অনেক বেশি ভালবাসি

অনেক বেশি ভালবাসি

> মেলি I Love U.
– ঠাস!
> দুর তরে বলছি I love u.
– ঠাস!
> মারতেছিস কেন?
– ঠাস!
> দুর! থাক তুই তোর মতো আমি গেলেম!
– ওই শুনে যা।
> কি?
– ঠাস!!

পিয়াস গালে হাত রেখে চলে অসল। ও পরিচয়টা আগে দেই। ছেলেটার নাম হলো পিয়াস। অত্যাধিক সরল একটা ছেলে। খুব সহজ সরল।আর মেয়েটার নাম মেলি। মেলি হলো পিয়াসের বেস্ট ফ্রেন্ড। অবশ্য মেলির বেস্ট ফ্রেন্ডও পিয়াস।আর তারা এবার দুজনেই অনার্স ২য় বর্ষে।পিয়াস মেলিকে অনেক অনেক বেশি ভালবাসে। আর সে সরল মনের মানুষ হওয়ায় তার মনের কথা মেলিকে বলে। তা আজ নয়, অনেক অগেই জানায়। কিন্তু প্রথম যখন জানায় তখন মেলি স্যারের কাছে বিচার দেয়। তখন তারা পড়ত ক্লাস ১১ তে।তখন থেকেই আজ পর্যন্ত পিয়াস ১৪৬৭+১ বার প্রপোজ করেছে।ঠিক প্রতিবারই মেলি পিয়াসকে ফিরিয়ে দিয়েছে। তবুও পিয়াস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সেদিন ছিল ইন্টার ১ম বর্ষের নবিণ বরণ অনুষ্ঠান। পিয়াস তখন ইন্টার ১ম বর্ষে নতুন ভর্তি হয়েছে। তো সে নবিন বরণ অনুষ্ঠানে যায় সাথে তার বন্ধুরাও । ১ম বর্ষের সবাই একে একে সবার পরিচয় দিচ্ছিল এমন সময় পিয়াস স্পিকারে হঠৎ ৫ শব্দের একটা বাক্য শুনতে পায় “আমার নাম সুমাইয়া ইসলাম মেলি।” শব্দটা শুনে পিয়াস থ হয়ে থাকে। তারপর সে যেখানে বসে আছা সে জায়গা থেকে বাম পাশে তাকাতেই সে দেখে যে নীল শারি পরা কিওট একটা মেয়ে তার পরিচয় বলতেছে। কিছুক্ষনের জন্য পিয়াস কল্পনায় কোথায় যেন হারিয়ে যায়। তার মনে হতে থাকে যেন শুধু একটা মেয়েই আছে ক্লাস জুরে আর কাউকে সে দেখতে পাচ্ছেনা। ব্যাপারটা পিয়াসের কাছে একদমসিনেমাটিক মনে হচ্ছিল।সে জিবনে প্রথম ক্রাশ খায়। সে ভাবতে থাকে যেহেতু  একই ক্লাসে পরে,তাহলে পরে কথা বলা যাবে। তারপর সে আস্তে আস্তে মেলির সাথে বন্ধুত্ব করে। ভালই চলতে থাকে দিনগুলু। কিন্তু একদিন দেখেযে মেলি অন্য একটা ছেলের সাথে কথা বলতেছে।

তখন পিয়াসের আর সহ্য হয়নি। খুব ভালবাসে সে মেলিকে। তাই সেমেলিকে ১ম বারের মতো প্রপোজকরে। কিন্তু মেলি সাথে মাথে সারের কাছে বিচার দিয়ে দেয়।পরে অবস্য মেলি এসে আবার সরি বলে পিয়াসকে। আর পিয়াস একটা সরি শব্দ মনে নিয়ে পুনরায় বন্ধুর চ্যেপ্টারে পা বারায়। দিন যেতে লাগল আর তাদের বন্ধুত্বটাও গভির হতে লাগল। আর ইন্টার ১ম বর্ষ থেকে অনার্স ২য় বর্ষ পর্যন্ত পিয়াস মেলিকে ১৪৬৮ বার লাভ ইউ বলেছে এর মদ্ধে উত্তর এসেছে, বাদ দে তো এসব,দেখ বেস্টু আছিস বেস্টুই থাক, ঠাস করে একটা চর ইত্যাদি। তবুও পিয়স চেষ্টা চালিয়েই যায়। কিন্তু আজ সকালে যখন পিয়াস মেলিকে লাভ ইউ বলে তখন বিনা নোটিশে মেলি আগের মতো উত্তর দেয় পিয়াসের গেলে।খুব কষ্ট পেয়েছে পিয়াস। সে রাগে বাড়ি চলে আসে। ২দিন হয়ে গেল পিয়াস কলেজে যায়না। এর মদ্ধে মেলি অসঙ্খ বার কল করে পিয়াসকে। কিন্তু পিয়াস রিসিভ করেনা। অনেক এস এম এসও দেয়। কিন্তু পিয়াস মনকে শক্ত করে ঘরে বসে থাকে। ৩য় দিন কলেজে জেতেই পিয়াসকে দেখে মেলি দৌড়ে তার কাছে এসে তাকে বলে……

– কিরে দুই দিন কই ছিলি?
> বাড়িতেই ছিলাম।
– তো কল ধরিস নি কেন?
> মোবাইল সাইলেন্ট ছিল।
– তো পরে তো দেখিছিস। তখন বেক করলি না কেন?
> প্রয়জন মনে করিনি। সর ক্লাসে যাব।

বলেই পিয়াস ক্লাসে চলে যায়। আর পিছনে তাকায় না। আর মেলির চোখের কোনে জল এসে যায়। সে ভাবতে থাকে যে, যে একটু বেশিই করে ফেলেছে ছেলেটার সাথে।আর ছেলেটাকেউ সে প্রচন্ড ভাবে ভালবাসে কিন্তু পিয়াস যখনই তাকে প্রপোজ করত সে পিয়াসকে ফিরিয়ে দিত। করণ যখনই পিয়াসকে ফরিয়ে দিত তখনই পিয়াস অভিমানে মেলিকে বলতো, তোর মদ্ধে মন নামে কোন বস্তু নাই, তুই এতো পাশান কেন,দেখবি একদিন হারিয়ে যাব।।। আর এসব কথা মেলির খুব ভাল লাগতো। তবে আজ তার মনে হচ্ছে যে সে সত্তিই পিয়াসকে হারাতে বসেছে। পিয়াসের কাছথেকে মেলি এই প্রথম এরকম ব্যাহার পায়। তাই তার মাথার মদ্ধে অকাশ ভেঙ্গে পরে।

বিকাল ৪টা….

– কইরে তুই? (মেলি)
> বাড়িতে।(গলাভার করে বলে পিয়াস)
– এখন একটু পার্কে আসতে পারবি?
> না আমার কাজ আছে।
– এখন যদি না আসিস তাহলে আর কোনদিনই দেখতে পাবিনা আমাকে।

হঠাৎ কথাটা শুনে পিয়াসের মাথা ঘুরে যায়। করণ পিয়াস জানে মেলি খুব ইনোসেন্স একটা মেয়ে। মনে যা ভাবে তাই করেফেলে সে।এখনি না গেলে কি না কি করে বসবে কে জানে। পিয়াস তারা তারি পার্কে যায়। গিয়ে দেখে মেলি তাদের দুজনের প্রিয় জায়গাটায় বসে আছে।

– জি বসেন! (ঢং করে বলল)
> কি জন্য ডাকছিস বল।
– আরে আগে বসতো। এত্তো পেরা নেস কেন?
> (চুপ চাপ বসে পরে)
– কিরে চুপচাপ কেন?
> তো কি করব?
– তুই হঠাৎ চেন্জ হইলি কেন?
> এমনেই?
– কি এখন আর ভালবাসিস না আর আমায়?(বলেই পাশে থাকা পিয়াসের দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকাল মেল)
> বেসেই বা কি হবে? আমার কাছে মনে হয়, আমি ভালবাসলে তোর কাছে ডিস্টার্ব ফিল হয়। তাই ভেবেছি আর ডিস্টার্ব করবনা স
– একটে থাপ্পড় দিয়া সব দাত ফালাই দিমু। এতো বেশি বুঝস কেন? আমিওযে তোরে ভালবাসি এটা তুই বুঝস না?
> মানে কি?
– আরে গাধা আমি তোরে সত্তিই অনেক অনেক ভালবাসি।
> ফাইজলামি বাদ দে কি কারণে ডাকছিস সেটা বল।
– ঠাস!
> মারলি কেন??
– (মেলি ক্ন্না করতে করতে বলে) তোকে আমি সত্তি সত্তি অনেক ভালবাসিরে।

তুই বিলিভ কর, যে দুইদিন তোরে আমি দেখিনাই, সারাটাদিন আমি মনে মনে অনেক কেদেছি। তকে ৩শ৫৯টা কল করেছি তবুও যখন ধরিস নি, তখন আমার এক মুহুর্তের জন্য মনে হচ্ছিল আমি মারাই যাব। তুই বুঝিসনা কেন যে, আমি আজ পর্যন্ত কন কোন রিলেশনে যাইনি? শুধু মাত্র তোর জন্য।আমি সত্তিই তকে অনেক বেশিই ভালবাসিরে। কিছুক্ষনের জন্য আবার মনে হচ্ছে যে পিয়াসে কল্পনায় ভাসছে। আর এমন সময় কিছু না ভেবেই পিয়াস মেলিকে প্রথম বারের মতো জরিয়ে ধরে। আর আবার ১৪৬৯ বারের মতো মেলি কে প্রপোজ করে।

হঠাৎ কোথাথেকে যেন পিয়াসের গায়ে পানি এসে পরে।হঠাৎ ঘুমটা ভেঙ্গেযায়। হঠাৎ সে তাকিয়ে দেখে তার বৌ মেলি বালতি হাতে দাড়িয়ে।হঠাৎ মনে হলো যে পিয়াস হঠাৎ করে তার বেচালার জিবনে কাহিনিটা সপ্নে দেখেছে।ধিরে ধিরে সব কিছু ক্লিয়ার হতেই হঠাৎ দেখে যে মেলি মানে পিয়াসের বৌ বাজারের বেগ আর লিষ্ট হাতে দিরিয়ে আছে। আর কর্কষ কন্ঠে বলতেছে, “আজ ছুটির দিন বলে ১০ টা পর্যন্ত ঘুমাইবা নাকি? বাজার করবে কে ? ” পিয়াস ফ্রেশ হয়ে বাজার করতে বেরিয়ে পরল। হঠাৎই সে ভাবতে লাগল যে,ঠাস ঠুস দুইটা চর খেলেও বেচেলার লাইফটাই ভাল ছিল।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত