ভালোবাসিরে পাগলি তোকে

ভালোবাসিরে পাগলি তোকে

নিরব একলা বসে আছে।নিলা পেছন থেকে এসেই নিরবের গা ঘেসে বসলো….

-কিরে এখানে বসে আছিস যে (নিলা)
-নিশ্চুপ (নিরব)
-কিরে কথা বলছিস না কেনো
-হুম….বল
-এতক্ষণে
-হুম
-আচ্ছা তুই এমন কেন রে
-কেমন
-এই যে অগোছালো টাইপের
-হুম তো [মুচকি হেসে]
-তো আবার কি
-আছি এক রাজকন্যার অপেক্ষায় যে এই অগোছালো ছেলেটাকে।গোছালো করে তুলবে….
-বাহ্ এতো স্বপ্ন
-হুম
-নিরব তোকে না একটা কথা বলবো (হঠাৎ ই নিলার বান্ধবীর ডাক)
-এই নিলা যাবি না
-আসতেছি আজো নিলা তার মনের অগোচরে থাকা ব্যাক্ত ভাষা গুলো নিরব কে বলতে পারলো না।নিলা যে নিরব কে ভালোবাসে কথা টি আজো আটকে গেলো কোন এক কারণে নীরব নামের ছেলেটা যেন একেবারেই নিরব।

একটু অগোছালো টাইপের ও।বেশি কথা বলা পছন্দ না তার।নদীর ন্যায় নিজেকে সপে দিতে তার খুব ভাললাগে।তাইতো পড়ন্ত বিকেলে সে এখানে বসে আছে।ছেলেটাকে আর কোথাও পাওয়া না গেলে নদীর ধারে তাকে পাওয়া যাবে নীরব আর নিলার পরিচয় সেই ছেলে বেলা থেকেই।একে অপরের সাথে প্রাইমারি , হাই স্কুল জীবন পার করেছে।আর এখন কলেজ লাইফেও একসাথে।নিলার বাড়ি থেকে নিরবের বাড়ি অতি নিকটে।ছেলে বেলা থেকেই তাদের বন্ধুত্ব।তার চেয়ে গভীরে।যাকে ভালোবাসা বলে।নিলা নীরব কে ছেলে বেলা থেকেই ভালোবাসে।নীরব ও বাসে কিন্তু কখনো বলা হয় নি।নিলা দেখতে মায়াবী পরীর মতো। কাজল কালো চোখ।ঘন ব্রু।মিষ্টি ঠোঁট সব মিলিয়ে এক পরী বলা যায়।কলেজের অধিকাংশ ছেলেরাই নিলা কে পছন্দ করে।আগ বাড়িয়ে কথা বলতে চায়।অনেক প্রপোজ ও পেয়েছে।কিন্তু সেগুলোর কোনো পাত্তা দেয় নি নিলা।নিলার মন তো শুধু নিরবের জন্য। কিন্তু ছেলেটা….

-আচ্ছা নিরব একটা কথা বলবি
-বল
-সবাই আমার সাথে আগ বাড়িয়ে কথা বলতে চায়।

কতো কি না করে।শুধু তুই একমাত্র যার সাথে আমি আগ বাড়িয়ে কথা বলি [নীরব এক রহস্যময়ী হাসি দিয়ে ওখান থেকে চলে যায়।নীরবের হাসিটা দেখে নিলা একটু মন খারাপ করে।নীরব মুচকি মুচকি হাসছে। আসলেই যে পাগলিটা তাকে খুব ভালোবাসে] নিরব ভাবছে খুব শ্রীঘই তার ভালোবাসার কথা নিলাকে জানাবে আজ নিলার ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরিই হলো। তাই কলেজের জন্য তাড়াহুড়াতে আছে। রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে।হঠাৎ রাস্তা আটকে দাড়ালো রাহাত।রাহাত এলাকা বখাটে ছেলে নামে পরিচিত।পড়লেখা না করে মেয়েদের উক্তত করে।রাহাত….

-কিরে নিলা করবি নাকি [নিলা আর কোন কথা না বলে তাড়াতাড়ি কলেজে চলে আসে] নিরব জানতে পারে রাহাত নিলাকে বাজে কথা বলছে।এজন্য নিরব রাহাত নির্দয় ভাবে মারে।এতে রাহাত খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। সূর্য ডুবু ডুবু ভাব নিরব দাঁড়িয়ে আছে।নিলা গেলো….

-তুই রাহাত কে কেনো মারলি
-ও তোকে বাজে কথা বলছে কেনো
-আমাকে বলছে, তোর কি
-আমি তোকে কথাটা বলতে গিয়েও নিরব বলতে পারলো না
-আমাকে কি আর কথা না বলেই নিরব ওখান থেকে চলে যায়….

এভাবেই অনেক দিন কেঁটে যায়।দুজনে মধ্যে কথা হয়ি নি এ কদিন আজ নিলার জন্মদিন নীরব ভাবছে।আজকে ওকে প্রপোজ করেই ফেলবে।আর চাপা রাখা যায় না কথাটি।আসলেই ভালোবাসার মানুষটিকে ভালোবাসি বলে ফেললে হৃদয়ে ওজন টা যেনো কমে যায় নিলা কে কোথাও খুঁজে পাচ্ছে না নীরব। নীরব ভাবছে পাগলিটা গেলো কই।অনেক ক্ষণ খোঁজার পর না পেয়ে নীরব ভাবলো নদীর ধারে নয়তো।নিরব অবাক হলো।নিলা বসে আছে। প্রতিদিন নীরব বসে থাকতো নদীর ধারে আর নিলা তাক খুঁজে বেড়াতো।আর আজ নীরব।নীরব মনে মনে বললো।হোক না প্রতিদিন নিলা আমাকে খুঁজে।আজ আমি ই না হয় খুঁজলাম তাকে। নীরব চুপি চুপি গিয়ে নিলার চোখ দুটি চেপে ধরলো

-বলতো কে (ভারি গলায়)
-নিরব
-কিভাবে বুজলি
-তোর হাতের স্পর্শ
–এত্ত চিনিস
–হুম
-Happy Birthday Nila
-তুই জানলি কিভাবে আজ আমার জন্মদিন
-তোর জন্মদিন আর আমি জানবো না তা কখনো হতে পারে
-আমার গিফট কই
-এই নে [একটা কিস দিয়ে]
-তবে রে নিলা নিরবের পিছনে দৌড়াচ্ছে
-দাড়া বলছি আজ তোর খবর আছে হঠাৎ নিরব থেমে গেল।নিলা নীরবের শরীরের উপর পড়ে গেল।আর কিল ঘুষি তার বুকে
-কুত্তা, বিলাই, শয়তান তোর একদিন কি আমার নিরব নিশ্চুপ হয়ে নিলার বকা গুলো শুনছে। এদেখে নিলাও থেমে গেলো

–ভালোবাসিরে পাগলি তোকে।খুব ভালোবাসি
-আমিও রে পাগলা
-তাহলে আরেকটা কিস করি
-মানা করেছি….
– উম্মমা….

(সমাপ্ত)

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত