– ঐ কই তুই? ( নুসু)
– কে? ( ঘুমের ঘোরে)
– কে মানে কই তুই।
– আমি নেপালে এভারেষ্ট জয় করতে আসছি। আপনি কে?
– আমি তোর বন্ধু
– সরি মহামানবদের কোনো বন্ধু থাকে না। বাই
– এই শোন হ্যালো হ্যালো আমি ফোনটা কেটে দিয়ে আবার ঘুমালাম।
– ঐ দরজা খোল
– কে?
– নুসু। তোর আজরাইল।
– আমার এতো তাড়াতাড়ি মরার ইচ্ছে নাই আজরাইল সাহেব। আপনি পরে আইসেন।
– তুই খুলবি নাকি দরজা ভাংবো?
– গেলে আমার বাপের যাবে। বিসমিল্লাহ পড়ে শুরু করে দে।
– তোরে যদি হাতের কাছে পাই রে তবে তোরে যে কি করবো।
– পরে দেখা যাবে। এখন রাস্তা মাপ। আমি সুমন। আর ও হলো নুসু মানে নুসরাত। আমরা অনেক ভালো বন্ধু। কেউ কাউকে ছাড়া চলতে পারি না।
– আম্মু কয়টা বাজে
– কেবল ১০:৩০।
– ওহহ।
– আজ ২৮ তারিখ তোর আন্টি তোরে ডাকছে।
– কিহহহহহ। আজ কয় তারিখ?
– ২৮
– আজ কোথাও যাওয়া যাবে না।
– কেন?
– কাজ আছে।
– কি কাজ?
– ছোট বাচ্চার এতো জেনে কাজ নেই।
– কি আমি বাচ্চা ( কান ধরে)
– কে বললো?
– তুই।
– আমি? কখন? কোথায়? কিভাবে?
– হইছে তাড়াতাড়ি আয়
– ওকে।
কাল নুসুর বার্থডে।। কি করা যায় তাই ভাবছি। এমন সময় নুসুর ফোন। ফোনটা কেটে দিলাম ওকে রাগানোর জন্য। সারা দিন কোন কথা বলি নাই ওর সাথে। এখন রাত ১২ টা। আমি ওর বাসার সামনে দাড়িয়ে আছি। এতক্ষন প্রদীপ দিয়ে সুন্দর করে হেপ্পি বার্থডে লিখলাম। তারপর ওকে মেসেজ করলাম
– জানি আমার উপর রাগ করছিস তবুও বারান্দায় একবার আয়। মেসেজ করতে দেরি বাট আসতে দেরি নাই। ওতো রীতিমতো অনেক সারপ্রাইজড। মাইয়া আবেগে দৌড়ে এসে আমায় জড়িয়ে ধরলো
– এই ছাড়া ছাড়া আমি ঐরকম না।
– কি কইলি?
– কই কিছু না তো।
– সারাদিন অনেক কাদাইছিস।
– তাই। ওলে বাবালে।
– চল ভিতরে চল।
– আমি কি তোর বর লাগি যে আমায় নিয়ে তোর বেডরুমে যাবি।
– আমার গিফট কই
– টাকা দে কিইনা আনি।
– ভাগ শালা।
– ওকে দুলাভাই আমি বাসায় চলে আসলাম।
– সুমন কই তুই?
– আকাশে উড়ছি।
– কিহহ??
– কি বলবি বল তো আমি ঘুমাবো।
– ভেবেছিলাম তোকে আজ ট্রিট দিব বাট হলো না। ওকে বাই।
– এই শোন আমি আসছি।
– ঘুমাবি না।
– এসে ঘুমাবো।
– ওকে আয়।
– তুই ২৫ মিনিট ওয়েট কর ১ ঘন্টার মধ্যে সিয়র পৌঁছে যাবো।
– তাড়াতাড়ি। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে গেলাম।
– – কি করিস?
– এখনি আসার সময় হলো।
– হুম। চল খাব।
– তার আগে তোর জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে। তুই খুব খুশি হবি।
– তাই কই তাড়াতাড়ি বল।
– এই যে তোর সারপ্রাইজ।
– এটা কি?
– আমার বিয়ের কার্ড।
– ওহ ( মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল)
– খুশি হোস নি।
– হ্যা অনেক।
– আমার বিয়ের সব দায়িত্ব তোকে নিতে হবে।
– আচ্ছা। আমাকে এইসব কার্ড দেওয়া লাগবে না। আমি এমনিতেই আসবো।
– তোর মুখটা হঠাৎ শুকনো হয়ে গেল কেন?
– এমনিতেই
– ওহ।
– আমি গেলাম।
– দাড়া। আমি বললাম বিয়ের কার্ড আর তুই তাই কার্ডটা একবারও খুলেও দেখলি না।
– তোর বিয়ে এতেই তো অনেক খুশি হয়েছি কার্ড পড়ার কি আছে।
– তুই সত্যি খুশি হয়েছিস?
– হুম।
– আমি কিন্ত তোর ডায়েরি পড়েছি।
– কিহহহহহহ। কেন পড়েছিস?
– বলতে পারতিছিস না কেন যে তুই আমায় ভালোবাসিস।
– এখন বলে কি আর হবে?
– কেন?
– তোর তো বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।
– গাধা এটা মীরার বিয়ের কার্ড তোকে দিতে বলছে।
– ওহ।।
– এখন তো বল
– কি বলবো?
– ভালোবাসিস
– পারবো না।
– ওকে থাক আমি গেলাম।
– ভালোবাসি
– কি বললি
– ভালোবাসি।
– দৌড়ে এসে আমায় জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে বলতে পারবি?
– ওটা তো তুইও করতে পারিস। এরপর নুসু দৌড়ে এসে আমায় জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো
– I Love You
– I Love You Too