খাটো একটা মেয়ে কে জীবন সঙ্গী করবো,এটা অামার বন্ধুরা মানতে পারছে না।অামার-ই বা দোষ কোথায় চোখ তো ঘুরেফিরে ওর দিকেই চলে যায়। বন্ধু মহলে অামার প্রেমের নাম গ্যালিভার এন্ড লিলিপুট। কিচ্ছু করার নাই,গ্যালিভারের চোখ লিলিপুট টার দিকেই বার বার চলে যায়। অামি অাদর করে ডাকি সুইট বল,মিষ্টি ছোট্ট ছোট্ট বল। অাবার হোমিওপ্যাথির কাঁচের শিশিতে রাখা সাদা ছোট্ট ছোট্ট বলের ঔষধ গুলো দেখলেও মেয়েটার কথা মনেহয়।এক কথায় ছোট ছোট কিউট কিউট সব কিছুই অামার অালোর মতো মনেহয়। অামার সুইট বলের নাম অালো। অামি চুপিচুপি অালো কে দেখছি।হাইস্কুল জীবনের প্রেম, অদম্য।এক কথায় বলা যেতে পারে, অামরা অদম্য অামাদের কেউ থামাতে পারবে না।
লুকোচুরি, লাজুক প্রেম ছিলো অামাদের।অবশ্য প্রেম মানেই হুটহাট কিছু পাগলামি এখানে অায়োজন করে পাগলামির কোন স্থান নেই। মাঝে মাঝে মনেহয় অালোর জন্য “অালো মহল” তৈরি করে পৃথিবী কে দেখিয়ে দেই। অামার দাদী অামাকে দেখলেই বলেন – “বাইট্টা রে বাইট্ট খালে পইরা চাইট্টা।” ভাই কি একটা ট্যাবলেটের পিছে পিছে ঘুরছ।পানি ছাড়াই কুরুৎ কইরা গিল্লা লাওয়া যাইবো। অালোর উচ্চতা নিয়ে অনেক কথাই শুনি,এসব অামার গয়ে লাগে না। যার জন্য হৃদয় টা পুড়বে,বার বার দেখতে ইচ্ছে করবে,যার জন্য হাজার মাইল দূর থেকে টান অনুভব হবে,যাকে ভালোবাসতে ভালোবাসার কৌশল শিখা প্রয়োজন হবে না।পৃথিবী তন্ন তন্ন করে একশ একটি বিরল ফুল তার হাতে এনে দেয়া যাবে না। তবে তাকে একশ একের ও অধিক কৌশলে ভালোবাসা যাবে, তার বাহ্যিক সৌন্দর্য চোখে পরার কথা নয়।সে যেমন ঠিক তেমন টা র প্রতি টানের নাম অামার কাছে ভালোবাসা। ভালোবাসার সম্পর্কের নাম যাইহোক না কেন।মা-বাবার সাথে সন্তানের, ভাইয়ের সাথে বোনের,স্বামীর সাথে স্ত্রীর কিংবা প্রণয়ের কোন সম্পর্ক।
সম্পর্কের নাম যাই হোক না কেন ভালোবাসা শব্দ টা কিন্তু একটি।সম্পর্কের প্রতি যত্নবান হওয়া হচ্ছে মূল কথা।
অামি পেশা হিসেবে গোয়েন্দা পছন্দ করি না,এর একটা বড় কারন অামার শৈশব কৈশোর কেটেছে বিনাবেতনের গোয়েন্দার তত্বাবধানে। যদিও তাকে এই কাজে কেউ নিয়োগ দেয়নি। বড় অাপার ঘুম,খাওয়ার মতো জৈবিক প্রেষণার একটা বড় অংশ ছিলো অামার গতিবিধি নিরিক্ষণ করা। নিজের বলতে তেমন কিছুই অামার ছিলো না বড় দুই বোনের ব্যাবহৃত ড্রয়ারহীন একটা টেবিল ছাড়া।বন্ধু-বান্ধবের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে পত্র লিখবো ঠিক করলাম।বন্ধুরা সবাই মিলে অামার জন্য একটা প্রেম পত্র লিখলো। অাজ অালোর স্কুলের গেইটের সামনে বুক ভরা প্রেম,বন্ধুদের যোগানো সাহস,পকেটে পত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে অাছি। এক বন্ধু স্কুলের দেয়ালের ফাঁটলের ফাঁকা দিয়ে অালোর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। অালো ওর কলি নামের বান্ধবীর সাথে কলম কিনতে স্কুলের বাহিরে এসেছে।অামি অালো কে দেখছি অার ভাবছি কি সুন্দর? অালো বলছে –
-কলাপাতা রংয়ের কলম দেন।
দোকানী অবাক হয়ে বললো- কলম কালো অাঁক দিলেই হলো,বাহিরের রং দিয়ে কি করবা? এরপর থেকে অালোর প্রিয় রং,অামার ভালোবাসার রংয়ে পরিনত হলো। কলা পাতার দিকে ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থাকতে অামার ভালোলাগে। অাব্বা ঈদে কাপড় কিনতে নিয়ে গেলেন। অামি দোকানে গিয়ে বললাম কলাপাতা রংয়ের টি-শার্ট দেখান। অাব্বা হতভম্ব হয়ে অামার দিকে তাকিয়ে অাছেন। দোকানী সবুজ রংয়ের যা অাছে সব বাহির করছে, কিন্তু কলাপাতা রংয়ের মতো হচ্ছে না।কচি কলা পাতার রংয়ে অাছে অদ্ভুত এক সৌন্দর্য তা এর অাগে কখনো চোখে ধরা পরেনি। অামার সব খাতা বই জুড়ে একটাই লেখা a+b।কিশোর প্রেমের প্রথম ধাপ টা বোধহয় শুরু হয় দুটো নামের প্রথম অক্ষরের সাংকেতিক চিহ্ন দিয়ে।বাথরুমের দেয়াল,গাছে গায়ে এমন কোন জায়গা নেই অামি এই সংকেত লিখিনি। কারো চোখে এই লেখা ধরা পরেনি তবে বড় অাপার চোখ এড়ায়নি। একদিন বললেন
-কিরে, এইসব কি?বেশি পাকনা হয়ে গেছো মনেহয়?
-অামি তো বীজগণিতের সূত্র,লিখলাম অাপা।
অাপা তার বড় চোখ ছোট করে তাকিয়ে কিভাবে যেনো হুম্ করে মুখ দুই দিকে মুচড় দিয়ে চলে গেলো। অাপার মুখ মুচড় দেবার ভাষা অামি জানি, অাজ অামার খবর অাছে। কি খবর অাছে ধারনা করতে পারছিনা। অামি চোখ বন্ধ করে অালোর মুখ টা কল্পনা করার চেষ্টা করি।মুখটা স্পষ্ট মনে অাসেনা এটা ও এক ধরনের বিশাল যন্ত্রণা।এক কপি ছবি হলে অালো কে যখন তখন দেখা যেতো। অাম্মা অামাকে ভাত খাইয়ে দিচ্ছেন।অামার পড়তে ভালোলাগে না।যতক্ষণ সুস্থ থাকবো অামাকে পড়তে হবে।অামার পরিবারের কাছে বিদ্যালয়ের পুস্তক অধিক হারে পাঠকরা জীবনের লক্ষ্য। অামি অসুস্থতার বাহানা করছি।অাম্মা অামাকে অাদর স্নেহ দিচ্ছেন। সুখ মানুষের সয়না,হয় সে নিজে যেচে গিয়ে অসুখী হবে না হয় মানুষ তার সুখের বাধা হয়ে দাঁড়াবে। অাব্বার হাতে অামার প্রেমপত্র।প্রেম পত্রের উপর অাব্বার তেমন কোন রাগ নেই।এখানেও অামার পাঠ্যপুস্তকে অনিহা নিয়ে অাব্বা রাগ দেখাচ্ছেন –
-দেখ সালেহা তোমার ছেলের অবস্থা এক পাতা লেখায় একশো একটা,বানান ভুল। ভাগ্যিস সেদিন চিঠি টা অালো কে দিতে পারিনি,মানসম্মান সব শেষ হতো। অাব্বা বাহিরে যাবার সময় বলে গেলেন- পিঠে তেল মেখে রাখিস,হয় তুই মেইন খাতায় গণিত অনুশীলন করবি না হয় অামি তোর তৈলাক্ত পিঠে বেত্রাঘাত অনুশীলন করবো। অামি সূত্র মুখস্থ করতে লাগলাম।এতেও বড় অাপার অাপত্তি।
-কিরে (a+b)2 এর সূত্র ছাড়া কি অার সূত্র নাই। অার অাব্বা তো বলছে অংক করতে,সূত্র মুখস্থ করতে বলে নাই। কি করবো অামার এই সূত্র ছাড়া অার কিছুই পড়তে ভালোলাগে না,মুখে কিছু বললাম না। অামি রাগ করেছি বুঝানোর ও কোন উপায় নাই।কারন, অাম্মা অামাকে আগেভাগে ভাত খাইয়ে দিয়েছেন। তা না হলে ভাত না খেয়ে ঘুমিয়ে যেতাম,সবাই অামাকে খাওয়ানোর জন্য কাকুতিমিনতি করতো। চিঠি টা অামি অাম্মার তোষকের নিচে একদম মধ্যের দিকে রেখেছিলাম।এই তোষকের নিচে এক কোনায় অাম্মা শপিং ব্যাগ রাখেন অাম্মা এত গহীনে প্রবেশ করার কথা না। এই চিঠি বড় অাপা উদ্ধার করে অাব্বার কাছে হস্তান্তর করেছিলো। অালো অার অামার স্কুল অালাদা।রাস্তায় দেখা হলো অালোর সাথে কলি নামের বান্ধবী টা ও অাছে।যেখানে যবে সুইট বল টার সাথে এই কলি থাকতেই হবে। অালো কে বললাম –
-তোমার গ্রামার বইটা এক দিনের জন্য দেওয়া যাবে? কলি অামার উপর কেন রাগ করলো বুঝলাম না। কলি বললো-
– বাদল কিন্তু খুবই ছ্যাঁচড়া স্বভাবের প্রতিদিন ওর বোনের হাতে মাইর খায়। অামি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পরলাম এই মেয়ে কি বলে? ওরা পড়ে ক্লাস নাইনে অামি পড়ি টেনে সামান্য ভদ্রতা জ্ঞান নেই। শুধু বললাম –
-অাপা অামাকে কখনো মারে নাই ।
অালো গ্রামার বইটা অামর হাতে দিয়ে হাসতে হাসতে চলে গেলো। অামার হাতে টাকা নেই, অাব্বার কাছে গিয়ে বললাম অাম্মা বলেছে সুপারি দিতে। অাব্বা বললেন, একটু অাগেই তো সুপারি কিনে দিয়ে অাসলাম। এমন মিথ্যে অামি প্রায় প্রতিদিনই বলি কারন, অাম্মার কথা বলে অাব্বার সামনে যাবার এক প্রকার সাহস পাই মনে। তখন অাব্বা অামাকে ও কিছু কিনে দেন,অাবার দশ বিশ টাকা ও হাতে দেন। অাব্বা অামার মাথায় হাত দিয়ে বললেন কি খাবি? অামি বিস্কুটের প্যাকেট দেখালাম। বিস্কুটের প্যাকেট অার পঞ্চাশ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বললেন বাসায় যা। নিজেকে বেশ বড়লোক মনে হচ্ছে,তার মাঝে অালোর সাথে দেখা। অালো কে বিস্কুট সাধলাম,তার পছন্দ না। তবে, অামার খুব পছন্দ পানি দিয়ে বিস্কুট ভিজিয়ে ভিজিয়ে খাওয়া। অামার কথা শুনে অালো হাসছে অার বলছে-
-বেকুব টা।
অালোকে দেখলে এমনিতেই অামার বুকে ব্যাথা হয়। এখন মনেহচ্ছে অামি লুটপাট হয়ে যাচ্ছি। বললাম, বাসার ফোন টা কাছে রেখো, অামি অাব্বার মোবাইল থেকে কল দিবো। অামাদের কৈশোর প্রেম ছিলো মোবাইল অার চিঠির একটা মাঝামাঝি সময়ে।মোবাইলের মালিক হতে হলে s.s.c পাশ করতে হতো। অাম্মার পছন্দ সাবানা সেই হিসেবে কলাপাতা রংয়ের লুডুর গুটি দিয়ে খেলেন।অামার পছন্দ নীল তবে লুডু খেলার সময় এই কলাপাতা রং নিয়ে পাঁচ মিনিট অাম্মার সাথে অামার মনোমালিন্য হয়।অাজ এসব করা যাবে না।সবচেয়ে মুখ্য উদ্দেশ্য বড় অাপাকে ব্যাস্ত রাখা। অাপা অামাকে সন্দেহ করছে প্রথম থেকেই,এক সময় বলেই ফেললো-
-কি অাজ ছলে বলে কৌশল জিততে চাচ্ছিস না কেনো,অামার চোখ কে ফাঁকি দেওয়া এতো সহজ না।তুমি চলো ডালে ডালে অামি চলি পাতায় পাতায়। অাপা অাবার শুক্রবারের বিটিভি তে বাংলা ছবি দেখার অন্ধভক্ত । একদিন লুকিয়ে লুকিয়ে বইয়ের ভিতর রাখা অাইডি কার্ডের জন্য তোলা অালোর সাদাকালো ছবি দেখছিলাম।বড় অাপা এসে বললো-
-শুধু ছবি দেখলেই হবে, মেয়ে টা কে পেতে হলে তো পড়াশোনা করতে হবে।
অাপার কথা টা অামার মনে তীরের মতো গেঁথে যায়।মনেহতে থাকে অালোর জন্য হয়তো মারা যাওয়া সম্ভব না,কিন্তু যতদিন বাঁচবো অামার পাশে অালো কে থাকার বড্ড প্রয়োজন। অামারা দু’জন ই ক্যারিয়ার গড়ার পিছনে মনোযোগী হয়ে উঠলাম। অামি মাঝে মাঝে অালোর জন্য কালো টিপের পাতা,চুড়ি,ঘড়ি,কবিতার বই,আইসক্রিম নিয়ে দেখা করি। অালো ও অামার জন্য নিয়ে অাসে মানিব্যাগ,ঘড়ি,সাইন্স ফিকশন বই,বিস্কুট, পানির বোতল,ওয়ান টাইম গ্লাস। অালো কবিতা পড়ে, অামি পানিতে ভিজিয়ে বিস্কুট খাই অার কবিতা শুনি মুগ্ধ হয়ে। অালো অামার দিকে তাকিয়ে মিটমিটিয়ে হাসে। এখন অামরা দু’জনই সমাজ প্রতিষ্ঠিত।
একবার অালো কে অাম্মার বিয়ের, ছবি মোবাইলে ছবি তুলে পাঠালাম।বললাম দেখছো একে বলে বউ সাজ।এখনের বউয়েরা সাজে পার্টি সাজ মেহমানরা ও সাজে একই রকম। বউ কে অার মেহমান কে চেনা যায় না।
অালো সাত সেকেন্ডর জন্য ভিডিও কল দিয়ে বড় অাপার মতো দুই দিকে মুখ মুচড় দিয়ে রেখে দিলো।
অামাদের এত বছরে সম্পর্ক ভাংগনের হাজার টা মাধ্যম হাজার টা কারন এসেছিলো। কত মান, অভিমান, ভুল বুঝাবুঝি ছিলো অামাদের। কিন্তু অামরা অামাদের সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল অার যত্নবান ছিলাম। অামার বন্ধুরা সবাই এত দিনে বিয়ে করে ফেলেছে কারো কারো একটা বাবু অাছে। অালোর বান্ধবী সবার-ই দুইটা করে বড় টাইপের বাবু অাছে।একে অপরের প্রতিক্ষায় থাকতে থাকতে অামাদের বিয়ে করা হয়নি। অামার থেকে দুই বছরের বড় সম্পর্কে পাড়াতো ভাই রমিজ কে বিয়ের দাওয়াত দিতে গেছি তার বড় বোন দরজা খুলে দিয়ে বললো-
-রমিজের বউ কে দেখছো বাদল? বলেই ডাকতে লাগলেন-
-ও রমিজের বউ ছ্যাঁচড়া ডা রে ডাক দাও বলো বাদল অাসছে।তুমি ও অাস পরিচিত হয়ে যাও। বউ কে দেখে অামি একটু অপ্রস্তুত হয়ে পরলাম অামার চেয়ে বেশী অপ্রস্তুত তার বউ।অালোর সেই বদরাগী বান্ধবী। রমিজ ঘুমে তার বউ জানালো। তার বোন ঘোষণা দিলো –
-ওরে বলো উঠতে না হইলে কানের নিচে দিমু।
রমিজ ভাইয়ের হৃদয় ঘটিত ব্যাপার ছিলো কলির সাথে জানতাম না। তবে এটা জানতাম, তার বোন তাকে নিয়ম করে একবেলা পিটুনি দিতো,ছ্যাঁচড়ামো যে তার স্বভাব এটাও জানতাম। রমিজ ভাই হয়তো কলিকে তার স্বভাব টা অামার ঘাড়ে দিয়ে নিজে বাঁচতে চাইছিলেন। একটা কথা বুঝতে পেরেছি।যে অামাকে বুঝে তার ভুল ভাঙালে ভাঙে,যে বুঝে না তাকে শত বুঝালেও ভুলই বুঝবে।কলি সেদিন অামাকে বুঝেছিলো তাই ভুলধারনা পোষণ করেনি। মেঝো অাপা সিধাসাধা মানুষ,সেজেগুজে হাঁটছে। বড় অাপার এক ছেলে এক মেয়ে।ছেলে টা বড় মেয়ে টা ছোট।মেয়ে অাপার মতোই গোয়েন্দা হয়েছে।হঠাৎ দৌড়ে এসে দুলাভাই কে বললো-
-বাপী, বাপী ভাইয়া মামার সিগারেটের প্যাকেট থেকে সিগারেট চুরি করেছে।
অাপা অামার দিকে তার বড় চোখ ছোট করে তাকিয়ে অাছে। তার ছেলে সিগারেট চোর হয়েছে এখানে অামার কি দোষ বুঝতে পারছি না। ১৪বছরের প্রেমের জীবন শেষ করে অাজ জীবনের নতুন অারেক অধ্যায় শুরু অামার। শালা-শালীরা অায়না ধরে অাছে বউয়ের মুখের সামনে। কি অপূর্ব লাগছে অালোকে লাল টুকটুকে শাড়ি, জড়ির সুতো অার সোনালী বড় বড় চুমকি বসানো অামার অাম্মার দোপাট্টার মতো দেখতে। সম্ভবত, এটা অাম্মারই কারন এই যুগে এমন দোপাট্টা পাওয়া যায় না।কপালে বড় টিপ টিপের দো’পাশ থেকে গাল পর্যন্ত ফোঁটা ফোঁটা দেয়া। অাস্তে করে বললাম অালো লেহেঙ্গা তো তোমার পছন্দেই কিনলাম পরোনি কেন?
-এমন বলপ্রিন্ট সাজে অার কি কখনো সাজতে পারবো। বলে অালো মিটমিট করে হাসছে।
-অায়নায় কি দেখেন দুলাভাই?
-অামার বলপ্রিন্ট বউ। অাশেপাশে হাসির রোল পরে গেলো,অালো অামার কাঁধে মাথা রেখে বললো “বেকুব টা।