ইরা মন খারাপ করে রুমে বসে আছে।কিছু ভালো লাগছে না তার।ড্রাইভারের চাহনিটা তার কাছে কেমন কেমন যেন ঠেকে।মনে হয় জামা কাপড় ভেদ করে শরীর দেখার চেষ্টা করছে। কি অসহ্য ব্যাপার! ইরা নবম শ্রেণির ছাত্রী। বাবা মা দুজনই চাকরিজীবি তাই ড্রাইভার ই তাকে স্কুল থেকে আনা নেয়া করে।ইরা অনেক বার চেয়েছে রিক্সা করে একাই যেতে।কিন্তু বাবা মা তাকে একা যেতে দিতে রাজি হন নি।
ইরা মনে মনে ভাবছে,আগের ড্রাইভার আংকেল টা ভালো ছিলো।তাকে মেয়ের মত আদর করতো।কিন্তু এই লোকটা কে তার ভালো লাগছে না।এটা তার অহেতুক সন্দেহ ও হতে পারে।কিন্তু কেন যেন মন খচখচ করতে থাকে। “আপা খাবেন না?আম্মায় বইলা গেছে আপনি স্কুল থেকে ফিরলে কিছু খাইয়া নিতে”। রহিমার মায়ের কথায় ইরার ভাবনায় ছেদ পড়লো। ” তুমি টেবিলে খাবার দিয়ে দাও।আমি ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নিবো।”বলে ইরা ওয়াশরুমে চলে গেলো।
বাবা মার ফিরতে ফিরতে বেশ রাত হয়ে গেলো।ডিনারটা একসাথেই করে তারা।ডিনারের সময় ইরা একবার ভাবলো ড্রাইভারের ব্যাপারে মা বাবা কে কিছু বলবে।কিন্তু কিভাবে কি বলবে গুছিয়ে উঠতে পারলো না।তাই আর কিছু বলা হলো না। পরদিন স্কুল থেকে ফিরার পথে ড্রাইভার জিজ্ঞেস করলো “আপামনি আইসক্রিম খাবেন?এনে দিবো”? আইসক্রিম ইরার খুব পছন্দ।আইসক্রিমের নাম শুনলেই তার আইসক্রিম খেতে ইচ্ছে হয়। ” আচ্ছা এনে দিন।আব্বুর কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিবেন।আর বাটার স্কচ নিয়ে আসবেন”।
গাড়ি সাইডে রেখে ড্রাইভার আইসক্রিম আনতে গেলো।ফিরে এলো অনেক্ক্ষণ পর।ইরা ভেবে পেলো না একটা আইসক্রিম আনতে এত সময় কিভাবে লাগতে পারে।জিজ্ঞেস করতে যেয়েও আর করলো না। আপন মনে আইসক্রিম খেতে লাগলো।খাওয়া শেষ হতেই তার খুব ঘুম পেলো।চেষ্টা করেও সে আর জেগে থাকতে পারলো না।কিছুক্ষণের মধ্যে সে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলো।ঘুমিয়ে পড়ার আগে ইরা এত টুকু বুঝতে পারলো,আইসক্রিমে কিছু মেশানো হয়েছিলো।
ঘুম ভাংগার পর ইরা বুঝতে চেষ্টা করলো সে কোথায় আছে।তার এখন বাসায় থাকার কথা। কিন্তু সে বাসায় না।সে এখন একটা পুরনো গুদামের ভিতর। তার হাত পা বাধা।শত চেস্টা করেও দড়ির বাধন এতটুকুও আলগা করতে পারলো না।সে তার সামনে ড্রাইভার কে এগিয়ে আসতে দেখলো।সাথে আরো দুজন গুন্ডা মত লোক। “আমাকে এখানে এনেছেন কেন?আর বেধেই বা কেন রেখেছেন”। ইরা চেচিয়ে উঠলো।” যথেষ্ট বড় হয়েছো।এটা নিশ্চয়ই তোমাকে বুঝিয়ে দিতে হবে না তোমাকে এখানে কেন আনা হয়েছে।আর এটাও বুঝাতে হবে না এখন তোমার সাথে কি হতে যাচ্ছে”।বলে শয়তানি হাসি দিলো ড্রাইভার। সাথে তার দুই সাংগো পাংগো অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো।
ইরা বুঝতে পারছে তার সাথে কি হতে যাচ্ছে।এরকম অসংখ্য ঘটনা সে ক্রাইম পেট্রোলে দেখেছে।পত্রিকায় এরকম অনেক ঘটনা সে পড়েছে।কিন্তু কখনো ভাবতে পারে নি এমন কোন ঘটনা তার সাথে ঘটবে।এরকম একটা ঘটনা আজ তার সাথে ঘটতে যাচ্ছে।ইরার জগৎটা হঠাৎ ছোট হয়ে আসতে লাগলো। তার চারপাশটা অন্ধকার হয়ে যেতে লাগলো।এই মধ্যদুপুরে ও এত অন্ধকার হয় ইরার জানা ছিলো না।ইরা জ্ঞান হারিয়ে ফেললো।
ইরা হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে।পাশে মা ব্যাকুল হয়ে কাদছে।বাবা গম্ভীর মুখে কেবিনের ভিতর পায়চারি করছে আর বারবার আওড়াচ্ছেন “ছাড়বো না,একটা কেও ছাড়বো না”। ইরাকে তারা ওর বাড়ির সামনে ফেলে রেখে গিয়েছিলো। বাবা মা খবর পেয়ে তাড়াতাড়ি তাকে হসপিটালে নিয়ে যান। পুলিশ এসেছে ইরার স্টেটমেন্ট নিতে। ” আপনি চাইলে স্টেটমেন্ট দিতে পারেন।আমার সংগে ম্যাজিস্ট্রেট আছে”। ইরা স্টেটমেন্ট দিলো।কিছুই বাকী রাখলো না।স্টেটমেন্ট দেয়ার সময় ইরার মা হাউমাউ করে কেদে ফেললো। ইরার বাবা অফিসারকে বললেন”যে কোন মুল্যে আসামীদের শাস্তি চাই।এর জন্য যত টাকা খরচ করা লাগে করবো।তবু যেনো শাস্তি হয়”। “আপনি নিশ্চিত থাকুন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।
পত্রিকার প্রথম পেইজে ইরার ধর্ষনের খবর ছাপা হয়।আসামী ধরা পড়েছে।রিমান্ডে নেয়ার পর সব স্বীকার ও করেছে।ইরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করলো আসামীর শুধু জেল হয়েছে।ধর্ষকের শাস্তি তো মৃত্যুদন্ড হওয়া উচিত ছিল। দশ বছরের জেল হয়েছে।ইরা মনে মনে হিসেব করলো, ড্রাইভারের বয়স পঁচিশ কি ছাব্বিশ হবে।দশ বছর পর হবে পয়ত্রিশ।জেল থেকে বেরিয়ে সে পুনরায় এই কাজ করবে না তার কি গ্যারেন্টি আছে?সমাজের এই কিট গুলোকে বাচিয়ে রাখাটা কি খুব জরুরি? ইরার কাছে ধর্ষকের শাস্তিটা যথেষ্ট মনে হচ্ছে না।
বারান্দায় বসে সুর্যাস্ত দেখতে দেখতে তার মনে হলো,তার জীবনের হাসি, আনন্দ স্বপ্ন কি তবে এই সুর্যের মতই ডুবে গেলো? একটা ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের মত ঘটনা তার জীবনকে উলট পালট করে দিলো।আত্নীয় স্বজনদের সামনে যেতে পারছে না।স্কুলের প্রধান আলোচনার বিষয় সে।পাড়াপ্রতিবেশিরা আড়ালে তাকে নিয়ে কথা বলছে।মা বাবার মুখের দিকে তাকাতে পারছে না।কি আশ্চর্য, ধর্ষকের থেকে তো সেই বেশী শাস্তি পাচ্ছে।মানুষিক শাস্তি। তার জীবনটাই তো বিনা অপরাধে নরকে পরিনত হয়ে গেলো। আচ্ছা সে কি আত্নহত্যা করবে?ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়বে?নাকি ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে ঝুলে পড়বে? ইরা বারান্দা থেকে নিচের দিকে তাকালো।কেমন যেন গা শিউরে উঠলো। আত্নহত্যা করতে বুঝি অনেক সাহসের প্রয়োজন হয়?ইরা ভেবে কুল পাচ্ছে না তার এখন কি করা উচিত।
পনেরো বছর পর……….
সুর্যাস্তের পর যেমন পরদিন নতুন সুর্যের দেখা মিলে,তেমনই মানুষের জীবনের হাসি আনন্দও একেবারে ডুবে যায় না।জীবন ক্ষনে ক্ষনে রঙ বদলায়। ইরার জীবন ও তাই। ইরা নিজেকে শেষ করে দেয়নি।ঘুরে দাড়িয়েছে।আজ সে একজন সফল ডাক্তার।তার সফলতা অর্জনের পিছনে বাবা মায়ের প্রচুর সাপোর্ট ছিলো।তারা ইরাকে নিয়ে অন্য শহরে চলে যান।সেখানে সে অন্য সাধারন মেয়েদের মত বড় হয়।সেখানে কেউ আংগুল তুলে তাকে দেখিয়ে বলতো না “ওই যে মেয়েটা যাচ্ছে,ও কিন্তু ধর্ষিতা”। তার জীবনের কালো অধ্যায়টিকে সে দুঃস্বপ্ন ভেবে ভুলে থাকার চেষ্টা করেছে।পড়াশোনায় প্রচন্ড মেধাবী ছিলো।মন প্রান দিয়ে পড়াশোনা শেষ করে। আজ সে একজন সফল ডাক্তার হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। ইরা বুঝতে পারে,আত্নহত্যাটা কোন সমাধান হয়।ঘুরে দাড়াতে পারাটাই আসল সমাধান।আত্নহত্যা করতে সাহসের প্রয়োজন হয় না।ভীতুরাই আসলে আত্নহত্যা করে।সাহসের প্রয়োজন হয় ঘুরে দাড়ানোর ক্ষেত্রে।
হসপিটালে ডিউটিরত অবস্থায় তার কাছে ইমারজেন্সি রোগী আসে।পনেরো ষোল বছরের একটা মেয়ে।ধর্ষন করে রাস্তায় ফেলে রেখে গিয়েছে।ইরার চোখের সামনে পনেরো বছর আগে তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা ভেসে উঠে। তাড়াতাড়ি মেয়েটিকে ওটিতে নেয়া হয়।মেয়েটা বেচে যায়।কিন্তু পত্রিকা ফেসবুক সব জায়গায় সে ভাইরাল হয়ে যায়।ধর্ষককেও খুজে বের করা হয়।জেলেও নেয়া হয়।কিন্তু জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়।বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়।হয়তো নতুন কোন শিকার ও খুঁজতে থাকে।এরা তো মানুষ হয় না।এরা জানোয়ার হয়,জানোয়ার। পুরো ব্যাপারটা লক্ষ্য করে ইরার অসহ্য লাগে।নাহ সে আর নিতে পারছে না।ফোন বের করে জিসানকে কল করে।জিসান তার সাথে মেডিকেলে পড়েছে।বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলো তার।বর্তমানে সেও একজন ডাক্তার।
” কিরে,কি মনে করে ফোন করেছ মনা”?জিসান ফাইজলামি করে বলে। “দেখ আমি ফাইজলামির মুডে নাই।সিরিয়াস হ”। ” ওকে ওকে,বল কি হইছে”? “সম্প্রতি একটা নিউজ দেখেছিস?একটা মেয়ে রেপ হয়েছে?রেপিস্টটা জামিনে ছাড়া পেয়ে গেছে”।” হ্যা দেখেছি” “ওই ধর্ষককে ধরার ব্যাবস্থা কর।ওকে আমার চাই।” “কিন্তু তুই কি করতে চাচ্ছিস বলবি তো”? জিসান ইরার কথা শুনে যারপরনাই অবাক হয়েছে। ” হুম বলবো,সন্ধ্যায় পিজ্জা হাটে আসবি।সেখানে সব বলবো।আবির আর রাখিকেও আসতে বলবি।আমি ঠিক সন্ধ্যা সাতটায় তোদের জন্য অপেক্ষা করবো।ওদের নিয়ে আসার দায়িত্ব তোর”। “আচ্ছা আসবো”।
ইরা ফোন রেখে দিলো।অনেক দিন পর আবিরের সাথে দেখা হচ্ছে তার।মেডিকেলে তারা সবাই একসাথে পড়েছে।তখন থেকে আবিরকে ভালোবাসতো সে।কিন্তু কোনদিন বলা হয় নি।তার অতীত সম্পর্কে জানতে পেরে যদি আবির তাকে ফিরিয়ে দেয়।ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যান হওয়াটা বড়ই যন্ত্রণার।এই যন্ত্রণা সহ্য করাত ক্ষমতা ইরার নেই।তাই সে সব সময় আবিরের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেছে।
পিজ্জাহাটে তারা চারজন মুখোমুখি বসেছে।মেরুন রঙের জামাতে ইরাকে দারুন সুন্দর দেখাচ্ছে।ইরা লক্ষ্য করলো আবির বার বার তাকে দেখছে।আবিরের চাহনিতে ইরার ভেতরের সব কিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।সে যথেষ্ট চেষ্টা করছে স্বাভাবিক থাকার। ইরা তার প্ল্যান খুলে বললো। ” কি বলছিস তুই।”রাখি চোখ কপালে তুলে বললো।তার হাত থেকে পিজ্জার টুকরো পড়ে গিয়েছে।সে যথেষ্ট অবাক হয়েছে ইরার প্ল্যান শুনে। “আমি যেটা বলছি ভেবেই বলছি।তোরা ভেবে দেখ”। ইরার জবাব। ” ব্যাপারটা কিন্তু বে আইনী।ধরা পড়লে কি হবে কে জানে”।জিসান পিজ্জার টুকরো চিবুতে চিবুতে বললো। “আমরা গোপনে করবো।কেউ কিচ্ছু টের পাবে না।আর টের পেলেও আমরা করেছি জানতে পারবে না।”
“আমার মনে হয় ইরা ঠিকই বলছে।” আবির বললো।”এর থেকে ভালো শাস্তি হতে পারে না”। আবিরের কথায় সবাই একমত হলো।এবং সবাই রাজি ও হয়ে গেলো। ইরা এখন একটা পুরনো গুদামের ভেতর আছে।সাথে আবির জিসান আর রাখিও আছে।তাদের সবার মুখে মাস্ক পড়া। ধর্ষক ছেলেটাকে একটা টেবিলে শুইয়ে রাখা হয়েছে।হাত পা মুখ সব বাধা।ইরা দেখলো ছেলেটার বয়স খুব বেশি না।আঠারো কি উনিশ হবে।এই ছেলে এই বয়সেই এমন একটা কাজ করেছে ভবিষ্যতে না জানি আর ও কত মেয়ের জীবন নস্ট করতো ভেবে ইরা শিউরে উঠলো।
ইরা ছেলেটার সামনে গিয়ে দাড়ালো। ছেলেটা আতংকিত চোখে তাদের দিকে চেয়ে আছে।বুঝার চেষ্টা করছে তার সাথে ঠিক কি হতে যাচ্ছে। “চিন্তা করো না”। ইরা ছেলেটাকে বলতে লাগলো।” তোমাকে আমরা মারবো না।তোমাকে খুন করে জেলে যাওয়ার কোন ইচ্ছা আমাদের নেই।তবে তুমি যে কাজ করেছো তার জন্য তো শাস্তি পেতে হবে তাই না?ভবিষ্যতে যেনো এধরণের অন্যায় করতে না পারো সে জন্য আজ তোমার ছোট্ট একটা অপারেশন করা হবে।এর পর থেকে কোনো মেয়েকে রেপ করা তো দুরের কথা,সামান্য উত্তেজনা ও অনুভব করতে পারবে না। এটাই তোমার শাস্তি।পুরুষ হয়েও সারাজীবন পুরুষত্বহীন হয়ে বেঁচে থাকবে”। ছেলেটা বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।ছটফট করে কিছু বলার চেষ্টা করছে কিন্তু মুখ বাধা থাকায় কিছু বলতে পারছে না।শুধু গোংগানোর মত শব্দ হচ্ছে।
“রাখি এনেস্থিসিয়া টা দিয়ে দে”। ইরা বলতেই রাখি এনেস্থিসিয়া দিতে গেলো।কিন্তু ছেলেটা বড্ড ছটফট করছে।
রাখি বললো” দেখ,নড়াচড়া বন্ধ করো।নাহলে সুই কিন্তু তোমার মেরুদন্ডে আটকে যাবে।” ছেলেটা ভয় পেয়ে নড়াচড়া বন্ধ করে দিলো। এনেস্থিসিয়া দেয়ার পর ছেলেটার কোমরের নিচ থেকে শরীর একেবারে অবশ হয়ে গেলো।শরীর টা নড়াচড়া করার বিন্দু মাত্র ক্ষমতা তার ছিলো না। আবির অপারেশন শুরু করলো এবং কিছুক্ষণ পর ছেলেটার প্রজনন ক্ষমতা একেবারে নষ্ট করে দিলো।
অপারেশনের পর ছেলেটাকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে আসলো। যেভাবে সে মেয়েটিকে রাস্তায় ফেলে গিয়েছিলো।তারা চারজন ঠিক করলো, আজকের পর থেকে যত রেপ হবে, রেপিস্টদের তারা এইভাবে শাস্তি দিবে।যাতে সমাজের এই বিষাক্ত প্রানীগুলো অন্য কোনো মেয়ের ক্ষতি করতে না পারে। আবির ইরাকে গাড়িতে করে বাড়ির সামনে নামিয়ে দিলো।ইরা গাড়ির দরজা খুলবে এমন সময় আবির তার হাত ধরে আটকালো। অবাক হয়ে আবিরের দিকে তাকালো ইরা।
“একটা কথা ছিলো”। আবির ইতস্তত করে বললো। ” বলো” “বিয়ে করবে আমায়”? আবিরের কন্ঠে আকুতি। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ইরা বললো” আমি ধর্ষিতা আবির”। “জানি”। ” জেনেশুনেও বিয়ে করতে চাইছো”?? “এখানে তো তোমার কোন দোষ ছিলো না ইরা।তাছাড়া খুব ভালোবাসি তোমায়”। ” ভালোবাসা না করুনা”??
“করুনা তুমি আমাকে কর।সত্যি বলছি ভালোবাসি খুব।ইরাবতী আমাকে শুধু একটা সুযোগ দাও।কথা দিচ্ছি এক ফোটা জল আসতে দিবো না তোমার চোখে।শুধু একটা সুযোগ দাও।” আবিরের আকুতিভরা কন্ঠ ইরার হৃদয় ছুয়ে গেলো।আবিরকে উপেক্ষা করার ক্ষমতা তার নেই।ভালোবাসার মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যান হওয়াটা যন্ত্রণার হলেও ভালোবাসার মানুষের কাছে “ভালোবাসি” শুনতে পারাটা বড়ই ভালোলাগার। ইরা চোখ ভর্তি আনন্দ অশ্রু নিয়ে আবিরের দিকে তাকিয়ে রইলো।