—এই দাড়া ( নীলা)
—কি বলবি বল(আমি)
—ঠাসসস, ঠাসসসসসস।(নীলা)
—এই তুই আমাকে থাপ্পর মারলি কেন?(আমি)
—বেশ করেছি, তুই নাকি কাল তৃষাকে প্রপোজ করেছিস?(নীলা)
—হ্যা, তাতে তোর কি? আর তুই আমায় মারলি কেন? তৃষাকে আমার খুব ভালো লাগে তাই প্রপোজ করেছি। কিন্তু খুশির বিষয় হল তৃষা আমার প্রোপোজ একসেপ্ট করেছে।(আমি)
—মানে। একসেপ্ট করেছে মানে? তৃষা তো বললো ও একসেপ্ট করেনাই ও তোকে ভালোবাসেনা।(তৃষা)
—দুর বোকা৷ তৃষাও আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমি আমাদের ভালোবাসার কথা তোকে বলতে বারন করেছি তাই বলেনাই। বলতে না বলতেই,,,,,,(আমি)
—ঠাসসসস, ঠাসসসস,,,,,,,(নীলা)
—ঐ তুই আমায় আবার চর মারলি কেন? এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছেনা৷ ইস কি ব্যাথারে? তোর হাতে এত জোর আসলো কোথা হতে। মনে হচ্ছে হাতুড়ির বাড়ি পড়ছে আমার গালে, আর দুই দাত গিয়ে পড়ছে বুড়িগঙ্গা নদীতে।(আমি)
—ইচ্ছে করছে তোকে মেরে ফেলি।(নীলা)
—কি তুই আমায় মারবি কেন? আমি তোর খাই না তোর পরি। (আমি)
—আচ্ছা তুই এমন কেন। তুই কি আমায় একটু ও বুজিস না। আমি কি চাই না চাই?(নীলা)
—আয় হায় কসকি। তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড তোরে বুজমুনা কেন। তুই তো আমার কাছ থেকে কিছু চাসনাই। কেমনে বুজমো কি চাস। তার বদলে তো আমায় উপহার দিলি দুইটা ঠাস(আমি) (পরিচয়টা আগে দিয়ে নেই৷ আমি রাজু্ আর মেয়েটা হল নীলা আমার ক্লাসমেট। তবে দুজন দুজনে ভালো বন্ধু্। কিন্তু তাতে কি বড় কথাওকে আমি ভালোবাসি। কিন্তু বলতে পারিনাই। যদি আমাদের বন্ধুত্ত নষ্ট হয়ে যায় এই ভয়ে। তাহলে আমার আম ও ছালা দুটোই যাবে। নীলাকে আমি ভালবাসি আর নীলা আমায় একটু হলে ও ভালোবাসে কিনা এই পরিক্ষাটাকরার জন্য তৃষার সাথে কন্টাক করি। তৃষা হলনীলার বেস্ট ফ্রেন্ড। ও আরেকটা কথা, নাহলে তো তোমাদের মনে সন্দেহটা থেকে যাবে। কন্টাক টা কি? বেশি কিছুনা জাস্ট স্পেশাল ফুসকা। নীলাকে এভাবে বলায় নীলাও একটু রাগ করছে৷ আবার মুহুর্তেই রাগ শেষ করে)
—সরি আসলে মেজাজ টা খারাপ হয়ে গিয়েছিল।আমি চাইনা তুই অন্য কারো হ। তাই রাগটা কন্ট্রল করতে না পেরে তোকে মারছি। তোর অনেক লেগেছে তাই নারে। (কাদো কাদো কন্ঠো বললো নীলা)
—আমিও আর একটু মজা নেওয়ার জন্য দুষ্টু বুদ্ধি করলাম৷ তারপর বললাম হ্যা অনেক লেগেছে রে। এত জোরে বুজি কেউ কাউকে চড় মারে। দেখআমার গাল দুটো লাল হয়ে গেছে। নীলা আমার গালে হাত দিয়েই সাথে সাথে কেদে ফেললো। কিরে কাদছিস কেন(আমি)
—কই নাতো এমনি ই তোকে মেরেছি তো তাই মায়া খারাপ লাগতেছে।( নীলা)
—ইস,,,,,এতই যদি মায়া লাগে তাহলে মারলি কেন।(আমি)
—তো কি করবো তুই তৃষাকে প্রপোজ করলি কেন তাই তো মাথা গরম হয়ে গেছে আর নিজেকেকন্ট্রোল করতে না পেরে তোকে মারছি।(নীলা)
—বারে প্রপোজ করবোনা তো কি করবো। কেউ তো আমায় এসে আর প্রপোজ করবেনা।কারন কেউ তো আমায় ভালোবাসেনা।( আমি)
—কে বলছে তোকে কেউ ভালোবাসেনা। আমি তো অনেক ভালোবাসি। কিন্তু তুইতো আমার মনটাই বুজলিনা।(নীলা)
—সত্যি?(আমি)
—মাথা নিচু করে,,,,,,,,,,,,,,হুম সত্যি।
–ও আল্লাহ আজ আমি পরিক্ষায় কেরছি পাস, ইচ্ছে করছে খেয়ে ফেলি আস্ত একটা হাঁস। পড়লে পড়ুক দুই গালে আরো দুইটা ঠাস ও আল্লাহ আজ আমি পরিক্ষায় করছি পাস “যেনআকাইম্মা একটা কবি হয়ে গেছি” ( আমি)
—কিন্তু আমিযে তৃষাকে ভালোবাসি।(ক্ষেপ
ানোর জন্য বললাম আমি)
—আজ থেকে আমায় ভালোবাসবি। আর কাউকে না। আর হ্যা যদি আবার তৃষার কাছে যেতে দেখি তাহলে তোকে খুন করে ফেলবো। (নীলা)
—কিন্তু।(আমি)
—কোন কিন্তু না।
এটা বলেই আমায় জড়িয়ে দরল ও ভালোবাসার স্পর্শে আমি হাড়িয়ে গেছিসপ্নের আকাশে। হঠাৎ খেয়াল করলাম তৃষা আর ছোটভাই নিলয় এসে আমাদের কংগ্রাচুলেশনস জানালো।নীলা তৃষাকে দেখেই রেগে গেলো।
—সরি নীলা৷ আমি রনি ভাইকে ভালোবাসি না। তুই রনি ভাইকে ভালোবাসিস কিনা এটা জানার জন্যই তিনি এই অভিনয় টা করেছে। সত্যি রনি ভাই তোকে অনেক ভালোবাসে (তৃষা)
—কি আমার সাথে অভিনয় দাড়া দেখাচ্ছি মজা(নীলা)
—ও আল্লাহ বাচাও আমারে গালে হাত দিয়েই দৌড়।
এই বার গালে চর পড়লে জীবনটাই বালুচর হয়ে যাবে। আমি দোড়াচ্ছি ভালোবাসার শহরে। কুয়াশা কেটে যাবে প্রেমের রৌদ্র প্রহরে। দৌড়াতে দৌড়াতে নীলা আমাকে ধরেই জড়িয়ে ধরছে আর বলছে খুব ভালবাসি রে৷ যাক বাবা অভিনয় কাজে এসেছে৷(আমি)