মিষ্টি ভালবাসার গল্প

মিষ্টি ভালবাসার গল্প

– এই ধর ব্যাগটা রাখো তো।
– এ কি, তুমি এখন গেলা আর এখনই অফিস থেকে চলে আসলা।
– অফিসে আজকের ছুটি নিয়ে নিয়েছি।
– কেন?
– আজকে একটা মেয়ে নিয়ে পার্কে ঘুরতে যাব।
– কিইইইইই????
– জ্বী।
– কুওা শয়তান বিলাই, বাসায় বউ রেখে আরেকটা মেয়ে নিয়ে ঘুরতে যাইবা?? ( কান্না আর চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিছে)
– এই না না, সেটা না। কাঁদছো কেন??
– কাঁদবো না তো হাসবো এখন?? আমাকে বললেই পারতা আমি আরেক জনকে ভালবাসিতাহলে তো হতো।
– না জান এমন কথা বলে না।

– চুপ, বিশ্বাসঘাতক, তোর সাথে আর কথা নাই, জীবনের থেকেও বেশী ভালোবেসেছিলাম তোকে, কিন্তু তুই বুঝলি না, অন্য একটা মেয়েকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে যাবি তোর লজ্জা করে না।
– আহ্ সোনা, কি বলছো তুমি? আমি তো শুধু তোমাকেই ভালবাসি।
– আর মিথ্যা কথা বলার দরকার নাই, আমি সতিনের ঘর করতে পারব না, আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দাও।
– কি বললা তুমি??? ঠাস,
– মারলা কেন?
– চুপ। ( টান দিয়ে বুকে জড়িয়ে নিলাম)
– ছাড় ছাড় বলছি।
– ছাড়বো না। আরে পাগলী বউ, আমি কি বলছি নাকি যে অন্য একটা মেয়ে নিয়ে ঘুরতে যাবো। আমার ঘরেই তো মেয়ে আছে আর সেটা আমার বউ।

– মানে!!!
– আরে আমি তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যাব। আরতুমিই তো মেয়ে, না তুমি ছেলে??
– মেয়ে।
– তুমি মেয়ে হলে তো তোমাকে নিয়েই ঘুরতে যাব তাই না। আমার সবচেয়ে কাছের পাগলীটা। এই পাগলী মেয়েটাকে ছেড়ে কি আমি অন্য মেয়ের কাছে যেতে পারি??
– না।
– তাইলে এতক্ষন ওসব বললে কেন??
– সররররি!!!
– সড়ো ( বুকে থেকে ছাড়িয়ে দিলাম) তুমি এতক্ষন অনেক আজেবাজে কথা বলেছো আমার অনেক কষ্ট হইছে আমার কাছে আর আসবা না, তোমার সাথে কথা নাই।
– না বাবু এমন করে না
– হুস। ( ওকে ওখানে রেখে দৌড়ে ছাদে চলে এলাম,

কিছু বলার সুযোগ দিলাম না) আমি নীল। আর ওই যে রাগি মেয়েটা এতখন চেচামেচি করল ওটা হলো আমার বউ নীলা। ওর আরেকটা নাম ছিলো কিন্তু আমিই ওর নাম চেন্জ করে আমার নামের সাথে মিলিয়ে রেখেছি নীলা। আমি একটা জব করি। ঢাকা নামক ব্যস্ত শহরটায় বাসায় থাকি বলে নীলাকে চাকরির সুবাদে বেশি সময় দিতে পারি না।

আর আজকে বসের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে আসছি, ভাবছি বউকে নিয়ে ঘুরতে যাব, অনেক দিন ধরে কোথাও যাওয়া হয় না, তাই আজকে যাব। ছুটির বিষয়টা ওর জন্য সারপ্রাইজ হিসেবে দিব, কিন্তু ও যে এতটা রেগে যাবে এতে আমি ভাবতেও পারি নাই। ওর আবার রাগটা একটু বেশি। আর ওর ভালবাসায় কেউ হাত দিলে কি রেখে কি করব কেউ জানে না সেটা। ওর সাথে রাগ দেখিয়ে ছাদে গিয়ে দাড়ালাম। ভাবছি একটা সিগারেট ধরাই। পকেটে একটাই ছিলো, এক বন্ধু জোর করে দিয়ে দিয়েছে, আমি এখন নিজে থেকে সিগারেট কিনি না, পাগলীটা আমার জীবনে আসার আগে প্রচুর খেতাম, দিনে একটা প্যাকেট শেষ করে আরেক টা না বের করলে রাতে ঘুম হতো না। কিন্তু নীলা আসার পর সব চেন্জ হয়ে যায়। ওর সামনে এখন আমার সিগারেটের প্যাকেট ধরার সাহস হয় না।

এসব ভাবতে ভাবতে পকেটে থেকে সিগারেটটা বের করলাম, এখন আরেক বিপদ, ম্যাচ পাব কই?? আমি তো ম্যাচ নিয়ে আসি নাই। নিচে রান্না ঘর থেকে ম্যাচ আনতে গেলে নিশ্চিত আমাকে মুরগির মতো জবাই করে ফেলেবে। তাই বাধ্য হয়ে পাশের বাসার বাচ্চা ছেলেকে বললাম ম্যাচ আনতে, ও তখন ছাদে খেলছিল, ছাদ কাছে থাকায় আস্তে বলায়ই শুনতে পেল। ও ম্যাচ দেওয়ার পর যেই সিগারেটে আগুন ধরাবো তখনই মুখের সামনে পাগলীটার মায়া ভরা মুখটা ভেসে উঠলো। একদিন সিগারেট খাওয়ার সময় নীলা দেখে ফেলেছিল, সেদিনের পর চার দিন পর্যন্ত আমার সাথে কথা বলে নাই, ও এই চারদিন কিচ্ছু মুখে তুলে নাই, রান্না তো দূরের কথা রান্না ঘরেই পা রাখে নাই, তাই বাধ্য হয়ে আমাকেই রান্না করতে হইছে।

আর ও আমাকে সেই কদিন ওর কাছে যেতে দেয় নাই আর আমার কাছেও আসে নাই। সেদিন প্রমিজ করিয়েই ছাড়ছে আর কোনো দিন যদি সিগারেট খাই তাহলে ওকে ভুলে যেতে হবে। একথা শোনার পর তো আমার হুশ ছিলো না, ওকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে বলছিলাম, এই তোমাকে ছুয়ে প্রমিজ করছি আর কোনো দিন সিগারেট খাব না। সিগারেটে আগুন ধরানোর পরই নীলার দেওয়া প্রমিজের কথা মনে পড়লো, তাই সিগারেটটা নিচে ফেলে দিলাম। আমার ভালবাসার কথা যদি নাই রাখতে পারি তাহলে সেটা আবার কেমন ভালবাসা। এ কথা গুলো ভাবতেই নীলা দৌড়ে ছাদে আসলো, ওমা এতো সেজেগুজে আসছে, ওকে তো একদম পরীর মতো লাগছে, বোধ হয় আমার সাথে ঘুরতে যাবে বলেই সেজেগুজে আসছে।

– এই এখানে বসে আছো কেন?
– তো কি করব? (রাগি সুরে)
– ওরে বাবা। কি রাগ!! ঘুরতে যাবো চলো।
– যাও আমাকে বলছো কেন?
– এই দেখো ভালো হবে না কিন্তু, আমি এখন তোমার সাথে যাব, চল চল চল।
– আমি তো বিশ্বাসঘাতক আমার সাথে যাবে কেন??
– কি বললে তুমি ( কান্না সুরে)
– এই না, কিছু বলি নাই, চল যাবো, তবুও কেঁদো না প্লিজ।
– হুম।

তারপর পাগলীটাকে নিয়ে রিক্সা করে কাছের কোনো এক পার্কের দিকে চললাম। সারাদিন পার্কে ঘুরাঘুরি করলাম, বিকেলে গোধূলি আলোয় আমি আর নীলা এক জায়গায় বসে আছি, আমি অবশ্য বসে নাই, আমি নীলার কোলে মাথা রেখে আছি আর নীলা আমারমাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।

৩ বছর আগে,,,,,,অফিস থেকে হাটতে হাটতে আসছি। পাশে গাড়ি আছে অনেক কিন্তু কেন জানি আজ হাটতে ভালো লাগছে। তাই হেটে বাসায় আসছি। কতদূর এসে ভাবলাম একটা সিগারেট না ধরালেই নয়,তাই পকেটে থেকে সিগারেটের প্যাকেটটা বের করলাম, সিগারেট ধরিয়ে রাস্তা দিয়ে সিগারেট টানতে টানতে আসছি। কতদূর আসতেই হালকা ঠান্ডা বাতাস বইতে লাগল, তাই ভাবলাম সামনের ওই খোলা মাঠের ধারে বেঞ্চটিতে বসে ঠান্ডা বাতাসে বসে সিগারেট খাই। বসার পর সিগারেটে কয়েক টান দিতেই মাথার মধ্যে একটা ক্রিকেট বল এসে লাগল, পেছনে তাকাতেই দেখি কয়েকটা বাচ্চা ছেলে আর ওদের সাথে একটা বড় মেয়েও আছে,

– কি হলো বল মারলেন কেন?
– (বড় মেয়েটা বলল) বেশ করছি।
– কিইইই??
– হুম,, দেখছেন না, বাচ্চারা এখানে খেলছে ওদের সামনে সিগারেট খাচ্ছেন আপনার লজ্জা করে না।
– আপনিও বোধ হয় বাচ্চা?
– এই মুখ সামলে কথা বলুন, আমি বাচ্চা হবো কেন?? আমি ওদের সাথে এখানে আসছি।
– (এক বাচ্চা বললো) আপু চলো তো এখান থেকে, যত্তসব।
– ওরে বাবারে এ বাচ্চা না বুলেট।
– ওইই কি বললেন আমার সামনে ওদের বুলেটবললেন???
– ওরা বুলেট হলে আপনি বোমা। অচেনা একটা ছেলের সাথে এভাবে ঝগড়া করছেন।।।

– আপনি যদি সিগারেট এখানে বসে না খেতেন তাহলে আমরা আপনার সাথে ঝগড়া করতাম নাকি??
– আমার যেখানে ইচ্ছে সেখানে খাবো আপনার সমস্যা কি??
– আমাদের এখানে এসে খেতে পারবেন না।
– একশোবার খাব, কি করবেন??
– গোবর খাইয়ে দিব আপনাকে।।
– আপনি খান যান, যত্তোসব ফাজিল মাইয়া!!!
– এই ফাজিল পোলা গুলো যে কোথা হইতে আসে,,, আল্লাহ ওনার মাথায় তুমি একটু জ্ঞান বুদ্ধি দাও।
– আপনার থেকে বেশিই আছে।
– কচুঁ আছে,,,
– কচুর গোড়া।
– আপুওওওওওও চল তো এখান থেকে, ফালতু লোকের সাথে কথা বলে আমাদের খেলার সময় নষ্ট হচ্ছে,,

( এই বলে বাচ্চাটা বুলেট গতিতে গুন্ডী মেয়েটাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেল) কি মেয়েরে বাবা?? এমন মেয়ে বাপের চোদ্দগোষ্ঠীর জন্মে দেখি নাই। একটা মেয়ে হয়ে আমার সাথে আসে কয়টা বিচ্ছু বাহিনী নিয়ে ঝগড়া করতে হুহ। তারপর আমিও চলে এলাম এখান থেকে।

বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে ইজি চেয়ারটায় বসতেই ওই মেয়েটার রাগি চোখটা বারবার আমারচোখের সামনে ভেসে উঠতে লাগল। মেয়েটাঝগড়াটে আর পাজি থাকলেও মনটা অনেকফ্রেশ আর চেহারায় অনেক মায়া ভরা সৌন্দর্যফুটে আছে। মেয়েটাকে কেন জানি ভালো লেগে গেল, কিছুতেই মন থেকে সরাতে পারছি না। তাই ভাবলাম মাকে খবর দিয়ে আনি তারপর একেই বিয়ে করে বউ করব। তার আগে দেখি অন্য কিছু করা যায় কিনা!!! তাই আবার এর পরের দিন অফিস থেকে একটু তাড়াতাড়ি করে ফিরে এসে কতগুলো চকলেট কিনে রওনা দিলাম সেই মাঠের কাছে, এসে দেখি সেই বাচ্চা গুলো আছে কিন্তু সে মেয়েটা আজ নেই। একটা বাচ্চাকে ডাক দিলাম ‘

– এই যে বুলেট বাবু এখানে আসো তো।
– ওই মিয়া কি বললেন আমারে?
– আহ্ রেগে যাচ্ছো কেন?? আচ্ছা তোমার নাম বলো।
– রাসেল।
– বাহ্ খুব সুন্দর নাম, তো তোমার কালকের সে আপু টা কই?
– কেন?
– এমনি, বল না একটু!!
– হবে না,
– তাহলে,,,
– কালকের জন্য কান ধরেন আর আমাদের সবাইকে ক্যাটবেরি দেন।
– কিইইইই??? ক্যাটবেরি দিমু কানে ধরা পারুম না।
– তাইলে আপুর খবরও পাবেন না। উফফফ কি আর করার বাধ্য হয়ে বাচ্চাদের সামনে কান ধরলাম।
– এবার হইছে,,
– চকলেট কই?
– এই নাও।
– থ্যাঙ্কু ভাইয়া।
– তোমার আপু কই বলো?
– কালকে এই সময়ে এখানে আইসেন তাহলে আপুরে পাবেন।

এই বলে বুলেট গুলো দৌড়ে পালালো। কি পাজি পোলাপাইন রে বাবা। আবার আসুক দেখে নিব তখন। তারপর আবার তার পরেরদিন গেলাম দেখি কেউ আসে নাই, তাই একটা গাছের আড়ালে গিয়ে বসে পড়লাম, পকেটে থেকে একটা সিগারেট বের করতেই সেই বাচ্চাদের চিল্লাচিল্লি শোনা গেল। পেছনে তাকাতেই দেখি সেই বাচ্চা গুলো আর আমার ঘুম কেড়ে নেওয়ার সপ্ন পরী এসে গেছে। ভাবলাম দেখি কি করে ওরা তাই ওই গাছের আড়ালেই দাড়িয়ে ওদের কথোপকথন শুনতে লাগলাম।

– আপু জানো কালকে না সেই ভাইয়াটা আসছিল,,
– কোন ভাইয়া রে?
– তুমি যার সাথে সেদিন ঝগড়া করলে।
– কেন আসছিল?
– তোমাকে খুজতে।
– আমাকে খুজতে, কেন কেন?
– জানি না। কিন্তু ভাইয়া টা খুব ভালো।
– কি করে বুঝলি?
– ভাইয়াটা আমাদের সবাইকে ক্যাটবেরি দিছে আর সেদিনের জন্য আমাদের সামনে কানে ধরে ছিলো, অনেক সময় কানে ধরে দাড়িয়ে আছিলো।

– কিহ্,, হা হা হা।
– তোদের কথায় ওই লোকটা কানে ধরছে,
– আরে না, ওনি তোমাকে খুজছিলো, আমরা বলছি কানে না ধরলে তোমার কথা বলব না।
– তাই,, তাহলে আমার জন্য কানে ধরছে?
– হ্যাঁ।
– তারপর কি বলছে?
– তারপর আমি বলছি কালকে এখানে আসতে কিন্তু এখনো তো এলো না।
– ওহ্,,, তাহলে বোধ হয় আর আসবে না, তোরা একটা এতবড় লোককে কানে ধরিয়েছিস, ওনারতো একটু অপমান হইছে তাই না।
– হুম, তাই তো আপু।
– তোদের এটা উচিত ছিলো না।
– তাহলে আবার আসলে সরি বলব।
– আচ্ছা বলিস, চল, বল আন খেলবো।

হিহিহি, আমি এতক্ষন ওদের কথা লুকিয়ে শুনছিলাম, কোনো মতে হাসি চাপিয়ে রাখছি। তাই একটু পর আড়ালে থেকে বের হয়ে সামনে আসলাম। তারপর বাচ্চারা দেখা মাত্রই দৌড়ে এসে সবাই সরি বলে চলে গেল। তারপর সেই মেয়েটা আসলো।

– সরি,
– কেন?
– কাল ওরা যা করছে তার জন্য আর সেদিন আমাদের সাথে যে ঝগড়া হইছে তার জন্য।
– আচ্ছা ওকে, আমিও দুঃখিত।
– হুম,
– এই বাচ্চারা এদিকে আসো সবাই!
– কেন ভাইয়া।
– আমার সাথে ফ্রেন্ডশীপ করবা?
– আপনাকে তো চিনে না।
– আচ্ছা বলছি, আমি নীল, একটা জব করি আর ওই জায়গায় আমার বাসা এবার তোমাদের পরিচয় দাও,
– (সবাই দিল পরিচয়)
– আর আপুর নাম হলো নীলা।
– আর আপু এটাই সেই ভাইয়া।
– হুম।
– চলো তোমাদের চকলেট কিনে দিব।

তারপর সব বুলেট গুলোকে চকলেট কিনে দিলাম। ওদের পকেট চকলেট দিয়ে ভর্তি হলো আর আমার টাকার পকেট খালি হলো। এখান থেকেই আমার আর নীলার পরিচয় হয়, ওদের সাথে যখন থাকতাম তখন আর আমি সিগারেট খেতাম না, কারণ ওদের সামনে সিগারেট খেলে আবার নীলার থেকে দূরে যেতে হবে। তাই অন্য জায়গায় গিয়ে সিগারেট খেতাম। তারপর আমাদের ফোনে কথোপকথন আর ফেসবুকে চাটিং হতো, আমি ওকে কোনো দিন বলি নাই যে আমি ওকে ভালবাসি।

কয়েক মাস পরে হটাৎ করে মা আর বাবাকে নিয়ে গেলাম ওদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। যখন নীলা আমার সামনে এসে আমার দিকে মুখ উচুঁ করে তাকালো তখন বেশ অবাক হয়েছিল, কারণ এমন হটাৎ করে আমি ওর বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাব এটা ও আশা করে নাই। তাই একটু অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো। কিন্তু ওর মা বাবা খুব খুশি হলো আর রাজি হওয়ার তো কথাই নাই। নীলার বাবা মা এক পায়ে রাজি হলো। কিন্তু নীলাকে কেমন যেন লাগছিল। অবশেষে বিয়ে হয়েই গেল, বাসর ঘরে ঢুকে দেখি, খাটে বসে আছে, ঘরে ঢুকতেই সালাম করল, তারপর আবার খাটে গিয়ে বসলো, আমিও চুপ করে গিয়ে বসলাম। কিছুক্ষণ পর,

– এটা কি হলো?
– কোনটা ?
– আমাকে বিয়ে করলা কেন?
– ভালবাসি তাই!
– কবে থেকে?
– যেদিন তোমার সাথে সিগারেট নিয়ে ঝগড়া করছিলাম সেদিন থেকে।
– কিইই? তাহলে এতদিন বলো নাই কেন?
– এমনি।
– এমনি মানে?
– সাহস হয় নাই।
– হুম,, কিন্তু আমার ভালবাসা পেতে গেলে কি করতে হবে জানো।

– কি??
– চিরদিনের জন্য সিগারেট খাওয়া ছাড়তে হবে।
– (কিছুক্ষণ ভেবে) আমি এক পায়ে রাজি।
– তাহলে আরেক পা কই?
– হিহিহি, সাথেই আছে।
– পাগল কোথাকার,
– হুম, তোমার জন্য, একটু কাছে আসো।
– এই না,,
– কেন?
– লজ্জা করছে।
– আরে আসো। ( টান দিয়ে কাছে টেনে নিলাম)

তারপর এই পর্যন্ত। হাত বুলিয়ে দিচ্ছে মাথায় ভালই লাগছে। এভাবেই পাগলীটাকে নিয়ে সারাজীবন কাটাতে চাই। কেমন যেন ঘুম ঘুম ধরে গেল, তাইপাগলীটাকে নিয়ে বাসার দিকে চললাম। ( আই লাভ ইউ – এত্তোগুলা ভালবাসি তোকে পাগলী)।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত