পার্কে প্রেমিকার সাথে রিমন দেখা করতেই,গালি শুরু..
– শয়তান লুচ্চা বদমাস
– হোয়াট?
– কানে শুনিস না?
– এসব কি বলছ?
– কেন ভুল বলছি?
– কি হয়েছে বলোতো?
– একদম ন্যাকামু করবিনা
– ওহ পুষ্প কি হয়েছে বলবেতো?
– ফেসবুকে মেয়েদের সাথে টাংকি মারা ধরছিস তাইনা?তাদের সাথে নতুন প্রেম করবি তাইনা?
– মানে?
– একদম ন্যাকা করবিনা
– সত্যি পুষ্প, আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা, প্লিজ কি হয়েছে একটু ক্লিয়ার বলবে?
– কেন ফেসবুকে একটা মেয়েকে লাভ প্রোপোজ করিসনি?
– নাতো!
– একদম মিথ্যা বলবিনা
– আশ্চয্য! তুমি থাকতে আমি কেন অন্য মেয়েকে প্রোপোজ করতে যাবো..
– হ্যা তুই তো দুধে ধোয়া তুলসি পাতা
– ঠিকি তো, তাছাড়া আমার পাসওয়াড তুমি তো জানো
– তুই প্রোপোজ করে, মেসেজ ডিলেট করেছিস
– কখনও না
– তাহলে ঐ মেয়েটি তোকে আই লাভ ইউ টু লিখলো কেন?
– সেটা আমি কি জানি? তবে তাকে আমি প্রোপোজ করিনি, হয়তো আমার পরিচিত কেউ শয়তানি করে, ফেক আইডি দিয়ে এরুপ করছে
– চুপকর মিথ্যাবাদী
– প্লিজ পুষ্প আমাকে বিশ্বাস করো
– তোর মতো লুচ্চা বদমাসকে কি বিশ্বাস করব?
– Shut up, একদম বাজে কথা বলবেনা
– u shut up, উচিত কথা বল্লেই দোষ?
– তুমি আসলে আমাকে একটু বেশি সন্দেহ করো
– ওওও তুমি মেয়েদের সাথে কিতকিত খেলবে, আর আমি মুখ বুজে থাকবো?
– দেখ পুষ্প আমাকে তোমার যদি এতটাই খারাপ মনে হয়, তাহলে আমার চেয়ে ভাল ছেলেকে বেছে নাও
– হ্যা এখন তো এ কথাই বলবি, ব্রেকাপ করে দিয়ে ঐ মেয়েকে ধরবি, লুচু ছেলে একটা রিমন এবার রেগে পুষ্পকে একটা থাপ্পর মেরে বলল,
– ধৈয্যের একটা সীমা আছে, নিজেকে তুমি কি ভাবো?
– (পুষ্প নিশ্চুপ)
– আমাকে ভাল না লাগলে ব্রেকাপ করতে পারো, তবুও আমাকে বাজে কিছুর অপবাদ দেবেনা
– হ্যা তাই করব, আজ থেকে তোর সাথে ব্রেকাপ
– ওকে, তোর মতো মেয়ের দরকার নেই
– ওকে তুইও যা, তোর মতো আনস্মার্ট আনকালচার ছেলেকে দরকার নেই, আস্ত একটা সরা গাছের ভূত…
– আর তুই কি? আস্ত একটা পেত্নী কালিয়া
– মুখ সামলিয়ে কথা বল কুত্তা?
– হ্যা কুত্তি ঠিকি বলেছি, যে তো চেহারা, নাম রাখছে পেয়ারা তোকে খুশি রাখতে এতদিন তোর রুপের মিথ্যে প্রশংসা করছি..
– (পুষ্প রাগে ফুলছে)
– রাস্তার কোনো পাগলও তোর মতো কালো কুৎসিত পেত্নী মেয়েকে বিয়ে করবেনা
– Stop তোর সাথে আর একটা কথাও বলতে চাইনা একদম ব্রেকাপ
– তো দাড়িয়ে আছিস কেন যা
– হ্যা আজকের পর থেকে আমার সাথে আর যোগাযোগ করবিনা
– হ্যা আমার বয়ে গেছে তো
– আমিও করবনা প্রমিজ
– ওকে বাই
– এই দাড়া
– হ্যা বল্ পুষ্প তখন রিমনের গিফট্ করা পায়ের নুপুর,আংটি,নেকলেস খুলে দিয়ে বলল,
– এই নে.. আমি চাইনা তোর দেওয়া কোনো গিফট্ আমার কাছে থাকুক
– ওকে
– এবার আমি যা কিছু গিফট্ করছিলাম সেগুলোও দে রিমনও তখন পুষ্পের গিফট্ করা, হাতঘড়ি,লাল জুতোজোড়া,একটা সিমকার্ড খুলে পুষ্পের হাতে দিয়ে বলল,
– এই ধর্
– আর হ্যা, তোকে যে গতকাল ১০ টাকা দামের ১টা মিনিট কাড দিলাম, ঐটাও দে
– (রিমন মানিব্যাগ থেকে কাডটি বের করে দিল)
– ওকে বাই
– এই দাড়া(রিমন বলল)
– হ্যা বল্
– তোর মাথার সামনে চুলে যে ছোট ক্লিপ লাগানো, ঐ ক্লিপ আমি সেদিন কিনে দিয়েছি, ঐটাও খুলে দে
– ওকে দিচ্ছি পুষ্প তখন ক্লিপটি খুলতেই, তার সামনের মেঘকালো চুলগুলো, হেলে পড়ে চোখ দুটোকে হালকা ঢেকে দিলো রিমন মনের অজান্তেই পুষ্পের এলোমেলো চুলগুলো ঠিক করে দিতেই পুষ্প বলে উঠল,
– খবরদার! আমাকে টাচ করবিনা
– ওহ ছরি
– huuu এই নে তোর ক্লিপ, তোর নতুন জিএফকে দিস, খারাপ থাকিস বাই কথাটি বলে পুষ্প চলে গেল রিমন কিছুই বললনা, হতাশ মনে সেখানে বসে পড়লো..মনেমনে ভাবল,
– পুষ্প কি তাহলে সত্যি সত্যিই চলে গেলো! রিমন কেন জানি শূন্যতা অনুভব করতে লাগলো কারণ পুষ্পকে সে নিজের চেয়েও বেশি ভালবাসে।
– যে পুষ্পের সাথে কথা না বলে, তাকে না দেখে এক মুহুত্বও থাকতে পারেনা রিমন। এখন পুষ্প চলে যাওয়াতে রিমনের কেন জানি দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, কেন জানি পুষ্পকে ছাড়া তার এক মূহুত্বও চলবেনা হঠাৎ রিমন ঢুকরে কেঁদে উঠে বলল,
– পুষ্প কেন তুমি আমাকে বুঝতে চাওনা! তোমাকে ছাড়া যে আমি বাঁচবনা, আমি তোমায় অনেক ভালবাসি পাগলি,,, প্লিজ ফিরে এসো
– আমি তোমাকে ছেড়ে যেতে পারলাম না গো রিমন পেছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখে অশ্রুসিক্ত চোখে পুষ্প দাড়িয়ে আছে অশ্রুতে তার চোখের কাজল লেপ্টে গেছে রিমন দৌড়ে গিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে পুষ্পকে জড়িয়ে ধরে বলল,
– আমাকে ছেড়ে কোথায় যাবে পাগলি? আমি তোমাকে যেতে দেবনা
– কোথাও যেতে চাইনা
– তাহলে তখন কেন যেতে চাইলে
– বড্ড রাগ অভিমান হয়েছিল তোমার ওপর, পরে অনেক চেষ্টা করেও তোমাকে ছেড়ে যেতে পারলামনা(পুষ্পবল্লো)
– হুম পাগলি
– রিমন
– হ্যা বলো
– তুমি কি আমাকে ভালবাস?
– নিজের চেয়েও বেশি
– তাহলে আমি যখন চলে যাচ্ছিলাম তখন তোআমাকে ফেরাতে পারতে? কেন একটিবার বললেনা যে,ছরি পুষ্প, প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেওনা,আমি তোমাকে ভালবাসি,কেন বল্লেনা যে,আমি তোমাকে ছাড়া বাচবনা,
– ছরি গো,আসলে তখন খুব রাগ আর জেদ উঠছিল
– ছরি জান
– – ইটস্ ওকে
– আবার ছরি
– কেন?
– তখন রাগের মাথাতে তোমাকে থাপ্পর মারছি
– হুম
– খুব ব্যথা পেয়েছ জান?
– হুম
– এসো গালে একটু আদর করে দিই
– এহ ঢং! মারার সময় তো মনে ছিলনা? গরু মেরে স্যান্ডেল দান Huh
– ছরি ছরি ছরি জানপাখি
– it’s ok বাবু,
– i love u so much
– i love u too
এভাবেই তারা আবার এক হলো কিন্তু পুষ্পপরে ফান করার জন্যে বলল,
– হিহিহিহি
– হাসো কেন?
– তুই নিজেকে কি মনে করিস
– মানে?
– তুই কি মনে করেছিস আমি তোর মতো খারাপ ছেলের সাথেআবার রিলেশান রাখব?
– এ.এ.এ.এসব কি বলছ পুষ্প?
– ঠিকি বলছি, ও হ্যা যে জন্যে আবার ফিরে এলাম,তোর টি-শাটটি খুলে দে,
– কেন?
– মনে করে দেখ,
ঐটা আমি তোকে একদিন গিফট্ করছিলাম (রিমন এতক্ষণে পুষ্পের চালাকিটা বুঝতে পারল.. কারণ টি-শাটি রিমন ১ সপ্তাহ আগে কিনছে,. রিমন বুঝতে পারল, পুষ্প ফান করছে)তাই সে টি শাটটি খুলে দিয়ে বলল,
– এই নাও..
– গুড বয়
– হুম এবার তুমিও গুড গার্লের কাজ করো..
– মানে?
– মানে আমার গিফট্ করা থ্রিচ পিচটি লক্ষী মেয়ের মতো খুলে দাও..
– কিইইই? অসভ্য শয়তান কুত্তা আমি এটা গতকাল কিনছি
– হোহোহো
– উহুহুহুহু কুত্তা আজ তোকে…
– আ আ আ লাগছে(হালকা কিল ঘুসি) ওরে বাবা! চড় মারার প্রতিশোধ তুলে নিলে নাকি?
– জী না,এগুলো মার হলো?
– না খুকী, এটা হলো আদর চুম্মা
– হিহিহি
– নাইস
– কুত্তা হুহহ্
– হাহাহা
– ঐ এবার এগুলো পড়িয়ে দাও পরে রিমন পুষ্পকে আবার সেই নুপুর আংটি নেকলেস পড়িয়ে দিল
– ওয়াও এগুলোকে পড়ে তোমাকে…
– এই খবরদার তুমি আমার প্রশংসা করবেনা
– কেন?
– আমি তো পেত্নী, তাই এ পেত্নীর মিথ্যে প্রশংসা করতে হবেনা..
– হাহাহা আরে পাগলি তুমি অনেক সুন্দরি,. আমি তো তখন রাগ করে ঐসব বলেছি
– চুপ আর মিথ্যা বলতে হবেনা
– মিথ্যা নাগো আমার ভালবাসার কসম, তুমি অনেক সুন্দরী..
– হয়েছে, এবার চুলে ক্লিপ পড়িয়ে দাও রিমন পুষ্পের চুলে ক্লিপ টা পড়িয়ে দিয়ে বলল,
– বাহ! অসাধারণ লাগছে তোমাকে একদম সরা গাছের কালিয়া পেত্নী
– কিই???????
– না ইয়ে মানে থুক্কু..
– কুত্তা তোর বউ সন্তান কালিয়া পেত্নী
– হোহোহো ঠিকি তো, তার মানেই তো তুমি
– ওকে বাই
– এই কমলার মা থুক্কু কমলা বানু শোনো পাগলিটা আবার অভিমান করছে