আরে গাধা, বিয়ের দিন নিজের বউকে কি কেও বই গিফট দেয় ? ” নিলয়ের মাথায় গাট্টা মেরে কথাটা বললাম আমি।” নাহ এই ছেলের কোনোদিনও বুদ্ধি হবে না ” আরও একটু রাগ দেখিয়ে কথাটা বললাম ওকে ।
– “দোস্ত ও বই পড়তে খুব পছন্দ করে রে, স্পেশালি হুমায়ন আহমেদের বই। তাইতো এই বইটা ওর জন্য কিনলাম। ” ব্যাগের ভেতর তন্দ্রাবিলাস বইটা ঢোকাতে ঢোকাতে কথাটা বলল ও।
আমি হাল ছেড়ে দিলাম। কারণ তাকে বোঝানোর ক্ষমতা আমার নেই। নিলয় আমার ছোটো বেলার বন্ধু। এই ঢাকা শহরেরই এক অনাথ আশ্রমে বড় হয়েছি আমরা দুজন। এই অচেনা পৃথিবীতে নিলয় ছাড়া আমার আর কেও নেই। আমি ঠিক যতটুকু ওকে ভালোবাসি, আমি জানি ও তার থেকে অনেক গুণ বেশি আমাকে ভালোবাসে। মুলত এই ছেলেটা খুব সহজেই অন্যকে আপন করে নিতে পারে, তাকে নিজের সমস্তটা উজার করে দিয়ে ভালোবাসতে পারে কিন্তু আমি এত দ্রুত কাওকে আপন করে নিতে পারি না। তাই হয়তো ভালোবাসার দাঁড়িপাল্লাটা সব সময় আমার থেকে ওর দিকে বেশি ভারী থাকে।
এই পুরো দুনিয়ায় আমি ছাড়া অবশ্য আরো একজন আছে যাকে নিলয় নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে। সে হচ্ছে প্রিয়তী। নিলয়ের ভালোবাসার শুকপাখি। যার সাথে গত ৩ বছর ধরে ভালোবাসা ও স্বপ্নের রঙিন জাল বুনে চলেছে আমার এই পাগল বন্ধুটি। দুনিয়াতে দুটি জিনিসের অভাব নিলয়ের কখনোই হয় না । তারমধ্যে প্রথমটি হলো ওর মুখের হাসি ; আর দ্বিতীয়টি হলো প্রিয়তীর জন্য ওর বুক ভরা ভালোবাসা। আমি এই ছেলেটিকে কখনোই মন খারাপ করে থাকতে দেখি নি। যেকোন সময় যে কোনো পরিস্থিতিতে ওর মুখে সবসময় এই হাসিটা লেগে থাকতে দেখেছি। আমি নুহাশ, বর্তমানে খুলনায় এক সংবাদপত্রের সাথে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত আছি।
আজ নিলয়ের বিয়ে সেই উপলক্ষ্যে ঢাকায় আসা। নিলয়ের কাছের মানুষ বলতে আমি ছাড়া কেও নেই তাই শত কাজ ফেলেও গাধাটার বিয়েতে এসেছি। আজ রাতেই প্রিয়তীর সাথে নিলয়ের বিয়ে। প্রিয়তাকে আমি সামনাসামনি দেখেনি কিন্তু ছবি দেখেছি আর ফোনে কথা বলেছি কয়েকবার। মাঝে মাঝে মনে হয় মেয়েটাকে সামনাসামনি দেখলে জিজ্ঞাসা করতে হবে কি দেখে ও এই গাধাটাকে পছন্দ করেছিল!!” নারে দোস্ত, এটাও ঠিক সেরকম না যেরকম আমি খুঁজছি “- একটা মেরুন রং এর শাড়ি হাতে নিয়ে বলল নিলয় । পাক্কা সাড়ে তিন ঘন্টা যাবৎ আমরা এ দোকান ও দোকান করে যাচ্ছি কিন্তু গাধাটার একটা শাড়িও পছন্দ হচ্ছে না।
-” আচ্ছা, এখন তো এত্তগুলো শাড়ি আছে, যে কোনো একটা নিয়ে নে । এমনিতে প্রিয়তী দেখতে সুন্দর, ও যা পড়বে তাকেই ওকে ভালো মানাবে।”
– ” নারে দোস্ত আমার অনেক দিনের ইচ্ছা যেদিন আমি আর প্রিয়তী বিয়ে করব সেদিন ওর পরনে থাকবে একটা হালকা নীল রঙের শাড়ি, কানে ম্যাচিং ঝুমকো, এক মুঠো নীল চুড়ি, কপালে ছোট্ট একটা নীল রঙের টিপ আর চুলে থাকবে এক গুচ্ছ বেলী ফুল। আর আমার পরনে থাকবে নীল রঙের একটা পাঞ্জাবী।
-” বলিস কী রে!! তাহলে তোদের বিয়ের নাম দিতে হয় নীলাভ বিয়ে। সব কিছুই দেখি নীল। ”
– ” হি হি, দোস্ত সামনের দোকানটায় যাবি? ওখানে নাকি অনেক সুন্দর সুন্দর শাড়ির কালেকশন আছে। ওখানে যদি পাই। ”
– ” অসম্ভব, আমি আর কোথাও যেতে পারব না। তোর যাওয়ার থাকে তুই যা। আমি ওই সামনের রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে বসলাম। তোর যা কেনাকাটার আছে কিনে নিয়ে ওখানে আসিস। ”
– ” কিন্তু ” কথাটা বলেই নিলয়কে রেখে রেস্টুরেন্ট এর দিকে হাঁটা ধরলাম। জানি, গাধাটা দুই ঘন্টার নিচে ফিরবে না তাই ধীরেসুস্থে ই খাবার অর্ডার করলাম ।
(দুই মাস পর) হাসপাতালের ২৩ নম্বর কেবিনের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সকাল থেকে দুই প্যাকেট বেনসন শেষ করেছি। যদিও এটা নো স্মোকিং জোন তবুও কেন জানি নিষিদ্ধ জায়গায় নিষিদ্ধ কাজ করতে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। আমার মতো আরো কয়েকজন সাংবাদিককে দেখলাম ইতস্ততভাবে এদিক ওদিক ঘোরাফেরা করছে। কিন্তু তাদের কারো চোখেই আমার মতো বিরক্তির ছাপ নেই। আমাকে এক প্রকার জোর করেই এখানে পাঠিয়েছে হাফিজ ভাই। হাজার হোক বস আদেশে করেছে তাই আর না করতে পারলাম না কিন্তু তারপরও যখন থেকে এই ঢাকার মাটিতে পা দিয়েছি তখন থেকে বিরক্তির মাত্রা যেন আস্তে আস্তে বেড়েই চলেছে। এই শহরটার উপর এখন আর আমার কোনো ভালোলাগা কাজ করে না। গত দুমাসে এ শহরে আসা হয়নি একবারো। ভেবেছিলাম আর কখনোই আসব না কিন্তু এক ধর্ষিতা মেয়ের ইন্টার্ভিউ নেয়ার জন্য জোর করে অফিস থেকে পাঠানো হলো এখানে আমাকে। সেই মেয়েটির ইন্টার্ভিউ নেয়ার জন্যই হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে আছি সকাল থেকে কিন্তু ডাক্তার আর নার্সদের তদারকির জন্য ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
কেবিনটার ভেতরে ঢুকে যা দেখলাম তা দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না আমি। এক মুহুর্তের জন্য কেঁপে উঠেছিল আমার বুক। তবে আমি যা ভাবছি তাই কি সত্যি আপনারা এখানে জানতে এসেছেন তো আমার অবস্থা কিভাবে হল? কে বা কারা আমার এই অবস্থা করল?? সব বলব। কিন্তু তার আগে একটি কথা বলতে চাই।একজন মানুষের বিশ্বাসঘাতকার জন্য আজকে আমার এই অবস্থা। আর সেই মানুষটি হলো আমার সব থেকে ভালোবাসার মানুষ। “- একনাগাড়ে কথাগুলো বলে গেল কেবিনের উপর আধশোয়া হয়ে বসে থাকা মেয়েটি। আমি শুধু শুনতে লাগলাম। হঠাৎ করে মনে হলো পায়ের নিচের মাটিটা মনে হয় কেঁপে উঠলো সেই সাথে আমার বুকও। পাশে পড়ে থাকা টিস্যুর বাক্স থেকে টিস্যু নিয়ে চোখ মুছে আবার বলতে থাকল সে।
আজ থেকে দুই মাস আগে আমি আমার পরিবারে বিরুদ্ধে গিয়ে এক ছেলেকে ভালোবেসে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেই। সেদিন ছিল আমাদের বিয়ের রাত। কথা হয়েছিল রাত আটটায় আমি আর সে বাস স্টেন্ডে এ দেখা করব তারপর সেখান থেকে বিয়ে করার জন্য কাজি অফিসে যাব। তার জন্য রাত ১১ টা পর্যন্ত আমি সেখানে অপেক্ষা করি কিন্তু সে আসে নি। তারপর সেখানে থাকা কিছু বাজে লোক আমাকে তুলে নিয়ে যায় আর গত দুই মাস যাবত আমি তারা আমাকে আটকে রাখে আর তাদের ইচ্ছামতো আর কিছু বলতে পারে না মেয়েটি।
মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে কাঁদতে থাকে। ডাক্তারদের অনুরোধে ও মেয়েটির মনের অবস্থা বুঝতে পেরে ধীরে ধীরে সব সাংবাদিকরা চলে যেতে থাকে। এখন শুধু রুমের ভেতর আমি আর প্রিয়তী আছি। হ্যাঁ, এই মেয়েটিই প্রিয়তী যাকে আমি গত দুমাস যাবত পাগলের মতো খুঁজেছি। ভেবেছিলাম হয়তো ও সব কিছু ভুলে নতুন করে বাঁচতে শিখে গেছে কিন্তু ভাগ্য তার সাথে এভাবে আমার দেখা করিয়ে দেবে তা আমি ভাবতেও পারিনি। আমাকে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কিছুটা অবাক হলো প্রিয়তী। আমি মেয়েটিকে চিনলেও সে হয়তো আমাকে চিনেনি। আর চেনার কথাও না। আমার সাথে তার সামনাসামনি কখনো কথা হয়নি। আর আমি নিলয়ের কাছ থাকা তার ছবি দেখলেও সে হয়তো আমার ছবি দেখেনি। ” কিছু বলবেন? ” ঘাঁড় ঘুরিয়ে প্রশ্ন করল সে।
– ” নিলয় কে কি মাফ করা যায় না প্রিয়তী? ” প্রিয়তী চমকে এক মুহুর্ত আমার দিকে তাকিয়ে পরক্ষণেই মুখ ঘুরিয়ে ফেলে।
– “কে আপনি??আপনি যেই হন না কেন চলে যান এখান থেকে। ওই বিশ্বাসঘাতকের নামও আমি শুনতে চাই না। ”
– ” সেদিন যদি নিলয় বেঁচে থাকত তাহলে সে অবশ্যই তোমার কাছে আসত প্রিয়তী। দুনিয়ার কোনো বাঁধাই তাকে তোমার কাছে আসা থেকে আটকাতে পারত না। ”
– ” মানে ? ”
– সেদিন তোমার বিয়ের বাজার করতে গিয়ে এক গাড়ি এক্সিডেন্ট এ মারা যায় নিলয়। জানো প্রিয়তী আমার এই দুই হাতের মাঝখানেই শক্ত করে চেপে রেখেছিলাম ওকে যাতে কেও নিয়ে যেতে না পারে কিন্তু দেখ আমি পারলাম না। ”
– কথাটা বলতে বলতে গলার কোথাও যেন কাঁটার মতো বাধছিল। বুঝতে পারলাম আর কিছু বলা আমার পক্ষে হয়তো সম্ভব না। এক ছুটে বেড়িয়ে আসি কেবিন থেকে। সেদিন রেস্টুরেন্টের মতো আজও পেছন ফিরে তাকালাম না কারণ জানি পেছনে হয়তো অঝরে কেঁদে চলেছে মেয়েটি। থাক কাঁদুক। কিছু কিছু কান্না জমিয়ে রাখতে নেই।
গত পনেরদিনে হয়তো পনেরশবার গিয়েছি প্রিয়তীর কাছে। আজ সরাসরি হাফিজ ভাইকে নিয়ে ওর বাড়িতে উপস্থিত হলাম। তার বাবা মার সাথে কথা বলে তাদের জানালাম যে তাদের মেয়েকে আমি বিয়ে করতে চাই। আমার কথা শুনে প্রিয়তীর বাবা মা প্রথমে কিছুটা অবিশ্বাস করলেও পরবর্তীতে তারা আমার কথায় আশ্বস্ত হলেন ও বিয়েতে রাজি হলেন। কিন্তু বাধ সাধলো প্রিয়তী। সে কিছুতেই আমাকে বিয়ে করতে রাজি হল না। ঘরে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসা করায় সে শুধু একটি কথাই বলেছিল,
– ” একজন ধর্ষিতা মেয়েকে বিয়ে করে দয়া করতে এসেছেন? আমাকে দয়া বা করুণা দেখাবেন না। আমার কারো দয়া বা করুণার দরকার নেই। ” কথাটা শুনে আর কিছু না বলে বেড়িয়ে আসি ওদের বাসা থেকে।
পরেরদিন বিকাল বেলা একটা পার্সেলে আসে প্রিয়তীর বাসায়। পার্সেলটা খুলে প্রিয়তী একটা নীল শাড়ি, একজোড়া ম্যাচিং ঝুমকো, এক মুঠো নীল চুড়ি, একটা টিপের পাতা আর এক গুচ্ছ বেলী ফুল দেখতে পায়। সেই সাথে পায় একটা চিঠি। তাতে লেখা ছিল,” প্রিয়তী, জানো তুমি আমার কাছে নিলয়ের রেখে যাওয়া একমাত্র স্মৃতি। নিলয় আমাকে ছেড়ে চলে যাবার পর তোমাকে আমি পাগলের মতো খুঁজেছি সব জায়গায়, ভেবেছিলাম হয়তো তুমি সব কিছু ভুলে গেছ। জীবনটাকে নতুন করে গুছিয়ে নিয়েছ। কিন্তু কখনো ভাবি নি তোমাকে এই পরিস্থিতিতে দেখব।
তুমি ভেবেছিলে হয়তো তোমাকে আমি করুণা দেখাচ্ছি, কিন্তু সত্যিটা কি জানো প্রিয়তী? নিলয় যাবার পর থেকে আমার জীবনে যে অন্ধকার নেমে এসেছে আমি সেই অন্ধকার থেকে মুক্তি চাই প্রিয়তী। এর জন্যই বারে বারে তোমার কাছে ছুটে যাই। এই অন্ধকার থেকে একমাত্র তুমিই আমাকে মুক্তি দিতে পার। আমাকে সাহায্য করবে প্রিয়তী? হয়তো নিলয়ের মতো করে নয় কিন্তু নুহাশের মতো করে তোমাকে ভালোবাসার চেষ্টা করব। আমার হাতটা ধরবে প্রিয়তী, প্লিজ আজ রাত ৮ টায় বাস স্টেন্ডে তোমার জন্য অপেক্ষা করব। যদি পার তাহলে শাড়িটা পরে এসো। আমি আবার নতুন করে তোমায় নিয়ে বাঁচতে চাই। আমাকে কী একটা শেষ সুযোগ দেয়া যায় না?? নুহাশ ”
রাত ১১ বাজতে চলল, জানি প্রিয়তী আসবে না তারপরও বসে আছি। কিসের টানে বসে আছি জানি না। হয়ত নীল শাড়ি, নীল চুড়ি পরে, এলোচুলে একগুচ্ছ বেলীফুল জড়িয়ে কেমন লাগবে ওকে তা দেখার জন্য, কিন্তু আমিতো জানি সে আসবে না।” সেদিন অনেক অপেক্ষা করিয়েছিলে আজ তার উশুল নিলাম, হি হি।” গলার আওয়াজ পেয়ে সামনে তাকাতেই দেখি প্রিয়তী দাড়িয়ে আছে। কল্পনায় ওকে যতটা সুন্দর দেখতেছিলাম আজ তার থেকেও অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। মনে হচ্ছে কোনো এক নীল পদ্ম ফুটেছে যার থেকে কোনোভাবেই চোখ সরানো যাচ্ছে না। আমাকে এভাকে তাকিয়ে থাকতে দেখে সে চোখ নামিয়ে লজ্জামাখা গলায় বলল, ” শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলেই চলবে?? এবার তো উঠতে হবে.. নাকি?? আচ্ছা, কাজী অফিস কোথায় বলতে পার?? ”
(তিন বছর পর) হাসপাতালের ওয়েটেং চেয়ারে বসে আছি প্রায় আধাঘন্টা যাবৎ। আজ আমার আর প্রিয়তীর ছোট্ট সংসারে নতুন অতিথির আসার কথা। ভেতরে কেমন আছে প্রিয়তী এই কথা ভেবে নিজেকে শান্ত রাখতে পারছি না। হাফিজ ভাই আমার পাশে বসে আছে। বারবার আমাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে। একটু পর নার্স এসে জানালো আমার নাকি ছেলে সন্তান হয়েছে। কথাটা শুনে চোখের পানি আটকে রাখতে পারিনি। হাফিজ ভাইকে জড়িয়ে ধরে পাগলের মতো কেঁদেছি। ডাক্তারদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ভেতরে এসেই দেখতে পেলাম আমার প্রিয়তী আমাদের ছেলেকে কোলে নিয়ে বসে আছে । আজ দুনিয়ার সব থেকে সুখী মানুষ মনে হচ্ছে নিজেকে।
হাফিজ ভাই আমার ছেলেকে কোলে নিয়ে বলে উঠল ” ও মাই গড, দেখ নুহাশ বাচ্চা দেখতে একদম ঠিক তোর মতো হয়েছে। আচ্ছা বাচ্চাটার নাম কি রাখবি ভেবেছিস কিছু? ” সাথে সাথে আমি আর প্রিয়তী একসাথে বলে উঠলাম -” নিলয় ”
সমাপ্ত