রাত তিনটায় ঘুম ভেঙে গেলো। অনেক্ষণ বিছানায় গড়াগড়ি করার পরও আর ঘুম এলোনা। আমার সাধারণত এমন হয়না। এক ঘুমে রাত কাবার। ইচ্ছে হলে সারাদিন ঘুমুতে পারি। তাহলে আজ কী হলো?
শুয়ে থাকতে ভালো লাগছেনা। মুখ ধুয়ে কিচেনের দিকে গেলাম। ঘর থেকে বের হয়ে দেখি পাশের ঘরে আলো জ্বলছে। জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখলাম সুজানা এখনো জেগে। রকিং চেয়ারে বসে বই এর পাতা ওল্টাচ্ছে। এই মেয়ে সারাদিন বই পড়ে। যতক্ষণ বাড়িতে থাকে ততক্ষণ শুধু বই পড়তে থাকে। তাই বলে এত রাতেও? পারেও মেয়েটা! আমি আস্তে আস্তে চলে এলাম ওর ঘরের সামনে থেকে।কফি বানাচ্ছি। পেছন থেকে সুজানা এসে বলল, আমার জন্যও বানাও। আমি বললাম, এত রাত জেগে বই পড়ছো যে?
— সবসময়ই তো পড়ি।
— তাই? এত রাত জাগো?
— হুম। ঘুম আসেনা। কেন, তুমি কখনো দেখোনি?
— নাহ। আমিতো এত ক্লান্ত থাকি, এসেই পড়ে পড়ে ঘুমোই। আজ না উঠলে হয়ত জানতেও পারতামনা।
সুজানা যেতে যেতে বলল, কফি নিয়ে আমার ঘরে চলে এসো। একসাথে খাবো। আমি একটু অবাক হলাম। এক বাড়িতে থাকলেও আমাদের কথাবার্তা হয় খুব কম। সুজানা মোটেও মিশুক নয়। দরকারের বেশি একটা কথাও বলেনা। অনেকদিন হলো আমরা একসাথে থাকছি। কিন্তু নিজে থেকে কখনো গল্প করতে আসেনি। তবে আমাকে সে ভীষণ পছন্দ করে এই ব্যাপারটা আমি বুঝতে পারি। কেন করে কে জানে!
সুজানার সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিলো শপিংমলে। আমি তখন সেলসগার্লের কাজ করতাম। আমেরিকায় এসে পড়াশুনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করতাম সেখানে। সুজানা মলে এসেছিলো কেনাকাটা করতে। আমার সামনে এসেই একটা স্ট্যান্ডের সাথে পা লেগে হোচট খেয়ে পড়ে যায়। আমি ধরে তুলে দেই। টুকটাক কথা হয়। আমি তাকে যখন বলি, আমি বাংলাদেশী, তখন কেমন যেন অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকায়। এরপর চলে যায়। কিছুদিন পর আমি যখন আমার সাথে থাকার জন্য কাউকে খুঁজছি তখন হঠাৎ করেই সুজানাকে পেয়ে যাই। সে নিজে থেকেই আমার কাছে আসে। তখন থেকেই দুজন এক বাড়িতে পাশাপাশি ঘরে থাকি। সুজানার ব্যাপারে আমি খুব বেশি কিছু জানিনা। শুধু জানি সে আমেরিকান। বয়সে আমার চেয়ে কয়েক বছরের বড় হবে। তার আপনজন কেউ নেই। বন্ধুবান্ধবও নেই। একটা হোটেলে কাজ করে। সকালে যায় বিকেলে ফিরে আসে।
আমি দু’কাপ কফি আর দুটো স্যান্ডউইচ নিয়ে সুজানার ঘরে গেলাম। ঘরটা বই দিয়ে বোঝাই। একপাশের পুরো দেয়াল জুড়ে তাক। সেগুলো বইয়ে ঠাসা। আমিও মাঝে মাঝে ওর থেকে বই নিয়ে পড়ি। সুজানা জব করে যা ইনকাম করে তার অর্ধেকের বেশি দিয়ে সে বই কেনে। আর কোনো শখ আছে বলে মনে হয়না। সুজানার বেডেই বসলাম দুজনে। সে স্যান্ডউইচ খেতে খেতে বলল, খিদে পেয়েছিলো। ভালো হয়েছে এনেছ।
— আজ তো ছুটি। কোথাও ঘুরতে যাবে? চলোনা যাই। কোত্থাও তো যাওনা তুমি। শুধু পড়লেই হবে? কিছু দেখতে হবেনা? সুজানা হতাশ গলায় বলল, ভালো লাগেনা আমার ঘুরতে!
— সত্যি ভালো লাগেনা? আমি কিন্তু তোমার বুকশেলফে তোমার একটা পুরানো অ্যালবাম দেখেছি। সেটা ভর্তি অনেক ছবি। যেগুলো তুমি বেড়াতে গিয়ে তুলেছ। সরি, ইচ্ছে করে দেখিনি। বই ভেবে নিয়েছিলাম।
— ইটস ওকে নিতু। সেগুলো অনেক আগের ছবি। তখন ঘুরতে ভালোবাসতাম। এখন বাসিনা। তুমি জানো, আমি পৃথিবীর সাতটা দেশ ঘুরেছি!
— সাতটা! সত্যি?
— হুম…৷ ইংল্যান্ড, কানাডা, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, নেপাল আর বাংলাদেশ।
— বাংলাদেশ! তুমি বাংলাদেশ ঘুরেছো?
— হ্যাঁ। তখন ভীষণ পছন্দ ছিলো ঘুরাঘুরি। টাকা জমাতাম আর ট্যুরে বেরিয়ে পড়তাম। দাড়াও, ছবি দেখাচ্ছি।
সুজানা কাবার্ড থেকে বড় একটা অ্যালবাম বের করলো। সেটা ভর্তি তার ছবি। বিভিন্ন দেশে গিয়ে তোলা। ছবিগুলো দারুণ! তখনকার সুজানা এখনকার তুলনায় অনেক বেশি প্রাণবন্ত। আমি বললাম, কার সাথে ঘুরতে তুমি? সব তো একার ছবি। সুজানা মুচকি হেসে বলল, যে ছবিগুলো তুলেছে তার সাথে।
— সে এখন কোথায়?
— শুনবে?
— হুম।
সুজানা কফির শেষ চুমুক খেলো। তারপর উঠে দাড়িয়ে বলল, আরেক মগ বানিয়ে নিয়ে আসি। তারপর বলবো সুজানার গল্প–
আমি তখন কলেজে পড়ি। একা থাকি। শুধু পড়াশুনা নিয়ে থাকতাম। দুনিয়ার আর কিছুর মধ্যে ছিলামনা। একদিন খুব সকালে আমার কাছে একটা পার্সেল এলো। প্রেরকের নাম ঠিকানা কিছু নেই। খুলে দেখি আমার অনেকগুলো ছবি। কিছুদিন আগে এক পরিচিতের বিয়েতে গিয়েছিলাম। সেখানে তোলা। ছবিগুলো আমার অজান্তে তোলা হয়েছে। প্রত্যেকটা ছবি খুব সুন্দর। আমি বেশ অবাক হলাম। তবে ছবিগুলো যত্ন করে রেখে দিলাম। এরপর আবার এক সপ্তাহ পর একটা পার্সেল এলো। সেখানেও আমার ছবি। কলেজে, রাস্তায়, বাসার সামনে তোলা। এবার আমার রাগ লাগলো। কে তুলছে না বলে ছবিগুলো? খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করলাম কে কাজটা করছে। কিন্তু কোনো খোঁজ পেলামনা। এভাবে চলতে থাকলো। প্রতি সপ্তাহে একটা নির্দিষ্ট সময় ছবি আসে। আমি ভেবে আশ্চর্য হতাম। মানুষটার কি আর কোনো কাজ নেই? সারাক্ষণ আমার ছবি তুলে বেড়ায়? একদিন রাতে হুট করে ফোন করে আমাকে দুই লাইনের বাংলা কবিতা শুনিয়ে দিলো। আমি কিছুই বুঝতে পারলামনা। শুধু এতটুকু বুঝলাম কবিতার ভাবার্থ খুব গভীর। সে বলল, বুঝতে হবেনা। শুধু শুনে রাখো।
— কে আপনি?
— জানতে হবেনা। তোমার গলাটা শোনার জন্য মন অস্থির করছিলো তাই ফোন করলাম। আন্দাজ করে বললাম, তুমি কি সেই ফটোগ্রাফার?
— হ্যাঁ..
তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস! সেও কথা বললনা, আমিও কথা বলতে পারলামনা। এতদিনের জমে থাকা প্রশ্নগুলো কেন যেন করতে পারলামনা। একসময় ফোন কেটে দিলাম। তারপর প্রায় একমাস কেটে গেলো কোনো ছবি পেলামনা। একদম ভালো লাগছিলোনা। এর মধ্যে তার সেই নম্বরে হাজারবার ফোন করে ফেলেছি। নম্বরটা বন্ধ। ঠিক এক মাস তিনদিন পর কোনো এক নভেম্বরের সুন্দর সকালে সে ফোন ধরলো। ধরেই বলল, কেমন আছ?
— ভালো নেই। কোথায় ছিলে এতদিন? ফোন বন্ধ, ছবি দেয়া বন্ধ!
— মিস করছিলে বুঝি!
— হুহ..কোথায় তুমি?
— কাজে। শহরের বাইরে। ভালো একটা কাজ পেয়েছি। ভীষণ সুন্দর জায়গাটা।
— ফটোগ্রাফিই কি পেশা?
— ইয়েস ম্যাম!
— খুব ঘোরো?
— জ্বী। আপনিও ঘুরবেন?
— নাহ, তবে ইচ্ছে আছে!
— ঠিক আছে। অনেক ঘোরাবো তোমাকে। আর ছবি তুলবো মন ভরে। এখন রাখি?
— ওকে!
কিছুদিন পরেই সে ফিরেছিলো। বাড়ির পাশে একটা পার্কে প্রথম দেখেছিলাম তাকে। সাধারণ দেখতে। তবে চোখদুটোয় বড্ড মায়া। যেন একঝাঁক ভালবাসা নিয়ে চেয়ে আছে। যে কোনো মুহূর্তে ভালোবাসাগুলো ঝাপিয়ে পড়বে আমার উপর। একপলকে প্রেম হয়ে গেল তার সাথে। আর তার? সে তো আগেই হয়েছিলো।
ছেলেটা বাংলাদেশী। নাম মিশুক। ফটোগ্রাফি তার নেশা, পেশা। আর সাথে প্রচন্ড নেশা ঘুরে বেড়ানোর। আমার মত তারও কেউ নেই। অণাথ আশ্রমে বড় হয়েছে। নিজের চেষ্টায় এদেশে এসেছে। বড় কিছু হওয়ার শখ না থাকলেও সবার চেয়ে ভালো ছবি তোলার ইচ্ছে সবসময় ছিল। আর আমাকে নাকি তার প্রথম দেখায় স্বপ্নের এক জীবন্ত রুপ মনে হয়েছিলো।
সময়গুলো এরপর স্বপ্নের মতো কাটছিলো। তার হাত ধরে প্রকৃতিকে চিনতে শিখলাম। চিনতে পারলাম হাজারো ফুলের হাজারো রঙ। ঝরণার পানির স্নিগ্ধ রুপ। দেখলাম পাখির মত ডানা মেলার স্বপ্ন! পাহাড়ের নিস্তব্ধতা, সাগরের উত্তাল রুপ! কত রাত পাহাড়ের উপর জেগে তারা গুনেছি হিসেব নেই। কত ভোর হয়েছে বনের মধ্যে একসাথে হাজার হাজার পাখির ডাক শুনে!
ওর হাত ধরেই দেশগুলো ঘুরেছি। প্রতিটা দেশের আলাদা সৌন্দর্য, কালচার। সে যে কোনো নতুন জিনিস দেখলেই বাচ্চাদের মত হয়ে যেত। সে সৌন্দর্য দেখত আর আমি দেখতাম তাকে। চকচকে চোখদুটো আমার মনের প্রশান্তি ছিল। তার সাথে তার দেশ বাংলাদেশে ঘুরতে গিয়েছিলাম। দেশকে কতটা ভালোবাসতো তার ভাব ভঙ্গিতেই বোঝা যেত। তার পাগলামো দেখে আমি বলেছিলাম, চলো এখানেই থেকে যাই।
সে বলেছিলো, থাকবো তো। বিয়ে করে বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে বাড়ি করে এখানেই তো থাকবো! কিন্তু সুখের দিন বেশি সময় স্থায়ী হয়না। আমারো হয়নি। আমাদের শেষ ট্যুর ছিলো নেপালে। তারপর সে আমেরিকায় ফিরে বড় একটা কাজ পায়। তার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট সেটা। কাজের জন্য চলে যায় নিউইয়র্ক। তারপর এ পর্যন্ত বলে চুপ হয়ে গেল সুজানা। আমি ধৈর্য হারিয়ে বললাম, কী হলো তারপর? বলোনা.. প্লিজ…মিশুক কি তোমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলো? বড়লোক হয়ে ভুলে গিয়েছিলো তোমায়? লক্ষ করলাম, সুজানার চোখ পানিতে ভর্তি। সে ছলছল চোখে তাকালো। মুচকি হেসে বলল, হ্যাঁ, সে চলে গিয়েছিলো আমায় ছেড়ে। অনেক অনেক দূর। যেখান থেকে কক্ষনো ফিরে আসা যায়না।
— মানে?
— ছবি তোলার সময় স্টুডিওতে আগুন লেগে যায়। সেখানেই সে মারা গিয়েছিলো। আমি খবর পেয়েছি অনেক পরে। লাশটাও দেখতে পারিনি জানো? আমার স্বপ্ন, ভালোবাসা, প্রাণ সব নিয়ে চলে গিয়েছিলো সে।
আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। সুজানা চোখ মুছে ঘড়ি দেখলো। তারপর কফির মগটা হাতে নিলো। তার বানানো দ্বিতীয় কাপ কফিতে এক চুমুকও দেয়নি এতক্ষণ। ঠান্ডা কফিই একঢোকে পানির মত গিলে নিলো। তারপর আমাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে বলল, চলে যাও। আমি এখন ঘুমুবো।
হাসপাতালে বসে আছি। আমার হাত পা কাঁপছে। সুজানা মারা গেছে। সকাল বেলা মৃতদেহটা তার ঘরে পাই আমি। কী করে মারা গেল জানিনা। সারা শরীর নীল হয়ে গিয়েছিলো। হাসপাতালে আনার পর ডাক্তার বলেছে, বিষ খেয়ে মারা গেছে। তার মানে কী? বিষ কেন খাবে সে? মিশুকের শোকে? তাহলে এতদিন পর কেন? আর খেলোই বা কখন? কফিতে মিশিয়ে? আমার মাথা ঝিমঝিম করছে। মনে হচ্ছে প্রেসার ফল করেছে তিনদিন পর বাড়ি ফিরলাম। এই তিনদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আমাকে শহরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সুজানার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের আগ পর্যন্ত আমাকে নজরে রাখা হবে। বাড়িতে ঢুকে সোজা সুজানার রুমে গেলাম। শুধু মনে হচ্ছে কিছু একটা আছে যেটা বোঝা যাচ্ছেনা। খুঁজে খুঁজে ওর রিডিং টেবিলের উপর রাখা একটা ডায়েরি পেলাম। সেখানে তার আর মিশুকের ভালোবাসার ছোট ছোট কাহিনী লেখা। ডায়েরিতে মিশুকের মৃত্যুর পরেও অনেক কথা আছে। আর সর্বশেষ পাতাটা সুজানার মৃত্যুর রাতে লেখা হয়েছিলো।
সেখানে লেখা ডিয়ার মিশুক, তোমার মনে আছে তুমি নেপালের উঁচু একটা আকাশ ছোঁয়া পাহাড়ে দাড়িয়ে ভোরবেলা আমায় কী বলেছিলে? বলেছিলে, সুজানা, তুমি কি আমার সাথে এরকম আরও হাজারটা ভোর দেখবে? আমি হেসে বলেছিলাম, কেন দেখবোনা? তুমি বলেছিলে, কথা দাও। আমি কথা দেয়েছিলাম। সেই তুমিই তো চলে গেলে। তবে তুমি জানো? আমি কথা রেখেছি। তোমার শরীরটা চলে গেলেও মনটা তো আমার কাছেই ছিলো! তোমার অস্তিত্ব সাথে নিয়েই আমি সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত গুনে গুনে ঠিক হাজারটা ভোর দেখেছি। সময় আমাকে তোমার কথা ভুলিয়ে দেয়নি, আরও কষ্ট বাড়িয়েছে। তোমাকে ছাড়া আর থাকতে পারছিনা আমি। শুধু তোমায় দেয়া কথা রাখতে এতদিন বেঁচে ছিলাম। আজ মরতে পারবো নিশ্চিন্তে! আসছি তোমার কাছে। তোমার সুজানা সুজানার ডায়েরি পড়ে সব উত্তর পেয়ে গিয়েছিলাম। কী অদ্ভুত ভালোবাসা! আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে! এমন সময় ফোন এলো। রিসিভ করলাম। ওপাশ থেকে কেউ একজন বলল, নিতু বলছেন?
— জ্বী।
— আমি পুলিশ স্টেশন থেকে বলছি। সুজানার মৃত্যুর ব্যাপারে কথা বলার ছিলো।
— জ্বী বলুন..
— সুজানার মৃত্যুটা বিষ খাওয়ার কারণে হয়নি।
— তাহলে?
— সে যে বিষটা পান করেছিলো সেটার কার্যকারিতা ধীরে ধীরে হয়। বিষের কারণে মৃত্যু হলে অনেক দেরিতে হতো। এমনকি তাকে যখন হাসপাতালে আনা হয়েছিলো তখনো বাঁচানো যেতো। সুজানা মারা গিয়েছে হার্ট অ্যাটাকে। সূর্য ওঠার অনেক্ষণ আগে!
ফোন রেখে আমি ভাবতে বসলাম, এতটা ভালোবাসার টান? মনটা নাহয় নাই মানলো। কিন্তু আত্মা? সেও রইলোনা। হাজারটার বেশি ভোর যখন হয়ে আসছিলো, বিষেও যখন কাজ করছিলোনা, তখন হৃদপিণ্ডটা আপনা থেকেই বন্ধ গেলো!
(সমাপ্ত)