–বাবু আমাদের বেবি হবে কবে।
–কিসের বেবি কোনো বেবি হবে না।(বউ)
—কি বলো এইসব তুমি।
—ঠিকই বলছে।(বউ)
–তাহলে তো আমাকে কিছু করতে হয়।
–একদম কাছে আসবে বলে দিচ্ছি। (বউ)
—তাই বললে হবে নাকি।আমি তো আসবোই।
—একদম খুন করে ফেলবো।(বউ)
–আহা তোমার হাতে খুন হলেও শান্তি পামু।
—একদম কাছে আসবে না। না হলে এটা দিয়ে তোমার অবস্থা খারাপ করবো।(বউ)
—আরে বউ দেখি বিছানা ঝাড়ু নিয়েছে। আরে তুমি আমাকে মারতে পারবা না।
—কে বলছে খালি কাছে আসো দেখাই দিতেছি।(বউ)
—আরে বউ দেখি মারার চেষ্টা করতেছে। আরে কি হইছে তোমার এমন করছো কেন তুমি। একটু কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলাম।
—একদম কাছে আসবা না।ওই মেয়েটার কাছে যাও।(বউ)
–ও এখন বুঝলাম ঘটনা কি। তাও বললাম কোন মেয়ে গো।
—এখন ভুলে যাওয়ার ভান করছো তাই না।(বউ)
—আরে তুমি কার কথা বলছো আমি কিছুবুঝতেছি না।
—এখন তো বুঝবাই না।বেড়াতে গিয়ে যার সাথে এতো কথা বললে।(বউ)
—আরে তুমি মিমের কথা বলছো।ও তো আমার ছোট বেলার বন্ধু।
—হমম আমাকে মিথ্যা কথা বলো আমি তো আগে দেখি নাই। আমি তো ছোটো থেকে তোমার সাথে আছি তাহলে আমি দেখলাম না কেন। মিথ্যাবাদী একটা।(বউ)
—আরে তুমি হইতো খেয়াল করো নাই কখনও।
–চুপ একদম চুপ।খালি মিথ্যা বলা শিখছো।(বউ)
–বউ আমার কথাটা তো শোনো।(একটু কাছে গিয়ে)
—একদম কাছে আসবা না।(বউ)
–তাহলে আমি ঘুমাবো কোথায়।
—কেনো তুমি সোফায় ঘুমাবা।(বউ)
—কি?? তুমি কিন্তু জানো আমি সোফায় ঘুমাতে পারি না।
–তো আমি কি জানি।তোমার কথা বলার আগে মনে ছিলো সেইটা।(বউ)
—কি আর বাধ্য ছেলের মতো গিয়ে সোফায় ঘুমাতে গেলাম।
কি জন্য যে মিমের সাথে কথা বলতে গেলাম।আমাদের তো বলা হয়নি স্কুল লাইফে মিম আমাকে পছন্দ করতো।আর আমারবউ ওকে দেখে নাই আগে তাই এতো সমস্যা। লাইট বন্ধ করে সোফায় গিয়ে সুয়ে পরলাম। অনেকখন হয়ে গেলো কিন্তু ঘুম আসতেছে না। কারন পাগলিটাকে ছাড়া কি করে ঘুমাই।সুয়ে সুয়ে আমি আমাদের আগে কথা ভাবছি। সেই ছোটো থেকে আমরা একসাথে পড়াশুনা করি। আমাদের মধ্য ছিলো সেই রকম প্রতিযোগিতা।
আমাদের নিজেদের মধ্য প্রতিযোগিতা না থাকলেও ছিলো মেঘার বাবার মধ্য।ও আমাদের বলা হয়নি মেঘা আমার বউয়ের নাম।আমরা ছোটে থেকে একসাথে পড়াশুনা করি।মেঘা বাবা আর আমার বাবা ছোটে বেলার বন্ধু আর এখন আমি আর মেঘা বন্ধু বললে ভুল হবে শত্রু বলা যায়।আমি ক্লাস ১ থেকে প্রথম হয়ে আসি আর মেঘা ২য় হয়।এ নিয়ে মেঘার বাবা মেঘাকে অনেক বখতো কারন ওই একবারও আমার আগে যাইতে পারতো না তারপর শুনতে পারলাম আমার আব্বু নাকি কখনও মেঘা আব্বু সাথে পড়াশুনায় পারে নাই। তাই এখন আমি তার প্রতিশোধ নিচ্ছি। কিন্তু একদিন আমার নোট খুজে পাইতেছি না।অনেক খোজাখোজি করার পরও পাইলাম না।আমার মনে হয় মেঘা নিয়ে গেছে।পরীক্ষার আছে মাত্র ২দিন এখন কি হবে খুজে উঠতে পারছিনা।তারপরওপরীক্ষা দিলাম কিন্তু এবার আমি প্রথম হতেপারি নাই এতোটা খারাপ লাগছে বলে বুঝাতে পারবো না।মনে হচ্ছে মেঘাকে খাইয়ে ফেলি।দুইদিন পর মেঘার আব্বু আমাদেরদাওয়াত দিয়েছে কিন্তু কি জন্য তা যানতামনা।আমি আব্বু আম্মু সবাই গেলাম।মেঘাদের বাসায় গেলাম।দেখি মেঘা অনেকসুন্দর করে সেজেছে। আর কেনো জানি মেঘাপেত্নী কে পরীর মতো লাগছে।আমি মেঘার কাছে গেলাম।
—কি পেত্নী কিসের জন্য অনুষ্ঠান রে।
—জানিস না।আমি তোকে পিছনে ফেলছি তাই জন্য(মেঘা হেসে হেসে)
—কি?? তুই তো চিটারি করছিস হারামি।
—আরে পড়াশুনা একটু চিটারি চলে।(মেঘা)
—সি তুই নিজে ভালো করার জন্য এমন করছিস। খালি নিজের স্বার্থের জন্য আমার নোটখাতা চুরি করছিস।আমি স্বপ্নেও ভাবি নাই তুইএমন করবি।আমি রাগ করে চলে আসলাম মেঘারবাসা থেকে।
—এই সোহাগ কোথায় যাও।(মেঘার আব্বু)
–কোনো কথা না বলে চলে আসলাম।সবাই অবাক হয়ে গেলো।
–কি হইছে মা। সোহাগ চলে গেলো কেন।(আম্মু)
—দারান আমি ওকে নিয়ে আসতেছি। (মেঘা)সোহাগ,,, এই সোহাগ। কই তুই??
—প্লিজ তুই আমার সাথে কথা বলবি না।
—দেখ আমি সরি বললাম।আর কখনও করবো না (মেঘা)
—তুই যাবি এখান থেকে প্লিজ।
–তোকে না নিয়ে যাবো না।(মেঘা)
—তুই যাবি এখান থেকে।
–তোকে নিয়ে যাবো হারামি(মেঘা)
–ওই কান ছাড়া বলছি।ব্যথা লাগছে।
–তাহলে বল যাবি।(মেঘা)
—না যাবো না।
–তুই যাবি না তোর বাপ যাবে।(মেঘা)
—আমার বাপ তো গেছেই।আরে ছাড় ছাড়, কান ছিরে যানে তো।
–তাহলে যাবি তো।(মেঘা)
–এখন তো যাওয়া লাগবে কি আর করা যাবে।
তারপর চলে গেলাম ওর সাথে।ওহহ আমি তো ভুলে গেছি আমার বাসা থেকে একটু দুরেমেঘার বাসা।তারপর একসাথে চলে গেলাম মেঘার বাসায়।খাওয়া দাওয়া করে চলে আসলাম।তারপর মেঘা আমার ভালো বন্ধু হয়ে যায়।তারপর আমরা দুইজন মিলে মিশে পড়াশুনা করি।আমাদের এসএসসি রেজাল্ট বের হইছে আমি আর মেঘা এক কলেজে ভর্তি হইছি।আজআমাদের কলেজের প্রথম দিন আমি রেডি হয়ে চলে গেলাম কলেজে।কলেজে প্রথম দিন কিছু কিছু নতুন বন্ধু আসছে তাই সবার সাথে পরিচিতহইতেছি।এমন সময় একটা মেয়েকে দেখে আমার মনে ঘন্টা বেজে গেলো।যেনো একটা পরী আসতেছে। আমি একটু আগে গিয়ে কথা বলতে লাগলাম।
–হাই আমি সোহাগ।
–হ্যালো আমি রিয়া।
—আপনি কি এবার নতুন নাকি কলেজে।
–হ্যা আপনি(রিয়া)
—হ্যা।আপনি কোন কলেজ থেকে আসছেন। আরে কোন সালা রে আমাকে মারলো।আরে মেঘা।
–তুই এখানে কি করিস আর এই মেয়েটা কে। (মেঘা)
–এটা তো জানার চেষ্টা করতেছি।
—তোর না জানলেও চলে চলে।(মেঘা)
–কি বলিস। তুই যা আগে আমি একটু কথা বলে যাচ্ছি।
—কোনো কথা বলা লাগবে না তুই চল।(মেঘা)
—দুর তুই যা না কেন।
—ওই মেয়ে কি করো এখানে যাও বলছি। তাড়াতাড়ি যাও।(মেঘা রেগে)
–আরে চলো গেলো।আচ্ছা তোর সমস্যা কি বলতো হমমম।
—আমার তো কোনো সমস্যা নাই। এইতো কত ভালো আছি।(মেঘা)
—দুর আর ভালো লাগে না।বলে চলে গেলাম ক্লাসে।বা সেই মেয়েটা আমার সাইটের ব্রাঞ্চে বসে আছে।আমি গিয়ে বসলাম সাথে লাগানো ব্রাঞ্চ।
–হাই
—হ্যালো। আচ্ছা তখন ওই মেয়েটা কে ছিলো তোমার জিএফ। (রিয়া)
—আরে না। আমার ভালো একটা বন্ধু।সব সময় আমার সাথে লেগে থাকে।
—হমম তাই তো মনে হয়েছে।(রিয়া)
–আমাদের কথা বলতে মেঘা চলে আসলো।এসে
–ওই মেয়ে ওইদিকে যাও আমি এখানে বসবো। (মেঘা)
—আরে অন্য সবদিকে তো ফাকা আছে ওইখানে বসেন।(রিয়া)
—আরে বসছি না আমি এখানে বসবো।(মেঘা)
–আরে তুই দেখ আশেপাশে অনেক ফাকা আছে ওইখানে গিয়ে বস।
—তুই একদম কথা বলবি না।চুপ করে থাক বলছি। (মেঘা)
–কি ঝগড়াটে মেয়ে।ওইখানে বসলো যাতে আমি আর কথা না বলতে পারি।
এভাবে কেটে গেলো অনেক কয়দিন। এখন রিয়া আমার সাথে কথা বলে কিন্তু লুকিয়ে। আমারও রিয়ার সাথে কথা বলতে ভালো লাগে।রিয়া আমাকে প্রোপোজ করে আমিও রাজি হয়ে যায়।তারপর সব সময় রিয়ার সাথে কথা হয় কিন্তু লুকিয়ে।একদিন রিয়া আমাকে জরিয়ে ধরে আছে আমিও রিয়াকে জরিয়ে ধরে আছি।কোথায় থেকে যে মেঘা হারামিটা চলে আসছে দেখতে পারি নাই। এসে
–কি হচ্ছে এইসব।(মেঘা রেগে আগুন)
–রিয়া দৌড় দিয়ে চলে গেলো। কিছু না তো।
–আমি কিন্তু সব দেখছি।তুই মেয়েটা জরিয়ে ধরে ছিলো কোনো।(মেঘা)
—সেটা কি তোকে বলা লাগবে।
—হ্যা অবশ্যই বলা লাগবে। (মেঘা)
—দুর যা আমার ইচ্ছা নাই বলার।
–দ্বারা আমি আম্মু আব্বু কে সব বলে দিবো। (মেঘা)
–হিহিহি তোর আব্বু আম্মু আমায় কি বলবে।তোর কথাটা মজা লাগলো আর অনেকদিন পর আসলাম।
—হাসতে থাক।আমার আব্বু আম্মু বলতে যাবো কেন তোর আব্বু আম্মু বলবো।(মেঘা)
–কি??এখনই না বললি তোর আব্বু আম্মু বলবি তাহলে আমার আব্বু আম্মুকে বলবি কেন।
–সেটাই তো।তোর আব্বু আম্মু তো আমার আব্বু আম্মু জানিস না।(মেঘা)
–কি??সেটা কিভাবে।
–তোর বুঝার বয়স হয়নি।তুই এখন আমার সাথে চলে।(মেঘা)
–কোথায় যাবো।
–তুই চলে আমার সাথে।(মেঘা) আমার হাতে টেনে নিয়ে যাচ্ছে মেঘা। রিয়া একটা গাছের নিচে বসে আছে সেখানে নিয়ে গেলো।
–এই মেয়ে তোর সাহস কি করে হয় সোহাগ কে জরিয়ে ধরা।(মেঘা)
–তাতে তোর কি আমি ওকে জরিয়ে ধরছি। (রিয়া)
—আমার কি মানে। আর কখনও সোহাগের আশেপাশে যেনো না দেখি।(মেঘা)
–বললে হলো আমি সোহাগ কে ভালোবাসি আর আমি ওকে জরিয়ে ধরবো ১০০ বার।(রিয়া) রিয়া আমাকে জরিয়ে ধরলো।আমার বুকে থেকে টেনে নিয়ে।
–তোর এতো বড় সাহস।ঠাসস ঠাসস (মেঘা) দিলো দুইটা থাপ্পড়। আমি খালি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওদের ঝগড়া দেখতেছি।
–আর কোনোদিন যদি আমার সোহাগের কাছে তোকে দেখি তাহলে তোর যে আমি কি করবো আল্লাহ ভালো জানে।(মেঘা) রিয়া কান্না করতে করতে চলে গেলো। কি করলে এটা মেয়েটা মারলি কেন।
–তুই চুপ করে থাক। একদম ওই মেয়ের হয়ে কথা বলবি না।(মেঘা)
–দুর আর ভাল্লাগেনা। বলে আমি বাসায় চলে আসলাম।
এসে খাওয়া দাওয়া করে দিলাম ঘুম।ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে টিভি দেখতেছি। এমন সময় আব্বু আম্মু ডাকতেছে।গিয়ে দেখি মেঘার আব্বু আম্মু আসছে আমাদের বাসায়।আমি একটু চিন্তা পরে গেলাম কারন এই অসময়ে তো তারা এখানে আসে না। তাহলে কি মেঘার কিছু হইছে না আর কি ভাবতে পারছি না।
–কেমন আছো বাবা।(মেঘার আব্বু)
—জি ভালো।আপনারা কেমন আছেন।
—ভালো।(মেঘার আব্বু)
–সোহাগ মেঘা নাকি পাগলামি শুরু করছে।ও নাকি তোকে বিয়ে করবে।(আব্বু)
–কি?? আমার মাথায় যেনো আকাশ ভেঙ্গে পরলো।কিন্তু আব্বু
—দেখো আমরা সবাই ঠিক করছি তোর সাথেই মেঘার বিয়ে দিবো।(আব্বু)
—কিন্তু আব্বু
—কোনো কিন্তু কিন্তু আমি শুনতে চাই না আমি যা বলছি তাই হবে ব্যাস।(আব্বু)
—দোস্ত একটু তুই সোহাগের কথাটাও একটু ভাব। (মেঘার আব্বু)
–ভাবাভাবির কিছু নাই। তুই আর আমি বন্ধু থেকে আত্ময়ীও হবো এর থেকে খুশির খবর আর হবে নাকি।(আব্বু)
–কি আর কথার বিয়ে যখন দিবেই।আমি গেলাম মেঘার কাছে মেজাজটা সেই পরিমাণ গরম হয়ে আছে।গিয়ে আগে মেঘাকে এক থাপ্পড় মনের যত রাগ আছে মনে করে থাপ্পড়টা দিয়েছি বুঝতো পারছেন কি অবস্থা।
—বেয়াদব টা কি করছিস এসব হমম।(রেগে)
–আমি তোকে ভালোবাসি। তোকে ছাড়া বাচতে পারবো না।(কান্না কন্ঠে মেঘা)
–মনে হচ্ছে।আরও দুইটা থাপ্পড় দিয়ে গালটা ফাটাই দেই।
–মার আরও মার।মারতে মারতে মেরে ফেল তাও আমি খুশি। (কান্না কান্না কন্ঠে মেঘা)
–ওর এই ইমোশনাল কথাগুলো শুনে কেমন যানি লাগছে।তুই আমাকে ভালোবাসিস।
—হমমম।অনেক বেশি ভালেবাসি।আমার জীবনের থেকেও বেশি।(মেঘা)
—তাহলে আমাকে বলিস নাই কেন।
–তোকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করছি কিন্তু তুই বুঝিস নাই। তোকে যেনো আমার থেকে কেউ আলাদা না করে এজন্য কোনো মেয়েরা সাথে কথা বলতে দেই নাই। (মেঘা)
–আহারে আমার পাগলি করে।মাথার মধ্য এতো বুদ্ধি নিয়ে ঘুমাও কিভাবে। আমার কথা শুনে মেঘা আমাকে জরিয়ে ধরলো। আর কান্না করতে করতে আমার শার্টটা ভিজে দিলো।এই মেঘার আব্বু চলে আসলো।মেঘা এই মেঘা।তোমার আব্বু আসছে ছেড়ে দাও এখন।
—না ছাড়বো না।এভাবে থাকবো সারাজীবন। (মেঘা)
–আরে এভাবে সারাদিন থাকিও এখন ছাড়া।
তারপর এমন ভাবে চলতে থাকলো আমাদেরভালোবাসা। পড়াশুনা শেষে আমি চাকরি পাইলাম।তারপর আমাদের বিয়ে দিয়ে দিলো। বিয়ে দুইদিন পর মেঘাকে নিয়ে ঘুরতে বের হইছি তখনই মিমের সাথে দেখা।ওর সাথেঅনেকখন কথা বলছি তাই মেঘা রাগ করছে।আর রাতে ওপরের কথা গুলো বললাম।এসব কিছু ভাবতে বুকের ওপর ভারি অনুভব করলাম।চোখ খুলে দেখি পাগলিটা আমার বুকের ওপর সুয়ে আছে।
—এই পাগলি যাও বিছানায় গিয়ে ঘুমাও।
–না আমি তোমার বুকের ওপর ঘুমিয়ে থাকবো। (মেঘা দুর এখন তো বউ)
–আচ্ছা ঠিক আছে ঘুমাও।এভাবে কেটে গেলো কয়েক মাস। আমার পাগলিটা কিছুদিনপর মা হবে।একদিন অফিসে গেলাম। কাজ করতেছি এখন সময় আব্বুর ফোন আছে মেঘা নাকি পরে গেছে।এখন হাসপাতালে অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বের হয়ে চলে গেলাম হাসপাতালে।দেখি আব্বু আম্মু বসে আছে বাহিরে।আমি গেলাম আম্মু কাছে।
–বাবা কি করে যে পরে গেলো আমি বুঝতে পারি নাই। (আম্মু) তারপর মেঘার আব্বু আম্মু আসলো।কিছুক্ষণ পর ডাক্তার আসলো। ডাক্তার অবস্থা আমার বউয়ের।
—কি করে যে বুঝাই আপনাদের।(ডাক্তার)
—প্লিজ ডাক্তার বলেন আমার বউ ঠিক আছে তো।
–আসলে পরে যাওয়ার কারনে আমাদের সন্তান মারা গেছে।আর অনেক রক্তক্ষরণ হওয়ার কারনে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না।(ডাক্তার)
–প্লিজ ডাক্তার আমার বউকে বাচান।যে করে হক আপনি আমার বউ বাচান।
–দেখুন আমরা আমাদের সব চেষ্টা করবো। বাকিটা আল্লাহ ইচ্ছা (ডাক্তার) এতোটা কষ্ট হচ্ছে বলে বুঝাতে পারবো না। প্রায় ২ ঘন্টা পর ডাক্তার আসলো কিন্তু ডাক্তারে মুখটা কেমন যেন লাগছে।ডাক্তার সাহেব আমার বউয়ের কি অবস্থা।
–সরি সোহাগ সাহেব আমরা আপনার বউকে বাচাতে পারলাম না।(ডাক্তার) আমার পায়ের নিচের মাটি যেনো নাই হয়ে গেছে।মাথা ঘুরছে আর আমি মাটিতে পরে গেলাম।তারপর আর কিছু বলতে পারলাম না।যখন চোখ খুললাম দেখলাম আমি বেডে সুয়ে আছি। আমি গেলাম মেঘার কাছে। গিয়ে দেখি স্বার্থ পরের মতে সুয়ে আছে আমাকে ছেড়ে। অনেক কান্না করেছিলাম।তারপর মেঘাকে জানাযা শেষে কবর দিয়ে চলে আসলাম।এখনও মেঘার স্মৃতি গুলো আমাকে কাদায়।এখনও ভুলতে পারি নাই সেই স্মৃতিময় দিনগুলো।