— এই বেলা ১০ টা বাজে, বিয়ের দিনও তোর দেরি করে উঠা লাগে?
— উফফ!! মা বিয়ে বলে কি ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠতে হবে ৷ আর শশুড় বাড়িতো বেশি দুরে না, মাত্র ২৪ খানা পা সিড়ি উপরে উঠলেই হবে (চশমাটা চোখে দিয়ে উঠে বসলাম)
— তাই বলে কি বিয়েটাকে অবহেলা করবি নাকি?
— আচ্ছা মা তোমরা কি আর ছেলে পাইলা না? ওইরকম একটা বাচাল ছেলেকেই পাইলা?
— তুই চুপচাপ থাকবি বলে কি সবাই তোর মতো হবে নাকি?
— যাও এখান থেকে মেজাজ খারাপ করো না বলেই একটা বই পড়তে নিলাম ওমনি মা হাত থেকে বইটা নিয়ে বলল,
— উঠবি নাকি বইয়ের সাথে চশমাটাও নিতে হবে?
কথা না বলে বইটা নিয়ে ছাদে চলে আসলাম৷আর এইখানে শুরু হইছে ওই ছেলের বকবকানি,সারাদিন মেয়েদের সাথে বক বক করেই যায় ৷ আর কি সব আজেবাজে কথা বলে, জানপাখি, জানু, সোনা, ময়না, বেবি, লাভ ইউ, কিস ইউ, মিস ইউ ইত্যাদি ৷ আর আজ তার বিয়ে তাও কথা বলে৷বইটা নিয়ে দোলনায় বসে তাদের প্রেমালাপ শুনছি৷
— এই মেয়ে এই আজও তোমার বই নিয়ে ছাদে আসতে হলো?
— কেনো তাতে আপনার সমস্যা কি?
— প্রতিদিনই বই নিয়ে আসো, আর আমাদের কথা গেলো?
— লজ্জা বলতে একটা শব্দ আছে জানেন? সেইটাও আপনার মধ্যে নাই, বিয়ের দিনও মেয়েদেরকে কিস ইউ মিস ইউ বলে বেড়ায় সে যে কত ভাল ছেলে তা আমার ভালো করে জানা আছে৷ (বইয়ের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বললাম)
— তো কি করবো তোমার মতো সারাদিন বই নিয়ে পড়ে থাকবো নাকি? আর এই মেয়েআমরা কি না কি কথা বলি, তা আড়ি পেতেশোনা লাগে?
— আজব আমি কেন কান পেতে শুনতে যাবো ? এতো জোরে জোরে কথা বলেন তা না শুনে উপায় আছে ? (বইয়ের দিকে তাকিয়েই ) ওমনি বইটা হাত থেকে নিয়ে বলল,
— যাও এইখান থেকে সেই কখন থেকে, তখন থেকেই বকবক করেই যাচ্ছো ৷ এই আর কোন ছেলে পাইলা না, আমাকেই চোখে পড়ল? কিছু বলতে যাবো ওমনি তার ফোন আসলো,
— হ্যা জাহানারা বলো, কেমন আছো তুমি ?
আরে জাহানারা মানে বুঝো না? আরেপাশে একটা চশমিশ আছে, যদি জান বলে ডাকি তো আম্মার কাছে বলে দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি৷ কিছু না বলেই চলে আসলাম, চুল ছিড়তে ইচ্ছা করছে ৷ আর কোন ছেলে পাইলো না এই বাচাললুচু ছেলেই আমার কপালে জুটলো?বিয়েটা আমাদের হয়ে গেল ঘরোয়া ভাবেই, ঘর ভর্তি মেহমান৷ পাশাপাশি বসে আছি দুজন হঠাৎ মেসেজ আসলো, “বেবি কি হইল তোমার, তুমি কি সত্যই ওই কানি চশমিশটাকেই বিয়ে করবে? মেসেজটা দেখে পন্ডিতের দিকে তাকিয়ে দেখি শয়তান ছেলে মুচকি মুচকি হাসে৷
— এই যে ওইভাবে চশমার ফাক দিয়ে তাকানোর কি আছে ৷ জাহানারা কি খারাপ কিছু বলছে ? কিছু বললাম না চশমাটা ঠিক করে সামনের দিকে তাকালাম ৷ বুঝি না বদ ছেলের বাবা মা এতো ভালো আর ছেলে এমন হইলো কেন? বউ সেজে বসে আছি, শয়তানের হাড্ডি মনে হয় তাহার জাহানারাকে নিয়ে ব্যাস্ত ৷ কতক্ষন ধরে বসে আছি একা একা বইটা থাকলেও কাজে দিতো, তার থেকে বাসা থেকে নিয়ে আসি ৷ যেই ভাবা সেই কাজ শাশুড়ির কাছে অনুমতি নিয়ে বাসায় গেলাম৷ বাসায় যেতেই মা বলল,
— এই বেলা কি হইছে তোর, ইয়েন তোরে কিছু বলছে?
— না তো, ওই বদ ছেলে বাসায় নাই, তাই সময় কাটানোর জন্য আমার বই নিতে আসলাম ৷ কি হইল হা করে কি দেখছো?
— এখন বই পড়বি?
—হু রুমে এসে দেখি শয়তান ছেলে খাটের উপর বসে আছেন৷ রুমে ঢুকতে ভূত দেখার মতো তাকিয়ে আছে
— কি হইল ওই ভাবে কি দেখছেন? কি হইল ছবি তুলছেন কেনো?
— এরকম দৃশ্যে বাক্স বন্ধি করতে চাই
— মানে??
— ইয়ের রাত মানে বিয়ের রাতে বউ সেজে এতগুলো বই হাতে দেখা তো আমার সৌভাগ্যের ব্যাপার৷
— ভূতের মুখে রাম নাম, এতক্ষন নিজে বক বক করে আসছে আর আমি বই পড়লেই দোষ?
— এই মুখে মুখে একদম কথা বলবা না বলে দিলামলাইট বন্ধ করো
— না, লাইট বন্ধ করলে ভয় লাগে
— কিসের ভয়?
— ভূতের
— আমিতো বড় ভূত, ঘুমাও রাতে তোমার কি হাল করি দেইখো ৷
আর কিসব মাখছো মুখে দুপুরেইতো দেখলাম চিকন আর এখন তো হাতির মতো হইলা কেমনে? শোন মেয়ে আটা ময়দা আনলে স্বামীরে খাওয়াও, তা আবার মুখে দিও না ৷কি আর বলবো আল্লাহ আমার জন্য এইরকম কানি ঠিক করে রাখলো আগে জানলে বিয়েই করতাম না৷ জানি না আল্লাহর কোন পাকা ধানে মই দিছি ৷ এইরকম একটা ঘরকুনো মেয়ে আমার ঘারে দিলো৷ কি ছেলেরে বাবা এত কথা কিভাবে বলে,
— এই চুপ করেন, মায়ের কাছে বলে দিবো
— হুহ নিজে তো পারেন না,
কিছু বললে আবার মায়ের ভয় দেখায় ৷ বলেই চুপচাপ শুয়ে পরল, এই ছেলে যদি কেউকে ভয় পায় সে হলো আমার শাশুড়ী ৷ তার কথাই আমাকে বিয়ে করে৷যে ছেলেকে দেখলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যেতো আর আজ সে আমার পাশে ঘুমাচ্ছে ৷ তাও আবার নাক ডাকে, মাত্র শুইছে এর মধ্যেই নাক ডাকা শুরু হইছে ৷ ইচ্ছে করছে মুখের উপরে বালিশ চাপা দেই৷
— এই উঠেন বলছি, ষাড়ের মতো নাক ডাকছেন কেন?
— লাইট জ্বালানো থাকলে ইচ্ছা করে নাক ডাকা শুরু হয় বুঝলা কানি? আর হ্যা,শুনছি তোমার নাকি ঘুম ভালো না ৷ ঘুমের মধ্যে কি সব করো৷
— এ্যাঁ?? কি সব করি??
— গায়ের উপর পা উঠাই দাও,
পরে আবার নাকি জাড়াইয়ে ধরো! তাই মাঝখানে বালিশদিয়ে রাখলাম৷ তোমাকে বিশ্বাস নাই ৷ কি বলব বুঝতে পারছি না, খাট থেকে উঠে গিয়ে সোফায় বসলাম বই নিয়ে৷ কিছুক্ষন পর বদের হাড্ডির ফোন আসলো, শুরু হইলো ওই ছেলের লুচু গিরি ৷ ” বেবি তোমাকে খুব মিস করছি, তুমি জানো কানি মেয়েটা এখন বই পড়ছে৷ তুমি বলো এই রাতে কি কেউ বই পড়ে? তুমি থাকলে অনেক ভালো লাগতো” বইটা জোরে টেবিলে রাখতেই ফোনটা কেটে দিল৷
— এহেম এহেম!! জানো বেলা আমাদের বাসায় রাতের বেলা নুপুরের শব্দ শোনা যায় ৷ আর রাতে লাইট জ্বালালে তো আরো বেশি করে আসে৷ যদি ভালো চাও তো লাইট বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ো ৷
— সত্যি আপনাদের ঘরে ভূত আসে?
— আমি বলব কি, একটু অপেক্ষা করো নিজেই শুনতে পাবে ৷ বাবারে নুপুরের শব্দ! থাক বাবা অনেক হইছে চুপচাপ পাশে গিয়ে শুয়ে পরলাম
— কি হইল শুয়ে পরলে যে?
– আপনাদের ঘরে যে ভূত আছে আগে বলেন নি কেনো?
— আরে ভালো ভূত আছে, এই ভূত লাইট জ্বালানো থাকলে ঘাড় মটকে দেয় জানো? আর আমি তো লাইট বন্ধ করে ঘুমাই তাই আমাকে কিছুই বলে না ৷ কি হলো লাইট বন্ধ করলে যে?
— চুপ করেন তো কাল আমি চলে যাবো ৷
— হু বিদায় হও আমার ঘাড় থেকে ৷ এই কি হলো এই ভাবে হাত ধরে রাখছো কেন৷
— কিসের শব্দ ওইটা?
— হয়তো ভুতের ক্ষুধা লাগছে তাই খেতে উঠলো
— ভূতের ক্ষুধা লাগলে কি খায়?
— সময় হলে বুঝবা সকালে শয়তানের হাড্ডির ডাকে ঘুম ভাঙে,
— এই যে কানি, আর কত ঘুমাবেন? উঠে চশমা ঠিক করতে যাবো অমনি দেখি চশমা নেই ৷
— হা হা হা, চশমা পরতে পরতে অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে, তো তুমি কি রাতের বেলাও চশমা পরো নাকি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বই পড়ো ৷ আচ্ছা তুমি কি আমায় চশমা ছাড়া দেখতে পাও?
— আমি কি বেশি কানা নাকি?
— তার মানে শিকার করলে তুমি কানা, হা হা হা
— মোটেও তা বলি নি ৷
— আচ্ছা তুমি কি আমার গালের তিলটা দেখতে পাচ্ছো?
— না আপনার গালে কোন তিল নেই৷
— হা হা হা, কানি বউ একটা,আমি কিন্তু তোমার ঠোটের পাশের তিলটা ঠিকই দেখতে পাচ্ছি৷
— আমার তিল আছে বলেই তো দেখছেন, কিন্তু আপনার গালে কোন তিল নেই হুহ ৷
— হা হা হা!! আচ্ছা বাদ দাও তোমাকে কিন্তু আর আমার পাশে ঘুমাতে দিবো না ৷
— কেনো?
— হুহ তোমার ঘুম ভালো না, রাতে এমন ভাবে ধরে রাখলে আমি তো নিশ্বাস নিতে পারছিলাম না৷
— না আমি ওমন করি নি, শুধুই হাত ধরে রাখছি৷
— ঘুমের মধ্যে তোমার সব মনে থাকে?
— না
— তাইলে? কথা না বাড়িয়ে যাও এইখান থেকে ৷
হাত মুখ ধুয়ে রুমে আসলাম, রুমে ঢুকতেই দেখি মোবাইল কানে কিন্তু আমাকে দেখে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে মনে হয় ভীন গ্রহের কোন প্রানী দেখছে, নিজেকে ভালো করে দেখে নিলাম নাহ সব ঠিক আছে, তাইলে কি দেখছে অমন করে,
— কি দেখছেন?
— কাল রাতে দেখলাম হাতি কিন্তু এখনতো দেখছি বাতাসি ৷
— হুহ!
শয়তান ছেলে এমন একটা ভাব নিচ্ছে মনে হয় জীবনে আমায় দেখে নি ৷ মানলাম কাল আমায় একটু বেশিই মেকআপ করা হইছে তাই বলে হাতি? এই বদ ছেলে এর সাথে নাকি আবার সারা জীবন কাটাতে হবে৷ সকালে খাবার খেতে বসছি, অমনি তার জানুর ফোন, কিন্তু মা,বাবা সবার সামনে সে কথা বলা শুরু করল ৷
— হ্যা জাহানারা, তোমার সাথে পরে কথা বলব ৷ শয়তান ছেলের দিকে তাকাতেই মুচকি মুচকি হাসছে ৷ ইচ্ছে করছে ডিম ভাজিটা ওর মুখের মধ্যে পুরে দেই ৷ অফিসে চলে গেছে, আমি আমার রুমে চলে আসলাম৷ মা তো বলে বিয়ে হইছে এখন ঘন ঘন রুমে আসা যাবে না৷ বদের হাড্ডি যখন অফিস থেকে আসল, আমিও রুমে আসলাম সে বলল,
— বেলা একটু কফি করে আনো তো
— আচ্ছা (মাথা নেড়ে) কফি যখন তার হাতে দিলাম, মুখে দিয়ে বলল
— চিনি কম হইছে আরেকটু চিনি দিয়ে আনো, আবার যখন চিনি দিয়ে দিলাম, সে মুখে দিয়ে বলল,
— ঠান্ডা হয়ে গেছে, গরম করে আনো,
আবার যখন গরম করে আনলাম, দেখি শয়তান ছেলে ফোনে কথা বলছে ৷ হাতের ইশারায় বলল কফিটা রাখো ৷ কফিটা টি-টেবিলে উপর রেখে বিছানা ঠিক করতে ছিলাম ৷ এবার শুরু হইছে তার হজবরল বকবকানি,
— বেবি তোমার কন্ঠ দিন দিন এতো কিউট হচ্ছে যে ৷ আহা মনে হয় যেনো কোকিলের কন্ঠ ৷ আর আমার বাসায় একটা ঘর কুনো মেয়ে তার কন্ঠ না যেন কাকের সারাক্ষন কা কা করে ৷ হাতের বালিশটা জোরে খাটের উপরে রাখলাম, অমনি ফোনটা কেটে দিলো ৷
— তুমি দিন দিন কিন্তু হিংসুটে হয়ে যাচ্ছো ৷
— ………… ( নিরব)
— একটা কাজ করতে পারো,
বেশি করে মরিচ খাবা, কন্ঠনালী চিকন হবে ৷ শয়তান ছেলে আজ তোমার কোকিল কন্ঠ বের করতেছি ৷ তরকারিতে বেশি করে মরিচ দিয়ে রান্না করলাম, মুখে দিয়ে বলল, বেলা আজ রান্নাটা কিন্তু সেই হইছে ৷ আসো তোমায় খাইয়ে দেই বলেই খাইয়ে দিলো, আর আমার অবস্থা খারাপ ৷ তখন পন্ডিত হাত ধরে রুমে নিয়ে বলল,
— খুব ঝাল তাই না?
— হুম
— তোমার মুখেও ঝাঁল আমার মুখেও ঝাঁল !
— তো? সব আপনার জন্য হইছে ৷
— তুমি কি জানো দুইজনের ঝাঁল একসাথে করলে মিষ্টি হয় ৷
— কি করে?
— এইদিকে আসো
কাছে যেতেই তার পকেট থেকে ঝাঁল চানাচুর মুখে পুরে দিলো ৷ ইচ্ছে করছে শয়তানের হাড্ডিকে খামচি দিয়ে শয়তানী বের করে দেই ৷ এভাবেই ঝগড়ার মাঝে যে কখন ভালোবেসে ফেলছি বুঝতে পারি নি ৷ রাতে যখন শয়তান ছেলে ফোনে কথা বলতে ব্যস্ত, ভাল লাগছেনা, রাগ লাগছে খুব, কিন্তু কেন তা জানি না ৷ পাশে এসে দাড়িয়ে ফোনে কথা বলে যাচ্ছে,
— সোনাপাখি খুব মিস করছি তোমায় ৷ রাগ লাগছে খুব সামনে গিয়ে দাড়ালাম, হাত থেকে ফোনটা নিয়ে একটা আছাড় দিলাম ৷ কিছুক্ষন নিরবে দাড়িয়ে রইল৷
— মন খারাপ কেনো? (ইয়েন)
— এমনই
— সরি
— তুই আমার সাথে কথা বলবি না, থাক ওই মেয়ে নিয়ে ৷
— আরে কি হইছে বলবা তো
— দুপুরে কতবার ফোন দিছি দেখছো? নিশ্বাস নিতে পারছিলাম না, কতবার ফোন দিছি শুধু ওয়েটিং ছিলো৷ আপনি চাইতেন না আমিযেনো আপনার জীবন থেকে সরে যাই? সত্যি সরে যাবো থাকেন আপনি, আর জ্বালাবো না৷ বলেই রুমে চলে আসলাম,
— বেলা আমার কথা একবার শুনো, এই দেখো কান ধরছি আর এমন করবো না পাচিঁ ৷
— পাচিঁ ?? ( চশমা ঠিক করতে করতে বললাম)
— হুম পাচিঁই তো,
তা না হলে একটাবার তো মোবাইল চেক করতে পারতে যে আমি কার সাথে কথা বলি ৷তোমাকে যখন ছাদে বই পড়তে দেখতাম, ভালোলাগতো খুব ৷ তাই তোমাকে সবসময় জ্বালাতন করতাম৷ কিন্ত তুমি বইয়ের প্রতি এতো মনযোগী ছিলে যে আমাকে তুমি খেয়ালই করো নি ৷ তাই তো ফোন নিয়ে উল্টোপাল্টা কথা বলতাম ৷ কিন্তু তাতেও কোন লাভ হলো না৷ সেদিন যখন তোমার সাথে, পাড়ার বড় ভাই হেসে হেসে কথা বলছিলো ভয় পেয়ে গেছিলাম ৷ এই বুঝি আমার চশমিশ পাচিঁ বউটাকে হারাতে বসলাম ৷ তাই মায়ের সাথে যুক্তি করে বিয়ের কাজটা সেরে ফেললাম৷ কিন্তু তুমি যে এত্ত পাচিঁ তা জানতাম না ৷ কিন্তু আজ আমি বড় স্যারের সাথে কথা বলছিলাম, তাই ওয়েটিং পাইছো৷
— প্রমান কি?
— ফোনটা তো ভেঙে দিলে, এখন প্রমান কি করে দিবো? কি বলবো বুঝতে পারছি না, মাথা নিচু করে বসে আছি ৷
— সরি তো বাবুই, এই দেখো কান ধরে আছি ৷
— মাফ করতে পারি এক শর্তে ৷
— কি?
— আমার কথা এনে দিতে হবে ৷
— কথা? কথা বলা শুরু করলে বলো চুপ করতে আর এখন চুপ করে আছি এখন বলো কথা এনে দিতে?
— আরে এই কথা সেই কথা না ৷
— তো?
— আমার মেয়ে কথাকে এনে দিতে হবে ৷
— কিভাবে??’
— তা আমি কি করে বলবো হুহ!!
— সেটা তো আর হবে না বাবুই
— কেনো?
— সেটা তো Olx এ বিক্রি করে দিছি ৷
— এ্যা??
— হ্যাঁ বাবুই শয়তান ছেলে আজ তোমার একদিন কি OLX এরএকদন . . .
সমাপ্ত