– ইয়া মাবুদ আমার মতো পিচ্চিটারেই পাইলা বিয়া দেওয়ার জন্য, আমার বাপটা আমারে কুরবানি দিয়াই ছাড়ল!!! ভয়ে ভয়ে রুমে যেতেই বউয়ের চিৎকার। হায় হায় কীইইই হয়েছে আপু, এই যা বউরে আপু ডাইকা ফালাইছি।
– ঐ আমারে কীইইই বললা।
– আসলে সবাইরে আপু বলে বলে অভ্যাস তো, আর আগে বিয়ে করিনি তো তাই হঠাৎ করে আপু বের হয়ে গেছে। আপনি টেনশন কইরেন না আমার দুই দিনেই ঠিক হয়ে যাবে।
– ঐ পোলা তোর সাথে আমার বিয়ে হয়েছে বলে স্বামী গিরি দেখাতে আসবানা, নেহাত আব্বুর কথা ফেলতে পাড়ি না তাই, না হলে তোমার মতো পিচ্চিরে বিয়ে করতে আমার বয়েই গেছে।
– ঐ কীইইই বললেন, আরে আপনার কপাল ভাল যে আমার মতো এমন একটা কিউট সুইট জামাই পাইছেন, কার ভাগ্যে হয় শুনি। আমার ও বিয়ে করার কোন শখ নাই বুঝলেন, ঐ সালা বাপটার কথাই রাজি হইছি এই মাত্র।
– হুমমমম হইছে, এবার পিচ্চি বাবুর মতো বেলকনিতে গিয়া ঘুমায়ে পড়ো যাও!!!
– কীইইই!!! আমি ঘুমাবো বেলকনিতে, ঐ আপনার কোনো দয়া মায়া নাই!!! এমনিতেই কীইইই ঠান্ডা তার মধ্যে বেলকনিতে ঘুমাবো।
– ঐ তাইলে কীইইই হুমমমম আমি কোন পিচ্চির সাথে ঘুমাতে পারব না।
– আল্লার দোহায় লাগে আমারে আর পিচ্চি কইয়েন না কেমন। আর বিয়ে করার আগে মনে ছিল না হুমমমম।
– হুমমমম ছিল ঐ যে আব্বুর ভয়ে করতে হইছে।
– থাক থাক সব বুঝি আমি।
– ঐ কীইইই বোঝ শুনি।
– আমার মতো একটা কিউট ছেলেরে হাত ছাড়া করবা না তাই, হি হি হি।
– ঐ কীইইই বললা।
– না কিছু না, আপনি থাকেন কেমন, আমি আইসক্রিম খাইতে যামু!!! বলেই চলে আসছিলাম।
– ঐ দাঁড়াও আমি ও যাব।
– কীইইই আপনি যাবেন মানে, নতুন বউ কেউ দেখলে কী বলবে।
– আরে যা বলে বলুক তুমি নিয়া যাবা কী যাবা না।
– হি হি হি এমন একটা সু্ন্দর মেয়ের কথা কেউ ফেলতে পারে!! কিন্তুু আমি তো যাব পাঁচিল টপকে। আপনি যেতে পারবেন??
– ঐ তখন থেকে কীইইই আপনি আপনি করছো তুমি করে বলো।
– হি হি ওকে, আর হ্যা পরে কিছু হইলে কিন্তুু আমার কোনদোষ নাই। বলে দিলাম কিন্তু!!!
– ঠিক আছে চলো।
– ওই এই সব গয়না শাড়ি পড়ে যাবা নাকি।
– হুমমমম।
– আল্লাহ কী করমু আমি,
এই সব পরে পাঁচিল টপকাতে পারবা হুমমমম!!! অন্য কিছু পড়ে এসো যাও। তারপর আমি একটা মই নিয়ে আসলাম, চোরের মতো, তার পরে বউটারে উপরে তুলে যেই আমি উঠতে যাবো, তখন রফিক চাচা মানে আমাদের কাজের লোক জোরে বলে উঠল চোর চোর চোর!!! একবার ভাবেন আজকে আমার বাসর রাত, কই আমি বিড়াল মারবো তা না আমি বউরে নিয়া পাঁচিল টপকে আইসক্রিম খাইতে যাইতেছি। তারপর দুই জনে দিলাম দৌড়। আমার পাগলী বউটার অবস্হা দেখে আমার খুব হাসি পাইলো তাই আমি একটা হাসি দিলাম।
– ঐ হৃদয় হাঁসো কেন।
– আরে কি বলবে বলো আজকে আমাদের বিয়ে হইছে,আর বিয়ের দিন সবাই চোর বলে দৌড়ানি দিল। আচ্ছা তুমি আমার নাম জানলে কেমনে।
– আরে আব্বু বলছে, আর তোমার ব্যাপারে আমি সব জানি হি হি।
– কীইইই মেয়েরে বাবা, আমি তো ওর নামটা এখন অবদি জানি না। আচ্ছা তোমার নাম কীইইই।
– ঐ বিয়ে করছ বউয়ের নাম যানো না।
– না মানে তোমারে প্রথম দেখেই ভাল লাগছিল তো তাই আর নাম শুনিনাই, ভাবছিলাম বাসর ঘরে শুনবো, কিন্তুু দেখো আমার কপাল। ঐ এখনো নাম বললা না তো।
– আমার নাম বুশরা।
– আচ্ছা তুমি কেনো আমার মতো এমন একটা পিচ্চিকে বিয়ে করলে শুনি।
– কার কপালে এমন কিউট পিচ্চি জামাই জুটে বলো!!! ঐ আজকে কিন্তুু আমাকে নিয়ে ঘুরবা কেমন??
– হুমমমম, অলরেডি ঘুরতেছি ম্যাডাম। চলেন আইসক্রিম খাই। আহা কত্ত সু্ন্দর কইরা আইসক্রিম খায়, জীবনে ভাবিনাই এমন সুন্দর বউ হইব আমার আহা কী ভালা কপাল আমার।
– মামা টাকা দেন।
– হায় হায় টাকা তো আনি নাই, বুশরা তোমার কাছে ৫০টাকা হবে প্লিজ। আমার না টাকা আনতে মনে নাই।
– কীইইই হনুমান, এই নাও ধরো টাকা। হি হি হি কীইইই ভালো বউ আমার প্রথম রাতেই বাঁচাইছে!!!
– আচ্ছা বুশরা তুমি একবার দেখেই কেন বিয়েতে রাজি হলে।
– আরে কে বলছে একবার দেখছি, একবার তুমি ডাব চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ছিলে মনে আছে!!!
– হুম সেটা তো সেই দুই বছর আগে।
– তোমার বাবা সবার সামনে কান ধইরা দাঁড় করাই রাখছিল, হি হি কী যে কিউট লাগছিল সেদিন!!!
– ঐ তার মানে তুমি ও ছিলে সেদিন।
– হুমমমম বাঁদর তোমার সব দুষ্টুমির খবর যানি, আর এটা ও যানি আজকে ও তোমারে কান ধরাই রাখা হবে।
– কীইইই, কিন্তুু কেন।
– কারণ আসার সময় আমি দরজা খুলে রেখে আসছি, হি হি হি
– কীইইই, ওই কীইইই করছ এইটা, কেমন ফাজিল মেয়েরে বাবা। আচ্ছা বুশরা কেমন মজা না, আমরা বাসর রাত বাদ দিয়ে রাস্তাই ঘুরতেছি।
– হুমমমম আর সেই জন্যই তো আমি এই বাঁদরটারে বিয়ে করছি।
– তুমি না দেখতে হেব্বি সুন্দর, খালি পাপ্পি দিতে মন চাইতেছে। হি হি হি
– ঐ কীইইই বললা ফাজিল পোলা।
– একটা কথা বলি???
– হুমমমম বলো শুনি।
– আপু আমারে একটু ভালাবাসবা!!!হি হি হি
– ঐ কীইইই বললি দাঁড়া একবার।
– আমি দৌড় দিছি বুশরা ও দৌড়াইতেছে, হঠাৎ আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। তারপর বুশরা আমাকে ধরে বলল,
– ঐ এবার কই যাবি হুমমমম, ভাল করে প্রপোজ কর না হলে খুন করে ফেলব।
– ওকে বাবা করছি, আচ্ছা বুশরা তুমি কি পিকলু এর দাদি হবা পিলিজ।
– ঐ এইটা কেমন কথা হুমমমম, একটা চর দিব!!
– আরে আমাদের ছেলের ছেলে হলে ওরনাম পিকলু রাখব বুঝলা।
– এই এবার যদি বাঁদরামি করিসআমি আর কথাই বলব না।
– এবার সোজা বুশরার হাত ধরে বললাম, তোমার বাঁদরটাকে প্রতিদিন একটা করে পাপ্পি দেওয়ার অধিকার দিবা।খুব ভালবাসব তোমায়, তুমি কি আমায় তোমার একটু ভালবাসা দিবা??
– হুমমমম পিচ্চি বাবুটা আমার!! দিবো তো।
– হি হি আচ্ছা এবার চলো বাসাই যাই।
– আবার সেই একি ভাবে পাঁচিল টপকে রুমেগিয়ে আমার ত চোখ কপালে উঠে গেলো!! আমি দেখি সবাই আমার রুমে বসে আছে, আমাদের এমন ভাবে দেখছে যেন আমরা আকাশ থেকে দুই জন ইলিয়েন নামছি!
– হঠাৎ ঠাসসসসসস আমার গালে, ঐই তুই কী মানুষ হবি না?? বাসর ঘরে ও বাঁদরামি, কান ধর, আরো যে যা পারে বকা দিয়ে চলে গেল। বুশরা শুধু হাঁসছে।বুশরা দরজা লেগে দিয়ে এসে একদম হেঁসে হেঁসে শেষ।
– ঐ হাঁসবা না বুঝলা।কত্ত জোরে চরটা লাগছে ওহহহহহ।
– তাই বুঝি বাবু, এসো একটু আদর করে দিই কেমন, বলেই পাপ্পি দিল!!
– প্রতিদিন এমন পাপ্পি দিও কেমন??
– ঠিক আছে প্রতিদিন এমন পাপ্পি খেওকেমন, হি হি হি।।
ওর হাঁসি মুখে আমি ও একটা পাপ্পি দিলাম আমিও কিছু কম না তো হি হি।মনে হয় বাসর রাত শুরু হয়ে গেল। ঐ আপনারা কিন্তুু চোখ মুইজা থাকবেন কেমন হি হি হি।।।।।।।
সমাপ্ত