অবুঝ দুটি মনের পাগলামি

অবুঝ দুটি মনের পাগলামি

– নিশি আমি তোমাকে সত্যি ভালোবাসি,
– তাহলে অই ফাবিহা কে?
– আমি বলছি তো, অর সাথে যা করছি সব ফান করছি।
– অহ তোমার এখন অই সব ফান?
– হুম সত্যি বলছি!
– অহ একটা মেয়েকে সেক্সি বলা, জানু বলা, বউ বলা, বিয়ের আগেই সব করতে চাওয়া!
এই জানু একটা কিস দাও” এইসব তোমার ফান হ্যা?
– সরি প্লিজ!
– এখন সরি বলে আর লাভ নেই!
চলে যাও তোমার ফাবিহার কাছে, যাও গিয়ে বিয়ের আগেই সব করো!
– তার মানে তুমি আর আমার কোনো কথা শুনবে নাহ?
– কি শুনবো বলো (কেঁদে কেঁদে)
আমি তোমাকে অনেক বিলিভ করছিলাম, তোমাকে আমার জীবনের চেয়েও বেশী ভালবেসেছিলাম, কিন্তু ” তুমি কি করলে?
আমার অবুঝ হৃদয়ের বিশ্বাস টা ভেংগে দিলে, আমি অনেক আপন ভাবতাম তোমাকে, তুমি বলেছিলে আমার তুমি ছাড়া আর কেউ নাই।
কিন্তু ফাবিহা সহ হাজারও মেয়ে তোমার ইনবক্সে।
– I’m extremely sorry Nishi.
তুমি আমাকে আর একটাবারের জন্যে সুযোগ দাও,
– কিসের সুযোগ আরও মেয়েদের সাথে কথা বলার?
– না তোমাকে এই বুকের মাঝে আঁকড়ে ধরে রাখার।
– রাজ আমি সত্যি তোমাকে অনেক ভালবাসি, ফাবিহার সাথে এইসব দেখার পর থেকে আমি মরে গেছি।
– প্লিজ নিশি, আই লাভ ইউ!
.
নিশি কাঁদতেছে আমি বুকের মাজে জরিয়ে নিলাম, অনেক ক্ষণ ধরে কান্না করছে! কিছুক্ষণ পর কান্না থামলো। আমি বললাম,
– প্লিজ আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও,
– তাহলে এখন থেকে আমি যা বলব তাই করবে?
– হ্যা তাই করবো!
– প্রমিস!
– হুম প্রমিস,
– এইবার যদি কিছু করো তাহলে খুন করে ফেলবো!
– হুম ওকে,
.
– হুম চলো কিছু খাবো!
– কি খাবে জানু?
– তুমিই বলো!
– না জানু তুমি বলো?
– ফুঁচকা খাবো,
– ওয়াও চলো,
.
ফুচকা খাওয়ার জন্যে আমরা একটা রেস্তোরায় গেলাম, সেখানে গিয়ে বসলাম।
এইবার নিশির মুখে একটু হাসি দেখলাম, একটা মেয়ের সাথে চ্যাট করছি ইনবক্সে তাতেই এই অবস্থা।
যদি অন্যে কিছু করতাম তাহলে মেয়েটি হয় তো মারায় যেতো।
.
নিশি অনেক ভালবাসে আমাকে, আর আমিও অনেক ভালবাসি নিশিকে।
যাই হোক অনেক কিছুই করে নিশির রাগ ভাংগালাম, মেয়েটি রাগলে অনেক ভাল লাগে।
অনেক সুইট লাগে দেখতে, কান্না করতে করতে তার আদো আদো কথা গুলো আরও ভাল লাগে।
.
আমরা ফুচকা খেয়ে বেড়িয়ে এলাম, বাহিরে এসে নিশি বলছে,
– রাজ?
– হুম,
– আমার হাত ধরো!
– কেনো…?
– যা বলছি তাই করো?
– হুম ধরছি,
– এইবার বলো এই হাত কোনো দিন ছাড়বে না?
– নাহ কোনো দিন ছাড়বো না, আমি তোমায় অনেক ভালবাসি নিশি,
– আমিও অনেক ভালবাসি তোমাকে রাজ,
.
আমি নিশিকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বললাম তুমি ছাড়া আমার কেউ নাই রে।
– হুম।
– সারাজীবন এইভাবে তোমাকে বুকের মাঝে রাখবো,
– আমিও থাকতে চাই ঠিক এই ভাবেই,
– নিশি?
– হুম,
– সন্ধ্যা হয়ে এলো বাসায় যাবে না?
– হুম যাবো তবে তোমাকে ছাড়তে মন চাইছে না।
– পাগলি একটা,
– হুম!
আমি তোমার পাগলি, আমি রাজের পাগলি…
– লাভ ইউ নিশি,
– টু ইউ রাজ।
– হুম এইবার চলো,
– হুম চলো, হি হি হি।
– হাসলে কেন?
– নাহ এমনিতেই।
– পাগলি,
– হুম…
.

(সমাপ্ত)

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত