– ঠাসসসস_ঠাসসসসসসসস_তোর সাথে আজ এখন আমার এই মুহুরতো থেকে ব্রেকাপ! তুই আর কখনও আমার চোখের সামনে আসবি না?
– কি করলাম আমি?
– শালা কি করছিস জানিস না?
– সরি শ্রেয়া মাফ করে দে প্লিজ!
– রাখ তোর সরি! শালা অন্য মেয়ের দিকে ভ্যাবলার দিকে মত তাকাই থাকিস ওদের কাছে যা আমি তোর কেউ না এখন থেকে।
– এই যে কান ধরছি আর কখনও এমনটা করব না।( কানটা ধরে বললাম)
– প্রচন্ড রেগে আছে..! (শ্রেয়া )
– এই যে কান ধরে উঠবস করছি আর কখনও এমন করব না কখনও না। ওই শ্রেয়া সবাই দেখছে তো।
– কে দেখে দেখুক তাতে আমার কি। আর তোকে তো আমি চিনিইইই না।
– এই সবার সামনে কি আমার প্রেস্টিজের ১৩ টা বাজাবি নাকি?
– থাক তুই তোর প্রেস্টিজ নিয়ে আমি গেলাম আর আমার সামনে যেন তোরে না দেখি।
কি মেয়ে রে বাবা অন্য একটা মেয়ের দিকে তাকিয়ে ছিলাম বলে এমন করবে। সরি বলছি তাও কাজ হচ্ছে না। মহারানির রাগ তুঙে উঠেছে এই অবস্থায় মাথায় বরফ ঢেলে দিলেও কিচ্ছু লাভ হবে না। তার চেয়ে বরং কাল কে ট্রাই করব। এই যা এত্তকিছু হয়ে গেলো।এখন ও পরিচয় টাই বাকি। আমি মৃনাল আর একটা ছোট খাটো জব করি।আর একটু আগে যে মেয়েটা আমার গালে দুইটা আদর বসিয়ে চলে গেলো তার নাম হচ্ছে শ্রেয়া প্রচন্ড রাগি । আর আমি হচ্ছি ওর ইয়ে কি ভাই ইয়ে টা বুঝলেন না ওটা মানে আমি ওর লাভার নিশ্চই এবার বুঝছেন। আসলে শ্রেয়া আমাকে অনেক গুলা ভালোবাসে তাই অন্য মেয়ের দিকে তাকাই ছিলাম বলে দেখলেনইতো। আচ্ছা এখন বাসায় যাই কাল যা হবার হবে।
(তারপরের দিন)
– শ্রেয়া এই শ্রেয়া …? (আমি)
– হ্যালো মিস্টার আপনি কে আপনাকে তো ঠিক চিনলাম না। আমার সামনে থেকে সরুন আমার ক্লাসের দেরি হয়ে যাচ্ছে। (শ্রেয়া)
– এই তুমি এসব কি বলছো হুহহহ আমাকে চিনো না মানে! দেখো কালকের জন্য আমি রিয়েলি সরি…
– কি আজব আপনাকে আমি চিনিনা আমাকে কেন সরি বলছেন। আপনি এখন এখান থেকে চলে যাবেন নয়তো কলেজের সিকিউরিটি কে ডাকছি….!
– ওই মেয়ে মেঝাজ গরম করাবি না।
কাল সারারাত আমার ঘুম হয়নি। এটুকু বিষয়ের জন্য আমার সাথে এমন করছো কেন…? (আমার দুই হাত ওর কাধে রেখে কথা গুলো বললাম)
– আমার কাধ থেকে হাত নামান?
– নামাবো না।
– আমি কিন্তু সিকিউরিটি কে ডাকবো এখন!
– তুমি যা ইচ্ছে তাকে ডাকতে পারো।
– আচ্ছা হেল্প প্লিজ হেল্প মি কেউ বাচাও আমায় (হেল্প মি বলে জোরে জোরে চিতকার করছে কলেজের সামনে)
– এ বাবা এই মেয়েতো সত্যি সত্যি ডাকলো দেখছি।
আর কলেজের সিকিউরিটি গার্ড এখন আমার দিকে তেরে আসছে। আর এখানে থাকা ঠিক হবে না। তাই শ্রেয়া কে ছেড়ে দিয়ে দিলাম একটা দৌড়। উফফফফ বাবা জোর বাচা বেচে গেলাম। যদি ধরতে পারতো না জানি আমাকে কি কি করতো। আমাকে দৌড়ানি খাওয়াইছো তাই না ওক্কে আমিও মজা দেখাব তোমায়। তারপর বাসায় খোড়াতে খোড়াতে গেলাম দৌড়াতে গিয়ে একবার পড়ে গেছিলাম তাই ব্যাথা পাইছি। রাত ১১ঃ৩৬ বাজে শ্রেয়ার ফোনটাও অফ। কি করব কিচ্ছু বুঝতেছিনা। পেয়েছিইইইইই এখন ওর বাসায় জাবো। যা হবার হবে গিয়ে। আর যেতেও বেশিক্ষন লাগে না। তাই ওর বাড়ির প্রাচীর টপকে অনেক অনেক অনেকগুলা কস্টে ওর রুমের ভিতরে প্রবেশ করলাম। আর শ্রেয়া কে দেখছি বিছানায় উপর হয়ে শুয়ে ওর মোবাইল এ আমার পিক গুলো দেখছে…
– এই যে কি দেখো…..?( আমি)
– কই কি দেখি কিছু নাতো আর যখন আমাকে দেখল তু তু তু তুমিইইইইইইইইইইই, এত্তো রাতে আমার ঘরে?
– হুম আ আ আ আমিইইইই এত্তো রাতে তোমার ঘরে।
– কেন এখানে আসছো?
– তোমার জন্য!
– ওই প্লিজ তুমি এখান থেকে চলে যাও বাবা এখন ও জেগে আছে।
– তোমার বাবা জেগে আছে তাতে আমার কি হয়েছে হুহহহহ। (ও এক পা এক পা করে পিছাচ্ছে আর আমি এক পা এক পা করে ওর কাছে এগিয়ে যাচ্ছি)
– মৃনাল প্লিজ আমার কাছে আসবা না তুমি?
– আমি তো যাবোই কারন তুমি আমাকে অনেক গুলা কস্ট দিছো।
– দেখো বাবা যদি দেখে ফেলে কেলেংকারি হয়ে যাবে প্লিজ তুমি চলে যাও?
– কেলেংকারি হলে তোমার হবে তাতে আমার কি। তুমি নাকি আমাকে চিনো না। আর কলেজে এমন ভাবে দৌড়ানি খাওয়াইছো তার শোধ তো আমিই নিয়েই ছাড়ব।
– শ্রেয়া কার সাথে কথা বলছিস..? (শ্রেয়ার বাবা ঘরের বাইর থেকে)
– এইইইইই খাইছে রে এবার মনে হয় আমিই।…. না বাবা ঘরে কেউ নেই তো.. আমি একা।
– আমি জানি কেউ তো আছেই ঘরে দরজা খোল আমি দেখব?
– বাবা সত্যি বলছি কেউ নেই…!
– দরজ খুলবি না দরজা ভেঙে ফেলব…?
– কুত্তা বিলাই, হনুমান, তোকে আমার ঘরেই আসতে হবে। আর কোথাও জায়গা পেলি না এখন ঠ্যালা সামলা.. এক দিকে বাবা আর এক দিকে শয়তান তুই কি করি এখন …. ? (শ্রেয়া আমাকে বলছে)
– হিহিহিহি….?
– চুপ একদম চুপ? বাঁদর একটা….!
– দেখো আমার আর কি করার তুমিইই তো আমায় এড়িয়ে চলছো তাই আমি তোমার এখন কাছেএএএএএ…!
– চুপ কর বেয়াদ্দপ। এখন আমি যা বলছি তাই কর… আমার খাটের নিচে লুকিয়ে পর?
– কিইইইইইইই খা খা খাটের নিচেএএ। আমি পারব না!
– আর একটি বার জদি না বলিস তোরেএএএএএ তারপর শ্রেয়া আমাকে ওর খাটের নিচে ঢুকিয়ে দিলো। আর ও দরজা টা খুলে দিলো।
– তোমাকে বলছি না বাবা ঘরে কেউ নেই দেখো…! (শ্রেয়া ওর বাবাকে বলল আর আমি খাটের নিচ থেকে শুনছি)
– আমি জানি কেউ একজন তো আছেইইইইই আচ্ছা খাটের নিচে দেখতে হবে….! (শ্রেয়ার বাবা)
ও মাগোওওওওও আমি মনে হয় এবার শেষ। মনে মনে বললাম। আর আমার অবস্থা পুরাই কেরোসিন।
– বাবা খাটের নিচে কেউ নেইই তো! (শ্রেয়া)
– চুপ আমি দেখলে কোন সমস্যা! তারপর তুয়ার বাবা খাটের নিচে লাইট টা মেরে যেই আমাকে দেখেছে সেইইইইই আমিইইইইই
– আয়ায়ায়ায়্যায়ায়া করে জোরে চিতকার দিছি!
– এই ছেলে চিতকার থামাও আর খাটের নিচ থেকে বেরিয়ে এসো…? (শ্রেয়ার বাবা)
– হায় ঈশ্বর আমাকে রক্ষে করো..! তারপর খাটের নিচ থেকে বেরিয়ে আসলাম।
– এই তুমি এত্ত রাতে আমার মেয়ের ঘরে কেন..?
– না মানে আংকেল…( তোতলাতে তোতলাতে বললাম)
– এই ছেলে তোমার নাম কি?
– জ্বি জ্বি জ্বি?
– এই না তোতলিয়ে ভালো করে বলো..?
– আমার নাম মৃনাল।
– কি করো তুমি?
– জ্বি আংকেল একটা ছোটখাটো জব করি..!
– আমার মেয়েকে কতদিন ধরে ভালোবাসো…?
– না মানে ইয়ে……
– ওই ছেলে আমার প্রশ্নের উওর দাও?(ধমক দিয়ে)
– ৩ বছর থেকে!
– কি কি করতে পারবে আমার মেয়ের জন্য?
– সব করতে পারব। মরতেও পারব শ্রেয়ার জন্য!
– মৃনাল প্লিজ স্টপ। কি বলছো এগুলা?
– হুম সত্যিই বলছি শ্রেয়া ?
– মৃনাল প্লিজ এই কথা বলিও না আর!
– বাবা দেখো আমার মেয়েকে কখন ও দুঃখ পেতে দেইইনি।
আর আমি চাই তুমিও ওকে কখনও দুঃখ দিবে না। (শ্রেয়ার বাবা) ওর বাবার কথা শুনে আমি তো পুরাই স্তব্ধ হয়ে গেছি। তার মানে আর কোনো সমস্যা নেই শ্রেয়ার বাবা ও রাজি। শ্রেয়ার বাবা ঘর থেকে চলে গেলো.। আর আমি দরজা টা লক করে দিলাম। আর এক পা এক পা করে ওর কাছে এগিয়ে যাচ্ছি…
– মৃনাল আর এক পা ও আমার কাছে এগুবে না। নইলে ভালো হবে না কিন্ত?
– নইলে কি হুহ নইলে কি। কাকে ডাকবে তুমি তোমার বাবাকে আরে উনিইই তো আমাকে বলল।। আসোলেই শ্রেয়া তোমার বাবার মতো বাবাই হয় না…! ভাবছি ঘর জামাই থেকে যাবো…
– ওই কুত্তা, আর এক পা ও এগুবি না!
– কুত্তারা কথা বুঝে না!
– মৃনাল প্লিজ……!
– কে শুনে কার কথা। ও একদম দেয়ালে মিশে গেছে আর আমি এক হাত ওর ঘারের উপর দিয়ে আর এক হাত ওর কোমরে রাখছি…..!
– এইইই পাজি আগে জানলে তোমার সাথে রিলেশনইই করতাম না! ছাড়ো বলছি?( আমাকে ওর কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেস্টা করছে)
– ছাড়ার জন্য কি ধরছি নাকি! আমাকে এভাবে কস্ট দিছো সেটার কি হবে!
– দেখো মৃনাল আমি সরি এমন করাটা ঠিক হয়নি। আমায় ছেড়ে দা…
– পুরোটা শেষ না করতেই ওর ঠোটে আমার ঠোট বসিয়ে দিয়েছি। পুরা এক মিনিট পর ছেড়ে দিয়েছি। আর যখন ছেড়েছি শ্রেয়া আমাকে ধাক্কা দিয়ে ওর বিছানায় ফেলে দিয়েছে। আর ওর গায়ে যত্তগুলা শক্তি আছে তা দিয়ে আমাকে ইচ্ছে মত কিল,ঘুসি, মারছে। আর বালিশ দিয়ে মারতে মারতে বালিশের তুলা বের করে ফেলছে।
– এ এ এই শ্রেয়া আমার ভুল হয়ে গেছে। আমাকে আর কিল ঘুসি মেরো না নাহলে মরেই জাব?
– শয়তান তুই আমার ঠোটে…….তোরে আজ মেরেই ফেলব ( বলেই আবার কিল ঘুসি শুরু করছে)
– কিল ঘুসি মারতেই আছে কোন থামাথামি নাই। আমি অনেক কস্ট করে ওকে বিছানায় ফেলে দিয়ে আবার আমার ঠোট ওর ঠোটে! ভাই এবার ছেড়ে দিলে আর রক্ষে নাই তাই সারাজিবন এভাবেই থাকতে চাই। হিহিহি
সমাপ্ত