আমাদের ভালোবাসা

আমাদের ভালোবাসা

–কাল রাতে ফেসবুকে কি স্ট্যাটাস দিছ?? (রশনি)
— কি স্ট্যাটাস দিছি??
— এটাই তো আমি জিজ্ঞেস করছি??
— কোন স্ট্যাটাসের কথা বলছ??
— এখন সাধু সাজার চেষ্টা করছ তাই না??
— সাধু সাজব কেন? কোন স্ট্যাটাসের কথা বলছ??
–“শুনো বালিকা,,

তোমার লম্বা চুল দেখলে আমার প্রেম করার ইচ্ছা জাগে না,,ইচ্ছা জাগে তোমার ওই লম্বা চুল ধরে তোমায় আছাড় দেওয়ার” এইটা কে স্ট্যাটাস দিছে??? এই খাইছে রে!! রশনি তাহলে স্ট্যাটাসটা দেখছে,,! এই জন্য আজকে এখানে আসার জন্য বলছে। এখন,,কি করি?? আমাকে চুপ থাকতে দেখে রশনি আবার বলল,,

— কি আমার কথার জবাব দাও??? এখন.,কি আমি রশনিকে সত্যিটা বলে দিবো।!!? অনেক ভেবে চিন্তে সত্যটাই বললাম,,,
— আসলে,,রশনি, গতকাল আমি মার্কেটে গিয়াছিলাম । সেখানে,,একটা মেয়ে পিছন দিকে চুল ছেড়ে হাটঁছিল..। তাই,, ওকে উদ্দেশ্য করে এই স্ট্যাটাস লিখছিলাম।

— তার মানে তুমি কালকে মার্কেটে মেয়েদের পিছন পিছন ঘুরতেছিলে??
— না না .,,এ রকম হবে কেন!!
–বুঝি আমি সব বুঝি,..রিলেশনের তো দু বছর হয়ে গেছে এখন আর আমায় ভালো লাগে না,,(কান্নামিশ্রত কন্ঠে)
— আমি কি এই কথা বলছি?? তুমি হুদাই এসব ভাবছ..।
— তুমি এই কথা বলো নি কিন্তু কিছু কথা আছে যা বলার দরকার হয় না তা বুঝে নিতে হয়।
— আমার কথাই আমায় বললে..?
— ওকে,,আমি আর কথা বাড়াতে চাই না..।আমি গেলাম। আর হে,, আর আমায় ফোন দিবে না । আমাদের রিলেশন এখানেই শেষ..।
— তুমি এসব কি বলছ??আমাদের ভালোবাসা কি এতই নরম ছিল যে সামান্য একটা বিষয় নিয়ে আমরা ব্রেকাপ করব।

— বললাম তো আর কোনো কথা নেই কথাটি বলেই রশনি চলে গেল। আর আমি বসে বসে ভাবতে লাগলাম সেই পুরনো সৃতিগুলা আসলেই কি আমাদের ভালোবাসা আজ শেষ হয়ে গেল। না আমাকে রশনির সাথে কথা বলতেই হবে। কি করে ও আমাদের ভালোবাসার ইতি টানলো.। তারপর,, সেখান থেকে চলে আসলাম। অতপর,,রাতকে রশনিকে ফোন দিলাম কিন্তু রিসিভ করল না। আমার চিন্তা আরও বেড়ে গেলও। তারপর আবার মেসেজ দিলাম কিন্তু রিপ্লে দিলো না । হঠাৎ বদরুল ভাইয়ের একটা থিওরীর কথা মনে পড়ে গেল।

ওনি বলেছিলেন,, “যে মেয়ে ম্যাসেজ দেওয়ার ১ ঘন্টা পরও ম্যাসেজের রিপ্লে দেয় না আর যাই হওক সে আপনাকে ভালোবাসতে পারে না” তাহলে কি রশনি সত্যি সত্যি আমায় ভালোবাসে না। পরের দিন কলেজে গিয়েও রশনিকে পেলাম না। এমন কি,,পরের দশদিনও রশনি কলেজে আসে নি,,। আর এদিকে আমি তো দেবদাস হয়ে বসে আছি আজকে কলেজে ঠুকতেই দেখলাম রশনি ওর ক্লাস থেকে বের হচ্ছে.. । আমি আর অন্য কিছু চিন্তা না করে ওর হাত ধরে সোজা ক্যাম্পাসের এক কোনায় নিয়ে গেলাম,,ওখানে যেতেই ও আমার হাত ছাড়িয়ে নিলো। তারপর,, বলল,,

— আপনি কে যে আমার হাত ধরলেন??
— ঠাসসসসসসসসসসসসস কথাটা শুনে নিজেকে সামলাতে পারলাম না.।
— sorry,,রশনি । তোমার কথা শুনে নিজেকে সামলাতে পারি নি।
— মারো আরও মারো। একে বারে মেরেই ফেলও( কান্নামিশ্রত কন্ঠে)
— চুপ করো রশনি। জানো এতোদিন আমি কিভাবে ছিলাম?? সব সময় তোমাকে নিয়ে ভাবছিলাম।

— কেন??
— ভালোবাসি
— কিসের ভালোবাসা,,?! আর হে আমি তোমায় ভালোবাসি না..।( কান্নামিশ্রত কন্ঠে)
— বললেই হলো। তোমার এই কাজল কালো চোখই তুমি আমাকে ভালোবাসো তার সাক্ষি
— তাহলে,, আমায় কষ্ট দাও কেন??( কান্নামিশ্রত কন্ঠে)
— আর কোনো দিন এ রকম হবে না।( কানে ধরে)
— সতি্য তো??
— হুম
— কিন্তু আমার রাগ ভাঙ্গাতে হবে??
— তা কিভাবে??
— কিভাবে আবার জড়িয়ে ধরে,,!
— এ আর কঠিন কি!!

কথাটি বলেই পাগলিটাকে জড়িয়ে ধরলাম আর মনে মনে বললাম,, পাগলি তোকে কতটা ভালোবাসি তা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না এমন কি তুইও না”

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত