবা আসলে আমার খবর ধরাবে। আমি রেডি হয়ে বাইরে এসে তো পুরাই থ। মিম বোউ সেজে এক হুজুরের সামনে বসে আছে। মানে আজ মিমের বিয়???এই কথাটা ভাবতেই বুকের মাঝে।কেমন জেনো করে উঠলো। মাথাটাও ঘুরতেছে। অনেক কষ্টে গিয়ে সোথায় ঠাস করে বোসে পরলাম।
কিরে ওখানে বসলি কেনো??? মিম এর পাসে এসে বস।(বাবা) বাবার কথায় আমি অবাক হয়ে গেলাম। যেখানে বর বসবে সেখানে আমি কেনো বোসবো???? বাবাকে দেখলাম রাগ পেয়ে আছে তাই আর কিছু বলার সাহস নে। চুপচাপ গিয়ে বসলাম। বসার সাথেই কাজি বিয়ে পরানো সুরু করলো।

আমি ভাবতেছি কি বেপার বর ছাড়াই বিয়ে সুরু হয়ে গেলো!!!!! তখন আমার দিকে খেয়াল করে দেখি এমা আমি তো বর সেজে বসে আছি। মানে আমার সাথে বিয়ে??? ওহহহ খুসিতে তো লুঙ্গি ডেন্স দিতে ইচ্ছা করছে কিন্তু আমার পরোনে তো পায়জামা এখন??? যাই হোক বিয়েটা হবার পরর মিম কে নিয়ে বাসায় চোলে এলাম। এখন আমি বাসর ঘরের সামনে দারিয়ে আছি সেই ৮টা থেকে বাইরেই দারিয়ে আছি এখন বাজে ১২টা ভয় পপাবার ককারনমণ হোলো উনি আমার চচেয়ে ববড়। নাহহহ এভাবে হবেনা ভিতোরে যাই। ভিতরো গিয়ে দরোজা লাগিয়ে যেই বিছানার কাছে গেলাম ঠাসসসসসসসস ওমাগো বলে চিল্লানি দিলিম। আপনারা আবার অন্য কিছু ভেবেন না। মিম কলা খেয়ে কলার ছাল নিয় ফেলেছে আর আমি তাতে পারা দিয়ে ধপাস করে পরে গেছি। মনে হচ্ছে কোমর টা গেছে। উপরে চেয়ে দেখি মিম হেসে হেসে একাকার। রাগ পেয়ে বললাম হাসো কেন???

কিছুনা এমনি নাও উঠো এখন।(আমার হাত ধরে টেনে তুলে) অনেক বেথা পাইছো???(মিম) হুমমমম(আমি) আসো একটু আদোর কোরে দেই। ওমাগো এটা কি আদোর না আর কিছু??? বেথার মাঝে আরো বেথা দিতেছে। আনেক ভালোই চলা সুরু করলো আমাদের দিন কাল। একদিন আমি অফিসে থাকা সময় হঠাৎ আমার আপুম ফোন। হেলো তুই কই????(আপু) আমিতো অফিসে। কানো কি হইছে???(আমি) তুই তারা তারি বাসায় আয়। মিম খুব অসুস্থ। (কথাটা বলেই ফোন কেটা দিলো।)

আমি গাড়ি নিয়ে দ্রুতো বাসায় গিয়ে দেখি সবাই সোফায় বোসে গল্প করতেছে। আমি দোউরে মিম এর কাছে গিয়ে বলররপম তুমার কি হইছে??? আর এখনো ডাক্তারের কাছে যাওনি কেনো??? মা আর আপু আমার অবস্থা দেখে হাসতেছে। মিম ও দেখলাম হাসতেছে। মা মিমকে বললো বউমা তুমি আর সাইদ তোমাদের।রুমে যাও। আমি কিছুই বুঝতেছিনা। মিম আমাকে রুমে নিয়ে গিয়ে দরোজা লাগিয়ে দিয়ে আমাকে ধাক্কা দিয়ে বিসানায় ফেলাদিলো। মিম আমার পাসে সুয়ে আমার বুকে মাথা রেখে বললো আচ্ছা তুমি যদি সুনো যে তুমি বাবা হোতে যাচ্ছো কেমোন খুসি হবে???(মিম)

আমি মানে??? আমিকি বাবা হতে যাচ্ছি???(অনেক খুসি হয়ে) লজ্জায় আমার বুকে মাথা গুজে বলল হুমমমম। ওকে জরিয়ে ধরে কপারে একটা চুমু দিয়ে একটু সুয়ে থাকলাম। আজ মিম এর ডেলিভারির ডেট। হঠাৎ ডাক্তার এসে বলল হয় মাকে বাচাতে হবে নয়তো বাচ্চাকে। আমি কিছু না ভেবে বললাম আমি মিম কে চাই। একটু পর ডাক্তার একটা ফুটফুটে মেয়ে বাচ্চাকে এনে মার কোলে দিয়ে চলে গেলো তখন ডাক্তারের কথা মনে পরে গেলো। উনি তো বলছিলো যে কোনো একজনকে বাচাতে হবে। আমি এক দৌর দিয়ে মিম এর কাছে গিয়ে দেখি ও চুপ চাপ সুয়ে আছে। খুব কষ্টে ওর পাসে গিয়ে বসে মিম কে জরিয়ে ধরে কান্না সুরু করে দিরাম। অনেক কান্না করতেছি আর বলতেছি তুমি কেনো আমাকে একা রেখে চোলে গেলে???

আমাকেও নিয়ে যাও প্লিজ। আমি তোমাকে ছারা বাচতে পারবোনা। কান্না করতে করতে খেয়াল করলাম কে যেনো আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। মাথাটা তুলে দেখি মিম ও কান্না করছে আর বলতেছে এই পাগোল আমি তোমাকে একা কোরে কই জাবো হুমমমম??? আমি কি একা থাকতে পারবো??? এবার অনেক জোরে জোরিয়ে ধরে কান্না করা সুরু করলাম। মিম বললো এই পাগোল আজ তো খুসির দিন কান্না করছো কেনো???? তখনি মা আমাদের মেয়েটাকে নিয়ে কেবিনে আসলো। আমি ওকে কোলে নিয়ে মিম এর পাসে বসে ২জনের মাথায় দুটা চুমু দিয়ে বললাম এখনতো তুমার আদোরে অন্য একজনও দাাবি করবে??? তাতে কি ও তো আমারও মেয়ে তাইনা??(মিম) এভাবেই ভালোবাসা দিয়ে পরিপুর্ণ আমাদের সংসার।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত